কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
তাঁদের মতে, এই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে হলে একমাত্র ঘরবন্দি থাকতে হবে। তবে আতঙ্ক ছড়াবেন না, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। জল, বাতাস বা খাবার থেকে এই ভাইরাসের সংক্রমণ হয় না, মানুষের শরীর থেকেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ হয়, তাই এক মিটার দূরত্ব বজায় রেখে চলুন। কাশি হলে মুখ ঢেকে কাশুন।
করোনা রুখতে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা ব্যাখ্যা করেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী। তিনি বলেন, সব জ্বর-সর্দি বা কাশি করোনা নয়। তবে করোনার উপসর্গ থাকলে ডাক্তার দেখান, তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা করুন। আমরা অনেক ফিভার ক্লিনিক খুলেছি, পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে।
তিনি আরও বলেন, যাঁরা বিদেশ থেকে এসেছেন, তাঁদের কাছে আমাদের বিশেষ অনুরোধ, আপনারা কোয়ারেন্টাইনে চলে যান। এরকম এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার সাতশ কুড়ি জন স্বাস্থ্য দপ্তরের নজরদারিতে রয়েছেন। যে ২৭ জন এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তার মধ্যে ১২ জনকে দেখা যাচ্ছে পরিবার থেকে হয়েছে। এখনও গোষ্ঠী সংক্রমণের খবর নেই। তবে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে, না হলে বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্ক করে দেন তিনি।
ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, এই রোগে শ্বাসনালী আক্রান্ত হয়, যা বয়স্কদের চিন্তার বিষয়। তাই সতর্কতা ও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ডাঃ সৌমিত্র ঘোষ বলেন, আনন্দের বিষয় হল, রাজ্যে আক্রান্ত ২৭ জনের মধ্যে তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গিয়েছেন। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, ৮০ শতাংশ রোগীর কিছু হয় না। ১৫ শতাংশ রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে হয়। প্রয়োজন হলে ভেন্টিলেটর বা আইসিসিইউ সাপোর্ট দিতে হয়। তিন থেকে চার শতাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ভালো অবস্থায় আছে, সতর্কতা অবলম্বন করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এর জন্য সকলকে গৃহবন্দি থাকা দরকার, সেই অনুরোধই সকলের কাছে করছি।