কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, রাজস্থান ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সাধারণ কর্মীদের বেতনে সিংহভাগ রাজ্যই হাত দেয়নি। প্রধানত আইএএস, আইপিএস, আইএফএস (ফরেস্ট সার্ভিস) ক্যাডারের অফিসারদের ৫০ শতাংশ বেতন ছাঁটাই এবং বকেয়া বেতন তথা কিছু ভাতা তিনমাস পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিধায়কদেরও বেতনের একটি বৃহৎ অংশ ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কয়েকটি রাজ্য সরকার আপার ডিভিশন ক্লার্ক, লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক, স্টেট ক্যাডারের অফিসারদের বেতনেও ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কয়েকটি রাজ্য কেন্দ্রকে জানিয়েছে, তাদের ভাণ্ডার প্রায় শূন্য হতে চলেছে। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার আজই ঘোষণা করেছে, রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন মেটানোর মতো পর্যাপ্ত অর্থ তাদের কাছে নেই। তাই রাজ্যে কর্মরত অল ইন্ডিয়া সার্ভিসের অফিসারদের ৬০ শতাংশ বেতনে ছাঁটাই হচ্ছে। গ্রুপ ডি কর্মীদের ৯০ শতাংশ বেতনই মিটিয়ে দেওয়া হবে। বাকি রাখা হবে ১০ শতাংশ। মহারাষ্ট্র সরকার গ্রেড এ এবং গ্রেড বি অফিসারদের ৫০ শতাংশ বেতন প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গ্রেড ডি কর্মীদের কোনও বেতন ছাঁটাই হচ্ছে না। তেলেঙ্গানা সরকার আগেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওড়িশা, রাজস্থানও জানিয়েছে, অফিসারদের বেতন ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ ছাঁটাই হবে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেছেন, ক্লাস ফোর কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তার, চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত কর্মীদের ক্ষেত্রে এই বেতন ছাঁটাই বা স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য নয়। এমনকী কয়েকটি রাজ্যে পেনশনারদের ভাতাও ৩০ শতাংশ কমানো হয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আজ ঘোষণা করেছে, কেন্দ্র ও রাজ্যকে প্রদেয় ওয়ে অ্যান্ড মিনস অ্যাডভান্সের সীমা বাড়ানো হল। ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমায় এই সুবিধা পাবে রাজ্য কেন্দ্র। সীমা বাড়ানো হয়েছে ৩০ শতাংশ। আজ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আবেদনক্রমে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও ঋণ মেটানো সংক্রান্ত সংশয় ও ধোঁয়াশা কাটানোর জন্য একঝাঁক বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, যে কোনওরকম টার্ম লোনের জন্যই ইএমআই স্থগিত প্রকল্প কার্যকর করা হবে। তবে আজ স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সুদের হার মকুব করা হচ্ছে না। অর্থাৎ তিন মাস ইএমআই না দেওয়া হলে সেইমতোই সুদের হার প্রযোজ্য হবে। সুতরাং সেই সুদের হার বেশি হবে। এই বকেয়া তিন মাসের ইএমআই মোট প্রদেয় কিস্তিকে বর্ধিত করবে। অর্থাৎ কোনও ঋণগ্রাহকের সঙ্গে ব্যাঙ্কের যদি চুক্তি থাকে ৬০ মাস ধরে ইএমআই দেওয়া হবে, সেই সময়সীমা আরও তিনমাস বেড়ে যাবে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা যথাযথভাবে কার্যকর করতে। সেই টাকা রিলিজ করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে যেভাবে লকডাউন হয়ে রয়েছে, তার জেরে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের সমস্ত আয় স্তব্ধ। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ক্রয়বিক্রয় ছাড়া আর কোনও আর্থিক লেনদেন হচ্ছে না। যে আয় উভয় সরকারের কাছে রাজস্ব সংগ্রহের মাধ্যম, সেই পেট্রপণ্যের মধ্যেও রান্নার গ্যাস ছাড়া আর কোনও জ্বালানির বিক্রিই প্রায় নেহই। লকডাউনের কারণে পেট্রল ও ডিজেলের বিক্রি তলানিতে। আয় বন্ধ, কিন্তু সরকারি কর্মীদের বেতন ও অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন এবং বিভিন্ন জনকল্যাণ প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় হবে রাজ্য ও কেন্দ্রের। এমতাবস্থায় তীব্র আর্থিক সঙ্কট আসতে চলেছে সামগ্রিকভাবে।