কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি দেখছি অনেকে বাইরে আড্ডা দিচ্ছেন। হাটে বাজারে খুব ভিড় হচ্ছে। এতে নিজের, পরিবারের ও আশপাশের মানুষের বিপদ ডেকে আনছেন। আগামী দু’টি সপ্তাহ কোনভাবেই বাড়ি থেকে বেরবেন না। আগামী দুই সপ্তাহ লকডাউনকে সম্পূর্ণ সফল করতে হবে। বাজারে গিয়ে ভিড় জমানোর কোনও প্রয়োজন নেই। দরকার হলে বাড়িতেই সিদ্ধ ভাত খেয়ে থাকুন। আমি নিজেও সিদ্ধ ভাত খাচ্ছি। আড্ডা মারা, ক্যারাম খেলার অনেক সুযোগ জীবনে পাবেন।
এদিন কলকাতার দুই প্রখ্যাত চিকিৎসক ডাক্তার সুকুমার মুখোপাধ্যায় ও ডাক্তার অভিজিৎ চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। ডা: সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, করোনা মোকাবিলার একমাত্র পথ হলো কমপ্লিট লকডাউন। তা আমাদের সফল করতেই হবে। এখন ডাক্তারদের ভূমিকা কী হবে, তা বুঝিয়ে বলেন ডাক্তার অভিজিৎ চৌধুরী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭। তার মধ্যে তিনজন ভালো হয়ে গিয়েছেন, মারা গিয়েছেন তিনজন। কেউ কিডনির অসুখের কারণে, কেউ নিউমোনিয়ায়। ৩১ জনের মধ্যে ১৭ জনই হচ্ছেন চারটি পরিবারের সদস্য। এখনো গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি। সর্তকতা অবলম্বন না করলে ভবিষ্যৎ বড় বিপদের। রাজ্য সরকার সবরকম ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে। কেন্দ্র আমাদের কোনও সাহায্য করেনি। মাস্ক, গ্লাভস, কিটস আমাদের তৈরি করতে হচ্ছে বা কিনতে হচ্ছে। এই রোগটা এসছে হঠাৎ করে। মোকাবিলার জিনিস তো তৈরি পাওয়া যায় না। তবু রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১ লক্ষ ১১ হাজার ৩৯৪টি পিপিই কিট দেওয়া হয়েছে। ৪২ হাজার ২৯৬টি এন ৯৫ মাস্ক দেওয়া হয়েছে। ১ লক্ষ ৬০ হাজার মাস্ক, ১৮ হাজার ৩৬৩ লিটার স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে। ৩২০০ থার্মাল গান দেওয়া হয়েছে। চালকলগুলির জন্য কৃষি দপ্তর দশ হাজার মাস্ক দিয়েছে। পুলিসকেও অনেক মাস্ক দেওয়া হয়েছে।
লকডাউন চলার সময় রাজ্যে যাতে কেউ অভুক্ত না থাকেন, তার জন্য রেশনে বিনামূল্যে চাল, গম দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, রেশন দোকানে গিয়ে কেউ হুড়োহুড়ি করবেন না। তিনি বলেন, রাজ্যে রক্তের সঙ্কট কাটাতে কলকাতা এবং জেলায় জেলায় পুলিস রক্তদান করবে। এ দিনই তিনি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কলকাতা পুলিসের রক্তদান শিবিরে উপস্থিত হন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা রিলিফ ফান্ডে যারা লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছেন, তাঁদের যেমন ধন্যবাদ জানান, তেমনই পঞ্চাশ টাকা দিয়েছেন এমন কয়েকজনের নামও উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ৫ টাকা দিলেও আমরা গ্রহণ করব। রাতে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ ইউনিট করে রক্ত সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত মোট ১ হাজার ২৯০ ইউনিট রক্ত সংগৃহীত হয়েছে।