Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পাহাড়প্রমাণ চ্যালেঞ্জ, অস্ত্র নাগরিক সচেতনতা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ডাঃ সুশীলা কাটারিয়া। জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাঁদের জন্য পাঁচটা মিনিট সময় বের করার আর্জি জানিয়েছিলেন, ডাঃ কাটারিয়া তাঁদেরই মধ্যে একজন। গুরুগ্রামে একটি হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিনের ডিরেক্টর তিনি। বয়স ৪২ বছর। গত ৪ মার্চ যখন তাঁকে বলা হয়েছিল, আপনার দায়িত্বে ১৪ জন ইতালীয় পর্যটককে ভর্তি করা হচ্ছে, তখনও তিনি রোগের নাড়িনক্ষত্র ভালোভাবে জানেন না। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড কীভাবে হয়... এই রোগের অভিঘাতই বা কতটা... জানা নেই তাও! শুধু ডাঃ কাটারিয়া নন, হাসপাতালের কারওরই বিষয়টা নিয়ে অভিজ্ঞতা ছিল না। তাও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে যাবতীয় ব্যবস্থা করেছিল তাঁর টিম। সন্ধ্যা ছ’টায় এসে পৌঁছেছিলেন সেই ইতালীয়রা। প্রত্যেকের বয়স ৬৫ বছরের বেশি। মাত্র দু’জন ইংরেজি বলতে পারেন। তাও ভাঙা ভাঙা। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার অবশ্য কোনও ভাষা হয় না। যে শব্দটা সবার আগে তাঁরা ভারতীয় চিকিৎসকদের বোঝাতে পেরেছিলেন, সেটি হল ‘ছোঁয়াচ’। কানেক্টিভিটি। সেই থেকে লড়াই চলছে ডাঃ কাটারিয়ার। বাড়িতে ১৬ বছরের ছেলে, আর ১৪ বছরের মেয়ে। দু’জনেরই ঘর সেদিন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। গত ১৭ দিন একবারের জন্যও সেই দুই ঘরের দরজায় হাত দেননি ডাঃ কাটারিয়া। একসঙ্গে খাওয়াও বন্ধ। জানেন... এক মুহূর্তের ভুল তাঁর দুই সন্তানকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে। তাই দরকার সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। দরকার হলে সবচেয়ে প্রিয় মানুষটার সঙ্গেও। করোনা ভাইরাস ঠেকানোর এটাই একমাত্র উপায়। নিমন্ত্রণ করে ঘরে ডেকে না আনলে এই ভাইরাস আসতেও চায় না। প্রধানমন্ত্রী সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন ভারতবাসীকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাই বলে এসেছেন... গত বেশ কয়েকদিন ধরে। খুব দরকার না হলে বাড়ি থেকে দয়া করে বেরবেন না। নিছক একটা আবেদন... প্রত্যেক ভারতবাসী যা দিতেই পারেন। এর জন্য আলাদা করে টাকা খরচ হবে না। কিন্তু দেশের মানুষ কি এই আর্জিতে সাড়া দেবেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই একটা ট্রায়াল দিতে চেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। জনতা কার্ফু। জবাব তিনি পেয়েও গিয়েছেন। পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত।
শুনশান রাস্তাঘাট, ট্রেন নেই, বাস কার্যত বন্ধ, অটোরিকশর দেখা নেই... গত রবিবারের দিনটা বাম জমানার বন্‌঩ধের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। তবে কর্মনাশা নয়, এই ‘কার্ফু’ বেঁচে থাকার তাগিদে। একে অপরের স্বার্থে। ভারত যে এই সংক্রমণের স্টেজ-২তে রয়েছে! এর পরের স্তর হল কমিউনিটি ট্রান্সমিশন। মানে, আমার থেকে আমার বন্ধু, আপনার থেকে আপনার সহকর্মীর মধ্যে ছড়িয়ে যাওয়া। আমার আপনার বাড়িতে যিনি পরিষেবা দেন, ভাইরাস যেতে পারে তাঁর শরীরেও। যা বালিগঞ্জ, অর্থাৎ পণ্ডিতিয়া রোডের সেই যুবকের বাড়িতে হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ দমদমের সেই প্রৌঢ়ের। ট্রেনযাত্রা যাঁর শরীরে ঢুকিয়ে দিয়েছিল মারণ ভাইরাস।
এখন লকডাউন না হলে বাসে কোনও আক্রান্ত সহযাত্রীর একটি হাঁচিতে এই অবস্থায় আক্রান্ত হতে পারতেন আরও দশ জন। আর লোকাল ট্রেন হলে সংখ্যাটা শতাধিক। আমরা সচেতন না হলে ১৩০ কোটির দেশে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লক্ষে পৌঁছতে কিন্তু মাত্র কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে। আর তাই লকডাউন আবশ্যক। মাত্র ১৪ ঘণ্টার ‘জনতা কার্ফু’ কখনওই এর প্রতিষেধক নয়। হতে পারে না। সাম্প্রতিক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি তথ্য বলছে, করোনা ভাইরাস বাতাসেও ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। এমনকী, প্লাস্টিক, স্টিল, গ্লাভস... সর্বত্র এ ওঁত পেতে বসে থাকবে। সুযোগের অপেক্ষায়। গুণোত্তর প্রগতির এই চেন ভাঙারই চ্যালেঞ্জ আজ দেশবাসীর কাছে। আপামর দেশবাসীর আজ একটাই প্রার্থনা হওয়া উচিত... ইতালি যে ভুল করেছে, তা আমরা করব না। নিজেদের স্বার্থে। সোমবার থেকে ট্রেন, মেট্রোরেল বন্ধ। দেশজুড়ে ৭৫টি জেলায় শাটডাউন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার শুক্রবার পর্যন্ত লকডাউনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার বলছে ৩১ মার্চের কথা। এখন প্রশ্ন হল, ৩১ তারিখ কেন? কোন সমীক্ষা বা গবেষণা বলছে, এই ন’দিনে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে? উত্তর জানা নেই। সবটাই আন্দাজে ঢিল ছোঁড়ার মতো। আশার উপর ভর করে মরিয়া চেষ্টা। অর্থবর্ষের অন্তিম লগ্নে এসেও।
ভারি সতর্কভাবে পা ফেলতে হচ্ছে সরকারকে। তা সে কেন্দ্র হোক বা রাজ্য। ‘ইয়ার এন্ডিং’ ভারতের অর্থনীতির ক্ষেত্রে এক বিষম বস্তু। ছোট ব্যবসার ক্ষেত্রে এই সময়টা যদি হাজারের গুণিতকে প্রভাব ফেলে, বড় সংস্থায় সেটাই পৌঁছে যায় কয়েক কোটিতে। রিলায়েন্স বা টাটার মতো সংস্থায় কয়েকশো কোটি টাকার লেনদেন হয় অর্থবর্ষের শেষে। এমনই এক মহীরূহ সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। স্পষ্ট বললেন, ‘গোটা দেশে এই মুহূর্তে ৫০টার মতো প্রজেক্টে আমার টিম কাজ করছে। আর পেমেন্ট বাকি সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ। যা আমাকে ১ এপ্রিলের আগে তুলতেই হবে। কিন্তু যাকেই ফোন করছি, সে বলছে এখন হবে না। কেউ বলছে, আমাদের এখন ওয়ার্ক ফ্রম হোম চলছে... কী করে দেব! আর একজন বলছে, সব তো লকডাউন! লোক কোথায়? ব্যবসা কোথায়? এর উত্তর কী দেব আমি? আবার যার পেমেন্ট করার মতো ব্যবস্থা আছে, সে বলছে তুমি কাজ তুলতে পারছ না... টাকা দেব না। আমাকে সেটাও হজম করতে হচ্ছে। তাঁর যুক্তিও তো ফেলে দেওয়ার মতো নয়! যেখানে কাজ চলছিল, লকডাউনের জন্য সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ট্রেন বন্ধ। বাস নেই। যে লোকগুলো পেয়িং গেস্ট বা মেসে থেকে কাজ করছিল, তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে। বলছে, নিজের রাজ্যে চলে যাও। সেটাও তারা করতে পারছে না। তাই হেড অফিসের নীচে এসে বসে আছে। এ তো আর একটা মাথাব্যথা! একবার এক মন্ত্রী ট্যুইট করলেন, সব বন্ধ। তারপর আবার জানালেন অত্যবশ্যকীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবায় ছাড় আছে। এসেনশিয়াল না হয় বুঝলাম। কিন্তু কোন পরিষেবা গুরুত্বপূর্ণ, আর কোনটা নয়... সেটা কে ঠিক করবে? তার কোনও ব্যাখ্যা কিন্তু নেই। লকডাউন করতেই হবে। জানি। তবে দেশ বাঁচবে। কিন্তু আমাদের জন্যও তো সরকারকে কিছু ভাবতে হবে? কোম্পানিগুলোর জন্য... আমাদের মতো করদাতাদের জন্য। আমরাও কিন্তু এই দেশেরই নাগরিক। ২ এপ্রিল যদি চাকরি না থাকে, খাব কী? কিছু কি ভাবছে সরকার?’
এর উত্তর সোমবার বিকেল পর্যন্ত মেলেনি। শোনা গিয়েছে, কিছু একটা প্যাকেজ নাকি কেন্দ্র ঘোষণা করতে চলেছে। কিন্তু অর্থবর্ষ? বছরের যাবতীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গুটিয়ে ফেলার শেষ তারিখ ৩১ মার্চ। সরকার তো একবারও বলছে না যে, ১৫ এপ্রিল, বা ৫ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হল! কিংবা এই সময়ে কোম্পানিগুলি যে বিপুল আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, সমস্যা কেটে গেলে সেদিকে আমরা নজর দেব?
থাক, ব্যবসাপত্র না হয় ছেড়েই দিলাম। দেশজুড়ে যে মানুষগুলো করোনা মোকাবিলায় সরাসরি দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন... সেই ডাক্তার, নার্স, সাফাইকর্মী, পুলিসকর্মী, সেনা, আধাসেনাদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কি আলাদা করে কিছু ভেবেছেন? পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ‘সৈনিক’দের জন্য আলাদা ৫ লক্ষ টাকার বিমা ঘোষণা করেছেন। ভাবনাটাকে এই স্তরে নিয়ে যেতে হবে। শুধু মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে বাণীবর্ষণ করলেই হবে না। যথাযথ পদক্ষেপ আজ সবচেয়ে জরুরি। এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনে থেকে দাঁড়িয়ে যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁদের জন্য... আক্রান্তদের জন্য। আর হ্যাঁ, আর যাঁরা বাড়ির বাইরে না বেরিয়ে নিঃশব্দে এই মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন, ভাবতে হবে তাঁদের কথাও। চ্যালেঞ্জ প্রচুর। অস্ত্র একটাই... মানুষ। নাগরিক সচেতনতা।
আজ কিন্তু ‘ঘুসপেটিয়ো’ বাছাইয়ের সময় নয়! 
24th  March, 2020
তাল কেটে দিল দিল্লি একাই
হারাধন চৌধুরী

একটি মাত্র শব্দ। করোনা। সারা পৃথিবীর শিরোনাম দখল করেছে। খবরের কাগজের প্রথম পাতা। বিনোদনের পাতা। খেলার পাতা। টেলিভিশনের নিউজ চ্যানেল। সব রকম সোশ্যাল মিডিয়া। এমনকী সরকারি, বেসরকারি বিজ্ঞাপনগুলিও আজ করোনাময়! সকাল থেকে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত আমাদের কুশলাদি বিনিময়ের বিস্তৃত সংস্কৃতিতেও করোনা ভাগ বসিয়েছে পুরোমাত্রায়।  বিশদ

লকডাউনেই থামবে করোনার অশ্বমেধের ঘোড়া
সন্দীপন বিশ্বাস

 এ এক অন্য পৃথিবী। এই পৃথিবী দেখার জন্য আমরা কেউই প্রস্তুত ছিলাম না। কিন্তু হঠাৎই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো অতি দ্রুত আমরা মুখোমুখি হলাম এই অন্য পৃথিবীর। যেখানে গাছের পাতা ঝরার মতোই ঝরে পড়ছে মানুষের প্রাণ। বিশদ

01st  April, 2020
ঘরে থাকতে অক্ষম যে ভারত
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 রণবীর সিং। বয়স ৩৮ বছর। ডেলিভারি এজেন্টের কাজ করতেন দিল্লিতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার পর হাঁটতে শুরু করেছিলেন তিনি। জাতীয় সড়ক ধরে। যেভাবে হোক গ্রামে পৌঁছতে হবে। গ্রাম মানে মধ্যপ্রদেশের কোথাও একটা... দিল্লি থেকে বহুদূর।
বিশদ

31st  March, 2020
ভীরু এবং আধখেঁচড়া
ব্যবস্থা, তবু স্বাগত
পি চিদম্বরম

গত ১৯ মার্চ, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন যে ২২ মার্চ, রবিবার দেশজুড়ে ‘জনতা কার্ফু’ পালন করা হবে। আমি ভেবেছিলাম প্রধানমন্ত্রী জল মাপছেন, জনতা কার্ফুর শেষে তিনি নানা ধরনের লকডাউন ঘোষণা করবেন। কিন্তু রবিবার কোনও ঘোষণা শোনা গেল না। বিশদ

30th  March, 2020
 করোনা যুদ্ধের অক্লান্ত সৈনিক ডাক্তারবাবুরা,
দোহাই ওদের গায়ে আর কেউ হাত তুলবেন না
হিমাংশু সিংহ

পৃথিবীব্যাপী এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধ চলছে। অদৃশ্য জৈবযুদ্ধ। এলওসিতে দাঁড়িয়ে মেশিনগান হাতে কোনও সেনা নয়, রাফাল নিয়ে শত্রু ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও নয়। হাসপাতালের আইসিইউতে নিরস্ত্র ডাক্তারবাবুরা বুক চিতিয়ে এই নির্ণায়ক যুদ্ধ লড়ছেন রাতের পর রাত ক্লান্তিহীন। বিশদ

29th  March, 2020
এ লড়াই বাঁচার লড়াই,
এ লড়াই জিততে হবে
তন্ময় মল্লিক

 এখন দোষারোপের সময় নয়। এখন আঙুল তোলার সময় নয়। এখন সমালোচনার সময় নয়। এখন লড়াইয়ের সময়। এ এক কঠিন লড়াই। এ লড়াই বাঁচার লড়াই। এ লড়াই জিততে হবে।
বিশদ

28th  March, 2020
মিসাইল বানানোর চেয়ে ডাক্তার
তৈরি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ
মৃণালকান্তি দাস

লিউয়েনহুক যখন সাড়ে তিনশো বছর আগে আতশ কাঁচের নীচে কিলবিল করা প্রাণগুলোকে দেখতে পেয়েছিলেন, তখনও তিনি জানতেন না যে তিনি এক নতুন দুনিয়ার সন্ধান পেয়ে গিয়েছেন। তিনিই প্রথম আণুবীক্ষণিক প্রাণের দুনিয়াকে মানুষের সামনে উন্মোচিত করেন। ওই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রাণগুলোর নাম দেন ‘অ্যানিম্যালকুলস’। বিশদ

27th  March, 2020
করোনা ছুটছে গণিতের অঙ্ক মেনে,
থামাতে হবে ‘হাতুড়ি’র ঘা দিয়েই
ডাঃ সৌমিত্র ঘোষ

 জানেন কি, গণিতের নিয়ম মেনেই ভারত সহ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে নোভেল করোনা ভাইরাস? একজন আক্রান্ত থেকে গুণিতক হারে অন্যদের মধ্যে ছড়াচ্ছে এই মারণ ভাইরাস! আর অসতর্কতার কারণে মাত্র এক-দু’সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা এক ঝটকায় অনেকটা বাড়ছে। ঠিক যেমন হয়েছে চীন, ইতালি, স্পেনের মতো দেশগুলিতে।
বিশদ

27th  March, 2020
মন্বন্তরে মরিনি আমরা, মারী নিয়ে ঘর করি
 সন্দীপন বিশ্বাস

পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন। আর এই ‘অসুখ’ থেকে বারবার মানুষ লড়াই করে ফিরে এসেছে। প্রতিবার অস্তিত্বের সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে একযোগে লড়াই করে মানুষ এগিয়ে গিয়েছে উত্তরণের পথে। প্রকৃতির কোনও মারণ আক্রমণেই সে পিছিয়ে পড়েনি। তাই মানুষ বারবার ঋণী মানুষেরই কাছে।  
বিশদ

23rd  March, 2020
কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াই এবং তারপর
পি চিদম্বরম

আপনি এই লেখা যখন পড়ছেন, ততক্ষণে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় ভারত এগতে পারল না কি পিছনে পড়ে গেল। সরকার ব্যস্ত ভিডিও কনফারেন্সে, আক্রান্ত দেশগুলি থেকে ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং করোনা থেকে বাঁচার জন্য নির্দেশিকা (হাত জীবাণুমুক্ত করা, নাক-মুখ ঢেকে রাখা এবং মাস্ক পরা) জারিতে।  
বিশদ

23rd  March, 2020
ভয় পাবেন না, গুজব ছড়াবেন না, জনতা কার্ফুতে ঘরে থাকুন, বিশ্বযুদ্ধে ভাইরাস পরাজিত হবেই
হিমাংশু সিংহ

 এক মারণ ভাইরাসের ভয়ঙ্কর সংক্রমণের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী মহাযুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধের একদিকে করোনা আর অন্যদিকে গোটা মানবজাতির অস্তিত্ব। প্রবীণ মানুষরা বহু স্মৃতি ঘেঁটেও এমন নজির মনে করতে পারছেন না যেখানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া একটা রোগ ঘিরে এমন ত্রাস, আতঙ্ক দানা বেঁধেছে মানুষের মনে।
বিশদ

22nd  March, 2020
লড়াই
তন্ময় মল্লিক

 করোনা ভাইরাস। এই দু’টি শব্দই গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। করোনা আতঙ্কে থরহরি কম্প গোটা পৃথিবী। চীন, জার্মানি, ইতালি, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স সহ বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলিকে ক্ষতবিক্ষত করে করোনা এবার থাবা বসাতে শুরু করেছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে।
বিশদ

21st  March, 2020
একনজরে
ওয়াশিংটন, ১ এপ্রিল (পিটিআই): করোনার ভয়ে কাঁপছে গোটা মার্কিন মুলুক। যার প্রভাব পড়তে চলেছে মার্কিন অর্থনীতি থেকে তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছর এইচ-১বি ভিসা বাতিল করার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে আবেদন করল মার্কিন তথ্য ও প্রযুক্তি ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এগিয়ে এল ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। এখনও পর্যন্ত তারা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ৮০ হাজার লিটার স্যানিটাইজার সরবরাহ করেছে।   ...

লন্ডন, ১ এপ্রিল: কোভিড-১৯ থমকে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে খেলার দুনিয়াও। গৃহবন্দি দশায় হাঁপিয়ে উঠেছেন খেলোয়াড়রা। আর তার থেকে খানিক মুক্তি পেতে অভিনব ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এখনও দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে, তৃতীয় ধাপে পৌঁছয়নি। এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন একমাত্র পথ, তা কোনওভাবেই শিথিল করা যাবে না। মানুষের বাড়িতে থাকা প্রয়োজন।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০২: ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের জন্ম
১৯৩৩: ক্রিকেটার রনজিৎ সিংজির মৃত্যু
১৯৬৯: অভিনেতা অজয় দেবগনের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৬৪ টাকা ৭৬.৩৬ টাকা
পাউন্ড ৭৬.৩৬ টাকা ৯৪.৮৪ টাকা
ইউরো ৮১.৭৩ টাকা ৮৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
01st  April, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১৮ চৈত্র ১৪২৬, ১ এপ্রিল ২০২০, বুধবার, (চৈত্র শুক্লপক্ষ) অষ্টমী ৫৫/১৯ রাত্রি ৩/৪১। আর্দ্রা ৩৪/৫০ রাত্রি ৭/২৯। সূ উ ৫/৩৩/১, অ ৫/৪৮/১১, অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৮ গতে ১১/১৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে ৪/২৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ১০/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৬ গতে ১০/৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪১ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩৬ গতে ৪/৪ মধ্যে।
১৮ চৈত্র ১৪২৬, ১ এপ্রিল ২০২০, বুধবার, অষ্টমী ৪১/১৫/৩৫ রাত্রি ১০/৪/৫৮। আর্দ্রা ২২/৩০/৫২ দিবা ২/৩৫/৫। সূ উ ৫/৩৪/৪৪, অ ৫/৪৮/৩১। অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে ও ৯/৩২ গতে ১১/১২ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১/৩২ গতে ৫/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৩৮/১১ গতে ১০/৯/৫৪ মধ্যে।
 ৭ শাবান

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯০২: ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের জন্ম১৯৩৩: ক্রিকেটার রনজিৎ সিংজির ...বিশদ

07:03:20 PM

বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়াল 

12:02:29 AM

বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াল 

09:45:51 PM

মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সোহিনীর এক লক্ষ 
করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর ...বিশদ

08:27:27 PM

দেশে করোনা আক্রান্ত ২৩৩১ জন, মৃত ৭৩: পিটিআই 

07:35:43 PM

রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ জন, নবান্নে জানালেন  মুখ্যসচিব
বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ করোনা মোকাবিলায় নবান্নে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের ...বিশদ

06:34:00 PM