কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
এদিন সকাল থেকেই বাঁকুড়ার মনোহরতলা, দোতলা, নতুনগঞ্জ, লালবাজার, লোকপুর, বড়জোড়া, ছাতনার বাজারে বের হওয়া লোকজনের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনও বালাই নেই। বাঁকুড়া শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তায় সকাল থেকে টোটো দাপিয়ে বেড়ায়। তবে পুলিস সক্রিয় হওয়ার পর পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন হয়। অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এদিন থেকে জেলার প্রায় ৮০ হাজার পরিবারের হাতে চাল ও আলু তুলে দেওয়ায় প্রক্রিয়া শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়া জেলার সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল বলেন, জেলার প্রতিটি বুথে আমরা ২০ থেকে ৩০টি দরিদ্র পরিবারের হাতে এই খাবার তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। এদিন গঙ্গাজলঘাটি থেকে আমি তার সূচনা করেছি। ভিড় এড়াতে দলীয় কর্মীরা বুথ ধরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই সাহায্য পৌঁছে দেবেন। এজন্য জেলার পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীও গাড়িতে করে চাল ও আলু পাঠিয়েছেন। চলতি সপ্তাহেই আমরা প্রথম দফার খাদ্যসামগ্রী বিলির কাজ শেষ করার পরিকল্পনা নিয়েছি। শাসক দলের মতো বড়জোড়ায় বিজেপির এবং বেশ কয়েকটি জায়গায় পুলিসের তরফে গরিব মানুষের হাতে আলু, চাল, সব্জি তুলে দেওয়া হয়।
অপরদিকে, করোনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো পোস্ট করায় পুরুলিয়ার আড়ষা থানা এলাকায় পুলিস তিনজন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। পুরুলিয়ার পুলিস সুপার এস সেলভা মুরগান বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো পোস্ট করার অভিযোগে আড়ষা থানার ঝুঁঝকা গ্রামের স্বরূপ মাহাত এবং হেঁসলা গ্রামের বাসিন্দা বিজয় কুইরি ও সরোজ মাহাতকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আরও কয়েকজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এদিকে পুরুলিয়ায় নতুন করে আরও দু'জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাসিন্দাদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৫ জন এবং কোয়ারেন্টাইনে থাকা রোগীর সংখ্যা ৬৫ জন থেকে বেড়ে ১৩৬ জন হয়েছে।
অপরদিকে, হুগলির আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি থাকা মহিলার লালারস বুধবার কলকাতা বেলেঘাটা নাইসেডে পরীক্ষার জন্য পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণ রয়েছে এমন ব্যক্তির সঙ্গে ওই মহিলা বেশ কয়েকদিন আগে একই বিমানে দক্ষিণ ভারত থেকে দমদম এয়ারপোর্ট হয়ে আরামবাগে নিজের গ্রামে ফিরেছিলেন। এই তথ্য সরাসরি রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে আরামবাগ মহকুমা প্রশাসনের কাছে পৌঁছয়। তারপরই ওই মহিলাকে ভর্তি করা হয় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে। তবে বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক। তাঁর শরীরে করোনা সংক্রমণের কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি।