Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জোট হল সহযোগিতার রাজনীতি
পি চিদম্বরম

একসময় একটা বলিষ্ঠ আইডিয়া বা মতাদর্শ বিভিন্ন রাজ্য, ভাষা, ধর্মবিশ্বাস ও বর্ণের মানুষকে এবং আর্থিকভাবে বিভক্ত নানা শ্রেণিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। এরকম এক একটা বেসিক আইডিয়া বা মতাদর্শের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলো তৈরি হয়েছিল। এই বিষয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ দৃষ্টান্তটির নাম ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস (ভারতের জাতীয় কংগ্রেস)।
কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা ব্যক্তিত্বদের মূল্য লক্ষ্য ছিল—‘সরকারে শিক্ষিত ভারতবাসীদের জন্য একটা বড় জায়গা দখল করা এবং একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি 
করে নেওয়া, যেটাকে ভিত্তি করে তাঁরা ইংরেজের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ পেতে পারেন।’ স্বাধীনতালাভের কোনও ভাবনাচিন্তা তখনও পর্যন্ত ছিল না। ব্যাপারটা এসেছে অনেক পরে—১৯১৯ থেকে ১৯২৯ সালের ভিতরে।
আর একটা দৃষ্টান্ত হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস), যদিও তাদের তরফে প্রতিবাদ করে বলা হয়েছে যে আরএসএস কোনও রাজনৈতিক দল নয়। হিন্দু রাষ্ট্রের ধারণা তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। গোড়ার দিকে যাই বোঝানো হোক না কেন, আজ 
এটা অ্যাটাভিসটিক (পূর্বপুরুষদের লক্ষণ ফিরে আসায় বিশ্বাস) এবং জেনোফোবিক ইডিওলজি (বিদেশিদের সম্পর্কে আতঙ্কের মতাদর্শ) মাত্র, 
যার লক্ষ্য হয়ে উঠেছে মুসলিম, খ্রিস্টান, দলিত, অভিবাসী এবং সূক্ষ্মভাবে মহিলা, অহিন্দিভাষী জনগণ এবং অন্যসকল পিছিয়ে পড়া মানুষ—এদের সবা‌ই঩কে হেয় করা।
রাজ্যস্তরে অনেক উদাহরণ রয়েছে। আঞ্চলিক অহঙ্কার, তামিল-প্রীতি, আত্মসম্মান, কুসংস্কার ও জাতিভেদের বিরুদ্ধে অবস্থান থেকে তৈরি হয়েছিল ডিএমকে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, ডিএমকে ভেঙে বেরিয়ে এসে, কিছু নেতা মিলে তৈরি করেছিলেন এআইএডিএমকে।
মতাদর্শের বিকাশ
কোনও মতাদর্শই অপরিবর্তিত থাকে না। বছরের পর বছর গিয়েছে, কংগ্রেস দেশকে স্বাধীন করার প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করেছে, রক্ষণশীল ও প্রগতিশীল উভয়পক্ষকেই শামিল করেছে, বামপন্থার দিকে ঝুঁকেছে, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র গ্রহণ করেছে, কেন্দ্রীয়ভাবে সমর্থন করেছে বাজার অর্থনীতিকে, সাদরে বরণ করেছে কল্যাণরাষ্ট্রের ধারণাকে। 
সেই অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতি আজকের বিজেপির থেকে কংগ্রেসকে পৃথক হিসেবে চিনিয়ে দিচ্ছে। বিজেপি কুণ্ঠাহীনভাবে আরও হিন্দু জাতীয়তাবাদী এবং আরও ধনতান্ত্রিক হয়ে উঠেছে। কমিউনিস্ট পার্টিগুলো বহুদলীয় গণতন্ত্রকে 
স্বীকার করে নিয়েছে। আঞ্চলিক দলগুলোও তাদের নীতি ও অবস্থান মধ্যপন্থায় পাল্টে নিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়, ডিএমকে ভেঙে তৈরি হওয়া এআইএডিএমকে শুরু থেকেই ছিল ঈশ্বরবিশ্বাসী এবং  সম্প্রতি ডিএমকে নির্দিষ্টভাবে তাদের নাস্তিক্য-নীতি ত্যাগ করেছে।
এইসব রাজনৈতিক দল এবং পরিবর্তনশীল মতাদর্শগুলোর উপর আমার মতামত আমি নানা সময়ে দিয়েছি। প্রত্যেকটা মতাদর্শ মনে হয় যে ঈশ্বরবিশ্বাসীদের যুক্ত করে এবং নাস্তিকদের বাদ দিয়ে, যদিও তাদের ভোট ও সমর্থন ঈশ্বরবিশ্বাসীদের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। নিরন্তর বদল এবং শামিল করার গুরুত্বটা এখানেই। অবিশ্বাসীরা নিজেদের বিচ্ছিন্ন ভেবে আলাদা দল তৈরি করেছিল, যার ভিতরে ছিল তাদের প্রতি সহানভূতি অথবা প্রতিবাদের প্রকাশ। এরকম বিশেষ ধরনের প্রতিবাদের ভিতর দিয়েই তৈরি হয়েছিল কংগ্রেস (ও) এবং কংগ্রেস (আর), জনতা দল, এসপি, এনসিপি, বিজেডি, তেলুগু দেশম প্রভৃতি। একটা পৃথক রাজ্য কিংবা আরও বেশি স্বশাসনের চাহিদা ছিল টিআরএস এবং অগপ দল গঠনের প্রেরণা।
বর্জনের রাজনীতি
তবু, ভারতের বহু রাজনৈতিক দলের তরফে, জনগণের ভিতরে তাৎপর্যপূর্ণ কিছু শ্রেণিকে বাদ দেওয়া হয়েছিল অথবা তারা বাদ পড়ে গিয়েছে বলে ভেবেছিল—এবং এখনও তারা সেইরকমই ভাবে। তাদের ম঩ধ্যে রয়েছে মুসলিম এবং দলিতরা। এই শ্রেণিগুলোকে সাম্প্রদায়িক বা জাতিবাদী বলে দোষ দেওয়া যাবে না। মূলস্রোতের রাজনীতি থেকে যতদিন তাদের বাইরে রাখা হবে, এই শ্রেণিগুলো ততদিন নিজ নিজ স্বার্থবাহী রাজনৈতিক দল গঠনে প্রবৃত্ত হবে, যা ন্যায্যও বটে। আমার মতে, ভারতীয় রাজনীতি এবং কোয়ালিশন গঠনের আকাঙ্ক্ষার বিষয়টার গুরুত্ব, বিধিসম্মত অথবা কার্যত, ওই বর্জন থেকেই বুঝে নিতে হবে।
আমি স্মরণ করতে পারি যে, ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি গুজরাত এবং উত্তরপ্রদেশে কোনও মুসলিম প্রার্থী দেয়নি। অথচ, গুজরাতের জনসংখ্যার ৯.৬৫ শতাংশ মুসলিম এবং সেখানে বিধানসভার আসন সংখ্যা ছিল ১৮২। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশে মোট জনসংখ্যার ১৯.৩ শতাংশ মুসলিম এবং সেখানে বিধানসভায় মোট আসন ছিল ৪০২টি। তাহলে ওই দুই রাজ্যের মুসলিমদের করণীয় কী ছিল? অন্য দলগুলো অবশ্যই অন্যভাবে এগিয়েছিল, তারা মুসলিম প্রার্থী দিয়েছিল, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা প্রতীকী ব্যাপারের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি। দলিতদের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, সব দলই তাদের প্রার্থী করেছে কেবলমাত্র ‘সংরক্ষিত’ আসনগুলোতে। তার 
ফলে মোদ্দা এই দাঁড়াল যে, রাজনৈতিকভাবে অন্তর্ভুক্তিকরণের বদলে আরও বর্জনের 
রাজনীতি করা হল। এই অবসরে মুসলিম, দলিত এবং বর্জনের রাজনীতির শিকার অন্য শ্রেণিগুলো পৃথক দল গড়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করল। আত্মরক্ষা এবং নিজ নিজ স্বার্থরক্ষার প্রয়োজনেই তাদের এই উপলব্ধিটা হল।
অল ইন্ডিয়া মুসলিম লিগের প্রতিষ্ঠা ১৯০৬ সালে। স্বাধীন ভারতে মুসলিমদের তরফে অনেকগুলো রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে: আইইউএমএল, এআইইউডিএফ, এআইএমআইএম এবং এগুলোর থেকে ছোট আরও কিছু দল। এমনিভাবে দলিতদের তরফে তৈরি করা হয়েছে বিএসপি, এলজেপি (বিহারে) এবং ভিসিকে (তামিলনাড়ুতে)। আরএসএস এবং বিজেপি মুসলিমদের তৈরি দলগুলোকে তফাতে রাখলেও, দলিতদের তৈরি দলগুলোর সঙ্গে জোট গড়ে—এর থেকে বেশি বিদ্বেষ আর কী হবে! (অবশ্য শোনা যায় যে, অসমের একটা জেলা পরিষদের ভোটে এআইইউডিএফের সঙ্গে বিজেপি জোট করেছিল।)
প্রশাসনের জন্য আরও ভালো
এই ধরনের ‘এক্সক্লুসিভ’ (বিশেষ ধরনের) পার্টিগুলো আছে বলেই কোয়ালিশন তত ‘ইনক্লুসিভ’ (অন্তর্ভুক্তির) রাজনীতির পথ দেখিয়েছে। সাম্প্রতিক নির্বাচনে মুসলিম এবং দলিতদের হাতে গড়া রাজনৈতিক দলগুলো অসম, কেরল, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গে কোয়ালিশন বা জোটের ভিতরে তাদের জন্য বিশেষ জায়গা করে নিতে তারা সক্ষম হয়েছে। আমি মনে করি, এটা উত্তম ব্যাপার। এই দলগুলো একা লড়তে গেলে তাদের পক্ষে বিধানসভায় প্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়ত এবং জিতলেও তারা বাধ্য হতো কক্ষে গিয়ে নীরব নিষ্ক্রিয় দর্শক অথবা নিছক প্রতিবাদী থেকে যেতে। তার থেকে ভালো হবে যে তারা সংসদে ও বিধানসভায় প্রবেশাধিকার পাবে এবং রাজ্যে ও দেশের প্রশাসনে অংশ নিতে পারবে।
প্রত্যেকটা দলই একটা কোয়ালিশন বা জোট করার চেষ্টা করে। একটা দল নিজের জোরে কিছু নির্বাচনে কিছু রাজ্যে গরিষ্ঠা পেয়ে যেতে পারে, কিন্তু এই ক্ষেত্রগুলোতেও ওই দলটা আরও কিছু দলের ভোট একত্র করতে চায়, যাতে তার গরিষ্ঠতা আরও সুদৃঢ় হতে পারে। এখন বেশিরভাগ নির্বাচন কোয়ালিশনগুলোর মধ্যে লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক বিধানসভার ভোটে অসম, কেরল, তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য এবং পুদুচেরি কেন্দ্রাশাসিত অঞ্চলে দু’টো বড় কোয়ালিশন গড়ে উঠেছে। সমান শক্তিশালী না-হলেও, পশ্চিমবঙ্গে তিনটে কোয়ালিশন তৎপর রয়েছে। আমার অভিজ্ঞতা বলে, একটা কোয়ালিশন সরকার একদলীয় সরকারের তুলনায় অনেক বেশি দায়িত্বশীল এবং কর্মতৎপর হয়ে থাকে। 
বাজপেয়ি এবং মনমোহন সিংয়ের সরকার ছিল কোয়ালিশন। সুতরাং নির্বচনী জোট কিংবা কোয়ালিশন সরকারগুলোকে তাচ্ছিল্য করা আমাদের উচিত 
হবে না। একদলের স্বৈরতান্ত্রিক জমানার চেয়ে এই ধরনের কোয়ালিশন সরকার অনেক ভালো এবং কোয়ালিশন সরকারই দেশের জন্য আরও বেশি কাজ করতে পারে।  
লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। 
মতামত ব্যক্তিগত
22nd  March, 2021
ভোটের হাওয়া বনাম বাস্তব
তন্ময় মল্লিক
 

চক্ষু ও কর্ণের অবস্থান পাশাপাশি হলেও তাদের বোঝাপড়ার বড় অভাব। তাই উভয়ের মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকে। পারস্পরিক বিদ্বেষ যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আর ভোটের সময় সেই বিবাদ ওঠে চরমে। বিবাদ যত বাড়ে, মানুষের মন ততই অস্থির হয়।   বিশদ

সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য ও
মহামান্য আদালতের সাম্প্রতিক রায় 
কান্তি গাঙ্গুলী

গত ১৬ মার্চ ম্যানগ্রোভ অরণ্য ধ্বংস নিয়ে এক নজিরবিহীন রায় দিয়েছে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে এক ডিভিশন বেঞ্চ। ঘোষিত রায় অনুযায়ী—সংরক্ষিত অরণ্য অঞ্চলের কোনও প্রকার ক্ষতিসাধন হয়, এমন কোনও ধরনের কাজ করা যাবে না এবং পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ, ব্যাঘ্র প্রকল্পের সংরক্ষিত অরণ্য অঞ্চল ও সংরক্ষিত বিশেষ ম্যানগ্রোভ অঞ্চল রক্ষার ক্ষেত্রে সামগ্রিক নীতি গ্রহণ করতে হবে।  
বিশদ

জঙ্গলমহলের হাসি যেন না মোছে!
মৃণালকান্তি দাস

দু’টাকা কেজি চাল পাচ্ছেন? পরিবারের স্কুল পড়ুয়ারা সবুজসাথীর সাইকেল পেয়েছে? আর সরকারি প্রকল্পে বাড়ি? জঙ্গলমহলের দোরে দোরে এসব প্রশ্ন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। খুঁটিনাটি তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। রাজ্য সরকারের খাদ্য প্রকল্পের কতটা পৌঁছেছে সাধারণ মানুষের কাছে? বিশদ

26th  March, 2021
বাংলার মানুষকে এবার
সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে
জহর সরকার

বাংলার ইতিহাসে কোনওদিন এরকম পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি যেখানে একটি দলের সম্পূর্ণ নির্বাচনী প্রচার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র  মন্ত্রী পরিচালনা করছেন এবং সিবিআই আর ইডি যাঁদের বিশেষ অস্ত্র। বাংলার বিজেপির এত নেতা থাকতেও কাউকে তাঁরা অধিনায়কত্বের উপযুক্ত খুঁজে পাচ্ছেন না। বিশদ

25th  March, 2021
মরণঝাঁপের জন্য তৈরি
তো? যে প্রশ্নটি গোপন
হারাধন চৌধুরী

বাংলায় স্বচ্ছতার পাঠ চালু করার আগে পিএম কেয়ার্স ঘিরে ওঠা গুরুতর প্রশ্নগুলিরও জবাব দিন মোদি।  জবাব যতদিন না মিলবে ততদিন রাজনৈতিক প্রতারণায় নবতম সংযোজন হিসেবেই গণ্য হবে ৬৮ পাতার এই গাঁজাখুরি সংকল্পপত্রটি। বিশদ

24th  March, 2021
দায় শুধু নেত্রীর নয়, কর্মীদেরও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কে সেই ‘আসল’ উপরতলা? এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। আধাসেনায় ছেয়ে যাচ্ছে ভোট-জেলাগুলি। প্রথম দফায় ৩০টা আসনে ভোট, তাতে কি লাখ খানেক জওয়ান থাকবে? কেন্দ্রীয় সরকার কী প্রমাণ করতে চাইছে, বাংলা যুদ্ধক্ষেত্র? বিশদ

23rd  March, 2021
বিজেপি’র অনাচার থেকে
বাংলাকে বাঁচাতেই হবে
হিমাংশু সিংহ

একটা সামান্য তালিকা প্রকাশকে কেন্দ্র করে গেরুয়া শিবিরেই যেভাবে ব্যাপক গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে, তাতে আর ভরসা রাখা যাচ্ছে না। অর্থ আর ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে দল ভাঙানোর সীমাহীন অন্যায় এবার ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে বহিরাগত বর্গী, মেনন, দেওধরদের দিকেই। বিশদ

21st  March, 2021
শেষ পর্যন্ত কি খুলে গেল
ডাস্টবিনের ঢাকনা
তন্ময় মল্লিক

প্রার্থী নিয়েই যদি অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়, তাহলে জিতলে কী হবে? সেটা বুঝেই ‘বিজেপির চাণক্য’ গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক করেছেন। তাতেও সূত্র না মেলায় বাংলার নেতাদের দিল্লিতে তলব করেছেন। যে কোনও মূল্যে বিক্ষোভ সামাল দিতে চাইছেন। কিন্তু এ তো জয়নগরের মোয়া নয়, যে চাইলেই পাবে। প্রার্থী নিয়ে বিজেপির এখন শাঁখের করাতের অবস্থা। বিশদ

20th  March, 2021
স্বাস্থ্যসাথী, ২ টাকার চাল, কন্যাশ্রী 
কি বিজেপি বন্ধ করে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

সোনার বাংলা ব্যাপারটা ঠিক কী? আমরা তো ‘সোনার উত্তরপ্রদেশ’, ‘সোনার ত্রিপুরা’, ‘সোনার অসম’, ‘সোনার হরিয়ানা’, ‘সোনার মধ্যপ্রদেশ’ বলিও না। শুনিও না।  বিজেপি ক্ষমতায় এলে একটি রাজ্য যদি সোনার হয়ে যায়, তাহলে ২০১৮ সালে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও কেন মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের মানুষ বিজেপিকে হারিয়ে দিয়েছিল? বিশদ

19th  March, 2021
ব্যাঙ্ক, বিমা বেসরকারি হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে
সাধারণ মানুষ, বিপুল মুনাফা লুটবে কর্পোরেট
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ হলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে কোটি কোটি ছোট কৃষক, ছোট ব্যবসাদার, অল্প পুঁজির কারখানার মালিক, যাদের জন্য প্রত্যন্ত এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক শাখা চালু রয়েছে, ঋণ দিচ্ছে গ্রামে ছোট শহরে। এই শ্রেণি হারিয়ে যাবে আর্থিক উন্নয়নের মানচিত্র থেকে। বিশদ

18th  March, 2021
টিকিট-কোন্দলে গেরুয়া
শিবিরে নরক গুলজার
সন্দীপন বিশ্বাস

সবকিছু দেখে মোদি-শাহ জুটি এখন বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন, যে জুমলার জোরে অন্য রাজ্যে সরকার গড়া যায়, সেই একই জুমলায় পশ্চিমবঙ্গে কাজ হবে না। তাঁদের সব জুমলাবাজি রাজ্যের মানুষের কাছে ধরা পড়ে গিয়েছে। বিশদ

17th  March, 2021
বিশ্বাসযোগ্যতার দাঁড়িপাল্লায় ভোট রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কিছু মনে কোরো না বাবা, ভোটটা এবার তোমাদের দিতে পারব না। এখানে যে মমতা দাঁড়িয়েছে! অনেক করেছে মেয়েটা আমাদের জন্য। যদি ও না দাঁড়াত... অন্যরকম ছিল। বিশদ

16th  March, 2021
একনজরে
একটা সময় জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের মধ্যে মহুয়া খাওয়ার প্রবণতা দেখা যেত। তবে কোনও সময়েই ওই নেশা এখানকার মানুষের উপর চেপে বসতে পারেনি। কিন্তু, এখন শুধু মহুয়া ...

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। শুক্রবার সকালেই ৭৫ বছরের কোবিন্দ বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তারপরই দিল্লির সেনা হাসপাতালে নিয়মমাফিক চেকআপে যান।  ...

মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় কর্মরত অবস্থায় একইসঙ্গে মৃত্যু হল তিন সিভিক ভলান্টিয়ারের। আহত হয়েছেন তাঁদেরই আরও ছয় সহকর্মী। শুক্রবার ভোররাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে কালিয়াচক থানার জালালপুরে ৩৪ ...

বড় জয় দিয়ে বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বের অভিযান শুরু করল ইংল্যান্ড। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ২১০তম স্থানে থাকা সান মারিনোকে পাঁচ গোলের মালা পরাল গ্যারেথ সাউথগেটের দল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব থিয়েটার দিবস
১৮৪৫- এক্স-রশ্মির আবিষ্কারক ইউলিয়াম রন্টজেনের জন্ম
১৮৯৮- লেখক ও দার্শনিক সৈয়দ আহমেদ খানের মৃত্যু
১৯৬৬ - বিশিষ্ট শ্যামাসঙ্গীত শিল্পী পান্নালাল ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৬৮- বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু রুশ মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিনের  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.৭২ টাকা ৭৩.৪৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.১৫ টাকা ১০১.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৩.৯৫ টাকা ৮৭.০৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৫,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৩,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৩,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ চৈত্র ১৪২৭, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১। ত্রয়োদশী ১/২৫ প্রাতঃ ৬/১২ পরে চতুর্দ্দশী ৫৪/৩৩ রাত্রি ৩/২৭। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৩৫/৩৪ রাত্রি ৭/৫২। সূর্যোদয় ৫/৩৮/৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪০ গতে ১২/৫৫ মধ্যে, রাত্রি ৮/৮ গতে ১০/৩১ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩৯ মধ্যে পুনঃ ২/২৬ গতে ৪/১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/১৪ মধ্যে পুনঃ ৪/৮ গতে উদয়াবধি।  
১৩ চৈত্র ১৪২৭, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১। চতুর্দ্দশী রাত্রি ২/৪৫। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৫৮। সূর্যোদয় ৫/৪০, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩৫ গতে ১২/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১০ গতে ১০/২৯ মধ্যে ও ১২/২ গতে ১/৩৫ মধ্যে ও ২/২১ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/১১ মধ্যে ও ১/১৪ গতে ২/৪৫ মধ্যে ও ৪/১৬ গতে ৫/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৬ মধ্যে ও ৪/১১ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। 
১২ শাবান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাংলার কোথায় কত ভোট
আজ প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাঁকুড়ায় ৮০.০৩ ...বিশদ

05:48:16 PM

বিকাল ৫টা পর্যন্ত কত ভোট পড়ল
আজ প্রথম দফার নির্বাচনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ৩০টি আসনে ...বিশদ

05:42:11 PM

প্রার্থীপদ থেকে সরে দাঁড়াতে বলায় আত্মহত্যার হুমকি বিজেপি নেতার 
বিজেপি প্রার্থী হওয়ার পর সরে দাঁড়াতে বলায় আত্মহত্যার হুমকি। ঘটনাটি ...বিশদ

04:40:00 PM

নির্বাচন কমিশনে ২০৬টি অভিযোগ জমা পড়ল 
নির্বাচন কমিশনে ২০৬টি অভিযোগ জমা পড়ল। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে বেশি ...বিশদ

04:28:23 PM

পুরুলিয়ায় বেলা ৩ টে পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৯.৩১ শতাংশ

03:57:13 PM

বেলা ৩টে পর্যন্ত ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট পড়ল ৭০.১৭ শতাংশ 

03:57:09 PM