উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
নাক্স ভোমিকা— রাত জাগা, বেশি তেল-ঝাল-মশালা যুক্ত খাবার খাওয়া, বাড়ির বাইরের খাবার খাওয়া, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস থেকে বদহজম, অম্বল, গ্যাস, পায়খান পরিষ্কার না হওয়ার মতো সমস্যায় এই ওষুধটির ৩০ বা ২০০ শক্তির দিনে একটি কিংবা দুইটি ডোজ খেলেই চলবে। সমস্যার তীব্রতা বেশি থাকলে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা অন্তরও ওষুধটি খাওয়া যায়।
পালসেটিলা— মাংস, ঘি, তেল, লুচি, পরোটার মতো চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে পেটের কোনও সমস্যা হলে যে কোনও শক্তির পালসেটিলা ওষুধের দিনে একটি বা দু’টি ডোজ খেলেই সমস্যা কমে।
আর্সেনিক অ্যালবাম— বাসি খাবার, গন্ধযুক্ত খাবার খেয়ে, দূষিত জল পান করে পাতলা পায়খানা হচ্ছে বা অন্য কোনও পেটের সমস্যা হচ্ছে, খুব জল তেষ্টা পাচ্ছে, রোগী আতঙ্কে রয়েছেন— এমন লক্ষণে আর্সেনিক অ্যালবাম ওষুধটির যে কোনও শক্তি দিনে এক বা দু’টি ডোজ খুব কার্যকরী।
কুর্চি— বদহজম থেকে আমাশা, পেটে ব্যথা, কিছুক্ষণ বাদে বাদেই পায়খানার বেগ আসছে ইত্যাদি উপসর্গে কুর্চি ওষুধটি মাদার টিংচার বাচ্চাদের ৫ থেকে ৬ ফোটা, বড়দের ১০ থেকে ১৫ ফোটা করে দিনে তিন থেকে চার বার খাওয়াতে পারেন।
ব্রায়োনিয়া— গরমে ঘেমে ফ্রিজের ঠান্ডা জল, ঠান্ডা সরবত, আইসক্রিম ইত্যাদি খাওয়ার কারণে গ্যাস, অম্বল বা পেটের অন্য কোনও সমস্যা হলে ব্রায়োনিয়া ওষুধটির যে কোনও শক্তি দিনে এক থেকে দু’বার খেতে পারেন।
চায়না— ফল, মূল, শাক, সব্জি বেশি খাওয়ার ফলে পেটের কোনও সমস্যা হলে এই ওষুধটিও আগের মতো একই উপায়ে খেলে উপকার মিলবে।
কার্বোভেজ— খুব বেশি ঢেঁকুর উঠছে, পাতলা পায়খানা হচ্ছে, পেট ভার ইত্যাদি সমস্যাতে একই ডোজে কার্বোভেজ ওষুধটি খাওয়া যায়।
মনে রাখবেন, হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। এখানে শুধুমাত্র একটি গাইডলাইন দিয়ে দেওয়া হল। রোগের গুরুত্ব অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া দরকার।
জানাচ্ছেন সল্টলেকের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হোমিওপ্যাথির পেডিয়াট্রিক বিভাগের প্রধান ডাঃ গৌতম আশ।