কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
যে পাঁচটি ট্রেনকে আপাতত চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলি ১৩ থেকে ১৯ মার্চের মধ্যে নয়াদিল্লি থেকে ছেড়েছিল। ট্রেনগুলি হল, অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরগামী দুরন্ত এক্সপ্রেস, চেন্নাইগামী গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক এক্সপ্রেস, চেন্নাইগামী তামিলনাড়ু এক্সপ্রেস, নয়াদিল্লি-রাঁচি রাজধানী এক্সপ্রেস, এপি সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস। জানা গিয়েছে, গত ১৩ মার্চ ছাড়া সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেসে করে করিমনগরে ফিরেছিলেন করোনা আক্রান্ত ইন্দোনেশিয়ার ১০ নাগরিক। রাঁচি রাজধানী এক্সপ্রেসের বি ১ কোচে সফর করা মালয়েশিয়ার এক মহিলাও সংক্রমণের শিকার। ঝাড়খণ্ডের প্রথম করোনা আক্রান্তও এই পাঁচটি ট্রেনের মধ্যে যে কোনও একটিতে ১৬ মার্চ সফর করেছিলেন। ওই সভা সেরে ১৮ মার্চ দুরন্ত এক্সপ্রেসের এস ৮ কোচে ফেরা দু’জনের দেহে এই মারণ ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। তাঁদের দুই সঙ্গী গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক এক্সপ্রেসের এস ৩ কোচে এবং দু’জন তামিলনাড়ু এক্সপ্রেসে সফর করেছেন।
চিহ্নিত করা গিয়েছে এই রাজ্যের কাটোয়া শহরের পাঁচ জনকেও। সকলেই কাটোয়া পুরসভা এলাকার বাসিন্দা। আবদুস সালাম সেখ, শাকিল সেখের নাম জানা গেলেও, বাকি তিনজনের নাম সঠিক জানা যায়নি। এদিন কাটোয়ার পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, পাঁচজনের বাড়িতে আমরা নজর রাখছি। তাঁরা এই মুহূর্তে নিজামুদ্দিনে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় সরকারি তত্বাবধানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন বলে জানা গিয়েছে। ওই সভায় পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ১২ জন অংশ নিয়েছিলেন। কয়েকজনের নাম ও ফোন নম্বর জেলা প্রশাসনের কাছে এলেও একজনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘কিছু নাম পেয়েছি। কিন্তু যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।’ নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য থেকে মোট ১০৭ জন যোগ দিয়েছিলেন ওই সভায়। বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘৪০ জন বিদেশি সহ ৫৪ জনকে চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের কাছে অনুরোধ করছি, মানবতার স্বার্থে আপনারা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’
বুধবার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিশোদিয়া জানিয়েছেন, ৩৬ ঘণ্টা ‘চেষ্টা’ চালিয়ে নিজামুদ্দিন মারকাজ থেকে মোট ২ হাজার ৩৬১ জনকে সরানো হয়েছে।’ ১ হাজার ৮০০ জনকে ৯টি হাসপাতাল ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল। ওই সমাবেশে যোগ দেওয়ায় জম্মু ও কাশ্মীরে ১০ জন, মধ্যপ্রদেশে ১০৭ জন, মেঘালয়ে ৭ জন, ভোপালে ৩২ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। মহারাষ্ট্রের ১১৪ জন, বিহারে একজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। গুজরাত থেকে সভায় যাওয়া দেড় হাজার জনকে চিহ্নিত করা যায়নি। তামিলনাড়ুর দেড় হাজার জনের মাত্র ৫১৫ জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। সব মিলিয়ে আতঙ্ক আরও বাড়ছে।