সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
দীপঙ্করবাবুর স্ত্রী রীতাদেবী বলেন, বুধবার স্বামীর পরিচিত এক মহিলা আমাদের বাড়িতে এসেছিল। তিনি সম্পর্কে আমার স্বামীর পাতানো বোন। তিনি আমাদের বাড়িতেই ছিলেন। সন্ধ্যার দিকে একটি ফোন আসে। তারপরই প্রতাপকে সঙ্গে নিয়ে ওরা অন্য আর এক বন্ধুকে স্টেশনে আনতে যাবে বলে বের হয়। কিন্তু রাতে কেউ বাড়ি ফেরেনি। এমনকী, ওদের দু’জনেরই ফোন সুইচড অফ ছিল। দেহ উদ্ধারের পর থানায় যাওয়ার পথে ওই মহিলা অন্যত্র চলে যান। তবে শুনেছি তিনি কলকাতায় কাজ করেন।
তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে, যে বন্ধুকে আনার জন্য দীপঙ্কর ও প্রতাপ বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল সেই বন্ধুর সঙ্গে আগে ধান মিলে কাজ করত। কিন্তু বর্তমানে ওই বন্ধু কলকাতায় একটি কোম্পানিতে কাজ করছেন। ওই মহিলা এবং তৃতীয় বন্ধুর মধ্যে কোনও যোগ সূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। এছাড়া, ওই যুবকের বাড়ি মৃতদের পাশের গ্রামেই। যদিও তৃতীয় যুবকের পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছে, গত সোমবার ছেলে কলকাতায় কাজে গিয়েছে। তারপর থেকে সে আর বাড়ি আসেনি।
তদন্তকারীদের দাবি, পুরনো কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে এমন ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাছাড়া, খুনের ধরন থেকে এটা পরিষ্কার, দুষ্কৃতীরা মৃতদের পূর্ব পরিচিত। মেথিডাঙার বাসিন্দাদের অনেকেই বলেন, যে বাগান থেকে দেহগুলি উদ্ধার হয়েছে সেই জায়গা বাইরের লোকজনের পক্ষে চেনা সম্ভব নয়। শুক্রবার সকাল থেকে বেশ কয়েকবার তদন্তের কাজে দফায় দফায় ওই কলাবাগানে যান পুলিস আধিকারিকরা। তাঁরা সেখান থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন।