কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডটি সরিয়ে তপসিখাতা আয়ূশ হাসপাতালে আনার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মতো জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর আয়ূশ হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ড চালুর জন্য দিনরাত কাজ করছে। জেলায় ইতিমধ্যেই ৪৭টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ড তপসিাখাতা আয়ূষ হাসপাতালে সরিয়ে আনা হচ্ছে। এখানে আইসোলেশনের জন্য ১০০টি শয্যার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেজন্য দিনরাত কাজ চলছে।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, ৩০ মার্চ পর্যন্ত জেলায় ১০ হাজার ৭৩৬ জন মানুষকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তারমধ্যে ১৪৩ জন বিদেশ থেকে এসেছে। বাকি ১০ হাজার ৫৯৩ জন ভিনরাজ্য থেকে আসা মানুষ। আর হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে ৬৫ জনকে। তার মধ্যে ২২ জনকে ইতিমধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।.আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে ছ’জনকে। তার মধ্যে পাঁচ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই তিন জনের রিপোর্ট এসেছে। স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, তিন জনের রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে।
এদিকে, কোচবিহারে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি করে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোচবিহার জেলায় এখনও পর্যন্ত ১২২টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু করা হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, জেলায় এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার মানুষকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তাদের দিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। কোচবিহার মেডিক্যাল হাসপাতালের আইসোলেশনে একজন ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ২০ জনকে রাখা হয়েছে। এদিকে, কোচবিহারে লকডাউনকে উপেক্ষা করে শহর, শহরতলি ও গ্রামাঞ্চলে এখনও কিছু মানুষ ইতস্তত ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে নানা মহলে অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যেই দিল্লির নিজামুদ্দিনের সভা থেকে ছ’জন জেলায় ফিরেছে বলে স্বাস্থ্যদপ্তর জানতে পেরেছে। এনিয়ে জেলায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে।
এদিকে জেলার গণসংগঠনগুলি এলাকার দুঃস্থদের চাল ডাল সব্জি দিয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে। বুধবার কোচবিহারের নিউ টাউন ইউনিট কোচবিহার হাসপাতাল ও মাতৃমায় ভর্তি রোগীর পরিজনদের হাতে দুপুরের খাবার তুলে দেয়।
করোনা মোকাবিলায় জলপাইগুড়ির বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গণে আস্ত করোনা হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ শুরু হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে এখবর জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলির দিকে দিনরাত নজর রেখে চলেছে। তবে এখনও প্রচুর মানুষ লকডাউন উপেক্ষা করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদিকে, করোনা মোকাবিলায় ময়নাগুড়ি থানার সাব ইন্সপেক্টর অমিয় বর্মন ৩০০০ টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন বলে বিডিও ফিন্টোশ শেরপা জানিয়েছেন।