Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অথৈ সাগর
পর্ব- ১৪
বারিদবরণ ঘোষ

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি।

এমনই একটা টানাপোড়েন শিক্ষা-ব্যবস্থায় চলছে দেখে বিদ্যাসাগর যতখানি বিড়ম্বনা ভোগ করতে লাগলেন, তেমনই সমাজের কতকগুলো অব্যবস্থায় বিশেষ করে মহিলারা যে কত কষ্ট পাচ্ছেন— তা ভেবে তার প্রতিকার করার জন্যও তাঁর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। মেয়েদের অভিভাবকরা তাঁদের অল্প বয়সেই বিয়ে দিচ্ছেন। ফলে একটু বয়স হতে না হতেই তাঁরা বিধবা হয়ে পড়ছেন। অল্পবয়সি বিধবাদের দেখলেই তাঁর মন খারাপ হতো। বুঝতে পেরেছিলেন মেয়েরা যে বিধবা হচ্ছেন, আর তার জন্যে তাঁদের কষ্টের অবধিমাত্র থাকছে না। আর তার মূল কারণ এই বাল্যকালে তাদের বিয়ে দেওয়া। তাই হিন্দু কলেজের সিনিয়র ছাত্রেরা মিলে ‘সর্বশুভকরী’ নামে একটি পত্রিকা বের করে তার গৌরব বিধানের জন্যে যখন বিদ্যাসাগর মশায়ের কাছে লেখা চেয়ে আবদার করতে লাগলেন— তিনি ‘বাল্যবিবাহের দোষ’ দেখিয়ে তাতে একটি নিবন্ধ লিখে বসলেন। পরের সংখ্যায় মদনমোহন তর্কালঙ্কার লিখলেন মেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে। এই দুটো বিষয়ে বিদ্যাসাগর একেবারে ডুবে গেলেন। কিন্তু পরিস্থিতি অন্যদিকেও টেনে ধরেছে।
বন্ধু মদনমোহন সংস্কৃত কলেজ ছেড়ে দিয়ে মুর্শিদাবাদে জজপণ্ডিতের পদে যোগ দিয়ে চলে গেলেন। শিক্ষা বিভাগ ধরলেন বিদ্যাসাগরকে শূন্য সাহিত্যের অধ্যাপক পদে যোগ দিতে। বিদ্যাসাগর সরাসরি না করে দিলেন। পীড়াপীড়ি করতে বললেন— ঠিক আছে, যদি আমাকে ওই বিভাগে অধ্যক্ষ করে দাও— আমি যোগ দিতে পারি। সরকার বললে তাই সই। ১৮৫০ সালের ডিসেম্বর মাসে বিদ্যাসাগর সেই প্রার্থিত পদেই যোগ দিলেন— মাইনে বেড়ে দাঁড়াল নব্বই। শিক্ষাবিভাগ বলল, নামে সংস্কৃত কলেজ কিন্তু সংস্কৃত পড়ায় যেন উপযুক্ত মান লক্ষ করা যাচ্ছে না। কেন এমনটি হচ্ছে আপনি একটা রিপোর্ট তৈরি করে আমাদের দিন তো সব দিক খতিয়ে দেখে। তাই তিনি দিলেন। অমনি সেক্রেটারি রসময় দত্তের খুব গোঁসা হল। এ তো দেখছি ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া হচ্ছে। বিদ্যেসাগর রিপোর্ট লিখবে তিনি থাকতে? এবার তাঁকে তাই মেনে চলতে হবে। এমনটা হতে চলেছে— এমন আঁচটাই তিনি করছিলেন। তাই সরাসরি পদত্যাগপত্র জমা দিলেন শিক্ষাসমাজের কাছে। মোয়াট সাহেব দেখলেন— এ তো মহা ফের হল। করিসাঙ পিপ্পলিখণ্ড কফ নিবারিতে। উল্টাইয়া বসিল কফ মজ্জার সহিতে। এখন তাঁর ভরসা তো ওই একজনই। অতএব বিদ্যাসাগরকেই সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষপদে বসাতে বাধ্য হলেন। সেক্রেটারি, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি দুই পদ উঠিয়ে দিয়ে অধ্যক্ষপদের দায়িত্বে মিশিয়ে দিয়ে কেবল একটি অধ্যক্ষপদ তৈরি হল— তেমনই সুপারিশ ছিল বিদ্যাসাগরের। এখন তিনিই একাই একশো— বিদ্যাসাগরের মাইনে বেড়ে দাঁড়াল সাকুল্যে দেড়শো টাকা। তাঁর ছেড়ে দেওয়া পদে এলেন শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন— পরে বিদ্যাসাগরের দেওয়া প্রথম বিধবা বিবাহের সেই বিখ্যাত বর মহোদয়। মাথায় চাপ তো কম নিলেন না বিদ্যাসাগর। ফল ফলল কিছুদিনের মধ্যেই— উৎকট শিরঃপীড়ায়, মাথার যন্ত্রণায়, ইংরেজিতে যাকে বলে Caphalitis— সেই রোগে একেবারে শয্যাশায়ী হয়ে পড়লেন। আর সমবয়সি বন্ধু অক্ষয়কুমার দত্ত মশায়ও এই রোগে খুব ভুগতেন।
এর সঙ্গে একটা বিষম বেদনার ঘটনা ঘটে গেল, তাঁর হৃদয়ের খুব কাছের মানুষ, মহাত্মা ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন সাহেবের মৃত্যু ঘটে গেল। সেই বেথুন সাহেব যার নামে আজকের বিখ্যাত মহাবিদ্যালয় মেয়েদের জন্যে— বেথুন কলেজ। এর প্রতিষ্ঠাতা তিনিই, হিন্দু কলেজের সেই বিখ্যাত পড়ুয়া, পরে রাজা উপাধিভূষিত, দক্ষিণারঞ্জন (দক্ষিণানন্দ আসলে) মুখুজ্যের দেওয়া জায়গাতে গড়ে ওঠা হেদুয়ার সেই বিখ্যাত কলেজের স্থপতি— বেথুন সাহেব চলে গেলেন। পরদুঃখকাতর বিদ্যাসাগরের সে কী কান্না! হেলিডে সাহেব বিদ্যাসাগরকে নিজের শকটে চড়িয়ে সমাধিস্থানে নিয়ে এলেন। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষ হল। গভর্নর সাহেব বিদ্যাসাগরকে বেথুন কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি পদে নিয়োগ দিলেন— বিনা বেতনে সেই কাজ দায়িত্বের সঙ্গে পালন করতে লাগলেন তিনি। স্ত্রী শিক্ষার জন্যে যিনি পাগল— তিনি কি মাইনে নিতে পারেন। বন্ধু মদনমোহন তাঁর দুটি কন্যা ভুবনমালা আর কুন্দমালাকে বেথুনে ভর্তি করেছেন, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরও মেয়েকে দিয়েছেন— তখনও পর্যন্ত বিদ্যাসাগর মশায়ের কোনও কন্যার জন্ম হয়নি যে তিনি মেয়েকে ভর্তি করবেন। বিশ্ব নিন্দুকেরা বলতে লাগলেন, নিজের মেয়ে নেই তো, তাই পরের মেয়েদের ভর্তি করিয়ে ছড়ি ঘোরাচ্ছে। এই সব বলে বেথুন স্কুল প্রতিষ্ঠার বিরোধীরা খুব তড়পাতে লেগে গেলেন।
ওই যে রিপোর্টের কথা বলে এলাম, তাতে একটা বিষয়ের আঁচ ছিল। বিদ্যাসাগর মশায় পড়ানোর নামে ছেলেদের গায়ে হাত তোলা, বেত মারার ঘোর বিরোধী ছিলেন। একদিন তিনি দেখলেন, সংস্কৃত কলেজের জনৈক অধ্যাপক ক্লাসের মধ্যে ছেলেদের দাঁড় করিয়ে রেখে দিয়েছেন। অধ্যাপক মশায়কে একটু আড়ালে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন তিনি— ‘কী হে! তুমি যাত্রার দল বানিয়েছ নাকি? তার জন্যেই কি ছেলেদের তালিম দিচ্ছ? তুমি বোধ হয় দূতী সাজবে?’ অধ্যাপক মশায় অপ্রস্তুতের একশেষ। আর একদিন আর একটা ক্লাসে, বাইরে থেকে দেখলেন, অধ্যাপকের টেবিলে একটা বেত রয়েছে। অনুমতি নিয়ে ক্লাসে ঢুকে অধ্যাপককে জিজ্ঞেস করলেন, ‘বেত কেন হে?’
— আজ্ঞে মানচিত্র দেখাবার জন্যে।
— বুঝেছি, রথ দেখা কলা বেচা দু’রকমই হয়। ম্যাপ দেখানো হয়, আবার ছেলেদের পিঠে সদ্ব্যবহার হয়।
এমনিতে রসিক, কিন্তু যাকে বলে ‘জাতে মাতাল তালে ঠিক’ —ক’টা দিন যেতে না যেতেই একটা সার্কুলার (বিজ্ঞপ্তি) জারি করে দিলেন— ‘ছেলেদের শাস্তিদান নিষেধ’। এই রসিক মানুষটাকে যখন শিরঃপীড়ায় পেড়ে ফেলেছিল, তখন তিনি যে কাণ্ডটা করতেন, তা এখনকার লোকে জানেন না হয়তো। ডাক্তাররা পরীক্ষা করে দেখলেন বিদ্যাসাগরের শরীরে রক্তের পরিমাণ ‘বেড়ে’ গিয়েছে। ডাক্তার নীলমাধব মুখোপাধ্যায় দেখেশুনে শরীর থেকে ঘাড়ের দস্ত খুলে বেশ খানিকটা রক্ত বের করে দিয়ে বললেন— একটুখানি ব্যায়াম করবেন তো। অমনি তিনি মুগুর কিনে এনে ভাঁজতে আরম্ভ করলেন আর ডন-বৈঠক ঠুকতে লাগলেন। তাতেই গড়ে উঠল সুঠাম আর সুগঠিত শরীর। ওই যে বলা হয়ে থাকে এঁড়ে বাছুরটা ঘাড় ঘোরাতে পারে না। তার কারণ রক্তের ওই উচ্চচাপ। সেটা সামলেছেন, তেমনই সামলাতে লাগলেন স্ত্রীশিক্ষার নানা সমস্যা। বিদ্যালয়ের বালিকারা যে তাঁর মেয়ের মতো। একবার রাজা দিনকর রাও বিদ্যাসাগরের সঙ্গে বেথুন বালিকা বিদ্যালয় দেখতে গিয়ে মেয়েদের মিষ্টি খাওয়ানোর জন্যে তিনশো টাকা দিয়ে আসেন। বিদ্যাসাগর মশায় জানতেন মিষ্টি খাওয়ার চেয়ে তাদের পরনের শাড়ির প্রয়োজন বেশি। ওই টাকা দিয়ে তিনি শাড়ি কিনে এনে মেয়েদের দিয়ে একটা দীর্ঘস্থায়ী স্বস্তি প্রদান করলেন।
(ক্রমশ)
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল 
01st  March, 2020
 অথৈ সাগর
পর্ব ১৭

 চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। বিশদ

22nd  March, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব ১৭

 বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- ষষ্ঠ কিস্তি। বিশদ

22nd  March, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- পঞ্চম কিস্তি। 
বিশদ

15th  March, 2020
অথৈ সাগর 

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

15th  March, 2020
আশীর্বাদ অনন্ত
তপনকুমার দাস

‘মা তুমি?’ দরজা খুলেই সামনে দাঁড়ানো পরমাকে দেখে চমকে ওঠে অভিজাত। প্রায় দেড় বছর পরে বাড়ির দরজায় দাঁড়ানো মাকে দেখলে অবাক না হয়ে উপায় কী?  বিশদ

15th  March, 2020
অথৈ সাগর
পর্ব- ১৫
বারিদবরণ ঘোষ

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

08th  March, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-১৫

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- চতুর্থ কিস্তি। 
বিশদ

08th  March, 2020
দোল
অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী

এই বাড়িটা তোমার? এত সুন্দর! পথে আসতে-আসতে এর কথাই তুমি বলছিলে আমায়? এই কথা বলে ফেলিনি ঘুরে ঘুরে বাড়িটি দেখতে থাকল।
আহামরি কিছু নয়। খুব সামান্য এক মাটির বাড়ি। ট্যারাবাঁকা। মাথায় টালিখোলা। এদিক-ওদিক ভাঙা-ফাটা। বাড়ির সামনে একটু ফাঁকা জমিন, সেখানে প্রাচীন এক কদমগাছ।   বিশদ

08th  March, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-১৪

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- তৃতীয় কিস্তি।  বিশদ

01st  March, 2020
সংবর্ধনা
বিপুল মজুমদার

‘আমাদের ক্লাবের একটা নিয়ম আছে দাদা। প্রত্যেক বছর ক্লাবের বার্ষিক অনুষ্ঠানে দু’জনকে আমরা সংবর্ধিত করি। একজন আপনার মতো প্রথিতযশা কেউ, অন্যজন আমাদের এই সুজনপুরের কোনও কৃতী সন্তান। এ বছর উত্তম মণ্ডলকে আমরা বেছে নিয়েছি। ওই কোণের দিকে হলদে জামা পরা যে মানুষটিকে দেখছেন ওই হল উত্তম। 
বিশদ

01st  March, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-১৩

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- দ্বিতীয় কিস্তি। 
বিশদ

23rd  February, 2020
অথৈ সাগর
পর্ব- ১৩
বারিদবরণ ঘোষ

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

23rd  February, 2020
গায়ক চারা
সসীমকুমার বাড়ৈ

—স্যার, ও এসেছে।
—কে? মন্দার ফাইল থেকে মুখ তুলে জিজ্ঞেস করল।  বিশদ

23rd  February, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-১২ 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- প্রথম কিস্তি।
বিশদ

16th  February, 2020
একনজরে
নয়াদিল্লি ও নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা, ১ এপ্রিল: করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় যৌথভাবে ১ হাজার ১২৫ কোটি টাকা খরচ করার কথা জানাল তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা উইপ্রো লিমিটেড, উইপ্রো এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেড এবং সংস্থার কর্ণধারের নামাঙ্কিত আজিম প্রেমজি ফাউন্ডেশন।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এগিয়ে এল ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। এখনও পর্যন্ত তারা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ৮০ হাজার লিটার স্যানিটাইজার সরবরাহ করেছে।   ...

বিশ্বজিৎ দাস, কলকাতা: বড় বড় হাসপাতালগুলিকে করোনা যুদ্ধে শামিল হওয়ার আহ্বান করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী এবার কলকাতার বড় বেসরকারি হাসপাতালগুলির তালিকা প্রস্তুত করছে রাজ্য।   ...

লন্ডন, ১ এপ্রিল: কোভিড-১৯ থমকে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে খেলার দুনিয়াও। গৃহবন্দি দশায় হাঁপিয়ে উঠেছেন খেলোয়াড়রা। আর তার থেকে খানিক মুক্তি পেতে অভিনব ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০২: ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের জন্ম
১৯৩৩: ক্রিকেটার রনজিৎ সিংজির মৃত্যু
১৯৬৯: অভিনেতা অজয় দেবগনের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৬৪ টাকা ৭৬.৩৬ টাকা
পাউন্ড ৭৬.৩৬ টাকা ৯৪.৮৪ টাকা
ইউরো ৮১.৭৩ টাকা ৮৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
01st  April, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১৮ চৈত্র ১৪২৬, ১ এপ্রিল ২০২০, বুধবার, (চৈত্র শুক্লপক্ষ) অষ্টমী ৫৫/১৯ রাত্রি ৩/৪১। আর্দ্রা ৩৪/৫০ রাত্রি ৭/২৯। সূ উ ৫/৩৩/১, অ ৫/৪৮/১১, অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৮ গতে ১১/১৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে ৪/২৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ১০/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৬ গতে ১০/৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪১ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩৬ গতে ৪/৪ মধ্যে।
১৮ চৈত্র ১৪২৬, ১ এপ্রিল ২০২০, বুধবার, অষ্টমী ৪১/১৫/৩৫ রাত্রি ১০/৪/৫৮। আর্দ্রা ২২/৩০/৫২ দিবা ২/৩৫/৫। সূ উ ৫/৩৪/৪৪, অ ৫/৪৮/৩১। অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে ও ৯/৩২ গতে ১১/১২ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১/৩২ গতে ৫/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৩৮/১১ গতে ১০/৯/৫৪ মধ্যে।
 ৭ শাবান

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯০২: ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের জন্ম১৯৩৩: ক্রিকেটার রনজিৎ সিংজির ...বিশদ

07:03:20 PM

বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়াল 

12:02:29 AM

বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াল 

09:45:51 PM

মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সোহিনীর এক লক্ষ 
করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর ...বিশদ

08:27:27 PM

দেশে করোনা আক্রান্ত ২৩৩১ জন, মৃত ৭৩: পিটিআই 

07:35:43 PM

রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ জন, নবান্নে জানালেন  মুখ্যসচিব
বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ করোনা মোকাবিলায় নবান্নে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের ...বিশদ

06:34:00 PM