Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অথৈ সাগর 

বিদ্যাসাগর মশায় বলতেন— তিনি স্ত্রীজাতির বড় পক্ষপাতী। আসলে কলকাতার প্রথম জীবনে তিনি জগৎদুর্লভবাবুর বাড়ির রাইমণির স্নেহ পেয়ে স্ত্রীজাতির ওপর শ্রদ্ধান্বিত হয়েছিলেন। বাড়িতে ছিলেন মা ভগবতী। বাবার ইচ্ছাপূরণ করেছেন, এবারে স্ত্রীজাতির জন্যে মেয়েদের স্কুল স্থাপন করলেন। সেই সময়ে লোকে ভাবতেন মেয়েরা পড়াশোনা করলে বিধবা হবে, তারা সংসারের অমঙ্গল করবে। সবাই অবাক হয়ে দেখলেন বিদ্যাসাগর বীরসিংহায় মেয়েদের জন্যে যে বিদ্যালয় স্থাপন করলেন— বিদ্যাসাগরের বিদ্যালয়ে তাঁদের গ্রামের মানুষেরাই বাড়ির মেয়েদের পাঠিয়ে দিচ্ছেন। শিক্ষকদের বেতন ও অন্যান্য খরচের জন্য মাসে মাসে তিনশো টাকা পাঠিয়ে দিতেন বিদ্যাসাগর। বইপত্র কিনে দিতেন ছেলেদের স্কুলের জন্যে। বালিকা-বিদ্যালয়েও ত্রিশ টাকা বরাদ্দ এবং বললে মানুষে বিশ্বাস করবেন না— যাঁরা কৃষিজীবী, শ্রমিক, স্বাস্থ্যও ভালো নয়— তাঁদের পড়বার জন্যে নৈশ বিদ্যালয় মানে নাইট স্কুল স্থাপন করলেন আজ থেকে দেড়শো বছর আগে। গ্রামের পাঠশালাগুলো উঠে গেল। সেখানের মাস্টারমশায়েরা বেকার, অন্নহীন। তাঁর মধ্যে কালীকান্তও ছিলেন। তিনি নিজের স্কুলে তাঁদের চাকরি দিয়ে, নিজে বইপত্র লিখে সেগুলো দিয়ে ছোটদের শিক্ষা দেওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা করে দিলেন। বিদ্যাসাগর এখন শিক্ষাসাগরও। সরকারও এবারে বিদ্যাসাগরকে বৃহত্তর কর্মক্ষেত্রে আহ্বান করল। জীবন আরও প্রসারিত হতে থাকল।
হেলিডে সাহেবের নির্ভরতার অত্যাচার বাড়তে থাকল। সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ বিদ্যাসাগরের বয়স এখন ঠিক ৩৫। কর্মক্ষমতার তুঙ্গে তাঁর অবস্থান। অতএব ছোটলাট বাহাদুর হেলিডে সাহেব বিদ্যাসাগরকে বললেন, ‘তোমাকে হুগলি, বর্ধমান, নদীয়া আর মেদিনীপুর— এই চার জেলাতে জায়গা বেছে নিয়ে সেখানে স্কুল বসাতে হবে। তোমার পদ হবে স্পেশ্যাল ইনস্পেক্টর এবং এই কাজের জন্যে তোমাকে আরও দুশো টাকা বেশি বেতন দেওয়া হবে। সাকুল্যে দাঁড়াবে পাঁচশো।’ এর চেয়ে শুভ প্রস্তাব আর কী হতে পারে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বিদ্যাসাগর মশায়ের কাছে। তিনি পরমানন্দে এখানে-ওখানে বিদ্যালয় বসাতে লাগলেন— সবই মডেল স্কুল। উপযুক্ত লোকের সন্ধান তাঁর হাতে অনেক আছে, যাঁরা শিক্ষকতা ও বিদ্যালয় গঠনে উপযুক্ত। তাঁর সময়বস্ক বন্ধু তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার বিখ্যাত সম্পাদক অক্ষয়কুমার দত্ত, পণ্ডিত মধুসূদন বাচস্পতি, রাজকৃষ্ণ গুপ্ত নর্ম্যাল স্কুলে পড়াতে শুরু করলেন। তাঁর প্রিয় এবং সংস্কৃত কলেজের সেরা ছাত্র রামকমল ভট্টাচার্যকে দিলেন নর্ম্যাল স্কুলের প্রধান পণ্ডিতের পদ। আরও অনেক ছাত্র এগিয়ে এলেন। ছাত্র রামকমল এখন সহকর্মী হয়েছেন, তাই মশকরা করে ‘স্যার’কে জিজ্ঞেস করেন, ‘কত টাকা হলে আপনার খ্যাতিকে কিনতে পারব বলতে পারেন।’ প্রচণ্ড চাপ তাই বিদ্যাসাগর মশায় শেষে চাকরি ছেড়ে দিলেন, দায়িত্ব নিলেন উড্রো সাহেব। রামকমলবাবুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো নয়। কী যে সব হয়েছিল জানি না, রামকমলবাবু গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে বসলেন!
খুব ঝঞ্ঝাট দেখা দিল। আত্মহত্যার মড়া— তাই ময়নাতদন্ত হল, তারপরে তাকে নিমতলা ঘাটে দাহ করতে যেতে হবে। আত্মহত্যার মড়া তাই কোনও ব্রাহ্মণ কাঁধ দিতে রাজি হলেন না। বিদ্যাসাগর মশায় তাঁর ভাই, কাকার ছেলে, মামার ছেলেদের জুটিয়ে জনা আষ্টেক মানুষকে নিয়ে শ্মশানে গিয়ে প্রিয় ছাত্রের শব-সৎকার করলেন। কোথায় ছেলে বাপের মুখাগ্নি করবেন, তা না হয়ে পিতৃতুল্য মানুষটা সন্তানের সৎকার করলেন। এসব বিদ্যাসাগর ছাড়া আর কে পরিত্রাণ করবেন।
আর একটা উটকো ঝঞ্ঝাটও দেখা দিল। সে সময়ে প্রতি বৃহস্পতিবার বিদ্যাসাগর মশায়কে ছোটলাট হেলিডে সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে যেতে হতো। সাহেবের কাছে যাওয়ার উপযুক্ত পোশাক তৈরি করিয়েছেন বাধ্য হয়ে— প্যান্ট, চাপকান, পাগড়ি, মোজা এবং শ্রীচরণে তালতলার চটির বদলে বুটজুতো। দু’-চারবার এই সঙ-সেজে যেতে যেতে তাঁর অস্বস্তির শেষ নেই। তাই একদিন সরাসরি সাহেবকে বলে বসলেন— সাহেব দোহাই তোমার, এই পোশাকে আমাকে আর আসতে বলো না, তাতে আমার চাকরি থাক বা না থাক। সব শুনে সাহেবের হাসি আর ধরে না। বললেন, ‘পণ্ডিত, তোমার যে পোশাক ভালো লাগে তাই পরে এসো।’ বিদ্যাসাগর হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। আবার গায়ে উঠল পিরান, পরনে ধুতি, পায়ে শুঁড়তোলা চটি। সবশেষে গায়ে উত্তরীয়। বিদ্যাসাগর প্যান্টুলুন পরেছেন— এমন ছবি কি দেখেছেন?
আসলে বিদ্যাসাগর মানেই বাঙালি— তার আভিজাত্যে, পোশাকে, কথাবার্তায়, রসালাপে, সংস্কারে এবং স্বাজাত্যবোধে। তিনি গাড়ি-চড়ার চেয়ে পায়ে হাঁটতে ভালোবাসেন, দেশি জুতো-চটিতেই তাঁর আনন্দ। হাঁটার কথা ওঠাতে মনে পড়ছে তাঁর নাতি, মেয়ের ছেলে সুরেশচন্দ্র সমাজপতির সাক্ষ্য। তখন বিদ্যাসাগর কর্মাটাঁড়ে। একদিন দাদু-নাতির হাঁটার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। সবাইকে পিছে ফেলে এঁরা দু’জন অনেকটা এগিয়ে। ‘কিয়দ্দূর যাইয়া দেখি, দাদা মহাশয় আমাকে পরিত্যাগ করিয়া চটি জুতা পায়ে চট্‌ চট্‌ ক঩রিতে করিতে অনেকদূর অগ্রসর হইয়া পড়িয়াছেন।’ বিদ্যাসাগর নাতিকে বললেন— ‘কি, আমাকে হারাবি না?’
একবার তাঁর বহুমূত্র রোগ হয়েছে। ডাক্তার বললেন, আপনাকে খুব হাঁটতে হবে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কতক্ষণ হাঁটতে হবে? ডাক্তার বললেন, যতক্ষণ হেঁটে আপনি ক্লান্ত না হন। বিদ্যাসাগরের উত্তর, আমি চব্বিশ ঘণ্টা হেঁটেও ক্লান্ত হই না। এহেন মানুষের সাঁতার কাটা নিয়ে অনেক গল্প। মধুসূদন বর্ধমানে এসেছেন বন্ধু বিদ্যাসাগরের সঙ্গে দেখা করতে। দু’জনে শ্যামসায়রের জলে উথালি-পাথালি সাঁতার দিচ্ছেন। আনন্দে মধুসূদন ‘Vid, Vid’ বলে চিৎকার করছেন।
কিন্তু তাঁর সাঁতার নিয়ে সে গল্পটা প্রায় সবারই জানা। তখন তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে পড়াতেন। তাঁর তৃতীয় ভাইয়ের বিয়ে, মা চিঠি দিয়েছেন— তোকে আসতেই হবে। সাহেবের কাছে ছুটি চাইলেন, সাহেব বললেন, হবে না। বিদ্যাসাগর বললেন, তবে রইল তোমার চাকরি। সাহেব এঁড়ে বাছুরের গোঁ জানতেন। তাই হেসে ছুটি দিলেন। মায়ের ডাকে তিনি প্রায় ছুটছেন, দামোদর নদের পাড়ে এসে দেখলেন, নদীতে বান ডেকেছে— একূল-ওকূল পারাপার নেই। মাতৃভক্ত বিদ্যাসাগর সেই ভয়াবহ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পার হলেন। তারপর হাঁটাপথে সন্ধে নাগাদ বাড়ি পৌঁছে মাকে প্রণাম করে বললেন, মা আমি এসেছি।
অবশ্য, মাতৃভক্ত বিদ্যাসাগরকে নিয়ে এই দামোদর সাঁতরানোর গল্পটি একটি কিংবদন্তি। এর কোনও বাস্তবতা নেই। এ কথা তাঁর ভাই শম্ভুচন্দ্র বিদ্যারত্ন নিজেই লিখে গিয়েছেন। বর্ষাকালে দামোদর সাঁতরে পার হওয়া অসম্ভব একটা ব্যাপার। নদ সে সময়ে ভয়ঙ্কর মূর্তি ধারণ করে। ‘ঐ নদের পশ্চিমে প্রায় চারি ক্রোশ পর্যন্ত মাঠ জলমগ্ন থাকে।’ একটা মানুষ সাঁতরে চারক্রোশ আট মাইল টানা পার হচ্ছেন— ভক্তি দেখাবার জন্যে এমন জমাটি গল্প আসরে চলেছে ভালো। আসলে বিদ্যাসাগর মশায় বাড়ি গিয়েছিলেন ঠিকই, সঙ্গে গিয়েছিলেন তাঁর ভৃত্য শ্রীরাম হাঁটাপথে। শ্রীরামের বাড়ি পাতুল গ্রামে যেখান থেকে দামোদর পার হয়ে পাঁচ ক্রোশ-দশ মাইল, ষোলো কিলোমিটার গেলে বীরসিংহা। শ্রীরাম সেদিন নিজের বাড়ি পাতুলে থেকে যান, বিদ্যাসাগর একাই হেঁটে বাড়ি যান। দামোদর পার হওয়ার জন্যে পাতুলে খেয়াতরী থাকত অথবা সাঁতরে পার হওয়া যেত। সাঁতার দেওয়া অসম্ভব ছিল না সেখানে।
(ক্রমশ)
15th  March, 2020
 অথৈ সাগর
পর্ব ১৭

 চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। বিশদ

22nd  March, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব ১৭

 বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- ষষ্ঠ কিস্তি। বিশদ

22nd  March, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- পঞ্চম কিস্তি। 
বিশদ

15th  March, 2020
আশীর্বাদ অনন্ত
তপনকুমার দাস

‘মা তুমি?’ দরজা খুলেই সামনে দাঁড়ানো পরমাকে দেখে চমকে ওঠে অভিজাত। প্রায় দেড় বছর পরে বাড়ির দরজায় দাঁড়ানো মাকে দেখলে অবাক না হয়ে উপায় কী?  বিশদ

15th  March, 2020
অথৈ সাগর
পর্ব- ১৫
বারিদবরণ ঘোষ

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

08th  March, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-১৫

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- চতুর্থ কিস্তি। 
বিশদ

08th  March, 2020
দোল
অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী

এই বাড়িটা তোমার? এত সুন্দর! পথে আসতে-আসতে এর কথাই তুমি বলছিলে আমায়? এই কথা বলে ফেলিনি ঘুরে ঘুরে বাড়িটি দেখতে থাকল।
আহামরি কিছু নয়। খুব সামান্য এক মাটির বাড়ি। ট্যারাবাঁকা। মাথায় টালিখোলা। এদিক-ওদিক ভাঙা-ফাটা। বাড়ির সামনে একটু ফাঁকা জমিন, সেখানে প্রাচীন এক কদমগাছ।   বিশদ

08th  March, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-১৪

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- তৃতীয় কিস্তি।  বিশদ

01st  March, 2020
অথৈ সাগর
পর্ব- ১৪
বারিদবরণ ঘোষ

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি।  বিশদ

01st  March, 2020
সংবর্ধনা
বিপুল মজুমদার

‘আমাদের ক্লাবের একটা নিয়ম আছে দাদা। প্রত্যেক বছর ক্লাবের বার্ষিক অনুষ্ঠানে দু’জনকে আমরা সংবর্ধিত করি। একজন আপনার মতো প্রথিতযশা কেউ, অন্যজন আমাদের এই সুজনপুরের কোনও কৃতী সন্তান। এ বছর উত্তম মণ্ডলকে আমরা বেছে নিয়েছি। ওই কোণের দিকে হলদে জামা পরা যে মানুষটিকে দেখছেন ওই হল উত্তম। 
বিশদ

01st  March, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-১৩

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- দ্বিতীয় কিস্তি। 
বিশদ

23rd  February, 2020
অথৈ সাগর
পর্ব- ১৩
বারিদবরণ ঘোষ

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

23rd  February, 2020
গায়ক চারা
সসীমকুমার বাড়ৈ

—স্যার, ও এসেছে।
—কে? মন্দার ফাইল থেকে মুখ তুলে জিজ্ঞেস করল।  বিশদ

23rd  February, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-১২ 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- প্রথম কিস্তি।
বিশদ

16th  February, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: বুধবার দিল্লি থেকে হরিরামপুরে ফিরলেন চারজন। তাঁরা প্রত্যেকেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর ব্লকের হাড়িপুকর এলাকার বাসিন্দা। ভিনরাজ্যে কাজের জন্য গিয়েছিলেন।   ...

সংবাদদাতা, কাঁথি: করোনা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে লকডাউন চলাকালীন ১০০ শতাংশ বকেয়া কৃষিঋণ আদায় করে নজির গড়ল কাঁথির দইসাই সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি। বকেয়া ১ কোটি টাকার বেশি কৃষিঋণ আদায় করেছে সমিতি। দেশজুড়ে লকডাউন চলায় সকলেই গৃহবন্দি।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এগিয়ে এল ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। এখনও পর্যন্ত তারা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ৮০ হাজার লিটার স্যানিটাইজার সরবরাহ করেছে।   ...

ওয়াশিংটন, ১ এপ্রিল (পিটিআই): করোনার ভয়ে কাঁপছে গোটা মার্কিন মুলুক। যার প্রভাব পড়তে চলেছে মার্কিন অর্থনীতি থেকে তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছর এইচ-১বি ভিসা বাতিল করার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে আবেদন করল মার্কিন তথ্য ও প্রযুক্তি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০২: ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের জন্ম
১৯৩৩: ক্রিকেটার রনজিৎ সিংজির মৃত্যু
১৯৬৯: অভিনেতা অজয় দেবগনের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৬৪ টাকা ৭৬.৩৬ টাকা
পাউন্ড ৭৬.৩৬ টাকা ৯৪.৮৪ টাকা
ইউরো ৮১.৭৩ টাকা ৮৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
01st  April, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১৮ চৈত্র ১৪২৬, ১ এপ্রিল ২০২০, বুধবার, (চৈত্র শুক্লপক্ষ) অষ্টমী ৫৫/১৯ রাত্রি ৩/৪১। আর্দ্রা ৩৪/৫০ রাত্রি ৭/২৯। সূ উ ৫/৩৩/১, অ ৫/৪৮/১১, অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৮ গতে ১১/১৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে ৪/২৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ১০/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৬ গতে ১০/৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪১ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩৬ গতে ৪/৪ মধ্যে।
১৮ চৈত্র ১৪২৬, ১ এপ্রিল ২০২০, বুধবার, অষ্টমী ৪১/১৫/৩৫ রাত্রি ১০/৪/৫৮। আর্দ্রা ২২/৩০/৫২ দিবা ২/৩৫/৫। সূ উ ৫/৩৪/৪৪, অ ৫/৪৮/৩১। অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে ও ৯/৩২ গতে ১১/১২ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১/৩২ গতে ৫/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৩৮/১১ গতে ১০/৯/৫৪ মধ্যে।
 ৭ শাবান

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯০২: ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের জন্ম১৯৩৩: ক্রিকেটার রনজিৎ সিংজির ...বিশদ

07:03:20 PM

বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়াল 

12:02:29 AM

বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াল 

09:45:51 PM

মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সোহিনীর এক লক্ষ 
করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর ...বিশদ

08:27:27 PM

দেশে করোনা আক্রান্ত ২৩৩১ জন, মৃত ৭৩: পিটিআই 

07:35:43 PM

রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ জন, নবান্নে জানালেন  মুখ্যসচিব
বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ করোনা মোকাবিলায় নবান্নে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের ...বিশদ

06:34:00 PM