সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজার, গ্যারেজ মোড় এলাকায় এমন ফ্লেক্স দেখা যায়। সেখানে লেখা রয়েছে, ধর্ষকের কাকাকে একটি ভোটও নয়। চরিত্রহীন প্রার্থী মানছি না, মানব না। সবুজ ও গেরুয়া রঙের এই ফ্লেক্সের নীচে লেখা রয়েছে, সৌজন্যে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির আদি বিজেপি কর্মীবৃন্দ। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ধর্ষণে অভিযুক্ত গলসির বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধেও ‘ধর্ষককে ভোট নয়’ বলে পোস্টার পড়েছিল। তারপর দুর্গাপুরের এই ফ্লেক্স রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলেছে কেন্দ্রের শাসক দলকে। ধর্ষণের অভিযোগের পাশাপাশি এদিন খোদ স্টিল সিটিতেই আদি বিজেপি ব্যনার টাঙালে তাতেও চিন্তা বাড়ে গেরুয়া শিবিরে।
যদিও বিজেপি প্রার্থী লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, এটা তৃণমূলের ষড়যন্ত্র। আমি প্রার্থী হওয়ায় একজন বিজেপি কর্মীও অখুশি হননি। তৃণমূল প্রমাণ করুক কোন্ কর্মী অসন্তুষ্ট। হারের ভয়ে ওরা এখন এসব করছে। প্রসঙ্গত, বিজেপি জেলা সভাপতি থাকাকালীন লক্ষ্মণবাবুর ভাইপোর বিরুদ্ধে এক দলীয় নেতার মেয়েকেই পার্কে নিয়ে গিয়ে নেশার দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। এরপর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক। বাড়িতে ফেরার নোটিসও লাগানো হয়েছে। এবার সেই বিষয়টি ফ্লেক্সের মধ্যে প্রকাশ্যে আনলেন আদি বিজেপি কর্মীরা। যদিও কে বা কারা এই ফ্লেক্স দিয়েছে তা জানা যায়নি। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির প্রার্থী তালিকা মেনে নিতে পারেনি অনেক আদি বিজেপি কর্মীই। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কর্মীদের বাদ দেওয়াতেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে। এর পিছনে তৃণমূলের ষড়যন্ত্র দেখছে বিজেপি। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যেভাবে প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে শিল্পাঞ্চলও তাঁর ব্যতিক্রম নয়। বিদ্রোহীদের নানা টোপ দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করলেও বিক্ষোভের আগুন মাঝে মধ্যেই বেরিয়ে পড়ছে। গলসির পর দুর্গাপুরের ঘটনা তারই প্রমাণ। এসম্পর্কে দুর্গাপুর পশ্চিমের তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বনাথ পাড়িয়াল বলেন, এটা বিজেপির আভ্যন্তরীণ বিষয়। তবু স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষজন যে ওদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন এটা সবাই দেখছেন। সারা রাজ্যের সঙ্গে দুর্গাপুর পশ্চিমেও ওদের বিরোধ তুঙ্গে।
এরই মধ্যে দুর্গাপুর পূর্বের বিজেপি প্রার্থী দীপ্তাংশু চৌধুরী কাঁকসা থানার বামুনয়াড়ায় প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন। গ্রামবাসীরা তাঁর কুশপুতুল দাহ করেন বলে অভিযোগ। তাঁদের দাবি, ক’দিন আগেই যিনি তৃণমূলের হয়ে এসেছিলেন তিনিই আবার বিজেপির হয়ে আসছেন। আমরা এসব মানব না। এখানেও তৃণমূলের চক্রান্তর কথা বলেছে বিজেপি।