Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দায় শুধু নেত্রীর নয়, কর্মীদেরও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রণ খেতে গিয়ে দেখা হল এক শিক্ষকের সঙ্গে। পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি গ্রামে তাঁর শিক্ষকতা। প্রথম প্রশ্নটাই করলেন, ‘এবার ভোটে কী বুঝছেন বলুন তো? মমতা ব্যানার্জি কি ফিরবে?’ উত্তরটা শুনলেন বলেও মনে হল না। ধেয়ে এল আর একটা প্রশ্ন, ‘তৃণমূল ফিরলে আবার মুসলিম তোষণ বাড়বে না তো?’ অবাক করার মতো প্রশ্ন। জিজ্ঞাসা করলাম, ‘এমনটা মনে হচ্ছে কেন?’
—না... মানে লোকজন বলছে তো...!
—কী বলছে? কারা বলছে?
—গ্রামের ছেলেদের পড়াই। সেখানেই থাকি। দেখি তো... লোকজন আসে, ঘরে ঘরে যায়, সতর্ক করে দেয়... এবার ভোটটা বুঝে দিতে হবে বুঝলেন!’
—কারা সেই লোক?
—বিজেপি নয় কিন্তু! মানে বিজেপির পতাকা-টতাকা নিয়ে আসে না। বলে সমাজকর্মী। ওরাই এসব বলে।
—আপনার কী মনে হয়?
—বুঝি না। কিন্তু ওরা এত করে বলে... কিছু ব্যাপার তো নিশ্চয়ই আছে!
‘এত করে বলে’... এই কথাটার মধ্যেই কিন্তু সবটা লুকিয়ে। এই ‘এত করে বলা’টা শুরু হয়েছিল গত লোকসভা ভোটের আগে থেকেই। সংগঠন, রাজনৈতিক প্রচার... কিছুই নেই। কিন্তু একটা বিষয় আছে... ঘরে ঘরে পৌঁছে যাওয়া। দাওয়ায় বসে চারটি সুখ-দুঃখের কথা বলা। গোরুর রচনা এই ‘আনেওয়ালা’রা খুব ভালো জানেন। মানুষের না পাওয়া আর চাহিদার হিসেব কষে সোজা ধর্মীয় মেরুকরণে পৌঁছে যাওয়া। নাঃ... এঁরা কেউ কোনও পার্টির পতাকা হাতে আসেন না। অমুক পার্টির জন্য ভোটও চান না। তাও তাঁরা আসেন। জেলায় জেলায়। ঘরে ঘরে। তাঁদের কাছে ১০ টাকায় ধর্ম কিনতে পাওয়া যায়। না না, ভুল হল। তাঁরা তেমন কিছুও বলেন না। বাড়িতে বাচ্চা থাকলে হাতে একটা একলেয়ার্স ধরিয়ে দেন। আর বড়দের বোঝান... হিন্দুত্বই শেষ কথা। আপনাদের যদি ভালো লাগে, ১০ টাকার টিকিট কাটুন। রামমন্দির তৈরিতে কাজে লাগবে। কেউ কেউ তাঁদের ‘জ্ঞানগম্যি’তে খুশি হয়ে টিকিট কাটেন। তাঁরাও পালসটা বুঝে নেন... এই ঘর থেকে আসন্ন নির্বাচনে কটা ভোট নিশ্চিত হল। 
তাঁরা ঘরে ঘরে গিয়েছিলেন উনিশের লোকসভা ভোটের সময়ও। জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রামে... যেখানে ইন্টারনেট খুব সহজলভ্য নয়। তাঁরা বলেছিলেন, ‘কী করছেন! বিজেপিকে দিল্লির সরকারে আনতেই হবে। মোদিজি না ফিরলে দু’টাকার চাল বন্ধ হয়ে যাবে যে!’ মানুষ ভেবেছিল, সত্যিই হয়তো তাই! তাহলে ভোটটা মোদিজিকে দেওয়াই ভালো। 
প্রচার শুধু দেওয়াল লিখে হয় না। প্রচার শুধু রাস্তার ধার বরাবর পতাকা লাগিয়েও হয় না। প্রচার এভাবেও হয়। ঘরে ঘরে। কখনও কখনও মাইনে করা লোক দিয়েও। এক পরিচিত অধ্যাপক বলছিলেন, ‘আইটি সেল তো রয়েইছে। কিন্তু যেখানে ডিজিটাল পেনিট্রেশন নেই, সেখানে মাইনে করা লোক। মাস গেলে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা, আর ফিক্সড টার্গেট। প্রতি সপ্তাহে ১০০ পতাকা লাগানো, ২৫ থেকে ৩০টা ঘরে ভিজিট... এমন বেশ কিছু কাজ বেঁধে দেওয়া থাকে। এমনটাই বেশ কিছু জায়গা থেকে শুনেছি। সত্যি-মিথ্যা জানি না ভাই! কিন্তু এত যখন রটেছে, কিছু তো ঘটছেই!’
কিছু নয়, ঘটছে অনেক কিছুই। আচমকাই এই নির্বাচন বেশ ‘হ্যাপেনিং’ হয়ে উঠেছে। সিপিএমের ভোট প্রচার পর্যন্ত এবার বদলে গিয়েছে বিলকুল। হাল্লা গাড়ি ছুটছে, টুম্পা সোনা পার্ট-টুও বেরিয়ে গিয়েছে, সঙ্গে অভিনব সব পোস্টার। বার্ধক্যের আড় ভেঙে ভোটারমুখী হচ্ছে বামেরা। গেরুয়া থেকে লাল... প্রত্যেকেই চেষ্টা করছে নিজের নিজের মতো। আর তৃণমূল? আজও সেই এক মাধ্যমে বিশ্বাসী—মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেত্রী আসবেন, সভা করবেন, মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন, আর ভোটটা টুপ করে এসে পড়বে ২৯৩ জন প্রার্থীর ঝুলিতে (এবার অবশ্য মমতা ২৯০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। আর জয়পুরে তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। অর্থাৎ, আসন সংখ্যা ২৮৯)। একটা আসন তো মমতার নিজের! ও নিয়ে চিন্তা নেই! কিন্তু একটা বিষয় পরিষ্কার হওয়া দরকার, দায়টা একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়। ঘরে ঘরে প্রচারের কাজটা তিনি করবেন না। সেটা করতে হবে সাধারণ কর্মীদেরই। উন্নয়ন বনাম... এটাই তো ছিল এবার ভোটে তৃণমূলের ক্যাচলাইন! সেই বার্তাটা কি ঘরে ঘরে পৌঁছচ্ছে? হয়তো পৌঁছচ্ছে... কিন্তু তা কি যথেষ্ট হচ্ছে? না হচ্ছে না। হলে তার প্রভাবটা সাদা চোখে ধরা পড়ত। অনেক বেশি ‘ভোটারভেদী’ শক্তি প্রদর্শন এই মুহূর্তে করছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের কর্মীরা যদি মনে করেন, সুপ্রিমো বলছেন বলেই এবার ভোট মাখনের মতো মসৃণ... ভুল করবেন। ক্লাসের ফার্স্ট বয় যদি ওভার কনফিডেন্ট হয়ে পড়াশোনা ছেড়ে দেয়, তাহলে সে আর ফার্স্ট পজিশনে থাকবে না। থাকতে পারে না। এটাই অঙ্ক। আর এবার অঙ্ক বিধানসভা ভোটের। অনেক বেশি কঠিন এই সমীকরণ। 
হাই রোড থেকে লোধাশুলির দিকে ঢোকা মাত্র গাড়িটা আটকাল আধাসেনা... সাইড করুন। আমরা বলার চেষ্টা করলাম, প্রেসের গাড়ি দাদা। উনি নাছোড়বান্দা। এর আগেও বহু ‘নাকা’য় আটকানো হয়েছে, আর প্রেস লেখা দেখামাত্র ছেড়েও দিয়েছেন জওয়ানরা। তাঁরা কেউ বাঙালি ছিলেন না। এই বান্দা বাঙালি। সিনিয়র দাঁড়িয়ে রাস্তার ওপারে। ডিকি খুলে দেখলেন, গাড়ির নম্বর নিলেন, তারপর জিজ্ঞেস করলেন, ‘নাম কী?’ বলার ইচ্ছে ছিল, পুণ্ডরীকাক্ষ পুরকায়স্থ। যাই হোক, তারপরই ধেয়ে এল সংযুক্ত প্রশ্ন—‘ফোন নম্বর’? এটা উনি জিজ্ঞেস করতে পারেন না। খুব বেশি হলে দেখতে চাইতে পারেন পরিচয়পত্র। তেমন উনি করেননি। যত ‘এন্ট্রি’ হবে, উপরতলা থেকে হয়তো তত বেশি নম্বর পাওয়া যাবে! কে সেই ‘আসল’ উপরতলা? এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। আধাসেনায় ছেয়ে যাচ্ছে ভোট-জেলাগুলি। প্রথম দফায় ৩০টা আসনে ভোট, তাতে কি লাখ খানেক জওয়ান থাকবে? কেন্দ্রীয় সরকার কী প্রমাণ করতে চাইছে, বাংলা যুদ্ধক্ষেত্র? প্রতিবার ভোটে সমন্বয়ের দায়িত্ব থাকে রাজ্য পুলিসের উপর। এবার শোনা যাচ্ছে, স্থানীয় থানা থেকে ইতিমধ্যেই আধাসেনার পক্ষ থেকে এলাকার রুট ম্যাপ চাওয়া হচ্ছে। ১৫ দিন আগে থেকে টহল, আর হাতে রুটম্যাপ। বছরের পর বছর যে পুলিসবাহিনী রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করে, এই অবিশ্বাস নিশ্চয়ই তাদের প্রাপ্য নয়! তার উপর রয়েছে গাড়ির বায়না। এবার শুধু বড় গাড়িতে হবে না... চাই ছোট গাড়ি, এমনকী বাইকও। অলিগলিতে ঢুকে পড়বে বাহিনী। সাধারণ মানুষ ভয় পাবে বেরতে... ভোট দিতে। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ কি এটাই চান? এভাবেই তৈরি হবে সোনার বাংলা? আর বাঙালিদের কী হবে? যে বাঙালিদের এভাবে বন্দুকের নলের উপর দাঁড় করিয়ে ভোট দেওয়াবেন, তাঁরা পরবর্তীকালে আপনাদের খুব সুনজরে দেখবে তো?
নরেন্দ্র মোদি বাংলা দখল চাইছেন। কী আছে এই রাজ্যে? কোন অর্থনৈতিক স্বার্থ পরিপূর্ণ করতে পারবে বাংলা? তা সত্ত্বেও চাইছে বিজেপি। যেনতেনপ্রকারেণ। কারণ, এই ‘স্বপ্ন’ বাস্তব রূপ নিলে দু’টি সুবিধা হবে। প্রথমত, দেশের মানুষের কাছে প্রমাণ করা যাবে, মোদির জনপ্রিয়তায় ফাটল ধরেনি। আর দ্বিতীয়ত, ভারতে বাঙালিদের একটু এলিট ক্লাস হিসেবে গণ্য করা হয়। শুধু ভারতে বলা ভুল, গোটা বিশ্বেই বাঙালিদের খানিকটা এলিট বলে ‘বদনাম’ আছে। এই জাতটাকে মুঠোয় নিতে পারা মানে সমীকরণটা পরিষ্কার, তুমি আর এলেবেলে রাজনৈতিক দল নও। ভোটের ফল ঘোষণার দিন থেকে অভিজাত। তাই বারবার আসছেন মোদি। বারংবার ধর্না দিচ্ছেন অমিত শাহ। কিন্তু হাওয়া কোনদিকে? সত্যিই কি বিজেপির পক্ষে এতটাই জোরালো হাওয়া আছে? মানুষ সে কথা বলছে না। প্রশ্ন করলে সংশয়ের চোখে তাকাচ্ছে। যদি প্রচারে না হয়, মানুষের সমর্থনে না হয়, তাহলে কীভাবে হবে বাংলা জয়? 
ব্রহ্মাস্ত্র রয়েছে... মেরুকরণ। লড়াইটা এসে দাঁড়িয়েছে উন্নয়ন বনাম মেরুকরণে। সাধারণ মানুষ রাজনীতির কচকচি বোঝে না। সাধারণ লোক ভোট দিতে যাওয়ার সময় নিজেকে প্রশ্ন করে... এই পার্টিকে দিলে কী পাব? এই প্রার্থী আমার সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়াবে তো? উত্তর যাঁর পক্ষে ইতিবাচক, তিনিই ভোট পাবেন। রাজ্যের অর্ধেকের বেশি ভোটার ঠিক এটাই ভাবেন। তাঁদের ভাবনাকে প্রভাবিত করার জন্যই যাবতীয় প্রচার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও কেন্দ্রে সভা করলে অবশ্যই সেটা ফ্যাক্টর। কিন্তু সেটাই শেষ নয়। অন্তত এই ভোটে তো নয়ই। সেটাই বুঝতে হবে সাধারণ কর্মীদের। সমর্থকদের। এই মুহূর্তে তাঁদের ডিউটি একটাই, মমতার উন্নয়নকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।
আর হ্যাঁ, এবার ভোটের কিন্তু একটা বিশেষ চরিত্র দেখা যাচ্ছে... ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোটার মন খুলে কথা বলছেন না। কেউ বলছেন, ‘দেখি না কী হয়...।’ আবার কেউ বলছেন, ‘হাওয়া যা বইছে, ভোট তো সেদিকে নাও হতে পারে।’ ভোটারদের এই অংশটাই এবার নির্ণায়ক হতে চলেছে। তাঁরা ভোট দিতে যাওয়ার সময় নিজেদের কী প্রশ্ন করবেন? তাঁরা কি ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন’ চাইবেন? নাকি ভাববেন... সুখের চেয়ে স্বস্তিই ভালো।
23rd  March, 2021
ভোটের হাওয়া বনাম বাস্তব
তন্ময় মল্লিক
 

চক্ষু ও কর্ণের অবস্থান পাশাপাশি হলেও তাদের বোঝাপড়ার বড় অভাব। তাই উভয়ের মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকে। পারস্পরিক বিদ্বেষ যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আর ভোটের সময় সেই বিবাদ ওঠে চরমে। বিবাদ যত বাড়ে, মানুষের মন ততই অস্থির হয়।   বিশদ

সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য ও
মহামান্য আদালতের সাম্প্রতিক রায় 
কান্তি গাঙ্গুলী

গত ১৬ মার্চ ম্যানগ্রোভ অরণ্য ধ্বংস নিয়ে এক নজিরবিহীন রায় দিয়েছে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে এক ডিভিশন বেঞ্চ। ঘোষিত রায় অনুযায়ী—সংরক্ষিত অরণ্য অঞ্চলের কোনও প্রকার ক্ষতিসাধন হয়, এমন কোনও ধরনের কাজ করা যাবে না এবং পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ, ব্যাঘ্র প্রকল্পের সংরক্ষিত অরণ্য অঞ্চল ও সংরক্ষিত বিশেষ ম্যানগ্রোভ অঞ্চল রক্ষার ক্ষেত্রে সামগ্রিক নীতি গ্রহণ করতে হবে।  
বিশদ

জঙ্গলমহলের হাসি যেন না মোছে!
মৃণালকান্তি দাস

দু’টাকা কেজি চাল পাচ্ছেন? পরিবারের স্কুল পড়ুয়ারা সবুজসাথীর সাইকেল পেয়েছে? আর সরকারি প্রকল্পে বাড়ি? জঙ্গলমহলের দোরে দোরে এসব প্রশ্ন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। খুঁটিনাটি তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। রাজ্য সরকারের খাদ্য প্রকল্পের কতটা পৌঁছেছে সাধারণ মানুষের কাছে? বিশদ

26th  March, 2021
বাংলার মানুষকে এবার
সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে
জহর সরকার

বাংলার ইতিহাসে কোনওদিন এরকম পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি যেখানে একটি দলের সম্পূর্ণ নির্বাচনী প্রচার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র  মন্ত্রী পরিচালনা করছেন এবং সিবিআই আর ইডি যাঁদের বিশেষ অস্ত্র। বাংলার বিজেপির এত নেতা থাকতেও কাউকে তাঁরা অধিনায়কত্বের উপযুক্ত খুঁজে পাচ্ছেন না। বিশদ

25th  March, 2021
মরণঝাঁপের জন্য তৈরি
তো? যে প্রশ্নটি গোপন
হারাধন চৌধুরী

বাংলায় স্বচ্ছতার পাঠ চালু করার আগে পিএম কেয়ার্স ঘিরে ওঠা গুরুতর প্রশ্নগুলিরও জবাব দিন মোদি।  জবাব যতদিন না মিলবে ততদিন রাজনৈতিক প্রতারণায় নবতম সংযোজন হিসেবেই গণ্য হবে ৬৮ পাতার এই গাঁজাখুরি সংকল্পপত্রটি। বিশদ

24th  March, 2021
জোট হল সহযোগিতার রাজনীতি
পি চিদম্বরম

একসময় একটা বলিষ্ঠ আইডিয়া বা মতাদর্শ বিভিন্ন রাজ্য, ভাষা, ধর্মবিশ্বাস ও বর্ণের মানুষকে এবং আর্থিকভাবে বিভক্ত নানা শ্রেণিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। এরকম এক একটা বেসিক আইডিয়া বা মতাদর্শের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলো তৈরি হয়েছিল। বিশদ

22nd  March, 2021
বিজেপি’র অনাচার থেকে
বাংলাকে বাঁচাতেই হবে
হিমাংশু সিংহ

একটা সামান্য তালিকা প্রকাশকে কেন্দ্র করে গেরুয়া শিবিরেই যেভাবে ব্যাপক গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে, তাতে আর ভরসা রাখা যাচ্ছে না। অর্থ আর ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে দল ভাঙানোর সীমাহীন অন্যায় এবার ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে বহিরাগত বর্গী, মেনন, দেওধরদের দিকেই। বিশদ

21st  March, 2021
শেষ পর্যন্ত কি খুলে গেল
ডাস্টবিনের ঢাকনা
তন্ময় মল্লিক

প্রার্থী নিয়েই যদি অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়, তাহলে জিতলে কী হবে? সেটা বুঝেই ‘বিজেপির চাণক্য’ গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক করেছেন। তাতেও সূত্র না মেলায় বাংলার নেতাদের দিল্লিতে তলব করেছেন। যে কোনও মূল্যে বিক্ষোভ সামাল দিতে চাইছেন। কিন্তু এ তো জয়নগরের মোয়া নয়, যে চাইলেই পাবে। প্রার্থী নিয়ে বিজেপির এখন শাঁখের করাতের অবস্থা। বিশদ

20th  March, 2021
স্বাস্থ্যসাথী, ২ টাকার চাল, কন্যাশ্রী 
কি বিজেপি বন্ধ করে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

সোনার বাংলা ব্যাপারটা ঠিক কী? আমরা তো ‘সোনার উত্তরপ্রদেশ’, ‘সোনার ত্রিপুরা’, ‘সোনার অসম’, ‘সোনার হরিয়ানা’, ‘সোনার মধ্যপ্রদেশ’ বলিও না। শুনিও না।  বিজেপি ক্ষমতায় এলে একটি রাজ্য যদি সোনার হয়ে যায়, তাহলে ২০১৮ সালে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও কেন মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের মানুষ বিজেপিকে হারিয়ে দিয়েছিল? বিশদ

19th  March, 2021
ব্যাঙ্ক, বিমা বেসরকারি হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে
সাধারণ মানুষ, বিপুল মুনাফা লুটবে কর্পোরেট
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ হলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে কোটি কোটি ছোট কৃষক, ছোট ব্যবসাদার, অল্প পুঁজির কারখানার মালিক, যাদের জন্য প্রত্যন্ত এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক শাখা চালু রয়েছে, ঋণ দিচ্ছে গ্রামে ছোট শহরে। এই শ্রেণি হারিয়ে যাবে আর্থিক উন্নয়নের মানচিত্র থেকে। বিশদ

18th  March, 2021
টিকিট-কোন্দলে গেরুয়া
শিবিরে নরক গুলজার
সন্দীপন বিশ্বাস

সবকিছু দেখে মোদি-শাহ জুটি এখন বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন, যে জুমলার জোরে অন্য রাজ্যে সরকার গড়া যায়, সেই একই জুমলায় পশ্চিমবঙ্গে কাজ হবে না। তাঁদের সব জুমলাবাজি রাজ্যের মানুষের কাছে ধরা পড়ে গিয়েছে। বিশদ

17th  March, 2021
বিশ্বাসযোগ্যতার দাঁড়িপাল্লায় ভোট রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কিছু মনে কোরো না বাবা, ভোটটা এবার তোমাদের দিতে পারব না। এখানে যে মমতা দাঁড়িয়েছে! অনেক করেছে মেয়েটা আমাদের জন্য। যদি ও না দাঁড়াত... অন্যরকম ছিল। বিশদ

16th  March, 2021
একনজরে
বছর ঘুরে ফের বিশ্বের দুয়ারে করোনা-কম্পন শুরু। যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ব্রাজিলে। চড়চড় করে বাড়ছে সংক্রমণ। একদিনে লক্ষ পেরিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। আর করোনার ঠেলায় ফের কাঠগড়ায় প্রেসিডেন্ট জে বলসোনারো। ...

একটা সময় জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের মধ্যে মহুয়া খাওয়ার প্রবণতা দেখা যেত। তবে কোনও সময়েই ওই নেশা এখানকার মানুষের উপর চেপে বসতে পারেনি। কিন্তু, এখন শুধু মহুয়া ...

একদিকে স্লোগান উঠল, চোর চোর চোরটা, শিশিরবাবুর ছেলেটা। অন্যদিকে উঠল, বিজেমুল ভোগে যাবে, লালে লাল বাংলা হবে। ব্যারিকেডের একপাশে সবুজ, অন্যপাশে লাল। শুক্রবার স্লোগানে মুখরিত ...

মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় কর্মরত অবস্থায় একইসঙ্গে মৃত্যু হল তিন সিভিক ভলান্টিয়ারের। আহত হয়েছেন তাঁদেরই আরও ছয় সহকর্মী। শুক্রবার ভোররাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে কালিয়াচক থানার জালালপুরে ৩৪ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব থিয়েটার দিবস
১৮৪৫- এক্স-রশ্মির আবিষ্কারক ইউলিয়াম রন্টজেনের জন্ম
১৮৯৮- লেখক ও দার্শনিক সৈয়দ আহমেদ খানের মৃত্যু
১৯৬৬ - বিশিষ্ট শ্যামাসঙ্গীত শিল্পী পান্নালাল ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৬৮- বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু রুশ মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিনের  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.৭২ টাকা ৭৩.৪৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.১৫ টাকা ১০১.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৩.৯৫ টাকা ৮৭.০৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৫,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৩,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৩,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ চৈত্র ১৪২৭, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১। ত্রয়োদশী ১/২৫ প্রাতঃ ৬/১২ পরে চতুর্দ্দশী ৫৪/৩৩ রাত্রি ৩/২৭। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৩৫/৩৪ রাত্রি ৭/৫২। সূর্যোদয় ৫/৩৮/৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪০ গতে ১২/৫৫ মধ্যে, রাত্রি ৮/৮ গতে ১০/৩১ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩৯ মধ্যে পুনঃ ২/২৬ গতে ৪/১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/১৪ মধ্যে পুনঃ ৪/৮ গতে উদয়াবধি।  
১৩ চৈত্র ১৪২৭, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১। চতুর্দ্দশী রাত্রি ২/৪৫। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৫৮। সূর্যোদয় ৫/৪০, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩৫ গতে ১২/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১০ গতে ১০/২৯ মধ্যে ও ১২/২ গতে ১/৩৫ মধ্যে ও ২/২১ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/১১ মধ্যে ও ১/১৪ গতে ২/৪৫ মধ্যে ও ৪/১৬ গতে ৫/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৬ মধ্যে ও ৪/১১ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। 
১২ শাবান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাংলার কোথায় কত ভোট
আজ প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাঁকুড়ায় ৮০.০৩ ...বিশদ

05:48:16 PM

বিকাল ৫টা পর্যন্ত কত ভোট পড়ল
আজ প্রথম দফার নির্বাচনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ৩০টি আসনে ...বিশদ

05:42:11 PM

প্রার্থীপদ থেকে সরে দাঁড়াতে বলায় আত্মহত্যার হুমকি বিজেপি নেতার 
বিজেপি প্রার্থী হওয়ার পর সরে দাঁড়াতে বলায় আত্মহত্যার হুমকি। ঘটনাটি ...বিশদ

04:40:00 PM

নির্বাচন কমিশনে ২০৬টি অভিযোগ জমা পড়ল 
নির্বাচন কমিশনে ২০৬টি অভিযোগ জমা পড়ল। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে বেশি ...বিশদ

04:28:23 PM

পুরুলিয়ায় বেলা ৩ টে পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৯.৩১ শতাংশ

03:57:13 PM

বেলা ৩টে পর্যন্ত ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট পড়ল ৭০.১৭ শতাংশ 

03:57:09 PM