কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
—কে? মন্দার ফাইল থেকে মুখ তুলে জিজ্ঞেস করল।
আর্দালি জগদীশ রায় বলল, আষাঢ়ু বর্মন। ও এই সময়টা আসে।
—এই সময়টা মানে?
—স্যার, আসুক না আসুক ভাওয়াইয়া গানের সময় ও আসবেই।
—আচ্ছা, ডাকো।
মন্দার দাস কুম্ভের মতো একা অফিস সামলায়। এগারোটার পর অফিস একটু জেগে ওঠে। অফিসবাবুরা আসেন দিনহাটা, কোচবিহার থেকে। ঘণ্টা তিনেক থেকে সবাই সিঙিমারি নদী পারাপারের দোহাই দিয়ে কেটে পড়েন। চারটা বাজতেই অফিস ফাঁকা। মন্দার এসে হাল ফেরানোর চেষ্টা করেছিল, লাভ হয়নি। তার পালানোর জো নেই, সে যে বিডিও। যেভাবে হোক তাকে কাজ তুলতে হবে।
—নমস্কার স্যার। মুই আষাঢ়ু বর্মন। আপনার অফিসের পঞ্চায়েত ক্লার্ক।
বিডিও আষাঢ়ুর চোখের দিকে তাকিয়ে বলল, ও আপনি তা হলে আষাঢ়ু বর্মন। বলুন, কী উদ্দেশ্যে?
—স্যার, সামনে রাজ্য ভাওয়াইয়া প্রতিযোগিতা। ব্লক লেভেল থেকে ভাওয়াইয়া প্রতিযোগিতা। আপনি সবই জানেন। অনুমতি দিলে আমি অফিসের কাজে লাগতে পারি।
—আগে বলুন, আপনার চাকরি আছে তো?
আষাঢ়ু মাথা নিচু করে রইল।
—আমি শুনেছি, আপনি মাসের পর মাস নিরুদ্দেশ। তাহলে চাকরি থাকে কীভাবে?
আষাঢ়ু পূর্বাবৎ নিরুত্তর রইল। পরে নিচু স্বরে বলল, আমি জানি স্যার, আমার শাস্তি পাওয়া উচিত। আমি কী বলব স্যার, বিধানমতো যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবেন। দয়া করে অনুষ্ঠান আয়োজনে অংশ নিতে দিন। আগের স্যাররা সব জানতেন তাই কাজে লেগে যেতাম।
মন্দার অবাক, যার ভবিষ্যৎ অন্ধকার তার কোনও হেলদোল নেই! অথচ গান মেলায় কাজ করবে বলে বায়নাক্কা! সে ভাবল, কাজ করুক কিন্তু টাকা-পয়সার কোনও দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। নজরে নজরে রাখতে হবে।
সেমন্তীর সারাদিন কাটে টিভি দেখে, বই পড়ে, কলকাতায় আত্মীয়-স্বজনকে ফোনাফোনি করে। অফিস চত্বরে তাদের কোয়ার্টার। মন্দার দুপুরে কোয়ার্টারে খেতে এলে ঘণ্টাখানেক হাঁফ ছেড়ে বাঁচে সেমন্তী। খেতে খেতে স্বামী-স্ত্রীতে কথা হয়। অফিসের কথাও ঢুকে পড়ে খাবার টেবিলে। দশটা থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটা-আটটা সেমন্তী একাকিত্বের প্রহর গোনে। শনি, রবি সময় পেলে মন্দার সেমন্তীকে বর্ডার দেখাতে নিয়ে যায়। সেমন্তী অবাক হয়। কিচ্ছু না! এক আকাশ, এক বাতাস, একই জল-মাটি হঠাৎ দু’দেশের মাঝে মাথা তুলেছে কাঁটাতার। একদিন গেটের দু’পাশে বেশ কিছু লোকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সে ড্রাইভারকে বলেছিল— রোখো, রোখো, এরা কারা?
—ম্যাডাম, সবাই ইন্ডিয়ান।
—মানে!
মন্দারেরও আগে অজানা ছিল। বর্ডারে কাজে এসে জেনেছে মানুষগুলোর দুর্দশা। সে বলল, কাঁটাতারের ওপাশে জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজ আমাদের। কিন্তু নো ম্যানস ল্যান্ড। আন্তর্জাতিক আইনে দেড়শো গজে রোড করা যায় না। বর্ডাররেখা বাঁকাতেরা, কিন্তু রোড মোটামুটি সোজা। অনেক গ্রাম পড়েছে ওপাশে। বিকাল ছ’টায় শেষ গেট বন্ধ হবে। রাতভর বন্ধ থাকে।
—মানে, সারারাত ভারতীয়রা ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন থাকবে!
মন্দার উত্তর খুঁজে পেল না। দু’জন বিএসএফ জনে জনে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড দেখে দু’পাশে দাঁড়ানো লোকজনকে গেট পাশ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিডিও সাহেবের গাড়ি দেখে স্যালুট ঠুকল। তারা বিডিওকে একটু তোয়াজ করে, পঞ্চায়েতকে ধর্তব্যের মধ্যে আনে না।
সেমন্তীর ক’দিন বেশ ফুরফুরে মেজাজে কেটেছে। চোখের সামনে চলছে বাঁশ পোঁতা, প্যান্ডেল-মঞ্চ বাঁধা। একটা হইহই রইরই ব্যাপার। ভাওয়াইয়া প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো মেলা বসেছে। মন্দার-সেমন্তী ভেবে পায়নি দু’দিন ধরে এত প্রতিযোগী আসবে কোথা থেকে? সিতাই ছোট্ট একটি ব্লক। মেলার দিন আসতেই তাদের ভুল ভাঙল। কাতারে কাতারে শিল্পী এসেছে। আট থেকে আশির কাঁধে দোতারা, সরিন্দা। মাঠ বাদ্যযন্ত্রে মুখর। বিরামহীন ভাওয়ায় ভেসে যাচ্ছিল সারা বছর ঝিমোনো অফিস চত্বর। দরিয়া, চটকা দুই বিভাগেই প্রচুর প্রতিযোগী। গাওয়ার পরে তাদের চোখে মুখে ফুটে উঠছে পরম তৃপ্তি। প্রথমদিন প্রতিযোগিতা চলল রাত সাড়ে ন’টা পর্যন্ত। কোথাও তাল কাটল না। অফিসবাবুরা ধরি মাছ না ছুঁই পানি করে যথারীতি নির্দিষ্ট সময়ে চলে গেলেন। আষাঢ়ু সব একা সামলে নিল। তার উৎসাহের কোনও ঘাটতি নেই, ক্লান্তি নেই। তার চ্যালা-চামুণ্ডারও অভাব নেই। মাইকের জায়গায় মাইক আছে। গানের বিচারক ঠিক সময়ে এসেছেন, গিয়েছেন। মন্দারের কিছুতেই হিসাব মিলছিল না, এত বড় কাজের লোক কীকরে সারা বছর অফিস কামাই করে? পয়সাকড়ি নিয়েও কোনও উৎসাহ নেই। শেষ দিন সন্ধ্যায় মানুষের ঢল নামল। তারা সারা বছর এই আনন্দটুকুর আশায় থাকে। জেলার শিল্পীদের আনা হয়েছে। ভাওয়াইয়া বাও খেলে গেল সান্ধ্য বাতাসে। মন্দারের মনে আফশোস হল, ইস এঁরা যে কেন কলকাতায় ঠাঁই পায় না। হঠাৎ আওয়াজ উঠল— আষাঢ়ু। আষাঢ়ু। আষাঢ়ুকে উঠান।
বিডিও অফিসের অস্থায়ী কর্মী হাফিজুর মিয়াঁ দৌড়ে এল— স্যার আষাঢ়ুকে মঞ্চে তোলেন, নইলে গণ্ডগোল হবে।
—বলো কী, ও গান জানে নাকি?
—হ্ স্যার, ওকে উঠান, সব থেমে যাবে।
আষাঢ়ুর ক্লান্ত চেহারা। গলায় দোতারা, সঙ্গে এক শাগরেদ সারিন্দায়। মাঠে বাতাসের শব্দটুকু নেই। মাঠ প্লাবিত হয়ে যাচ্ছে দোতারা আর সারিন্দার যুগলবন্দিতে। আষাঢ়ু গান ধরল, ‘বাউমুমটা বাতাস যেমন ঘুরিয়া ঘুরিয়া মরে/ওরে ওই মতন মোর গাড়ির চাকা পন্থে পন্থে ঘোরে রে...’ আষাঢ়ুর নিমগ্ন চেহারায় ঠিকরে বেরচ্ছে তানসেন দ্যুতি। জনতা মুগ্ধ নিশ্চুপ।
নিস্তব্ধতা ফিরে এসেছে অফিস চত্বরে। মন্দার ফিরলে কিছুক্ষণ কাটে নব দাম্পত্যের উত্তাপে। তারমধ্যে সিতাই আসার দিনের কথা ঘুরে ফিরে আসে। সেদিন আদাবাড়ি ঘাটে এসে জিপটা সরাসরি নেমে গিয়েছিল নদীর চরে। আরোহী দম্পতি আঁতকে উঠেছিল— আঃ! আমরা যাচ্ছি কোথায়?
ড্রাইভার উপেন ভ্রুক্ষেপ না করে গাড়ি চালাতে চালাতে বলেছিল, স্যার, বিডিও অফিস, কোয়ার্টার সবই নদীর ওপারে।
চরের মধ্য দিয়ে চলল জিপটা। দু’ধারে বিস্তীর্ণ তরমুজ খেত। মাঝখান দিয়ে ছোট গাড়ি, ভ্যান রিকশ যাতায়াতের খড় বিছানো রেক। জিপটা এসে দাঁড়াল দেড়শো দু’শো মিটার অগভীর নদী-ধারার কাছে। একটা দেশি নৌকা গোটাকয়েক যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেল, কিছু সময় পর মাড়টা ভিড়ল। দু’টি বড় নৌকা পাশাপাশি বেঁধে কাঠের পাটাতন দিয়ে মাড় তৈরি হয়। মাড় থেকে কয়েকটি তামাক বোঝাই রিকশভ্যান নামতেই জিপটি পাটাতনে উঠে গেল। উপেন স্টার্ট বন্ধ করে বলল— স্যার, মানসাই এখানে সিঙিমারি। মাসখানেক এভাবে যাতায়াত করা যাবে, এপ্রিল-মে মাসে পাহাড় থেকে সাপের ফণার মতো জল নামবে। নদী ফুঁসবে, দুই কিলোমিটার চওড়া হয়ে যাবে। প্রতি বর্ষায় একটা না একটা নৌকা ডুববেই। লাশ ভেসে যায় বাংলাদেশে। কবে যে ব্রিজটা শেষ হবে।
চোখের সামনে নদীর বুকে জোড়া পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি নির্মীয়মান সেতু। শেষ হতে অনেক বাকি। অ্যাপ্রোচ রোডও হয়নি।
মন্দার বলল, তুমি সেদিন খেয়াল করোনি সিমো, চর জুড়ে সবুজ তরমুজ পাতায় সন্ধ্যা নামছিল। জাগাই টুঙ্গিতে কেউ একজন দোতারা বাজাচ্ছিল। জল ছুঁয়ে সুর ছড়িয়ে পড়ছিল চারদিকে।
—কলকাতা থেকে আসা নতুন বউয়ের মাথায় তখন ওসব যায় বাবু? গুগল ঘেঁটে দেখেছিলাম, জায়গাটার আড়াই দিক বাংলাদেশ। কাঁটাতারের ঘেরে কেমন বন্দি বন্দি। অন্যদিকে নদীতে বিচ্ছিন্ন একটা দ্বীপের মতো। মনে হচ্ছিল নির্বাসনে যাচ্ছি। আমার কেমন কান্না পাচ্ছিল।
—এখন কেমন লাগে?
—মাঝে মাঝে বেশ লাগে। মানুষগুলো কত সরল সুন্দর। আবার ফাঁক পেলেই নির্জনতা চেপে বসে।
কলিং বেল বেজে উঠল। রবিবারের বারবেলা। তারা দু’জনেই গেল বারান্দায়। গ্রিলের ফাঁক দিয়ে দেখল, এক অভাবী চেহারার মধ্য চল্লিশের মহিলা দাঁড়িয়ে আছে। মন্দার বলল, ভিতরে আসুন।
সে কাঁচুমাচু মুখে বলল— না থাক স্যার, মুই এত্তি থাকি কই।
—বলুন।
—স্যার, মুই আষাঢ়ু বর্মনের বউ।
মন্দারের চোয়াল শক্ত হল, প্রত্যেক অফিসে নাকি এমন দু’চারজন আষাঢ়ু থাকে। বিপদে পড়লেই বউ পাঠায় উদ্ধার করতে। সে ভারী গলায় বলল, আষাঢ়ু আপনাকে পাঠিয়েছে অফিস সামলাতে?
—না স্যার, অয় না খায়ি মরে গেইলেও হামাকে পাঠাবে না। ছেলেটাও হয়েছে বাপোই মতন, খিদায় কুঁকড়ে গেইলেও মুখ ফুটি খিদার কথা কবে না। কিন্তু মুই তো মা, সইহ্য করতে পারি নাই।
—ঠিকঠাক অফিস করলেই তো সব সমস্যা মিটে যায়।
আষাঢ়ুর বউ চুপ করে রইল।
মন্দার জিজ্ঞেস করল, তা সংসার চলে কী করে?
—যা একটু জমি জিরাত আছে মুই চাষ করি, মুই অন্যের জমিতেও মুনিস খাটি। ওঁর গান শুনে কেউ কেউ কিছু দেয় কখনও। সংসার কী আর চলে, খুড়াইয়া খুড়াইয়া চলে স্যার।
—বুঝেছি বাবু সারাক্ষণ গান করে বেড়ায়। মন্দার শ্লেষের স্বরে বলল।
গান ছাড়ি ও কিছু বোঝে না। আষাঢ় মাসে জন্মেছিল বলি ওঁর নাম আষাঢ়ু। মানুষির দুখে ওঁর বৃষ্টির মতো মায়া ঝরে। গান গাইয়া তাদের দুখ ভুলাইতে চায়। ভাওয়াইয়া গাইলে ও সব কিছু ভুলি যায়। গান গাইতে যেদিক ইচ্ছা চলি যায়। বাংলাদেশেও যাইত, এখন কাঁটাতারের বেড়ার জন্য যাইতে পারে না। দোতারা নিয়া নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাঁটাতারের এপাশে বসে ভাওয়াইয়া গায়। কাঁটাতারের ফাঁক গলে ওপারে চলি যায় মহিষাল বন্ধুর গান। বর্ডারের লকলা যে বড় দুখ। মুই আর কিছু কই না, গান গাইয়া লোকটা যদি ভালো থাকে থাকুক।
মন্দার-সেমন্তীর মুখে রা নেই। মানুষের দুঃখ বোধকে ধারণ করে কীভাবে বেঁচে আছে আষাঢ়ু। মন্দার জিজ্ঞেস করল, আপনি কেন এসেছেন?
—স্যার, গানের টানে মানুষিটা মাসখানেক অফিস করে। আগের বিডিও’রা এ ক’দিনের বেতন দিতেন। ছেলেটার মুখে দু’দিন কিছু পড়েনি। আষাঢ়ুর বউ আঁচল দিয়ে চোখ মুছল।
মন্দার ঘর থেকে একটি দু’হাজার টাকার নোট এনে তাকে দিয়ে বলল— কাল অফিসে আসবেন। ক্যাশিয়ারকে বলব, বাদবাকি হিসেব করে দিয়ে দিতে।
জ্যৈষ্ঠের ভ্যাপসা গরমটা দু’এক পশলা বৃষ্টি পড়তেই উধাও। বিকালে জানলায় বসে স্বামী-স্ত্রী দেখছিল সবুজ মাঠঘাট। সময় পেলে তারা জানলায় বসে। কোয়ার্টার গা ঘেঁষেই চাষের জমি। পাটের চারায় মাঠময় সবুজ। চারাগুলো কোমরের নীচে হবে। মৃদু কচি চারার সবুজ মাথা দুলছে। বেশ লাগছে কর্তা-গিন্নির। হঠাৎ সেমন্তী বলল— শোনো, একটা কচি গলা ভেসে আসছে না?
—হ্যাঁ, কিন্তু কে গাইছে, দেখতে পাচ্ছি না তো।
—গানটা এগিয়ে আসছে। আঃ কী চমৎকার ভাওয়াইয়া গাইছে!
দু’জনের চোখ পাটখেতের মাথায় গানের উৎস খুঁজল। না, কোথায়ও জনপ্রাণীর দেখা নেই। গানের কলি ক্রমশ এগিয়ে আসছে। মন্দার তড়াক করে লাফিয়ে উঠল— দেখো, দেখো সিমো, মাটি ফুঁড়ে শিল্পী গজাচ্ছে।
—সত্যি, চোখকে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। কী বিভোর, কী সুন্দর!
একটি ছয়-সাত বছরের বাচ্চা পাটখেতের আলপথ ধরে এগিয়ে আসছে। একটু আগেও কচি পাটচারায় ঢেকেছিল তার উচ্চতা।
সেমন্তী বলল— বাচ্চাটাকে ডাকো না প্লিজ, ওকে একটু আদর করি।
মন্দার ডেকে নিয়ে এল ছেলেটিকে। সেমন্তী তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞেস করল— কোথায় থাকিস রে সোনা?
ছেলেটির তখনও গানের ঘোর কাটেনি। সে বাঁ-হাত তুলে বলল ওইঠে।
—তোকে কে গান শেখায়?
—কেউ না। বাবার গান শুনি শুনি গাই।
তখনই আষাঢ়ুর বউ হন্তদন্ত হয়ে এসে হাজির। সে হাঁপাতে হাঁপাতে বলল— বুধু, আপনাদের এখানে? কাউরে কিছু না কইয়া অনেক আগাড়ি বারাইছে।
স্বামী-স্ত্রী বিস্মিত গলায় বলে উঠল, ও তোমার ছেলে?
—আষাঢ়ুর পোলা। ভয়টা তো সেখানেই, ও গান গাইলে সবকিছু ভুলি যায়। বাড়ির পথ পর্যন্ত ভুলি যায়।