সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
আমরা দেখেছি, সিএএ তাস একেবারে হাতে গরম রেজাল্ট দিয়েছিল লোকসভার ভোটে। বাংলার ভোটে বিজেপির হঠাৎ অভাবনীয় উত্থানের পিছনে সিএএ তাস এবং মতুয়া ভোটের যে ভূমিকা বিরাট ছিল তা এখন দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, দু’বছর হতে চলল বিজেপির সেই প্রতিশ্রুতি আজও পূরণ হয়নি। ফলে, নাগরিকত্ব নিয়ে নিরন্তর প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে বিজেপিতে নাম লেখানো মতুয়া নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের। এনিয়ে এমপি শান্তনু ঠাকুর তো দীর্ঘদিনই বেসুরো। তাঁকে বাগে রাখতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে মাঝেমধ্যেই বেশ বেগ পেতে হয়। বিধানসভার ভোটে মতুয়া নেতৃত্বের উষ্মার প্রভাব যাতে না পড়ে তার জন্য অমিত শাহ আর এক চাল দেন। ১১ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরনগরে প্রচারে এসে করোনার দোহাই দেন। দাবি করেন, টিকাকরণের কাজ মিটলেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ২১ মার্চ ‘সংকল্পপত্র’ প্রকাশ করে আবার অন্য সুর ধরেছেন, দেখিয়ে দিয়েছেন নতুন বিজেপি মন্ত্রিসভাকে। কিন্তু সে তো এক বিরাট সম্ভাবনার কথা। ‘বাইশ মণ তেল পুড়বে আর রাধা নাচবে’র মতো বহু কোটি টাকার প্রশ্ন। এ গেল বাংলা বাজারের খেলা। অসমে ইস্তাহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে অমিত শাহ অনুপস্থিত। সেখানে পাঠানো হয়েছিল নাড্ডাকে।
মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং বিজেপি অসম রাজ্য সভাপতি রঞ্জিৎকুমার দাশের উপস্থিতিতে নাড্ডা যে ইস্তাহার প্রকাশ করেছেন, তাতে সিএএ-র নামগন্ধ নেই। তাতে বলা হয়েছে এনআরসি নিয়ে যা-সব ভুলভ্রান্তি হয়েছে সেসব এবার সংশোধন করা হবে। অসমের সুরক্ষার জন্য ‘কারেকটেড এনআরসি’র উপর জোর দিয়েছে বিজেপির ইস্তাহার। তাদের লক্ষ্য, অনুপ্রবেশকারী মুক্ত অসম, যা ‘অহম সভ্যতা’কে সুরক্ষিত রাখবে। বিজেপির এই নির্লজ্জ দ্বিচারিতা বলে দিচ্ছে, মোদি-অমিত শাহ জুটি বাঙালি এবং অসমিয়া দু’টি জাতিকেই মিথ্যে কথা বলছে। তারা কারও জন্যেই কিছু করবে না। পাঁচবছর বিজেপির শাসনে থেকে মোহভঙ্গ হয়ে গিয়েছে অসমবাসীর। লোকসভা ভোটের সময় দেওয়া একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে কেন্দ্রীয় শাসক আস্থা হারিয়েছে বাঙালিরও। দুই প্রতিবেশী রাজ্যের মানুষ এই ভোটের আগে আরও ভালো করে চিনে নিতে পারছে ‘বেনিয়া’ পার্টিকে। কুসীদজীবীর মতো যে-কোনও মূল্যে মোটা লাভ ঘরে তোলার ভিতরেই যারা মোক্ষ দেখে থাকে, তাদের কাছে যস্মিন দেশে যদাচারের চেয়ে উত্তম দর্শন আর কী হতে পারে!