সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে এদিন ওই বিজেপি নেতার মৃত্যু রহস্যের তদন্তের তদারকি করতে কোচবিহারে আসেন বিশেষ পুলিস অবর্জাভার বিবেক দুবে। কোচবিহার রেঞ্জের আইজি, ডিআইজি, এসপি সহ দিনহাটার থানার আইসিকেও ডেকে তদন্তের বিষয়ে খোঁজখবর নেন তিনি।
গত বুধবার সকালে দিনহাটায় অমিত সরকারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিস। তারপর তা পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে। কিন্তু এখনও সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হয়নি বলে অভিযোগ। এই প্রসঙ্গ তুলে এদিন উদয়নবাবু বলেন, মৃতের জামার পকেট থেকে উদ্ধার হওয়া ‘চিরকুট’-এ যেসব বিজেপি নেতানেত্রীর নাম লেখা ছিল, তাদের ডেকে পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ করছে না কেন? তা হলেই তো আসল ঘটনা সামনে চলে আসবে। বৃহস্পতিবারও তিনি একই দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে চিরকুটে নাম থাকাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি বলে এদিন অভিযোগ করেন উদয়নবাবু।
তাহলে কি পুলিস সঠিকভাবে তদন্ত করছে না? এই প্রশ্নের উত্তরে উদয়নবাবু বলেন, এখনও পর্যন্ত তার নমুনা আমরা পাচ্ছি না। যদিও এনিয়ে পুলিসকর্তারা শুক্রবারও মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন। ফলে তাঁদের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে উদয়নবাবু সিসিটিভির ফুটেজের কিছু ছবি দেখান। সঙ্গে উদ্ধার হওয়া চিরকুটের নীচে যে অমিত সরকারের সই রয়েছে, তা সঠিক বলে দাবি করে বলেন, গত ১৭ মার্চ দিনহাটা পুরসভায় পানীয় জলের জন্য ট্যাঙ্কের আবেদন করেছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁর সেই আবেদনপত্রের নীচে থাকা সইয়ের সঙ্গে ওই চিরকুটের সই এক বলে দাবি করেন তিনি।
তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ প্রসঙ্গে দিনহাটার বিজেপি নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, সাংবাদিক বৈঠক করে কী লাভ? উনি লিখিতভাবে তদন্তের দাবি জমা দিন। তাহলেই বোঝা যাবে।
এদিকে,এদিন বিকেলে দিনহাটা শহরে শান্তি মিছিল করে তৃণমূল। ওই মিছিলে যোগ দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতীম রায়, দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ সহ দলীয় নেতৃত্ব। অন্যদিকে, এদিন দিনহাটা শহরে সংযুক্ত মোর্চার নেতা আব্দুর রউফ, কেশব রায়ের নেতৃত্বে আলাদাভাবে শান্তি মিছিল হয়।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে দিনহাটার পশু হাসপাতাল থেকে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি অমিত সরকারের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সরব হয় বিজেপি। তাদের অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।