সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
কোভিড হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে হাসপাতালে যান উদ্ধব থ্যাকারে। এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি, মৃতের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন উদ্ধব। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ মোকাবিলা করতে গত বছর বেশ কিছু হাসপাতালকে করোনা আক্রান্তদের চিকিত্সা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এই হাসপাতালটি তার মধ্যে অন্যতম। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এর অনুমোদন রয়েছে। একটি মলের পাঁচ তলায় রয়েছে হাসপাতালটি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগুন প্রথমে লেগেছিল ওই মলের নীচের তলার অফিসে। সেখান থেকে হাসপাতালে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ধব বলেন, প্রত্যেককেই উদ্ধার করার সবরকম চেষ্টা করা হয়েছিল। গোটা প্রক্রিয়ায় কিছুটা সময় লেগে যায়। এর ফলে ভেন্টিলেটরে যাঁরা ছিলেন, দুর্ভাগ্যবশত তাঁদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তবে গোটা ঘটনার তদন্ত হবে। দোষীদের কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না। সেই সঙ্গে, এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার পরিজনের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের জেরে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৭০-এর বেশি রোগীকে উদ্ধার করে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মুম্বইয়ের ওই কোভিড হাসপাতালে আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকলের ২৫টি ইঞ্জিন সেখানে পৌঁছয়। পাঠানো হয় ১৫টি জলের ট্যাঙ্কও। আহতদের উদ্ধার করে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। দমকল কর্মীরা বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করেন।
ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মুম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পেডনেকার। কীভাবে একটি মলের মধ্যে হাসপাতাল চলছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি বলেন, এই প্রথম একটি মলের মধ্যে হাসপাতাল দেখলাম। এক প্রশাসনিক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই মলে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা নিয়ে গত বছরই নোটিস দিয়েছিল বিএমসি। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের জেরে ১০ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর হাসপাতালের পাশাপাশি প্রশাসনিক গাফিলতি নিয়েও হাজারো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।