Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

টিকিট-কোন্দলে গেরুয়া
শিবিরে নরক গুলজার
সন্দীপন বিশ্বাস

গত ৪ মার্চ দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার বাড়িতে বসেছিল এই রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক। বিষয়, বিভিন্ন কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী ঠিক করা। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ। রাজ্যের তাবড় কয়েকজন বিজেপি নেতা উপস্থিত ছিলেন ওই বৈঠকে। তাঁদের মধ্যে একজন দলবদলু নেতা কেন্দ্রওয়াড়ি প্রার্থীর নাম লেখা একটা ফাইল এগিয়ে দিলেন অমিত শাহের দিকে। সেই ফাইলের প্রথম পাতায় চোখ বুলিয়েই ছুঁড়ে ফেলে দেন তিনি। রেগে গিয়ে বলেছিলেন, ‘আপনারা এই প্রার্থী তালিকা নিয়ে ভোটে জিততে চান?’ সবাই  চুপ। বেশ কিছু নাম কেটে দিয়ে অমিতজি বলেছিলেন, যেভাবে হোক আরও প্রার্থী খুঁজুন। সব কেন্দ্রে চেনা মুখ চাই। আরও নেতা নিয়ে আসুন। 
প্রার্থী খুঁ‌঩জতে গিয়ে বিজেপি যে সত্যিই দিশাহারা, তা এখন আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই তৃণমূল যখন তাদের সব প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে, মোর্চারও কম-বেশি হয়েছে, তখন বিজেপি প্রার্থী খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছে। দলের বেশ কয়েকজন এমপি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে প্রার্থী করে বিজেপি তাদের দেউলিয়াপনা বুঝিয়ে দিল। আরও বুঝিয়ে দিল মোদিজি কিংবা অমিত শাহ প্রচারে এসে যতই লম্ফঝম্প করুন না কেন, যতই তোপ দাগুন না কেন, সবটাই শূন্য কলসির শব্দ। তৃণমূলের দল এত ভেঙেও তারা ২৯৪ আসন ভরাতে পারছে না। অথচ তারাই আবার সরকার গড়ার স্বপ্ন দেখছে!  
তবে দ্বিতীয় পর্যায়ে দলবদলুদের কৃপায় মোটামুটি একটা প্রার্থী তালিকা তারা খাড়া করতে পেরেছে। তাদের অবস্থা কতটা অসহায়, তা বোঝা গিয়েছে যখন তারা বাধ্য হয়ে ৮৯ বছরের এক বৃদ্ধকে টিকিট দিল। সেই বৃদ্ধ প্রার্থী ক্যামেরার সামনে আবার বললেন, ‘আমি শরীরে বৃদ্ধ। হতে পারি কমজোরি, কিন্তু 
মনে আমি বৃদ্ধ নই।’ প্রার্থী তালিকাকে ঘিরে এখন 
যা অবস্থা, তাতে গেরুয়া শিবিরে আংশিক গৃহযুদ্ধ চলছে বলা যায়। এলাকায় এলাকায় আদি-নব্যের দ্বন্দ্ব, হুংকার, ট্রেনে গলা দেওয়ার হমকি, বিজেপি অফিস ভাঙচুর, আগুন, বড় বড় নেতাদের 
ঘেরাও—এসব চলছেই। টিকিট কেলেঙ্কারিকে কেন্দ্র করে আদি বনাম দলবদলুদের লড়াই ঘিরে বিজেপিতে এখন পুরো নরক গুলজার। 
এরপর হয়তো টিকিট না পাওয়া দলবদলু এবং টিকিট না পাওয়া আদি বিজেপিরা জোড়াফুলের 
দিকে যাত্রা করবেন। অনেকেই পুনর্মুষিক ভব হতে চলেছেন। কয়েকজন তো ইতিমধ্যেই দুয়ারে কড়া নাড়তে শুরু করেছেন। এখন তো সবে শুরু। পিকচার আভি বাকি হ্যায়। ২ মের পর এমন একটা দিন আসতে পারে, যেদিন সকাল থেকে কালীঘাটের বাড়িতে লাইন পড়বে ঘর ওয়াপসি নেতাদের। ঘরের বাইরে মমতার ছেড়ে রাখা চপ্পলে মাথা ছুঁইয়ে তাঁরা বলতে পারেন, আমরা দিদির স্বপ্নের বাংলা গড়ার শরিক হতে চাই। সৈনিক হতে চাই। আমরা আজ থেকে আবার দিদির অনুগামী। 
একটা জিনিস খেয়াল করেছেন কী, তৃণমূলের 
দুই এমপি দিদির ষষ্ঠীপুজো করে বিজেপি ভজনা করছেন। মমতার দয়া এবং দাক্ষিণ্যে অনেক ক্ষমতা বাগিয়েছেন, সাংসদ হয়েছেন। তাঁরা কিন্তু এখনও তৃণমূলের এমপি পদে ইস্তফা দেননি। অপেক্ষা করছেন। হাওয়া বুঝে নিতে চাইছেন। ২ মের পর মমতা তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হলে তাঁরা আবার সুড়সুড় করে বিদ্রোহের পতাকা গুটিয়ে নিয়ে আত্মসমর্পণ করে এমপি পদটা বাঁচিয়ে নেবেন। কালীঘাটে ধর্না দিয়ে বলবেন, দিদি, আমরা সপরিবারে আপনারই অনুগামী। 
সবকিছু দেখে মোদি-শাহ জুটি এখন বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন, যে জুমলার জোরে অন্য রাজ্যে সরকার গড়া যায়, সেই একই জুমলায় পশ্চিমবঙ্গে কাজ হবে না। তাঁদের সব জুমলাবাজি রাজ্যের মানুষের কাছে ধরা পড়ে গিয়েছে। তাই আমরা দেখতে পাচ্ছি বিজেপির সুপার স্টার অমিত শাহের সভায় ভিড় হচ্ছে না। গুলগাপ্পি মেরে সভা বাতিল করে ভার্চুয়াল বক্তৃতা করতে হচ্ছে তাঁকে। আবার যোগীর মতো একজন ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রীও এখানে এসে ভাষণে বলছেন, বিজেপি এখানে সোনার বাংলা গড়বে। ধর্ষণের স্বর্গরাজ্য উত্তরপ্রদেশের দিকে উনি ভালো করে একটু নজর দিন। কয়েকদিন আগের ঘটনা। উত্তরপ্রদেশের দশনা দেবী মন্দিরে এক মুসলিম যুবক তৃষ্ণায় কাতর হয়ে ঢুকে সেই মন্দির চত্বরের কল থেকে জল খেয়েছিলেন। তাই দেখে মন্দিরের কেয়ারটেকার তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করে। হায়রে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ! হায়রে ধর্মসহিষ্ণুতা! এরা আবার তৃষ্ণার্ত মানুষকে জলদানের আগে তার জাতপাত দেখে। এরা আবার হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে মন্দির তৈরি করে। পাশাপাশি দেশে ডিটেনশন ক্যাম্পও তৈরি করে। এরাজ্যের অনেক ভোটারই মনে করেন, বিজেপি কোনওভাবে এরাজ্যে ক্ষমতায় এলে এখানেও তারা অসমের মতো ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করে বহু মানুষকে সেখানে পুরে দেবে। কী হবে এখনও আমরা জানি না। তবে এটা জানি, যে ধর্মবোধ বিদ্বেষের জন্ম দেয়, যে ধর্ম মানবিকতা বিরোধী, সেই ধর্ম কেউ লালন করলে, সে সমাজবিরোধী ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই উত্তরপ্রদেশের একের পর এক ঘটনা আমাদের লজ্জায় ফেলে দেয়। আমাদের মনে ঘৃণার সঞ্চার করে। আমাদের মনে ক্রোধের উন্মেষ হয়। তাই আর একটা উত্তরপ্রদেশ আমরা চাই না। আর একটা ত্রিপুরা বা অসমও চাই না। আমরা বাংলাকে বাংলার মতো করেই গড়ে তুলতে চাই। বাংলার এই শান্তির নীড় যাতে কোনও ভণ্ড পরিযায়ী নেতার হাতে নষ্ট  না হয়, তা নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকতেই হবে। কেননা এখন থেকেই চাপা হুংকার শুরু হয়েছে। একদিকে এ রাজ্যে প্রয়োজনের বেশি আধা সামরিক বাহিনী পাঠিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে, এরাজ্য অশান্ত। অন্যদিকে, মোদিজির সভায় দাঁড়িয়ে মিঠুন চক্রবর্তীর মতো নেতা বলছেন, তিনি নাকি জাত গোখরো। তাঁর এক ছোবলেই সবাই ছবি হয়ে যাবে। কাকে এই হুমকি দিচ্ছেন তিনি? সারা জীবনে যতটুকু সম্মান তিনি বাংলার মানুষের কাছে পেয়েছেন, তার সবটাই তিনি ব্রিগেডের ওই মঞ্চে হারিয়ে ফেললেন। আর সেই ‘গোখরো’র হুমকি মঞ্চে বসে মুচকি হেসে উপভোগ করলেন মোদিজি। 
আর মোদিজি কী বললেন, বললেন এ রাজ্যকে তিনি বদলে দেবেন। স্মরণ করা যেতে পারে, দেশে ক্ষমতায় বসার সময় মোদিজি সুশাসন সহ অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু দিনের পর দিন দেখা গিয়েছে, তাঁর ছাতি ৫৬ ইঞ্চির হলেও ক্ষমতার কলসিতে ফুটো। সবকিছু আর তাঁর নাগালের মধ্যে নেই। সার্বিক অর্থেই দিশাহারা কেন্দ্র। তলিয়ে 
যাওয়া জিডিপি বাড়াতে মরিয়া ছিল বিজেপি। 
তাই সেখানে ব্যর্থ হয়ে অন্য জায়গায় জিডিপি বাড়ালেন মোদিবাবু। জি ফর গ্যাস, ডি ফর ডিজেল, পি ফর পেট্রল। বাড়িয়ে দিলেন এসবের দাম।  ব্যস কেল্লা ফতে। আহা, আমাদের দেশের জিডিপি বেড়ে গেল। এত যে মিথ্যার পরিবেশন, তাতে সম্ভ্রম 
বাড়ে না। রবীন্দ্রনাথ তাঁর প্রবন্ধে বলেছেন, ‘এত লোকের হিত কখনোই মিথ্যার দ্বারা হইতে পারে না। কারণ, মিথ্যা সীমাবদ্ধ।’
এবার নির্বাচনে জড়িয়ে যাচ্ছে অন্য আবেগ। দেশের মধ্যে থেকেও কোথায় যেন বাঙালি আজ তার সার্বভৌমত্ব হারানোর ভয় পাচ্ছে। তাই এবারের নির্বাচন শুধু একজন শাসককে ক্ষমতায় বসানোর লড়াই নয়। এবারের যুদ্ধ অনেকটাই আবেগের, যুক্তির। যার মধ্যে জড়িয়ে আছে বাঙালি জীবনের একান্ত স্বাধীনতা, তার সংস্কৃতির স্বাধীনতা, প্রবহমান ঐতিহ্যের স্বাধীনতা এবং জড়িয়ে আছে আত্মিক আবেগের স্বাধীনতার বোধও। সেই সংস্কৃতিকে বাংলার বুদ্ধিমান মানুষ নিশ্চয় বিপন্ন হতে দেবেন না। মমতার শক্তি কিন্তু তাঁর দলের নেতারা নন। 
মমতার শক্তি এ রাজ্যের জনগণ। যে জনগণ ছড়িয়ে আছে সিঙ্গুরে, আছে নন্দীগ্রামের ঘরে, আছে জঙ্গলমহলের সোনালি রোদের আল্পনা আঁকা উঠোনে, আছে নেতাইয়ের সবুজ মাঠে, বাঁকুড়ার পাতাছাওয়া ঘরে, রাঢ় বাংলার প্রান্তরে, মালদহের খেতে-খামারে, দুই ২৪ পরগনা, কোচবিহারের নারীশক্তির ভিতরে।  এক বৃহৎ শক্তির বিরুদ্ধে 
মমতা আজ একক যোদ্ধা। এবারের নির্বাচনে জয় পেলে তিনি হয়ে উঠবেন কিংবদন্তি নেত্রী। আবার সরকার পৌঁছে যাবে দুয়ারে। তাই তাঁর পাশ থেকে দু’চারজন স্বার্থান্ধ নেতার পলায়ন দেখে মানুষ কিন্তু বিভ্রান্ত হবেন না। মানুষ জানেন, জনপ্রতিনিধিদের আয়ু মাত্র পাঁচ বছর। কিন্তু জনগণেশই শেষ পর্যন্ত অসীম ক্ষমতার অধিকারী। তাই ভোটের আগেই আতঙ্ক গেরুয়া শিবিরে। মোদি-শাহর সভা থেকে এখনই কেন মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন, এটা জানার জন্য কোনও গবেষণার দরকার নেই। আসলে 
ফলেন পরিচিয়তে। সেই ফলের কটু স্বাদের পরিচয় তো আমরা সাত বছর ধরেই পাচ্ছি।    
17th  March, 2021
ভোটের হাওয়া বনাম বাস্তব
তন্ময় মল্লিক
 

চক্ষু ও কর্ণের অবস্থান পাশাপাশি হলেও তাদের বোঝাপড়ার বড় অভাব। তাই উভয়ের মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকে। পারস্পরিক বিদ্বেষ যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আর ভোটের সময় সেই বিবাদ ওঠে চরমে। বিবাদ যত বাড়ে, মানুষের মন ততই অস্থির হয়।   বিশদ

সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য ও
মহামান্য আদালতের সাম্প্রতিক রায় 
কান্তি গাঙ্গুলী

গত ১৬ মার্চ ম্যানগ্রোভ অরণ্য ধ্বংস নিয়ে এক নজিরবিহীন রায় দিয়েছে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে এক ডিভিশন বেঞ্চ। ঘোষিত রায় অনুযায়ী—সংরক্ষিত অরণ্য অঞ্চলের কোনও প্রকার ক্ষতিসাধন হয়, এমন কোনও ধরনের কাজ করা যাবে না এবং পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ, ব্যাঘ্র প্রকল্পের সংরক্ষিত অরণ্য অঞ্চল ও সংরক্ষিত বিশেষ ম্যানগ্রোভ অঞ্চল রক্ষার ক্ষেত্রে সামগ্রিক নীতি গ্রহণ করতে হবে।  
বিশদ

জঙ্গলমহলের হাসি যেন না মোছে!
মৃণালকান্তি দাস

দু’টাকা কেজি চাল পাচ্ছেন? পরিবারের স্কুল পড়ুয়ারা সবুজসাথীর সাইকেল পেয়েছে? আর সরকারি প্রকল্পে বাড়ি? জঙ্গলমহলের দোরে দোরে এসব প্রশ্ন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। খুঁটিনাটি তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। রাজ্য সরকারের খাদ্য প্রকল্পের কতটা পৌঁছেছে সাধারণ মানুষের কাছে? বিশদ

26th  March, 2021
বাংলার মানুষকে এবার
সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে
জহর সরকার

বাংলার ইতিহাসে কোনওদিন এরকম পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি যেখানে একটি দলের সম্পূর্ণ নির্বাচনী প্রচার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র  মন্ত্রী পরিচালনা করছেন এবং সিবিআই আর ইডি যাঁদের বিশেষ অস্ত্র। বাংলার বিজেপির এত নেতা থাকতেও কাউকে তাঁরা অধিনায়কত্বের উপযুক্ত খুঁজে পাচ্ছেন না। বিশদ

25th  March, 2021
মরণঝাঁপের জন্য তৈরি
তো? যে প্রশ্নটি গোপন
হারাধন চৌধুরী

বাংলায় স্বচ্ছতার পাঠ চালু করার আগে পিএম কেয়ার্স ঘিরে ওঠা গুরুতর প্রশ্নগুলিরও জবাব দিন মোদি।  জবাব যতদিন না মিলবে ততদিন রাজনৈতিক প্রতারণায় নবতম সংযোজন হিসেবেই গণ্য হবে ৬৮ পাতার এই গাঁজাখুরি সংকল্পপত্রটি। বিশদ

24th  March, 2021
দায় শুধু নেত্রীর নয়, কর্মীদেরও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কে সেই ‘আসল’ উপরতলা? এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। আধাসেনায় ছেয়ে যাচ্ছে ভোট-জেলাগুলি। প্রথম দফায় ৩০টা আসনে ভোট, তাতে কি লাখ খানেক জওয়ান থাকবে? কেন্দ্রীয় সরকার কী প্রমাণ করতে চাইছে, বাংলা যুদ্ধক্ষেত্র? বিশদ

23rd  March, 2021
জোট হল সহযোগিতার রাজনীতি
পি চিদম্বরম

একসময় একটা বলিষ্ঠ আইডিয়া বা মতাদর্শ বিভিন্ন রাজ্য, ভাষা, ধর্মবিশ্বাস ও বর্ণের মানুষকে এবং আর্থিকভাবে বিভক্ত নানা শ্রেণিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। এরকম এক একটা বেসিক আইডিয়া বা মতাদর্শের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলো তৈরি হয়েছিল। বিশদ

22nd  March, 2021
বিজেপি’র অনাচার থেকে
বাংলাকে বাঁচাতেই হবে
হিমাংশু সিংহ

একটা সামান্য তালিকা প্রকাশকে কেন্দ্র করে গেরুয়া শিবিরেই যেভাবে ব্যাপক গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে, তাতে আর ভরসা রাখা যাচ্ছে না। অর্থ আর ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে দল ভাঙানোর সীমাহীন অন্যায় এবার ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে বহিরাগত বর্গী, মেনন, দেওধরদের দিকেই। বিশদ

21st  March, 2021
শেষ পর্যন্ত কি খুলে গেল
ডাস্টবিনের ঢাকনা
তন্ময় মল্লিক

প্রার্থী নিয়েই যদি অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়, তাহলে জিতলে কী হবে? সেটা বুঝেই ‘বিজেপির চাণক্য’ গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক করেছেন। তাতেও সূত্র না মেলায় বাংলার নেতাদের দিল্লিতে তলব করেছেন। যে কোনও মূল্যে বিক্ষোভ সামাল দিতে চাইছেন। কিন্তু এ তো জয়নগরের মোয়া নয়, যে চাইলেই পাবে। প্রার্থী নিয়ে বিজেপির এখন শাঁখের করাতের অবস্থা। বিশদ

20th  March, 2021
স্বাস্থ্যসাথী, ২ টাকার চাল, কন্যাশ্রী 
কি বিজেপি বন্ধ করে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

সোনার বাংলা ব্যাপারটা ঠিক কী? আমরা তো ‘সোনার উত্তরপ্রদেশ’, ‘সোনার ত্রিপুরা’, ‘সোনার অসম’, ‘সোনার হরিয়ানা’, ‘সোনার মধ্যপ্রদেশ’ বলিও না। শুনিও না।  বিজেপি ক্ষমতায় এলে একটি রাজ্য যদি সোনার হয়ে যায়, তাহলে ২০১৮ সালে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও কেন মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের মানুষ বিজেপিকে হারিয়ে দিয়েছিল? বিশদ

19th  March, 2021
ব্যাঙ্ক, বিমা বেসরকারি হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে
সাধারণ মানুষ, বিপুল মুনাফা লুটবে কর্পোরেট
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ হলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে কোটি কোটি ছোট কৃষক, ছোট ব্যবসাদার, অল্প পুঁজির কারখানার মালিক, যাদের জন্য প্রত্যন্ত এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক শাখা চালু রয়েছে, ঋণ দিচ্ছে গ্রামে ছোট শহরে। এই শ্রেণি হারিয়ে যাবে আর্থিক উন্নয়নের মানচিত্র থেকে। বিশদ

18th  March, 2021
বিশ্বাসযোগ্যতার দাঁড়িপাল্লায় ভোট রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কিছু মনে কোরো না বাবা, ভোটটা এবার তোমাদের দিতে পারব না। এখানে যে মমতা দাঁড়িয়েছে! অনেক করেছে মেয়েটা আমাদের জন্য। যদি ও না দাঁড়াত... অন্যরকম ছিল। বিশদ

16th  March, 2021
একনজরে
বড় জয় দিয়ে বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বের অভিযান শুরু করল ইংল্যান্ড। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ২১০তম স্থানে থাকা সান মারিনোকে পাঁচ গোলের মালা পরাল গ্যারেথ সাউথগেটের দল। ...

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। শুক্রবার সকালেই ৭৫ বছরের কোবিন্দ বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তারপরই দিল্লির সেনা হাসপাতালে নিয়মমাফিক চেকআপে যান।  ...

মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় কর্মরত অবস্থায় একইসঙ্গে মৃত্যু হল তিন সিভিক ভলান্টিয়ারের। আহত হয়েছেন তাঁদেরই আরও ছয় সহকর্মী। শুক্রবার ভোররাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে কালিয়াচক থানার জালালপুরে ৩৪ ...

বছর ঘুরে ফের বিশ্বের দুয়ারে করোনা-কম্পন শুরু। যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ব্রাজিলে। চড়চড় করে বাড়ছে সংক্রমণ। একদিনে লক্ষ পেরিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। আর করোনার ঠেলায় ফের কাঠগড়ায় প্রেসিডেন্ট জে বলসোনারো। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব থিয়েটার দিবস
১৮৪৫- এক্স-রশ্মির আবিষ্কারক ইউলিয়াম রন্টজেনের জন্ম
১৮৯৮- লেখক ও দার্শনিক সৈয়দ আহমেদ খানের মৃত্যু
১৯৬৬ - বিশিষ্ট শ্যামাসঙ্গীত শিল্পী পান্নালাল ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৬৮- বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু রুশ মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিনের  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.৭২ টাকা ৭৩.৪৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.১৫ টাকা ১০১.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৩.৯৫ টাকা ৮৭.০৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৫,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৩,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৩,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ চৈত্র ১৪২৭, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১। ত্রয়োদশী ১/২৫ প্রাতঃ ৬/১২ পরে চতুর্দ্দশী ৫৪/৩৩ রাত্রি ৩/২৭। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৩৫/৩৪ রাত্রি ৭/৫২। সূর্যোদয় ৫/৩৮/৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪০ গতে ১২/৫৫ মধ্যে, রাত্রি ৮/৮ গতে ১০/৩১ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩৯ মধ্যে পুনঃ ২/২৬ গতে ৪/১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/১৪ মধ্যে পুনঃ ৪/৮ গতে উদয়াবধি।  
১৩ চৈত্র ১৪২৭, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১। চতুর্দ্দশী রাত্রি ২/৪৫। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৫৮। সূর্যোদয় ৫/৪০, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩৫ গতে ১২/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১০ গতে ১০/২৯ মধ্যে ও ১২/২ গতে ১/৩৫ মধ্যে ও ২/২১ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/১১ মধ্যে ও ১/১৪ গতে ২/৪৫ মধ্যে ও ৪/১৬ গতে ৫/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৬ মধ্যে ও ৪/১১ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। 
১২ শাবান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাংলার কোথায় কত ভোট
আজ প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাঁকুড়ায় ৮০.০৩ ...বিশদ

05:48:16 PM

বিকাল ৫টা পর্যন্ত কত ভোট পড়ল
আজ প্রথম দফার নির্বাচনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ৩০টি আসনে ...বিশদ

05:42:11 PM

প্রার্থীপদ থেকে সরে দাঁড়াতে বলায় আত্মহত্যার হুমকি বিজেপি নেতার 
বিজেপি প্রার্থী হওয়ার পর সরে দাঁড়াতে বলায় আত্মহত্যার হুমকি। ঘটনাটি ...বিশদ

04:40:00 PM

নির্বাচন কমিশনে ২০৬টি অভিযোগ জমা পড়ল 
নির্বাচন কমিশনে ২০৬টি অভিযোগ জমা পড়ল। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে বেশি ...বিশদ

04:28:23 PM

পুরুলিয়ায় বেলা ৩ টে পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৯.৩১ শতাংশ

03:57:13 PM

বেলা ৩টে পর্যন্ত ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট পড়ল ৭০.১৭ শতাংশ 

03:57:09 PM