কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে অবশ্য এই সমস্যা হবে না। কারণ, তারা সেই কাজ শেষ করে ফেলেছে। ৩ এপ্রিলের মধ্যেই শিক্ষকরা বেতন পেয়ে যাবেন বলে নোটিসও জারি করা হয়েছে। কলকাতা, যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতীর মতো বিশ্ববিদ্যালয় তা জানিয়েছে। তবে রবীন্দ্রভারতীর ক্ষেত্রে উপাচার্য সব্যসাচী বসুচৌধুরী বলেন, শিক্ষকরা নতুন হারে বেতন পাবেন। কিন্তু অবসরপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের তরফে পৃথক বিজ্ঞপ্তি না আসায় তারা পুরনো হারেই পেনশন পাবেন।
সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজের ক্ষেত্রে সমস্যা কোথা? বিকাশ ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধিত বেতন নিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। ১৬ মার্চ দপ্তর থেকে কলেজগুলিকে মেসেজ পাঠিয়ে শিক্ষকদের পে-ফিক্সেশন পাঠানোর কথা বলা হয়। কিন্তু কলেজগুলিকে যে ফরম্যাট পাঠানোর কথা ছিল, তা আসেনি দপ্তর থেকে। মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ মন্টুরাম সামন্ত বলেন, বিজ্ঞপ্তি জারি হলেই সব হয় না। আরও অনেক বিষয় থাকে। পে-ফিক্সেশন সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠানোর কথা ছিল। সাধারণত তার একটা ফরম্যাট পাঠানোর কথা দপ্তরের। তা পূরণ করে ফের দপ্তরে পাঠাতে হতো কলেজগুলিকে। তার উপর দাঁড়িয়েই সরকারের পে-প্যাকেট দেওয়ার কথা। কিন্তু ওইসব কিছুই আসেনি। তাই নতুন বেতন হারে বেতন দেওয়া যাচ্ছে না। আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণচন্দ্র মাইতির বক্তব্য, পুরনো ফরম্যাটেই শিক্ষকদের পে-ফিক্সেশন জমা দেওয়া হয়েছে। ফলে আগামী তিন মাস (এপ্রিল থেকে জুন) পুরনো হারেই টাকা পাবেন শিক্ষকরা। লকডাউন কেটে গেলে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নতুন ফরম্যাট পূরণ করে পাঠানো হবে।