উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
ভাইরাস দুই ধরনের হয়— আরএনএ ভাইরাস এবং ডিএনএ ভাইরাস। অ্যাডিনো ভাইরাসটি একধরনের ডিএনএ ভাইরাস। ১৯৫৩ সালে এই ভাইরাসটি মানুষের নাক ও মুখের মাঝে অবস্থিত অ্যাডিনয়েড গ্ল্যান্ড থেকে পাওয়া গিয়েছিল। সারা পৃথিবী জুড়ে অ্যাডিনো ভাইরাসের বিস্তার। প্রকৃতির মধ্যেই অনায়াসে বেঁচে থাকতে পারে এই ভাইরাসটি। তাই মানুষ খুব সহজেই এই ভাইরাসের কবলে পড়েন। মানুষ থেকে মানুষে এবং প্রকৃতি থেকেও এই ভাইরাস সরাসরি শরীরে আসতে পারে।
রোগ লক্ষণ
এই ভাইরাস চোখের কর্নিয়া ও কনজাংটিভাকে আক্রমণ করতে পারে। এই সমস্যার নাম কেরাটোকনজাংটিভাইটিস। এক্ষেত্রে চোখ লাল, জল পড়া, চুলকানো, ব্যথা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
গলা থেকে শুরু করে ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে অ্যাডিনো ভাইরাস। সর্দি, কাশি, নাক দিয়ে জল গড়ানো, ঠান্ডা লাগা, জ্বর ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়।
অনেক সময় এই ভাইরাসের আক্রমণে মূত্রথলিতে ইনফেকশন হয়ে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বেরতে পারে। এই সমস্যার নাম হেমারেজিক সিস্ট্রাইসিস।
বাচ্চাদের অনেক সময় এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে ডায়ারিয়া হয়।
সমস্যা ভয়ঙ্কর আকার নিলে কিছু ক্ষেত্রে রোগীর নিউমোনিয়া, এনকেফালাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ায় সম্ভব।
কাদের ভয় বেশি?
ক্যান্সারের কেমো থেরাপি চলছে, স্টেরয়েড ওষুধ খেতে হয়, ব্রঙ্কাইটিস আছে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, বাচ্চা, বয়স্ক সহ অন্যান্য কোনও কারণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কমে গেলে এই রোগের সমস্যা বাড়ার আশঙ্কা থাকে।
রোগ নির্ণয়
ভাইরাস সম্বন্ধে নির্দিষ্ট করে জানা বেশ কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ। তাই সাধারণত নির্দিষ্ট করে ভাইরাস খোঁজার চেষ্টাও চালানো হয় না। এক্ষেত্রে রোগের লক্ষণ দেখেই একটা আন্দাজ করা যায়। একান্ত প্রয়োজন হলে পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে ভাইরাস সম্বন্ধে জেনে নেওয়া হয়।
চিকিৎসা
প্রথমেই বলি, অ্যাডিনো ভাইরাস খুব সাধারণ একটি ভাইরাস। এই রোগে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষই খুব সহজেই সেরে ওঠেন। তাই বেশি চিন্তা করার কিছুই নেই।
এই রোগের চিকিৎসা লক্ষণভিত্তিক। অর্থাৎ সমস্যা অনুযায়ী প্যারাসিটেমল থেকে অন্যান্য ওষুধ দিতে হয়। চিকিৎসকরা নজর রাখেন যাতে সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন না হতে পারে। এখন অবশ্য এই রোগের একটি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ বেরিয়েছে। তবে সেটার ব্যবহার এখনও সর্বত্র নয়।
রোগ প্রতিরোধে
খাওয়ার আগে অবশ্যই হাত ধুয়ে নেবেন।
হাঁচি, কাশি, সর্দিতে রুমালের বদলে ন্যাপকিন ব্যবহার করা দরকার।
সাঁতার কাটার জলে ক্লোরিন থাকতে হবে।
বাড়িতে আক্রান্ত থাকলে তাঁকে আলদা রাখতে হবে। আক্রান্ত ও তাঁর সামনে আসা অন্যান্য ব্যক্তিদের মাস্ক পড়তে উচিত।