কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
করোনার প্রকোপ থেকে বাঁচতে বিশ্বের এক নম্বর টেনিস প্লেয়ার এখন গৃহবন্দি। তাই বলে প্রিয় টেনিসকে দূরে সরিয়ে রাখেননি। ভাই মারকোর সঙ্গে বাড়ির ড্রয়িং রুমে টেনিসে মেতে উঠলেন জকোভিচ। তবে র্যাকেট নয়, ফ্রায়িং প্যান দিয়ে। আসলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মূল মাধ্যম হলো স্পর্শ। সেটা এড়াতেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন নোভাক। টেনিস র্যাকেট ছেড়ে হাতে তুলে নিয়েছেন ফ্রায়িং প্যান। জকোভিচের মনে হয়েছে এতে আরও নিখুঁত টেনিস খেলা যায়। স্কিল আরও ধারালো হয়। ছোট সারফেস দিয়ে বলে হিট করলে স্কিল আরও ধারালো হয়। ভাইয়ের সঙ্গে মজার টেনিসেও জোকারের আগ্রাসী মেজাজ অটুট। একইসঙ্গে কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ডে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে ওঠার কথাও জানিয়েছেন জকোভিচ। তিনি বলেছেন, ‘একজন পেশাদার প্লেয়ার যখন ছন্দে থাকে, তখন অন্য কোনও কারণে সেই ছন্দ পতন ঘটলে বিরক্তির শেষ থাকে না। আমার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। করোনা ভাইরাস যাবতীয় পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে। তাই বলে বসে থাকলে তো হবে না। নিজের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। যাতে এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মেঘ কাটলেই দ্রুত ছন্দে ফেরা যায়।’
এবার সার্বিয়াকে এটিপি কাপ জিতিয়ে বছরের শুরুটা ভালোই করেছিলেন নোভাক জকোভিচ। তারপর এই মারণ ভাইরাসের দৌরাত্ম্যে সবকিছুই কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। আর সেটা মেনে নিয়েই সার্বিয়ান তারকাটি বলছেন, ‘আন্তর্জাতিক সার্কিটে চ্যাম্পিয়নশিপ দৌড় জারি রাখতে গেলে আপনাকে সব সময় তৈরি থাকতে হবে। থামলে চলবে না।’ জকোভিচকে কে থামাতে পারে? টেনিস বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডোমিনিক থিয়েম এবার জকোভিচের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে পারেন। কিন্তু সার্বিয়ান তারকা যদি ছন্দে থাকেন, তাহলে আরও অনেকদিন বজায় থাকবে তাঁর আধিপত্য।