কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র করোনার জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের একটি সম্পূর্ণ পৃথক ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই ভবনটিকে চারপাশ দিয়ে ঘিরে অন্যান্য ভবনের থেকে বিচ্ছিন্নও করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে ওই ভবনে অন্তত ২৫০ শয্যার করোনা হাসপাতাল করা হতে পারে।
তবে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা চান, সম্পূর্ণ সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে করোনা হাসপাতাল অন্যত্র করতে। যাতে সংক্রমণের বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা না তৈরি হয়। জেলা প্রশাসনের এক পদাধিকারী বলেন, আমরা সুজাপুরের পাশাপাশি অন্যত্র এই করোনা হাসপাতাল করার বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা মোট ৩৭৪ জনকে জেলার বিভিন্ন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলির দায়িত্বে রয়েছে সদর মহকুমা শাসক সুরেশ রানো ও উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (২) ডাঃ অমিতাভ মণ্ডল। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অশোক মোদক বলেন, এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলিতে মোট ৬৮৬টি ঘরে ৫৬৭২টি শয্যা, ৩৫০টি শৌচালয়, ১৭৬টি স্নানাগার রয়েছে। সব ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎ রয়েছে।
হবিবপুরের বিডিও শুভজিৎ জানা বলেন, ব্লকের মডেল স্কুল, আইটিআই স্কুল সহ তিনটি সেন্টার আমরা চিহ্নিত করেছি। তার মধ্যে শ্রীরামপুরে পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে । বাইরে থেকে কেউ এলে তাঁদের ওই সেন্টারে রাখা হবে। চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কংগ্রেসের উৎপল তালুকদার বলেন, বাইরে থেকে আসা ব্যক্তিকে ব্যক্তিদের এক জায়গায় রাখার জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা চাঁচল সিদ্ধেশ্বরী ইনস্টিটিউশনে পরিকাঠামো তৈরি করছি। সেখানে প্রায় ২০০ জনকে রাখার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। যারা আসবে তাঁদের চিকিৎসা করিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। একটি সেন্টারে ৫০ থেকে ২০০ জনের রাখার বন্দোবস্ত করেছে প্রশাসন। করোনা সংক্রমণ এড়াতে প্রশাসনের পদক্ষেপ কেউ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে পুলিস প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে বলে জানা গিয়েছে।
পুরাতন মালদহের শরৎচন্দ্র মিনি মার্কেট আগেই সরিয়ে খোলা রাস্তায় নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু এদিন আবার ঘিঞ্জি বাজারেই ফের ভিড় হয়। পাশাপাশি রেশন দোকানগুলিতে ভিড় উপচে পড়ে। পুরাতন মালদহ শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে রেশন বিলি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। রতুয়া থানার ওসি কুণালকান্তি দাস বলেন, একটি রেশন দোকানে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছিল না। তাই পুলিস এসে ওই রেশন দোকানের ডিলারকে আটক করে। পরে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে।