Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিশ্বাসযোগ্যতার দাঁড়িপাল্লায় ভোট রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

তুখোড় এক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের কাছে শুনেছিলাম কথাটা... নামের শেষের টাইটেলটা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া যায়, সম্পত্তি, রাজত্বও পাওয়া যায়। কিন্তু বিশ্বাসযোগ্যতা? ওটা অর্জন করতে হয়... তিলে তিলে। ২০১৪ সালে কিন্তু ‘তিলে তিলে’র কোনও গল্প ছিল না। এক দমকা হাওয়ায় চাওয়ালা প্রধানমন্ত্রী পেয়ে গিয়েছিল ভারত। সেই হাওয়া ছড়িয়েছিল বিস্তর। জাতীয় থেকে রাজ্য রাজনীতি... সর্বত্র। তারই ফসল ছিল একে একে রাজ্য দখল। হাতের কাছে উদাহরণও আছে... ত্রিপুরা, অসম। সেই অসমে ভোট ফিরে এসেছে। ১২৬টা আসন, তিন দফায় নির্বাচন। কিন্তু এই ভোটের মুখেই বেশ কিছু প্রশ্ন উত্তর পূর্বের রাজ্যটিতে উঠতে শুরু করেছে। প্রথম প্রশ্নটি তুলেছেন দিলীপ  পাল। দিলীপবাবু শিলচরে বিজেপির দু’বারের বিধায়ক। কিন্তু না, এখন আর বিজেপি লেখা যাবে না। তিনি গেরুয়া শিবিরকে বিদায় দিয়েছেন। আর জনসমক্ষে বলেছেন, বরাক উপত্যকায় সুপুরি বোঝাই লরিতে পাচার হচ্ছে অস্ত্র আর মাদক। যার পান্ডা, শিলচরের বিজেপি সাংসদ রাজদ্বীপ রায়। সঙ্গে রয়েছেন কাছাড় জেলার বিজেপি সভাপতি কৌশিক রাইও। এই দু’জনের নেতৃত্বেই নাকি অসমে গড়ে উঠেছে কয়লার সিন্ডিকেট। বিষয়টা হজম করতে একটু সমস্যা হতেই পারে। বাংলায় এসে যে বিজেপির চালক-পরিচালকরা লাগাতার সিন্ডিকেটের নামে তোপবর্ষণ করেন, তাঁদের ‘ডাবল ইঞ্জিন’ অসমেই নাকি সিন্ডিকেট রাজ? নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের কাছে বোধহয় এই খবরটা পৌঁছয়নি। বা তাঁরা শুনতে চাননি। জানলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নিতেন (আশাটুকু করলে দোষ কী)। এবং সবচেয়ে বড় কথা, অন্য রাজ্যে গিয়ে অন্তত সিন্ডিকেট নিয়ে নীতিপাঠ দিতেন না। যাই হোক, কিছু একটা ভুল বোঝাবুঝি নিশ্চয়ই হয়েছে। দিলীপবাবু ডাহা মিথ্যাকথা বলছেন, সেটাও বলা যাচ্ছে না। তাহলে তিনি নিঃস্বার্থভাবে দল ছাড়তেন না। আর হিমন্ত বিশ্বশর্মাও তড়িঘড়ি ছুটে গিয়ে তাঁর মানভঞ্জনের চেষ্টাচরিত্র করতেন না। শুধু কি আর শিলচরের বিধায়ক? লাইন দিয়েছেন আরও এমএলএ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শিলাদিত্য দেবও। কোন শিলাদিত্য? যিনি অসমিয়া এবং বাঙালিদের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতির জন্য সুনাম কিনেছিলেন। সুভাষচন্দ্র বসুকে উগ্রপন্থী বলেও প্রচারের আলো দেখেছিলেন শিলাদিত্য। তিনিও বিজেপিতে দমবন্ধ অবস্থা অনুভব করছেন। টিকিট পাচ্ছেন না, দল ছাড়ছেন এবং নির্দল হিসেবে দাঁড়াবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন। অর্থাৎ, অসমে বিজেপির পায়ের নীচের জমি সরছে। তাহলে এই পর্যায়ে প্রথমেই একটি প্রশ্ন ওঠে। তা হল, নিজের ঘর বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, সেটা না সামলে পাশের বাড়ি দখলের চেষ্টা কেন? আর অদ্ভুতভাবে, যে সব অভিযোগ তুলে বাংলাকে তাঁরা আক্রমণ করছেন, সেই এক ধরনের নালিশ তাঁদের বিরুদ্ধেই উঠছে! নরেন্দ্র মোদির বিজেপির জন্য এটা মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়। এরপরও তিনি বঙ্গে আসবেন, বক্তৃতা দেবেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করবেন। মানুষ কিন্তু তখন দাঁড়িপাল্লা নিয়ে বসবে... বিশ্বাস-অবিশ্বাসের।
এমনিতেই বঙ্গ বিজেপির প্রার্থী তালিকা এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রে। বহু অপ্রত্যাশিত নাম, আদি-নব্য দ্বন্দ্ব, টিকিট না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভের পাহাড়... অমিত শাহরা চাইলেও সব আসনে প্রার্থীর নাম একসঙ্গে ঘোষণা করতে পারছেন না। তাঁরা জানেন, যত বেশি সংখ্যক প্রার্থী ঘোষণা, ততই বিদ্রোহের আগুন। প্রার্থী কারা? দলবদলু বেশ কিছু নেতা-নেত্রী, তৃণমূলের ফর্মুলা মেনে টেলি তারকা এবং গত লোকসভা ভোটে জিতে আসা এমপিরা। এ এক ভয়ানক জাঁতাকল বটে। তৃণমূলের ‘সেলিব্রিটি’ নেতা-মন্ত্রীরা দল বদলে বিজেপিতে গিয়েছেন। তাঁদের আব্দার তো মানতেই হবে! আগে যতই ঘোষণা হোক না কেন, ‘তৃণমূলের থেকে আসা সব নেতা টিকিট পাবেন না। পেলেও কঠিন কেন্দ্রে।’... সেই তত্ত্ব ফাইনাল কাউন্টডাউনে এসে আর খাটল না। আর প্রার্থী তালিকা ঘোষণা মাত্র শুরু হল বিক্ষোভ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারে তো বিজেপি কর্মীদের এমন স্লোগানও দিতে শোনা গেল, ‘ক্যারেকটারলেস প্রার্থী মানছি না, মানব না।’ লালমোহন গাঙ্গুলি থাকলে নিশ্চিত বলতেন, ‘বোঝো ঠ্যালা’। খড়্গপুরের চৌরঙ্গি মোড়ে দাঁড়িয়ে কথা হচ্ছিল এক বিজেপি কর্মীর সঙ্গে। সাফ বললেন, ‘এই প্রার্থী চলবে না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে কি ছবি দেখাব? বলব, এই যে হিরণ... আমাদের প্রার্থী? এঁকে ভোট দিন?’ তিনি আদি কর্মী। বিজেপিটা ধান্দায় নয়, ভালোবেসে করেন। তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে রোড-শো করে ফের অমিত শাহ দাবি করে গেলেন, ‘২০০ আসন নিয়ে মোদিজির নেতৃত্বে আমরা সরকার গড়ব।’ সত্যিই কি তাই? সেই আদি কর্মী একটু থামলেন। তারপর বললেন, ‘এবার আমাদের সরকার হবে বলে মনে হয় না জানেন...। খুব বেশি হলে ১০০ সিট। এর বেশি হওয়া মুশকিল।’
হয়তো বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও সেটা জানে। তাই ‘সেফ সিটে’ জোর পড়ছে। আর পরিচিত কিছু নামে। স্বপন দাশগুপ্ত, নিশীথ প্রামাণিক, লকেট চট্টোপাধ্যায়...। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও রয়েছেন তালিকায়। ভাঁড়ার কি এতই খালি? মনে পড়ছে সেই কুমিরছানার গল্পটা। একই কুমিরছানাকে সাতবার বের করে দেখানো... এই তো আমাদের কাছে সাত রাজার ধন আছে। যে চার এমপিকে বিজেপি আসন্ন বিধানসভা ভোটে প্রার্থী করেছে, তাঁরা অবশ্যই পরীক্ষিত। ধরা যাক এই সাংসদ প্রার্থীরা জিতেও গেলেন। তারপরই কিন্তু তাহলে চারটি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন করাতে হবে। মানে, বাংলার মানুষের করের টাকায় আবার নির্বাচনী শ্রাদ্ধ। যার প্রয়োজন আছে বলে বাংলার মানুষ অন্তত মনে করে না। অর্থাৎ, আবার দাঁড়িপাল্লা। 
একুশের যুদ্ধে প্রতিপক্ষ তিন। এবং তিন পক্ষেরই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য শুধু ভোট জয়ের লক্ষ্যে সীমাবদ্ধ নয়! যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়... গত ১০ বছর তিনি বাংলা শাসন করছেন। উন্নয়নমূলক বহু কাজ। কিন্তু এরপরও নিচুতলায় দুর্নীতির অভিযোগ আছে। ১০ বছর সরকার চালানোর পর প্রতিষ্ঠান বিরোধী একটা হাওয়া তৈরি হয়। এই ধরনের অভিযোগ তারই বহিঃপ্রকাশ। এখানেও ভোটাররা দাঁড়িপাল্লা নিয়ে ওজন করতে বসেন, কোন দিকটা বেশি ভারী... মানুষের স্বার্থে সরকারি কাজ, সমাজের নিরাপত্তা, নাকি দলীয় কর্মীদের একাংশের দুর্নীতি? এই প্রাক-ভোট পর্বে বহু জেলার মানুষের সঙ্গে কথা বলে আপাতত একটা সারাংশ খাড়া করা যাচ্ছে। তা হল, সরকারটা খারাপ নয়, মুখ্যমন্ত্রী নিজেও ভালো... সব সময় ইতিবাচক কিছু করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুটা ক্ষোভ রয়েছে দলের সেই ‘একাংশ’কে নিয়ে। তাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কনফিডেন্ট। এই ভাঙা পা নিয়েও। তিনি জানেন, এটা তাঁর প্রেস্টিজ ফাইট। ভোটের মুখে দশ দিক থেকে দশ রকম বিপত্তি আঘাত করেছে তাঁকে। সবই ধীরে ধীরে সামাল দিয়েছেন। তারপর এগিয়েছেন ভোটের নিশানায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন, এই ম্যাচ তাঁর হারলে চলবে না। 
দ্বিতীয়ত, প্রতিপক্ষ বাম-কংগ্রেস জোট। গত সাত বছরে জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস মোটেও খুব সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। মাঝে কয়েকটি রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে ঠিকই, কিন্তু তা সত্ত্বেও সামগ্রিক চালচিত্রে খুব একটা বদল আসেনি। শতাব্দীপ্রাচীন এই দল বাংলায় প্রায় সাইনবোর্ডের পর্যায়ে। ফলে বামেদের সঙ্গে জোট গঠন ছাড়া উপায় ছিল না অধীর চৌধুরীদের। সিপিএমকে দেখে কিন্তু এবার মনে হচ্ছে, আসন্ন ভোটটা তারা সিরিয়াসলি লড়বে। অন্তত প্রার্থী বাছাইতে তারই ইঙ্গিত। কেন্দ্র অনুযায়ী ঠিকঠাক প্রার্থী, বার্ধক্যের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসা এবং নবীন প্রজন্মে গুরুত্ব। কারণ সিপিএম জানে, এবারের নির্বাচন বড় কঠিন ঠাঁই। জিতে ক্ষমতায় আসাটা কিন্তু মূল লক্ষ্য নয়! উদ্দেশ্য একটাই, বাংলার রাজনীতিতে বামেদের প্রাসঙ্গিকতা ফিরিয়ে আনা... অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা।
আর থাকল বিজেপি। চেনা ফর্মুলা... আগেই ভোটব্যাঙ্কটাকে ধর্মের নিরিখে দু’ভাগ করে দাও। তারপর শুরু হোক প্রচার। সংখ্যালঘুরা কিন্তু বিজেপির টার্গেট ভোটার নন! সেটা গেরুয়া শিবিরের কর্তাব্যক্তিরা বারবার আসছেন। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সেটাই বোঝাচ্ছেন। মেরুকরণ কর্মসূচি চলছে... পুরোদমে। কারণ, বাংলা এবার বিজেপির কাছে মরিয়া লড়াই। নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তার আধার যে শূন্য হয়ে যায়নি, তা প্রমাণ করতেই হবে। বিরুদ্ধ ইস্যু কিন্তু কম নেই! নোট বাতিল, বেকারত্ব, প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়া, নাগরিকত্ব এবং কৃষি আইন... তারপরও বিজেপি চাইছে এ রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে। চাইছে বলাটা ভুল হল... চলছে মরিয়া চেষ্টা। এ যুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতে গেলে গোটা দেশে আরও অনেকটা পিছনের সারিতে চলে যাবেন মোদি। সংঘবদ্ধ হয়ে ভেসে উঠবে বিরোধী মহাজোট। যার মুখ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ডেবরা বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে বালিচক স্টেশন। তার সামনে দাঁড়িয়ে কথা হচ্ছিল বছর ষাটেকের এক ভদ্রলোকের সঙ্গে। কর্মসূত্রে তাঁকে দুই মেদিনীপুরই চষে বেড়াতে হয়। একটা অদ্ভুত অঙ্ক শোনালেন তিনি... ‘আমাদের রাজ্যে মুসলিম ভোটার কত বলুন তো? মেরেকেটে ২৭ শতাংশ। ধরা যাক, বাম-কংগ্রেস-আব্বাসের জোট তার পাঁচ-সাত শতাংশ পাবে। মেরুকরণের জন্য বিজেপিকে এখান থেকে ভাগ দেওয়া যাচ্ছে না। তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাবেন ২০ শতাংশ! মানেটা বুঝলেন? মমতা কিন্তু একশোয় ২০ নম্বর হাতে নিয়ে পরীক্ষায় বসছেন। বাকি অঙ্কটা এবার বুঝে নিন।’
হয়তো সাধারণ পাটিগণিতের হিসেব। হয়তো ভোটের সমীকরণ এত সহজ নয়। তারপরও কিন্তু ওই বৃদ্ধের কথা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামটার সত্যিই একটা ওজন আছে... এই ভাঙা পায়ে ওজনটা আরও বেড়েছে। বাড়ছে। মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে মহাজোটের প্রার্থী। তাঁর হয়ে ভোট চাইতে গিয়েছেন কর্মীরা... এক বাম সমর্থকের ঘরেই। বয়স্কা ভোটার বললেন, ‘কিছু মনে কোরো না বাবা, ভোটটা এবার তোমাদের দিতে পারব না। এখানে যে মমতা দাঁড়িয়েছে! অনেক করেছে মেয়েটা আমাদের জন্য। যদি ও না দাঁড়াত... অন্যরকম ছিল। তা তো নয়! নন্দীগ্রামের প্রার্থী মমতা... আর ওকে ভোট দেব না!’
এ যে বিজেপির কাছে বড্ড অসম ফাইট। ঝাড়গ্রামের সার্কাস ময়দানের সামনে দাঁড়িয়ে ওই আদিবাসী ভদ্রলোকও কিন্তু বলছিলেন... ‘বিজেপি তিন নম্বর হয়ে গেলেও আশ্চয্যি হবো না গো’।
16th  March, 2021
ভোটের হাওয়া বনাম বাস্তব
তন্ময় মল্লিক
 

চক্ষু ও কর্ণের অবস্থান পাশাপাশি হলেও তাদের বোঝাপড়ার বড় অভাব। তাই উভয়ের মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকে। পারস্পরিক বিদ্বেষ যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আর ভোটের সময় সেই বিবাদ ওঠে চরমে। বিবাদ যত বাড়ে, মানুষের মন ততই অস্থির হয়।   বিশদ

সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য ও
মহামান্য আদালতের সাম্প্রতিক রায় 
কান্তি গাঙ্গুলী

গত ১৬ মার্চ ম্যানগ্রোভ অরণ্য ধ্বংস নিয়ে এক নজিরবিহীন রায় দিয়েছে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে এক ডিভিশন বেঞ্চ। ঘোষিত রায় অনুযায়ী—সংরক্ষিত অরণ্য অঞ্চলের কোনও প্রকার ক্ষতিসাধন হয়, এমন কোনও ধরনের কাজ করা যাবে না এবং পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ, ব্যাঘ্র প্রকল্পের সংরক্ষিত অরণ্য অঞ্চল ও সংরক্ষিত বিশেষ ম্যানগ্রোভ অঞ্চল রক্ষার ক্ষেত্রে সামগ্রিক নীতি গ্রহণ করতে হবে।  
বিশদ

জঙ্গলমহলের হাসি যেন না মোছে!
মৃণালকান্তি দাস

দু’টাকা কেজি চাল পাচ্ছেন? পরিবারের স্কুল পড়ুয়ারা সবুজসাথীর সাইকেল পেয়েছে? আর সরকারি প্রকল্পে বাড়ি? জঙ্গলমহলের দোরে দোরে এসব প্রশ্ন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। খুঁটিনাটি তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। রাজ্য সরকারের খাদ্য প্রকল্পের কতটা পৌঁছেছে সাধারণ মানুষের কাছে? বিশদ

26th  March, 2021
বাংলার মানুষকে এবার
সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে
জহর সরকার

বাংলার ইতিহাসে কোনওদিন এরকম পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি যেখানে একটি দলের সম্পূর্ণ নির্বাচনী প্রচার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র  মন্ত্রী পরিচালনা করছেন এবং সিবিআই আর ইডি যাঁদের বিশেষ অস্ত্র। বাংলার বিজেপির এত নেতা থাকতেও কাউকে তাঁরা অধিনায়কত্বের উপযুক্ত খুঁজে পাচ্ছেন না। বিশদ

25th  March, 2021
মরণঝাঁপের জন্য তৈরি
তো? যে প্রশ্নটি গোপন
হারাধন চৌধুরী

বাংলায় স্বচ্ছতার পাঠ চালু করার আগে পিএম কেয়ার্স ঘিরে ওঠা গুরুতর প্রশ্নগুলিরও জবাব দিন মোদি।  জবাব যতদিন না মিলবে ততদিন রাজনৈতিক প্রতারণায় নবতম সংযোজন হিসেবেই গণ্য হবে ৬৮ পাতার এই গাঁজাখুরি সংকল্পপত্রটি। বিশদ

24th  March, 2021
দায় শুধু নেত্রীর নয়, কর্মীদেরও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কে সেই ‘আসল’ উপরতলা? এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। আধাসেনায় ছেয়ে যাচ্ছে ভোট-জেলাগুলি। প্রথম দফায় ৩০টা আসনে ভোট, তাতে কি লাখ খানেক জওয়ান থাকবে? কেন্দ্রীয় সরকার কী প্রমাণ করতে চাইছে, বাংলা যুদ্ধক্ষেত্র? বিশদ

23rd  March, 2021
জোট হল সহযোগিতার রাজনীতি
পি চিদম্বরম

একসময় একটা বলিষ্ঠ আইডিয়া বা মতাদর্শ বিভিন্ন রাজ্য, ভাষা, ধর্মবিশ্বাস ও বর্ণের মানুষকে এবং আর্থিকভাবে বিভক্ত নানা শ্রেণিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। এরকম এক একটা বেসিক আইডিয়া বা মতাদর্শের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলো তৈরি হয়েছিল। বিশদ

22nd  March, 2021
বিজেপি’র অনাচার থেকে
বাংলাকে বাঁচাতেই হবে
হিমাংশু সিংহ

একটা সামান্য তালিকা প্রকাশকে কেন্দ্র করে গেরুয়া শিবিরেই যেভাবে ব্যাপক গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে, তাতে আর ভরসা রাখা যাচ্ছে না। অর্থ আর ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে দল ভাঙানোর সীমাহীন অন্যায় এবার ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে বহিরাগত বর্গী, মেনন, দেওধরদের দিকেই। বিশদ

21st  March, 2021
শেষ পর্যন্ত কি খুলে গেল
ডাস্টবিনের ঢাকনা
তন্ময় মল্লিক

প্রার্থী নিয়েই যদি অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়, তাহলে জিতলে কী হবে? সেটা বুঝেই ‘বিজেপির চাণক্য’ গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক করেছেন। তাতেও সূত্র না মেলায় বাংলার নেতাদের দিল্লিতে তলব করেছেন। যে কোনও মূল্যে বিক্ষোভ সামাল দিতে চাইছেন। কিন্তু এ তো জয়নগরের মোয়া নয়, যে চাইলেই পাবে। প্রার্থী নিয়ে বিজেপির এখন শাঁখের করাতের অবস্থা। বিশদ

20th  March, 2021
স্বাস্থ্যসাথী, ২ টাকার চাল, কন্যাশ্রী 
কি বিজেপি বন্ধ করে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

সোনার বাংলা ব্যাপারটা ঠিক কী? আমরা তো ‘সোনার উত্তরপ্রদেশ’, ‘সোনার ত্রিপুরা’, ‘সোনার অসম’, ‘সোনার হরিয়ানা’, ‘সোনার মধ্যপ্রদেশ’ বলিও না। শুনিও না।  বিজেপি ক্ষমতায় এলে একটি রাজ্য যদি সোনার হয়ে যায়, তাহলে ২০১৮ সালে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও কেন মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের মানুষ বিজেপিকে হারিয়ে দিয়েছিল? বিশদ

19th  March, 2021
ব্যাঙ্ক, বিমা বেসরকারি হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে
সাধারণ মানুষ, বিপুল মুনাফা লুটবে কর্পোরেট
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ হলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে কোটি কোটি ছোট কৃষক, ছোট ব্যবসাদার, অল্প পুঁজির কারখানার মালিক, যাদের জন্য প্রত্যন্ত এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক শাখা চালু রয়েছে, ঋণ দিচ্ছে গ্রামে ছোট শহরে। এই শ্রেণি হারিয়ে যাবে আর্থিক উন্নয়নের মানচিত্র থেকে। বিশদ

18th  March, 2021
টিকিট-কোন্দলে গেরুয়া
শিবিরে নরক গুলজার
সন্দীপন বিশ্বাস

সবকিছু দেখে মোদি-শাহ জুটি এখন বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন, যে জুমলার জোরে অন্য রাজ্যে সরকার গড়া যায়, সেই একই জুমলায় পশ্চিমবঙ্গে কাজ হবে না। তাঁদের সব জুমলাবাজি রাজ্যের মানুষের কাছে ধরা পড়ে গিয়েছে। বিশদ

17th  March, 2021
একনজরে
একদিকে স্লোগান উঠল, চোর চোর চোরটা, শিশিরবাবুর ছেলেটা। অন্যদিকে উঠল, বিজেমুল ভোগে যাবে, লালে লাল বাংলা হবে। ব্যারিকেডের একপাশে সবুজ, অন্যপাশে লাল। শুক্রবার স্লোগানে মুখরিত ...

বছর ঘুরে ফের বিশ্বের দুয়ারে করোনা-কম্পন শুরু। যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ব্রাজিলে। চড়চড় করে বাড়ছে সংক্রমণ। একদিনে লক্ষ পেরিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। আর করোনার ঠেলায় ফের কাঠগড়ায় প্রেসিডেন্ট জে বলসোনারো। ...

একটা সময় জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের মধ্যে মহুয়া খাওয়ার প্রবণতা দেখা যেত। তবে কোনও সময়েই ওই নেশা এখানকার মানুষের উপর চেপে বসতে পারেনি। কিন্তু, এখন শুধু মহুয়া ...

নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার দেওয়াল লিখন, পতাকা, ফেস্টুন, ব্যানার। নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই দলের কর্মীরা কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েন। ছড়া, ছবি, দলীয় প্রতীকের পাশাপাশি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব থিয়েটার দিবস
১৮৪৫- এক্স-রশ্মির আবিষ্কারক ইউলিয়াম রন্টজেনের জন্ম
১৮৯৮- লেখক ও দার্শনিক সৈয়দ আহমেদ খানের মৃত্যু
১৯৬৬ - বিশিষ্ট শ্যামাসঙ্গীত শিল্পী পান্নালাল ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৬৮- বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু রুশ মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিনের  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.৭২ টাকা ৭৩.৪৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.১৫ টাকা ১০১.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৩.৯৫ টাকা ৮৭.০৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৫,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৩,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৩,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ চৈত্র ১৪২৭, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১। ত্রয়োদশী ১/২৫ প্রাতঃ ৬/১২ পরে চতুর্দ্দশী ৫৪/৩৩ রাত্রি ৩/২৭। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৩৫/৩৪ রাত্রি ৭/৫২। সূর্যোদয় ৫/৩৮/৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪০ গতে ১২/৫৫ মধ্যে, রাত্রি ৮/৮ গতে ১০/৩১ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩৯ মধ্যে পুনঃ ২/২৬ গতে ৪/১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/১৪ মধ্যে পুনঃ ৪/৮ গতে উদয়াবধি।  
১৩ চৈত্র ১৪২৭, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১। চতুর্দ্দশী রাত্রি ২/৪৫। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৫৮। সূর্যোদয় ৫/৪০, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩৫ গতে ১২/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১০ গতে ১০/২৯ মধ্যে ও ১২/২ গতে ১/৩৫ মধ্যে ও ২/২১ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/১১ মধ্যে ও ১/১৪ গতে ২/৪৫ মধ্যে ও ৪/১৬ গতে ৫/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৬ মধ্যে ও ৪/১১ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। 
১২ শাবান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাংলার কোথায় কত ভোট
আজ প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাঁকুড়ায় ৮০.০৩ ...বিশদ

05:48:16 PM

বিকাল ৫টা পর্যন্ত কত ভোট পড়ল
আজ প্রথম দফার নির্বাচনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ৩০টি আসনে ...বিশদ

05:42:11 PM

প্রার্থীপদ থেকে সরে দাঁড়াতে বলায় আত্মহত্যার হুমকি বিজেপি নেতার 
বিজেপি প্রার্থী হওয়ার পর সরে দাঁড়াতে বলায় আত্মহত্যার হুমকি। ঘটনাটি ...বিশদ

04:40:00 PM

নির্বাচন কমিশনে ২০৬টি অভিযোগ জমা পড়ল 
নির্বাচন কমিশনে ২০৬টি অভিযোগ জমা পড়ল। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে বেশি ...বিশদ

04:28:23 PM

পুরুলিয়ায় বেলা ৩ টে পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৯.৩১ শতাংশ

03:57:13 PM

বেলা ৩টে পর্যন্ত ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট পড়ল ৭০.১৭ শতাংশ 

03:57:09 PM