Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

লকডাউনেই থামবে করোনার অশ্বমেধের ঘোড়া
সন্দীপন বিশ্বাস

এ এক অন্য পৃথিবী। এই পৃথিবী দেখার জন্য আমরা কেউই প্রস্তুত ছিলাম না। কিন্তু হঠাৎই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো অতি দ্রুত আমরা মুখোমুখি হলাম এই অন্য পৃথিবীর। যেখানে গাছের পাতা ঝরার মতোই ঝরে পড়ছে মানুষের প্রাণ। এখন কোথায় শিক্ষা, কোথায় ব্যবসা, কোথায় অর্থ সঞ্চয়, কোথায়ই বা চাকরি! জীবন যখন অচল পয়সার মতো হয়ে যায়, তখন জীবনে এসব মূল্যহীন হয়ে যায়। এই মুহূর্তে আমাদের জীবনের একটাই লক্ষ্য। আমাদের বাঁচতে হবে। করোনার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে হবে। তাই আমরা রয়েছি লকডাউনে। বাঁচার আকুতি নিয়েই বেছে নিয়েছি এই স্বেচ্ছাবন্দির জীবন। সময় আমাদের পৌঁছে দিচ্ছে অন্যতর এক জীবনদর্শনে। সেটা ভালো, না মন্দ তার জবাব দেবে আগামীকাল।
কিন্তু কেন এমন হল? কার দোষ? মানুষের কোন ভুলে আজ তার এই পরিণতি? মানুষ নিজেই তো এক শক্তিধর প্রাণী। বুদ্ধিবলে এবং বাহুবলে। অন্তত নিজেকে সে তাই ভাবে। এই গ্রহের অন্য প্রাণীদের সে পরোয়া করে না। প্রকৃতিকে কোনও মূল্যই দেয় না মানুষ। সে মনে করে তার হাতেই সবকিছু। এই পৃথিবীর নিয়ন্ত্রক সে। একটা বোতাম টিপে কোটি কোটি মানুষকে মেরে ফেলার ক্ষমতা তার আছে। সব কিছু নিমেষে ধ্বংস করে দেবার বলে সে বলীয়ান। কিন্তু মানুষ করোনা ভাইরাসকে মারতে পারছে না। অসহায়ের মতো প্রতিদিন আমরা তিল তিল করে তার কাছে আত্মসমর্পণ করছি। ৩৮ হাজার মানুষকে সে নির্মমভাবে শেষ করে দিয়েছে। আক্রান্ত প্রায় আট লক্ষ মানুষ। আরও অসংখ্য মানুষের ভবিষ্যৎ তার হাতে। তার আগ্রাসী আক্রমণের সামনে আমরা টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছি। বসন্তের বাতাস জুড়ে ছড়াচ্ছে মৃত্যুর গন্ধ। মৃত্যুর এক অদৃশ্য সারিতে কি আমরা সবাই দাঁড়িয়ে আছি? এমন বসন্ত আমরা তো চাইনি! না চাইলেও এটাই বাস্তব। এটাই আজ সত্য।
একটু ভেবে দেখলেই বোঝা যাবে, এই ‘বসন্ত’ আমরাই তৈরি করেছি। অহঙ্কারী মানুষ, স্বার্থোন্মত্ত মানুষ, শক্তি মদমত্ত মানুষ। সে মনে করে এই পৃথিবী তার একার। এই পৃথিবী সে নিজেই সাজাতে পারে, আবার ধ্বংসও করতে পারে। প্রকৃতি আবার কী? ফুঃ! মানুষ গাছ কাটছে নির্বিচারে! নদীর পথ ঘুরিয়ে দিচ্ছে, পাহাড় ভাঙছে নিজের স্বার্থে, ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে জীব বৈচিত্র্যের প্রাকৃতিক শৃঙ্খল। আমাদের সভ্যতা যত এগিয়েছে, ততই পিছনে ফেলে এসেছি আমরা ব্যভিচারের উচ্ছ্বিষ্ট চিহ্ন।
তারই মূল্য বুঝি আজ আমরা চুকিয়ে চলেছি। প্রকৃতি কি আজ তবে জেগে উঠল প্রতিশোধের বাসনায়? আমরা জানি না কাল কী হবে। কিন্তু আমরা যদি মনে করি, আর কিছুদিনের মধ্যেই করোনা দুর্বল হয়ে যাবে, সে পৃথিবী থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে চলে যাবে, তবে আমরা আবার মূর্খামি করব। এক মূর্খামির মূল্য আমরা দিচ্ছি, কিন্তু তার মূল্য চোকানোর পালা শেষ হয়নি। এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত একজন মানুষ ডক্টর অ্যান্থনি ফাচির কথা বলব। সংক্রমণ রোগের তিনি একজন বিশ্ববিখ্যাত মার্কিন চিকিৎসক। আমেরিকা যখন দেখল করোনা তার হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, তখন ট্রাম্প তড়িঘড়ি ৭৯ বছর বয়সের এই ডাক্তারকে ডেকে এনে বললেন, ‘আমাদের দেশকে রক্ষা করুন’।
আমরা জানি, প্রথম যখন আমেরিকায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এটাকে তেমন গুরুত্বই দেননি। বলেছিলেন, ওসব লকডাউনের দরকার নেই। রাজার সেই ভুলের মাশুল আজ গুনতে হচ্ছে। দেখতে দেখতে মৃত্যুসংখ্যা সেখানে তিন হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষের বেশি। কোথায় গিয়ে থামবে করোনার এই অশ্বমেধের ঘোড়া? একমাত্র শক্তি আছে লকডাউনের। বিচ্ছিন্নতাই আজ মানবজাতির প্রকৃত ভবিষ্যৎ।
ট্রাম্পের কথা শোনার পর খুবই অসহায় দেখাচ্ছিল ডাক্তার ফাচির চোখ দুটো। শুধু বিড় বিড় করে তিনি বলেছিলেন, ‘খুব দেরি হয়ে গিয়েছে। খুব দেরি হয়ে গিয়েছে।’ তিনি অনেক কষ্ট চেপে যে ছবিটা তাঁর অভিজ্ঞতা দিয়ে দেখতে পাচ্ছিলেন, সেটাকে ব্যক্ত করলেন। বললেন, ‘এই ভয়ঙ্কর ভাইরাসে আমেরিকার দেড় থেকে দু’ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।’ কথাটা কয়েকদিন আগেই তিনি ট্রাম্পকে জানিয়ে দিয়েছেন। সেদিন হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে বসেছিল জরুরি সভা। সেখানেই ফাচি একথা ট্রাম্পকে জানিয়ে দেন। প্রথমে ট্রাম্প ভেবেছিলেন বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা আর নেওয়ার দরকার নেই। কিন্তু ফাচি তাঁকে বলেছেন, আমেরিকা এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসের এপিসেন্টার। আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। আর মানুষে মানুষে দূরত্ব বাড়াতেই হবে। দূরত্ব তৈরি করেই এই কীটকে মারতে হবে। শুনে ট্রাম্পের মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছিল। তিনি কি নিজেকে অপরাধী ভাবছেন? একেবারে গোড়ায় সক্রিয় না হওয়াটাই কি কাল হল? দেরিতে হলেও আমেরিকা বুঝেছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে না পারলে, দেশটা একেবারে খালি হয়ে যাবে।
পশ্চিমী দেশগুলির এই উন্নাসিক মানসিকতা, এই আমল না দেওয়াটা আমাদের কাছে একটা বিরাট শিক্ষা হতে পারে। বিশ্বের তাবড় ধনী দেশগুলি করোনার কাছে পদানত প্রায়। আমেরিকা, ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন। পশ্চিমী দুনিয়া তার অর্থভাণ্ডার উজাড় করেও একে প্রতিহত করতে পারছে না। সুতরাং অর্থ দিয়ে এই মুহূর্তে এই কীটকে মারা যাবে না। এটা প্রমাণিত। একমাত্র লকডাউন দিয়ে আমরা মারব করোনা কীটকে। আমরা ওদের মতো ভুল করিনি। আমরা ঠিক সময়ে ঠিক পদক্ষেপ নিয়ে এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছি। কেননা, আমরা জানি, এছাড়া আর কোনও উপায় নেই। যদিও আমাদের মতো দরিদ্র, কম শিক্ষিত দেশে এটা খুবই কঠিন। যে দেশে মানুষ একদিন রোজগার না করলে তাকে না খেতে পেয়ে থাকতে হয়, সে দেশে এটা মানা সত্যিই কষ্টকর। তবু আমাদের মানতেই হবে। বুঝতে হবে, মৃত্যুকে এড়াতে গেলে ঘরে থাকতেই হবে। একমাত্র এটাই পথ।
আমাদের রাজ্য সরকারও মানুষকে বুক দিয়ে বাঁচাতে নেমে এসেছে পথে। প্রতিটি মুহূর্তে মানুষের কাছে সরকার পৌঁছে যাচ্ছে। বুঝিয়ে দিচ্ছে সরকার আছে মানুষের পাশেই। রাজ্য সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপে ফুটে উঠছে গভীর মমতা। হতেই হবে। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই যেন মমতার এক প্রতিমূর্তি। বিশেষ করে যে কোনও সময়ে যে কোনও বিপন্ন মানুষের তিনি যেন ছায়াসঙ্গী হয়ে ওঠেন। আজ এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী যেন মা দুর্গা। দশ হাতে তিনি সামলাচ্ছেন দশদিক। ফেসবুক, সোশ্যাল সাইট ঘিরে দেখতে পাচ্ছি, মানুষ তাঁর প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল। এই বন্দনা গান সাধারণ মানুষেরই। সেই সারিতে বিরুদ্ধরাও রয়েছেন। যদিও এখন রাজনীতির সময় নয়, তবুও কেউ কেউ রাজনীতি করে যাচ্ছেন। কেননা ভয় পেয়েছেন তাঁরা। করোনার ভয় নয়, সে ভয় রাজনীতির অঙ্কের ভয়। এখন বসে বসে কেউ কেউ ভোটের পাটিগণিত কষছেন। ভাবছেন এই রে, যেভাবে রাজ্যবাসীর মনে মমতা সম্পর্কে নতুন আবেগ তৈরি হচ্ছে, সেটা যদি আগামীদিনে সবটাই তাঁর ভোটবাক্সে যায়? সেইসব ছিদ্রন্বেষী নেতারা থাকবেন। আমরা দেখেছি কোনও কোনও নেতা করোনা রুখতে গোমূত্র পান করিয়ে যেমন কিছু মানুষের ক্ষতি করেছেন, তেমনি নিজেদের অশিক্ষিত মানসিকতা প্রকাশ করে মানুষের হাসির খোরাক হয়েছিলেন। এই বিপন্ন সময়ে তাঁদের কাছে অনুরোধ, এখন মুখে কুলুপ এঁটে ঘরে বসে থাকুন।
এতদিন আমরা তো ধর্মের পিছনে অনেক ছুটলাম, কী হল? ইতিহাস বলছে, ধর্ম বহু ক্ষেত্রে হিংসার পথকেই প্রসারিত করেছে। আজ দেখুন এই দুঃসময়ে দেশের সব ‘জাগ্রত দেবতার’ মন্দির বন্ধ। বন্ধ অন্য ধর্মস্থানগুলি। ভগবান নিদ্রা গিয়েছেন, করোনা সইতে পারেন না। এই পরিপ্রেক্ষিতে একটি কথা মাথায় এল। সেটি হল, এই যে দেশজুড়ে বিভিন্ন মন্দিরে শত শত কোটি টাকার সম্পত্তি, তহবিল— সেগুলি কি মানুষের কাজে লাগানো যায় না? এইসব মন্দিরের সম্পত্তি তো মানুষের দানেই গড়ে উঠেছে। তাই আজ মানুষের দুঃসময়ে ভগবান এগিয়ে এসে সেই সম্পত্তি মানুষের সেবায় দান করুন। কিংবা যেসব ধর্মগুরু বিশাল সম্পত্তির মালিক, তাঁর সম্পত্তি নিয়ে মানুষের সেবায় লাগানো হোক। এসব সম্পত্তি বহুক্ষেত্রেই অন্যায়ভাবে তৈরি হয়েছে। গত কয়েক বছরে গুরুজিদের ইতিহাস ঘাঁটলেই তা বোঝা যাবে।
আমাদের এখন উৎসবের সময় বাসন্তী পুজো, অন্নপূর্ণা পুজো, রামনবমী, নীল পুজো, গাজন। এসবকে আমরা এখন দূরে সরিয়ে রেখে করোনাকে আটকানোর চেষ্টা করছি। এটাই ঠিক কাজ। উৎসব আবার আসবে। আবার আমরা সবাই মেতে উঠব মিলনের উৎসবে। তার আগে কঠিন পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় আমাদের পাশ করতেই হবে। কেন্দ্র ও রাজ্য যেভাবে চেষ্টা করছে, তার সঙ্গে সহযোগিতা করাই এই মুহূর্তে সব থেকে বুদ্ধিমানের কাজ। আমরা যদি সহযোগিতা না করি, তবে সাফল্য কিন্তু আসবে না। সব শ্রম পণ্ড হবে। নিজেদের প্রশ্ন করুন, আমরা কি আর একটা ইতালি, কিংবা আমেরিকা বা ফ্রান্স চাই? যদি না চাই, তবে আমাদের ঘরের জীবনকেই মেনে নিতে হবে।
নাহলে মনুর বা নোয়ার নৌকার গল্পটাই সত্যি হয়ে উঠবে। পৃথিবীর প্রলয়কালে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রজাতিকে বাঁচাতে মানুষ নৌকায় ভেসে পড়েছিল অনির্দেশ্য পথে। পুরাণ ও বাইবেলের এই কল্পকাহিনি যেন বাস্তব না হয়ে ওঠে।
01st  April, 2020
তাল কেটে দিল দিল্লি একাই
হারাধন চৌধুরী

একটি মাত্র শব্দ। করোনা। সারা পৃথিবীর শিরোনাম দখল করেছে। খবরের কাগজের প্রথম পাতা। বিনোদনের পাতা। খেলার পাতা। টেলিভিশনের নিউজ চ্যানেল। সব রকম সোশ্যাল মিডিয়া। এমনকী সরকারি, বেসরকারি বিজ্ঞাপনগুলিও আজ করোনাময়! সকাল থেকে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত আমাদের কুশলাদি বিনিময়ের বিস্তৃত সংস্কৃতিতেও করোনা ভাগ বসিয়েছে পুরোমাত্রায়।  বিশদ

ঘরে থাকতে অক্ষম যে ভারত
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 রণবীর সিং। বয়স ৩৮ বছর। ডেলিভারি এজেন্টের কাজ করতেন দিল্লিতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার পর হাঁটতে শুরু করেছিলেন তিনি। জাতীয় সড়ক ধরে। যেভাবে হোক গ্রামে পৌঁছতে হবে। গ্রাম মানে মধ্যপ্রদেশের কোথাও একটা... দিল্লি থেকে বহুদূর।
বিশদ

31st  March, 2020
ভীরু এবং আধখেঁচড়া
ব্যবস্থা, তবু স্বাগত
পি চিদম্বরম

গত ১৯ মার্চ, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন যে ২২ মার্চ, রবিবার দেশজুড়ে ‘জনতা কার্ফু’ পালন করা হবে। আমি ভেবেছিলাম প্রধানমন্ত্রী জল মাপছেন, জনতা কার্ফুর শেষে তিনি নানা ধরনের লকডাউন ঘোষণা করবেন। কিন্তু রবিবার কোনও ঘোষণা শোনা গেল না। বিশদ

30th  March, 2020
 করোনা যুদ্ধের অক্লান্ত সৈনিক ডাক্তারবাবুরা,
দোহাই ওদের গায়ে আর কেউ হাত তুলবেন না
হিমাংশু সিংহ

পৃথিবীব্যাপী এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধ চলছে। অদৃশ্য জৈবযুদ্ধ। এলওসিতে দাঁড়িয়ে মেশিনগান হাতে কোনও সেনা নয়, রাফাল নিয়ে শত্রু ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও নয়। হাসপাতালের আইসিইউতে নিরস্ত্র ডাক্তারবাবুরা বুক চিতিয়ে এই নির্ণায়ক যুদ্ধ লড়ছেন রাতের পর রাত ক্লান্তিহীন। বিশদ

29th  March, 2020
এ লড়াই বাঁচার লড়াই,
এ লড়াই জিততে হবে
তন্ময় মল্লিক

 এখন দোষারোপের সময় নয়। এখন আঙুল তোলার সময় নয়। এখন সমালোচনার সময় নয়। এখন লড়াইয়ের সময়। এ এক কঠিন লড়াই। এ লড়াই বাঁচার লড়াই। এ লড়াই জিততে হবে।
বিশদ

28th  March, 2020
মিসাইল বানানোর চেয়ে ডাক্তার
তৈরি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ
মৃণালকান্তি দাস

লিউয়েনহুক যখন সাড়ে তিনশো বছর আগে আতশ কাঁচের নীচে কিলবিল করা প্রাণগুলোকে দেখতে পেয়েছিলেন, তখনও তিনি জানতেন না যে তিনি এক নতুন দুনিয়ার সন্ধান পেয়ে গিয়েছেন। তিনিই প্রথম আণুবীক্ষণিক প্রাণের দুনিয়াকে মানুষের সামনে উন্মোচিত করেন। ওই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রাণগুলোর নাম দেন ‘অ্যানিম্যালকুলস’। বিশদ

27th  March, 2020
করোনা ছুটছে গণিতের অঙ্ক মেনে,
থামাতে হবে ‘হাতুড়ি’র ঘা দিয়েই
ডাঃ সৌমিত্র ঘোষ

 জানেন কি, গণিতের নিয়ম মেনেই ভারত সহ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে নোভেল করোনা ভাইরাস? একজন আক্রান্ত থেকে গুণিতক হারে অন্যদের মধ্যে ছড়াচ্ছে এই মারণ ভাইরাস! আর অসতর্কতার কারণে মাত্র এক-দু’সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা এক ঝটকায় অনেকটা বাড়ছে। ঠিক যেমন হয়েছে চীন, ইতালি, স্পেনের মতো দেশগুলিতে।
বিশদ

27th  March, 2020
পাহাড়প্রমাণ চ্যালেঞ্জ, অস্ত্র নাগরিক সচেতনতা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ডাঃ সুশীলা কাটারিয়া। জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাঁদের জন্য পাঁচটা মিনিট সময় বের করার আর্জি জানিয়েছিলেন, ডাঃ কাটারিয়া তাঁদেরই মধ্যে একজন। গুরুগ্রামে একটি হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিনের ডিরেক্টর তিনি। বয়স ৪২ বছর। গত ৪ মার্চ যখন তাঁকে বলা হয়েছিল, আপনার দায়িত্বে ১৪ জন ইতালীয় পর্যটককে ভর্তি করা হচ্ছে, তখনও তিনি রোগের নাড়িনক্ষত্র ভালোভাবে জানেন না। 
বিশদ

24th  March, 2020
মন্বন্তরে মরিনি আমরা, মারী নিয়ে ঘর করি
 সন্দীপন বিশ্বাস

পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন। আর এই ‘অসুখ’ থেকে বারবার মানুষ লড়াই করে ফিরে এসেছে। প্রতিবার অস্তিত্বের সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে একযোগে লড়াই করে মানুষ এগিয়ে গিয়েছে উত্তরণের পথে। প্রকৃতির কোনও মারণ আক্রমণেই সে পিছিয়ে পড়েনি। তাই মানুষ বারবার ঋণী মানুষেরই কাছে।  
বিশদ

23rd  March, 2020
কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াই এবং তারপর
পি চিদম্বরম

আপনি এই লেখা যখন পড়ছেন, ততক্ষণে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় ভারত এগতে পারল না কি পিছনে পড়ে গেল। সরকার ব্যস্ত ভিডিও কনফারেন্সে, আক্রান্ত দেশগুলি থেকে ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং করোনা থেকে বাঁচার জন্য নির্দেশিকা (হাত জীবাণুমুক্ত করা, নাক-মুখ ঢেকে রাখা এবং মাস্ক পরা) জারিতে।  
বিশদ

23rd  March, 2020
ভয় পাবেন না, গুজব ছড়াবেন না, জনতা কার্ফুতে ঘরে থাকুন, বিশ্বযুদ্ধে ভাইরাস পরাজিত হবেই
হিমাংশু সিংহ

 এক মারণ ভাইরাসের ভয়ঙ্কর সংক্রমণের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী মহাযুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধের একদিকে করোনা আর অন্যদিকে গোটা মানবজাতির অস্তিত্ব। প্রবীণ মানুষরা বহু স্মৃতি ঘেঁটেও এমন নজির মনে করতে পারছেন না যেখানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া একটা রোগ ঘিরে এমন ত্রাস, আতঙ্ক দানা বেঁধেছে মানুষের মনে।
বিশদ

22nd  March, 2020
লড়াই
তন্ময় মল্লিক

 করোনা ভাইরাস। এই দু’টি শব্দই গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। করোনা আতঙ্কে থরহরি কম্প গোটা পৃথিবী। চীন, জার্মানি, ইতালি, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স সহ বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলিকে ক্ষতবিক্ষত করে করোনা এবার থাবা বসাতে শুরু করেছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে।
বিশদ

21st  March, 2020
একনজরে
বিশ্বজিৎ দাস, কলকাতা: বড় বড় হাসপাতালগুলিকে করোনা যুদ্ধে শামিল হওয়ার আহ্বান করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী এবার কলকাতার বড় বেসরকারি হাসপাতালগুলির তালিকা প্রস্তুত করছে রাজ্য।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এগিয়ে এল ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। এখনও পর্যন্ত তারা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ৮০ হাজার লিটার স্যানিটাইজার সরবরাহ করেছে।   ...

লন্ডন, ১ এপ্রিল: কোভিড-১৯ থমকে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে খেলার দুনিয়াও। গৃহবন্দি দশায় হাঁপিয়ে উঠেছেন খেলোয়াড়রা। আর তার থেকে খানিক মুক্তি পেতে অভিনব ...

সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: বুধবার দিল্লি থেকে হরিরামপুরে ফিরলেন চারজন। তাঁরা প্রত্যেকেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর ব্লকের হাড়িপুকর এলাকার বাসিন্দা। ভিনরাজ্যে কাজের জন্য গিয়েছিলেন।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০২: ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের জন্ম
১৯৩৩: ক্রিকেটার রনজিৎ সিংজির মৃত্যু
১৯৬৯: অভিনেতা অজয় দেবগনের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৬৪ টাকা ৭৬.৩৬ টাকা
পাউন্ড ৭৬.৩৬ টাকা ৯৪.৮৪ টাকা
ইউরো ৮১.৭৩ টাকা ৮৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
01st  April, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১৮ চৈত্র ১৪২৬, ১ এপ্রিল ২০২০, বুধবার, (চৈত্র শুক্লপক্ষ) অষ্টমী ৫৫/১৯ রাত্রি ৩/৪১। আর্দ্রা ৩৪/৫০ রাত্রি ৭/২৯। সূ উ ৫/৩৩/১, অ ৫/৪৮/১১, অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৮ গতে ১১/১৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে ৪/২৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ১০/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৬ গতে ১০/৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪১ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩৬ গতে ৪/৪ মধ্যে।
১৮ চৈত্র ১৪২৬, ১ এপ্রিল ২০২০, বুধবার, অষ্টমী ৪১/১৫/৩৫ রাত্রি ১০/৪/৫৮। আর্দ্রা ২২/৩০/৫২ দিবা ২/৩৫/৫। সূ উ ৫/৩৪/৪৪, অ ৫/৪৮/৩১। অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে ও ৯/৩২ গতে ১১/১২ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১/৩২ গতে ৫/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৩৮/১১ গতে ১০/৯/৫৪ মধ্যে।
 ৭ শাবান

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯০২: ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের জন্ম১৯৩৩: ক্রিকেটার রনজিৎ সিংজির ...বিশদ

07:03:20 PM

বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়াল 

12:02:29 AM

বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াল 

09:45:51 PM

মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সোহিনীর এক লক্ষ 
করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর ...বিশদ

08:27:27 PM

দেশে করোনা আক্রান্ত ২৩৩১ জন, মৃত ৭৩: পিটিআই 

07:35:43 PM

রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ জন, নবান্নে জানালেন  মুখ্যসচিব
বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ করোনা মোকাবিলায় নবান্নে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের ...বিশদ

06:34:00 PM