কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
দার্জিলিংয়ের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ প্রলয় আচার্য বলেন, গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ওই মহিলার সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
রবিবার গভীর রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান করোনা আক্রান্ত সুনীতাদেবী সিং (৪৪)। কালিম্পংয়ে তাঁর বাড়ি। মেয়ের চিকিৎসা করিয়ে গত ১৯ মার্চ তিনি চেন্নাই থেকে বিমানে বাগডোগরায় এসেছিলেন। ওই মহিলার করোনা আক্রান্ত হন বলে পরবর্তীতে তাঁর সোয়াব পরীক্ষায় জানা যায়। নিয়ম অনুসারে করোনা সংক্রমণ রুখতে তাঁর কনট্র্যাক্ট ট্রেসিংয়ে নামে স্বাস্থ্যদপ্তর। তারা ওই মহিলার মৃত্যুর পর বিমানে আসা তাঁর সহযাত্রীদের চিহ্নিত করে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলা যে বিমানে এসেছিলেন, সেই বিমানের যাত্রীদের তালিকা সোমবার বাগডোগরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। তালিকায় নাম রয়েছে ২৭ জন যাত্রীর। যার মধ্যে দার্জিলিংয়ের বাসিন্দার সংখ্যা বেশি, ২৪ জন। চারজন শিলিগুড়ি শহর, তিনজন বাগডোগরা ও বাকি ১৭ জন দার্জিলিং পাহাড়ের বাসিন্দা। এরবাইরে কোচবিহার জেলার দু’জন ও জলপাইগুড়ি জেলার একজন বাসিন্দা রয়েছেন। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কনট্র্যাক্ট ট্রেসিং শাখা সেই তালিকা কালিম্পং, দার্জিলিং, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠায়। তালিকায় যাত্রীদের নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর রয়েছে। এরপর পুলিস ও প্রশাসনের সহযোগিতায় তাঁদের ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। তাদের মধ্যে একজনকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। তাঁর বাড়ি জেলার সাহেবগঞ্জ থানা এলাকায়। তাঁর সোয়াব পরীক্ষার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে আইবি’র উত্তরবঙ্গ অফিসে এই রিপোর্ট পাঠিয়েছে কোচবিহার জেলা পুলিসের গোয়েন্দা শাখা।
প্রসঙ্গত, ওই মহিলার সংস্পর্শে আসা প্রায় ১০০ জনকে চিহ্নিত করে কালিম্পং, দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। সেই তালিকায় কালিম্পংয়ের এক চিকিৎসক, ভক্তিনগরের একটি ডায়গনেস্টিক সেন্টারের কর্মী, মুদি দোকানদার, গাড়ি চালক, ওই মহিলার আত্মীয় ও প্রতিবেশী রয়েছেন। সবমিলিয়ে ওই মহিলার সংস্পর্শে আসা প্রায় ১২৮ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কালিম্পংয়ের এক পুলিস অফিসার বলেন, করোনায় মৃত মহিলার সংস্পর্শে আসা যে ক’জনের নামের তালিকা স্বাস্থ্য দপ্তর দিয়েছে, তাঁদের সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, এই মহামারী রুখতে তৎপর স্বাস্থ্য দপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতাতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় দু’টি করোনা হাসপাতাল চালু করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি শিলিগুড়ি মহকুমার মাটিগাড়ায় একটি নার্সিংহোম রয়েছে। সেখানে ১০০ বেডের ব্যবস্থা আছে। অপরটি হবে ফুলবাড়িতে। সংশ্লিষ্ট দু’টি এলাকাই জনবসতি থেকে কিছুটা দূরে। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, শীঘ্রই ওই দু’টি হাসপাতাল চালু করা হবে। আরও কিছু নার্সিংহোম অধিগ্রহণ করা হয়েছে। প্রয়োজনের ভিত্তিতে সেগুলিও চালু করা হবে।