সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের সদস্যবৃন্দ আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী সাবর্ণ সঙ্গীত সম্মেলন সম্প্রতি হয়ে গেল। বড় বাড়ির পুজোর দালানের সুসজ্জিত মঞ্চে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়। স্তোত্রপাঠ করেন দীপ্তম ও অনির্বান। সারেঙ্গিতে পটদীপ রাগ পরিবেশন করেন ‘মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার’ বিজেতা সুধেন্দু হালদার। তবলায় সুন্দর সঙ্গত করেন পিনাকী চক্রবর্তী। কিরবানি রাগে সন্তুর বাজান পিনাক ভট্টাচার্য তবলায় হিরণ্ময় ভট্টাচার্যকে সঙ্গী করে। আইটিসি এসআর-এর এক সময়ের বিস্ময় বালক আর্শাদ আলিখাঁ কণ্ঠে মাতিয়ে রাখলেন আগের মতোই। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে স্তোত্রপাঠ করলেন প্রিয়াঙ্কা চট্টোপাধ্যায়। ভায়োলিন ব্রাদার্স দেবশংকর ও জ্যোতিশংকর রায় তাঁদের সুরেলা ছড়ার জাদুতে মাতিয়ে দিলেন কিরবানি রাগের অনবদ্য রূপায়ণে। সংবর্ধিত হলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা ও সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব কল্যাণ সেনবরাট। সংযুক্তা দাসের মনোগ্রাহী কণ্ঠসঙ্গীত শেষে ইজরায়েলের ইতাই আরমোন সম্প্রদায় ইরানের যন্ত্র পারশিয়ান-টার এর সঙ্গে রনি গানোর ও ইয়োধ শাসনির বাস ও ক্ল্যাসিক গিটার, ইসতাক জ্যাজ গানের গিটার, দোতারায় অর্পণ ঠাকুর চক্রবর্তী ও কণ্ঠে দীপান্বিতা আচার্য, মেলবন্ধনে ভীষণ আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান হয়। শেষ দিনের শুরুতে স্তোত্রপাঠ করেন শ্রীধীমান। কত্থক নৃত্যের শিল্পী তবাথি পাল মজুমদার নৃত্য কুশলতায় সকলকে মুগ্ধ করেন। শেষ অনুষ্ঠানে ‘আনন্দমুখর ত্রয়ী’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তবলায় প্রবীণ শিল্পী কুমার বোস সঙ্গী করলেন কনিষ্ঠ ভ্রাতা সরোদশিল্পী দেবজ্যোতি বোস ও বংশীবাদক রণু মজুমদারকে। ত্রয়ীর সারা ভারতের মধ্যে তৃতীয় এই পরিবেশন রাগ-রাগেশ্রীতে ও হংসধ্বনিতে মধ্যলয় ঝাঁপতাল, ত্রিতাল ও দ্রুত ত্রিতালে সুর ও বাদ্য ঝংকার মনের মণিকোঠায় রয়ে গেল। মঞ্চে বিভিন্ন সময়ে রায়চৌধুরী পরিবারের নানান ঐতিহাসিক ঘটনা বলে মাতালেন ডঃ তন্ময় রায়চৌধুরী। সুন্দর সঞ্চালনায় ছিলেন কৌশিক সেন, দীপান্বিতা ও মালবিকা রায়চৌধুরী।
সুদেব চট্টোপাধ্যায়