Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মরণঝাঁপের জন্য তৈরি
তো? যে প্রশ্নটি গোপন
হারাধন চৌধুরী

ব্যাপারটা ধর্মীয় দীক্ষাগ্রহণের মতোই লাগছে। শৈব শাক্ত বৈষ্ণব যে-কোনও মতে দীক্ষা নিলে দাবি করা হয়—গুরুকে এই যে বকলম দেওয়া হল, এবার দীক্ষিত ব্যক্তি শুধু ‘তাঁকে’ ডাকবেন। গুরুর কাছে নিজেকে, নিজের ভালোমন্দের সবকিছু সমর্পণ করে দেবেন। দীক্ষিতের আর কোনও দায়িত্ব কর্তব্য করণীয় ভাবনা চিন্তা কিছু নেই। বাকিটা সব দেখে নেবেন গুরু একাই। দীক্ষিত ব্যক্তি এবং তাঁর পরিবার ও সমস্ত প্রিয়জনের ইহকাল পরকালের দায়িত্ব ওই গুরুই নিঃশর্তে গ্রহণ করলেন। 
বিজেপির তরফে প্রকাশিত ‘সোনার বাংলা সংকল্পপত্র ২০২১’-এর বক্তব্যও যেন তাই—শুধু ভোট দেওয়াটাই নাগরিকের ডিউটি! ভোটটা বিজেপিতে পড়ে গেল মানে ‘আমার সোনার বাংলা’র দশ কোটি মানুষের নো চিন্তা, স্রেফ ডু ফুর্তি! আর পরিবারটির গায়ে ‘শরণার্থী’ তকমা থাকলে তো সোনায় সোহাগা। মোদিরা দাবি করেছেন, ভারতের থেকেও এগিয়ে ভাবতে পারত যে বাংলা, সে আজ সবদিক থেকে পিছিয়ে গিয়েছে। তার জন্য বিজেপি বাদে পৃথিবীর (ভাবখানা সেরকমই) সব দলই দায়ী। অতএব বিজেপি এবার সবার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার মতো সুকঠিন কৃচ্ছ্রসাধনে ব্রতী হবে। মোদি-শাহ জুটিই ফিরিয়ে দেবেন বাংলার ও বাঙালির হৃতগৌরব। বাংলার মাটিতে ফিরে আসবে আইনের শাসন, যথার্থ সাম্য। প্রতিষ্ঠিত হবে সমস্ত ন্যায়, গণতন্ত্র ও বাক্‌স্বাধীনতার পরিবেশ। ‘আমরা এমন একটি সোনার বাংলা গড়তে চাই, যা সারা পৃথিবীর কাছে তার সংস্কৃতি এবং গৌরবময় ইতিহাসের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ ‘আমাদের বিশ্বাস শুধুমাত্র সোনার বাংলার পূর্বোদয় পারে ভারতের ভাগ্যোদয় নিশ্চিত করতে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে ভারতকে কি প্রকৃতরূপে আত্মনির্ভর করে তোলা যাবে?’ ‘এবার সোনার বাংলা এবার বিজেপি’ শিরোনামে মহিলা, যুব, কৃষক থেকে সমাজের সব শ্রেণির জন্য আর্থ-সামাজিক বিকাশের যে অপূর্ব ছবি তুলে ধরা হয়েছে তা রূপকথার গল্পেও দুর্লভ! রকমসকম বলছে, এই ইস্তাহার হল ভাগ্যের সেই চাকা যা শুধু সামনের দিকেই ঘুরতে জানে। কিন্তু বাঙালি অসহায়ের মতো দেখল—এত বড় বড় কথা উচ্চারণের জন্য মঞ্চে কোনও বঙ্গসন্তানকে পাওয়া গেল না, যা করার তা করলেন এক গুজরাতি ‘বেনিয়া’!
মানছি আইডিয়াই হল আসল। ভালো আইডিয়া না থাকলে ভালো কাজ করা যায় না। কিন্তু এই প্রসঙ্গে অনেক প্রশ্ন যে উঠে আসে। প্রথম প্রশ্ন, ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যের ‘মালিক’ তো মোদির দল। তাহলে ডবল ইঞ্জিনের সাহায্যে এই আইডিয়াগুলি ওই জায়গাগুলিতে রূপায়ণ করা হল না কেন? তাহলে তো এতদিনে ‘সোনার ভারত’ গড়ার কাজটা প্রায় সারা হয়ে যেত। বাংলা, কেরল, তামিলনাড়ু প্রভৃতি দু’-চারটি হতভাগা নাহয় বাদ থাকত। তারা নাহয় দেখে শিখত পরে। তাতে মোদিবাবুদের কাজটা অনেক সহজ হয়ে যেত। গোঁয়ার বাঙালিকে ভজাতে এত যাজন করতে হতো না, কিংবা দিনরাত এক করে ঘাম ঝরাতে হতো না, একবার এবাংলা আর একবার ওবাংলা দৌড়োদৌড়ি করতে হতো না। বাঙালির দুঃখে এতই যদি কাতর তাহলে অসমে বিজেপি সরকারের হাতে বাঙালি হিন্দুর যে হেনস্তা চলছে কয়েক বছর ধরে, তার জবাব কি দেবেন মোদি? কেন সেখানে লক্ষ লক্ষ নিরপরাধ বাঙালির জীবনে নিজভূমে পরবাসীর যন্ত্রণা নামিয়ে আনা হয়েছে? কেন এনআরসি, সিএএ হাতিয়ার করে সেখানকার নাগরিকদের বেনাগরিক করে তোলার চক্রান্তে লিপ্ত বিজেপি? অসমে সরকার গঠনের আগে বাঙালিদের কি এই ষড়যন্ত্রের কথা জানানো হয়েছিল যে অচিরে তাদের নরকযন্ত্রণা ভোগের জন্য প্রস্তুত হতে হবে? পশ্চিমবঙ্গীয়দের জন্য এই সতর্কবার্তা কি যথেষ্ট নয়? 
এই ইস্তাহারে (শব্দটি বোধকরি সজ্ঞানেই পরিহার করা হয়েছে, কারণ এটি অসংস্কৃত এবং আরবি) থুড়ি, সংকল্পপত্রে এত অজস্র স্বপ্ন বোনা হয়েছে যে মানুষ একজন্মে ভাবতেও পারে না, মনে রাখবে কী করে? এসবের ৯৯ শতাংশ অল্পদিনেই ভুলে যাবে মানুষ। বিজেপি সেটাই চায়। তাহলে পিঠ বাঁচাতে সুবিধে হয় বৈকি! কিন্তু মানুষ যে এখনও ভোলেনি মোদির দু’-একটি লম্বা-চওড়া ভাষণের সারাংশ: কেন্দ্রে ক্ষমতা পেলে বিদেশ থেকে সমস্ত কালো টাকা উদ্ধার করে আনব। প্রত্যেক নাগরিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা জমা করব। বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরি দেব। কালো টাকা কত উদ্ধার করে আনা হয়েছে? অরুণ জেটলি জবাব দিয়ে যাননি। নির্মলা সীতারামনও দেননি। শুধুই দেখলাম, কয়েকজন কুখ্যাত কালো টাকার কারবারি মসৃণ পথে বিদেশে চলে গেল। তাদের ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ মোদি সরকার। ফিরিয়ে আনা নিয়ে যা এখনও অবধি হয়েছে তা নিম্নমানের নাটক মাত্র। অতএব সবার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ক্রেডিট করার সংকল্প যে জবরদস্ত ধাপ্পা ছিল তা অনেক আগেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। বছরে ২ কোটি নতুন চাকরির বদলে মোদি জমানায় কত কোটি পুরনো চাকরি খোওয়া গিয়েছে, বিশেষত কোভিডকালে, তার হিসেব চাওয়ার সময় এখন। বাংলায় স্বচ্ছতার পাঠ চালু করার আগে পিএম কেয়ার্স ঘিরে ওঠা গুরুতর প্রশ্নগুলিরও জবাব দিন মোদি।  জবাব যতদিন না মিলবে ততদিন রাজনৈতিক প্রতারণায় নবতম সংযোজন হিসেবেই গণ্য হবে ৬৮ পাতার এই গাঁজাখুরি সংকল্পপত্রটি। 
বছর খানেক আগের ঘটনা। উত্তর শহরতলিতে এক গৃহকর্ত্রী রাস্তা থেকে জঞ্জাল কুঁড়িয়ে এনে 
নিজের বাড়ির ভিতরে জমা করতেন। বিকট গন্ধে 
ভরে উঠেছিল এলাকা। কিন্তু উৎস কী? প্রতিবেশীরা ধরতে পারছিলেন না। একদিন কেউ একজন 
আবিষ্কার করলেন। কিন্তু মহিলা কিছুতেই আবর্জনা ফেলবেন না। তাঁর বক্তব্য, আমার বাড়িতে আমি কী রাখব তা আমার ব্যাপার। তখন প্রতিবেশীরা বলেন, ‘‘গন্ধটাও তাহলে আপনার বাড়িতে আটকে রাখুন।’’ শেষমেশ ওই জঞ্জাল তাঁকে ত্যাগ করতেই হয়। 
পরে জানা যায়, মহিলা ভালো চাকরিজীবী হলেও 
এটা তাঁর একটা মানসিক ব্যাধি।
বাংলায় মজবুত সংগঠন তৈরির ব্যর্থতা ঢাকতেই ভোটের মুখে বিজেপিকে একাধিক দলের আবর্জনায় ঘর ভরাতে হয়েছে। দিকে দিকে দুর্গন্ধ এত ছড়িয়েছে যে ঘরের লোকদেরই ত্রাহি মধুসূদন দশা! বিজেপির থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বুঝে গিয়েছে, এই দৈন্য থেকে নিষ্কৃতি এখনই সম্ভব নয়। দুর্গন্ধ ঢাকার বিকল্প কৌশল নিতে চেয়েছিল কেউ কেউ, যে-কোনওভাবে শোর মাচানো। তাই অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়দের ছবি মুছে দেওয়ার হিড়িক তুলেছিল বিজেপি। কিন্তু এই সামান্য জিনিসে এত দুর্গন্ধ আড়াল করা যায়নি। বুঝতে অসুবিধা হয় না, তাই দম বন্ধ করা দুর্গন্ধ ঢাকতেই এই আকাশকুসুম ‘সংকল্পপত্র’ রচনা, পাতাগুলি বাংলার আনাচে-কানাচে উড়িয়ে দেওয়া। এছাড়া করার কিছুই ছিল না মোদি-শাহ জুটির।
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স এবং হিউম্যান ফ্রিডম ইনডেক্সের প্রশ্নে ভারতের মান সম্প্রতি অনেকটাই নেমে গিয়েছে। ইউএস থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘ফ্রিডম হাউস’-এর মতে, ভারতের মান নেমে গিয়েছে ‘ফ্রি’ ক্যাটিগরি থেকে ‘পার্টলি ফ্রি’ ক্যাটিগরিতে। আশঙ্কামতো এসবরেই প্রতিফলন মিলল সদ্য প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে। ২০ মার্চ ছিল আন্তর্জাতিক সুখ দিবস। ওইদিন প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, ১৪৯টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৩৯তম। প্রতিবেশী বাংলাদেশ (১০১) এবং পাকিস্তান (১০৫) এই প্রশ্নে আমাদের পিছনে ফেলে দিয়েছে। আরও এগিয়ে রয়েছে একনায়কের দেশ চীন (৮৪)। তালিকায় সবার উপরে ফিনল্যান্ড। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের মানুষকেই সবচেয়ে দুঃখী বলে চিহ্নিত করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই রিপোর্ট। আমরা তার থেকে মাত্র দশ ধাপ উপরে রয়েছি! ভারতবাসীকে আজ সান্ত্বনা পেতে হবে আফগানিস্তানকে সামনে রেখে—না, আমরা ওদের থেকে তো ভালো আছি! হায় মোদির সুশাসন!
বাঙালির সত্যিই দুর্ভাগ্য, এমন ট্র্যাক রেকর্ড যে নেতার তাঁর মেলে ধরা কল্পতরুপত্র দেখে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে—আমরা তাঁর পছন্দের কিছু লোকের হাতে আমাদের ভাগ্য আগামী পাঁচবছরের জন্য বন্ধক রাখব কি না।
দীক্ষাপ্রসঙ্গে ‘স্বামি-শিষ্য-সংবাদ’-এ বর্ণিত স্বামী বিবেকানন্দের কয়েকটি কথায় চোখ রাখা যায়: ১৩০৩ সালের ১৯ বৈশাখ। শিষ্যকে দীক্ষা দিতে রাজি হয়ে স্বামীজি ‘রহস্য’ করে বললেন, ‘‘আজ তোকে ‘বলি’ দিতে হবে—না?’’ এরপর স্বামীজি আমেরিকার নানা প্রসঙ্গ শোনালেন। তারপর জানালের ধর্মজীবন গঠনে কীরকম একনিষ্ঠ হতে হয়। গুরুতে কীরূপ অবিচল বিশ্বাস ও দৃঢ় ভক্তিভাব রাখতে হয়। গুরুবাক্যে কীরূপ আস্থা স্থাপন করতে হয়। এবং, গুরুর জন্যে প্রাণ পর্যন্ত বিসর্জনের জন্য কীভাবে প্রস্তুত হতে হয়। নানা প্রশ্ন করে স্বামীজি তাঁর হবু শিষ্যের মন পরীক্ষা করতে লাগলেন। একসময় বললেন, ‘‘যদি গঙ্গায় ঝাঁপ দিলে বা ছাদের উপর থেকে লাফিয়ে পড়লে তোর মঙ্গল হবে বুঝে তাই করতে বলি, তাহলে তাও অবিচারে করতে পারবি তো? এখনো ভেবে দেখ; নইলে সহসা গুরু বলে গ্রহণ করতে এগুসনি।’’
ভীষ্মের শরশয্যাপাশে উপস্থিত হলেন শ্রীকৃষ্ণ, জ্ঞাতিশোকে কাতর যুধিষ্ঠির প্রমুখ। শ্রীকৃষ্ণের অনুরোধে ভীষ্ম অবশেষে যুধিষ্ঠিরকে রাজার পালনীয় কিছু উপদেশ দিয়েছিলেন। তাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ ছিল—‘‘লোকসংগ্রহ অপেক্ষা রাজাদিগের পরম ধন আর কিছু নাই।’’ মোদিরা তাই কৌশলে বাংলার মানুষকে গেরুয়ামন্ত্রে দীক্ষিত করতে মরিয়া হয়ে উঠলেন। দীক্ষা নিতে বললেন, কিন্তু খোলসা করলেন না তাঁদের একান্ত প্রয়োজনে কখন বাংলার মানুষকে চোখ বুজে গঙ্গায় কিংবা ছাদ থেকে মরণঝাঁপ দেওয়ার নিদান ঘোষণা করবেন!   
24th  March, 2021
ভোটের হাওয়া বনাম বাস্তব
তন্ময় মল্লিক
 

চক্ষু ও কর্ণের অবস্থান পাশাপাশি হলেও তাদের বোঝাপড়ার বড় অভাব। তাই উভয়ের মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকে। পারস্পরিক বিদ্বেষ যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আর ভোটের সময় সেই বিবাদ ওঠে চরমে। বিবাদ যত বাড়ে, মানুষের মন ততই অস্থির হয়।   বিশদ

সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য ও
মহামান্য আদালতের সাম্প্রতিক রায় 
কান্তি গাঙ্গুলী

গত ১৬ মার্চ ম্যানগ্রোভ অরণ্য ধ্বংস নিয়ে এক নজিরবিহীন রায় দিয়েছে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে এক ডিভিশন বেঞ্চ। ঘোষিত রায় অনুযায়ী—সংরক্ষিত অরণ্য অঞ্চলের কোনও প্রকার ক্ষতিসাধন হয়, এমন কোনও ধরনের কাজ করা যাবে না এবং পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ, ব্যাঘ্র প্রকল্পের সংরক্ষিত অরণ্য অঞ্চল ও সংরক্ষিত বিশেষ ম্যানগ্রোভ অঞ্চল রক্ষার ক্ষেত্রে সামগ্রিক নীতি গ্রহণ করতে হবে।  
বিশদ

জঙ্গলমহলের হাসি যেন না মোছে!
মৃণালকান্তি দাস

দু’টাকা কেজি চাল পাচ্ছেন? পরিবারের স্কুল পড়ুয়ারা সবুজসাথীর সাইকেল পেয়েছে? আর সরকারি প্রকল্পে বাড়ি? জঙ্গলমহলের দোরে দোরে এসব প্রশ্ন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। খুঁটিনাটি তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। রাজ্য সরকারের খাদ্য প্রকল্পের কতটা পৌঁছেছে সাধারণ মানুষের কাছে? বিশদ

26th  March, 2021
বাংলার মানুষকে এবার
সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে
জহর সরকার

বাংলার ইতিহাসে কোনওদিন এরকম পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি যেখানে একটি দলের সম্পূর্ণ নির্বাচনী প্রচার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র  মন্ত্রী পরিচালনা করছেন এবং সিবিআই আর ইডি যাঁদের বিশেষ অস্ত্র। বাংলার বিজেপির এত নেতা থাকতেও কাউকে তাঁরা অধিনায়কত্বের উপযুক্ত খুঁজে পাচ্ছেন না। বিশদ

25th  March, 2021
দায় শুধু নেত্রীর নয়, কর্মীদেরও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কে সেই ‘আসল’ উপরতলা? এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। আধাসেনায় ছেয়ে যাচ্ছে ভোট-জেলাগুলি। প্রথম দফায় ৩০টা আসনে ভোট, তাতে কি লাখ খানেক জওয়ান থাকবে? কেন্দ্রীয় সরকার কী প্রমাণ করতে চাইছে, বাংলা যুদ্ধক্ষেত্র? বিশদ

23rd  March, 2021
জোট হল সহযোগিতার রাজনীতি
পি চিদম্বরম

একসময় একটা বলিষ্ঠ আইডিয়া বা মতাদর্শ বিভিন্ন রাজ্য, ভাষা, ধর্মবিশ্বাস ও বর্ণের মানুষকে এবং আর্থিকভাবে বিভক্ত নানা শ্রেণিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। এরকম এক একটা বেসিক আইডিয়া বা মতাদর্শের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলো তৈরি হয়েছিল। বিশদ

22nd  March, 2021
বিজেপি’র অনাচার থেকে
বাংলাকে বাঁচাতেই হবে
হিমাংশু সিংহ

একটা সামান্য তালিকা প্রকাশকে কেন্দ্র করে গেরুয়া শিবিরেই যেভাবে ব্যাপক গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে, তাতে আর ভরসা রাখা যাচ্ছে না। অর্থ আর ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে দল ভাঙানোর সীমাহীন অন্যায় এবার ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে বহিরাগত বর্গী, মেনন, দেওধরদের দিকেই। বিশদ

21st  March, 2021
শেষ পর্যন্ত কি খুলে গেল
ডাস্টবিনের ঢাকনা
তন্ময় মল্লিক

প্রার্থী নিয়েই যদি অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়, তাহলে জিতলে কী হবে? সেটা বুঝেই ‘বিজেপির চাণক্য’ গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক করেছেন। তাতেও সূত্র না মেলায় বাংলার নেতাদের দিল্লিতে তলব করেছেন। যে কোনও মূল্যে বিক্ষোভ সামাল দিতে চাইছেন। কিন্তু এ তো জয়নগরের মোয়া নয়, যে চাইলেই পাবে। প্রার্থী নিয়ে বিজেপির এখন শাঁখের করাতের অবস্থা। বিশদ

20th  March, 2021
স্বাস্থ্যসাথী, ২ টাকার চাল, কন্যাশ্রী 
কি বিজেপি বন্ধ করে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

সোনার বাংলা ব্যাপারটা ঠিক কী? আমরা তো ‘সোনার উত্তরপ্রদেশ’, ‘সোনার ত্রিপুরা’, ‘সোনার অসম’, ‘সোনার হরিয়ানা’, ‘সোনার মধ্যপ্রদেশ’ বলিও না। শুনিও না।  বিজেপি ক্ষমতায় এলে একটি রাজ্য যদি সোনার হয়ে যায়, তাহলে ২০১৮ সালে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও কেন মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের মানুষ বিজেপিকে হারিয়ে দিয়েছিল? বিশদ

19th  March, 2021
ব্যাঙ্ক, বিমা বেসরকারি হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে
সাধারণ মানুষ, বিপুল মুনাফা লুটবে কর্পোরেট
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ হলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে কোটি কোটি ছোট কৃষক, ছোট ব্যবসাদার, অল্প পুঁজির কারখানার মালিক, যাদের জন্য প্রত্যন্ত এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক শাখা চালু রয়েছে, ঋণ দিচ্ছে গ্রামে ছোট শহরে। এই শ্রেণি হারিয়ে যাবে আর্থিক উন্নয়নের মানচিত্র থেকে। বিশদ

18th  March, 2021
টিকিট-কোন্দলে গেরুয়া
শিবিরে নরক গুলজার
সন্দীপন বিশ্বাস

সবকিছু দেখে মোদি-শাহ জুটি এখন বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন, যে জুমলার জোরে অন্য রাজ্যে সরকার গড়া যায়, সেই একই জুমলায় পশ্চিমবঙ্গে কাজ হবে না। তাঁদের সব জুমলাবাজি রাজ্যের মানুষের কাছে ধরা পড়ে গিয়েছে। বিশদ

17th  March, 2021
বিশ্বাসযোগ্যতার দাঁড়িপাল্লায় ভোট রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কিছু মনে কোরো না বাবা, ভোটটা এবার তোমাদের দিতে পারব না। এখানে যে মমতা দাঁড়িয়েছে! অনেক করেছে মেয়েটা আমাদের জন্য। যদি ও না দাঁড়াত... অন্যরকম ছিল। বিশদ

16th  March, 2021
একনজরে
বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। শুক্রবার সকালেই ৭৫ বছরের কোবিন্দ বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তারপরই দিল্লির সেনা হাসপাতালে নিয়মমাফিক চেকআপে যান।  ...

একদিকে স্লোগান উঠল, চোর চোর চোরটা, শিশিরবাবুর ছেলেটা। অন্যদিকে উঠল, বিজেমুল ভোগে যাবে, লালে লাল বাংলা হবে। ব্যারিকেডের একপাশে সবুজ, অন্যপাশে লাল। শুক্রবার স্লোগানে মুখরিত ...

নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার দেওয়াল লিখন, পতাকা, ফেস্টুন, ব্যানার। নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই দলের কর্মীরা কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েন। ছড়া, ছবি, দলীয় প্রতীকের পাশাপাশি ...

মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় কর্মরত অবস্থায় একইসঙ্গে মৃত্যু হল তিন সিভিক ভলান্টিয়ারের। আহত হয়েছেন তাঁদেরই আরও ছয় সহকর্মী। শুক্রবার ভোররাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে কালিয়াচক থানার জালালপুরে ৩৪ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব থিয়েটার দিবস
১৮৪৫- এক্স-রশ্মির আবিষ্কারক ইউলিয়াম রন্টজেনের জন্ম
১৮৯৮- লেখক ও দার্শনিক সৈয়দ আহমেদ খানের মৃত্যু
১৯৬৬ - বিশিষ্ট শ্যামাসঙ্গীত শিল্পী পান্নালাল ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৬৮- বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু রুশ মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিনের  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.৭২ টাকা ৭৩.৪৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.১৫ টাকা ১০১.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৩.৯৫ টাকা ৮৭.০৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৫,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৩,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৩,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ চৈত্র ১৪২৭, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১। ত্রয়োদশী ১/২৫ প্রাতঃ ৬/১২ পরে চতুর্দ্দশী ৫৪/৩৩ রাত্রি ৩/২৭। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৩৫/৩৪ রাত্রি ৭/৫২। সূর্যোদয় ৫/৩৮/৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪০ গতে ১২/৫৫ মধ্যে, রাত্রি ৮/৮ গতে ১০/৩১ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩৯ মধ্যে পুনঃ ২/২৬ গতে ৪/১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/১৪ মধ্যে পুনঃ ৪/৮ গতে উদয়াবধি।  
১৩ চৈত্র ১৪২৭, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১। চতুর্দ্দশী রাত্রি ২/৪৫। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৫৮। সূর্যোদয় ৫/৪০, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩৫ গতে ১২/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১০ গতে ১০/২৯ মধ্যে ও ১২/২ গতে ১/৩৫ মধ্যে ও ২/২১ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/১১ মধ্যে ও ১/১৪ গতে ২/৪৫ মধ্যে ও ৪/১৬ গতে ৫/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৬ মধ্যে ও ৪/১১ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। 
১২ শাবান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাংলার কোথায় কত ভোট
আজ প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাঁকুড়ায় ৮০.০৩ ...বিশদ

05:48:16 PM

বিকাল ৫টা পর্যন্ত কত ভোট পড়ল
আজ প্রথম দফার নির্বাচনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ৩০টি আসনে ...বিশদ

05:42:11 PM

প্রার্থীপদ থেকে সরে দাঁড়াতে বলায় আত্মহত্যার হুমকি বিজেপি নেতার 
বিজেপি প্রার্থী হওয়ার পর সরে দাঁড়াতে বলায় আত্মহত্যার হুমকি। ঘটনাটি ...বিশদ

04:40:00 PM

নির্বাচন কমিশনে ২০৬টি অভিযোগ জমা পড়ল 
নির্বাচন কমিশনে ২০৬টি অভিযোগ জমা পড়ল। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে বেশি ...বিশদ

04:28:23 PM

পুরুলিয়ায় বেলা ৩ টে পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৯.৩১ শতাংশ

03:57:13 PM

বেলা ৩টে পর্যন্ত ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট পড়ল ৭০.১৭ শতাংশ 

03:57:09 PM