সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
মনোনয়ন জমা দেওয়া উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। সারি সারি ঢাকের তালে ও অশোক ভট্টাচার্যের সমর্থনে প্যারোডি গানের সুরে সেই মিছিল এগিয়ে যায় হিলকার্ট রোড ধরে। সিপিএমের জেলা পার্টি অফিস অনিল বিশ্বাস ভবন থেকে শুরু হয়ে জংশনে শিলিগুড়ি মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে গিয়ে মিছিল শেষ হয়। লাল বেলুনের পাশাপাশি জোটসঙ্গী কংগ্রেসের পতাকার রঙে তিরঙ্গা বেলুনে সজ্জিত মিছিলের সামনে ছিলেন প্রার্থী অশোকবাবু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় কংগ্রেস নেত্রী তথা শহরের প্রাক্তন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত ও রাজ্য কংগ্রেস নেতা কুন্তল গোস্বামী। কিন্তু মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির কংগ্রেস প্রার্থী শঙ্কর মালাকার ও ফাঁসিদেওয়া আসনের কংগ্রেস প্রার্থী সুনীল তিরকিকে মিছিলে দেখা যায়নি। পরে আলাদা মিছিল করে এসে শঙ্করবাবুরা মনোনয়ন জমা করেন। যদিও এতে বিতর্কের কিছু দেখছে না বাম ও কং নেতৃত্ব। অশোকবাবুর মিছিলের বিশেষত্ব ছিল, যুব ও মহিলাদের ব্যাপক অংশগ্রহণ। সেইসঙ্গে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বহু সাধারণ মানুষ এগিয়ে এসে অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে করমর্দন করেন। আবার অনেকে অশোকবাবুর উদ্দেশে হাতজোড় করে নমস্কার জানান। এর কিছু পরে বিজেপিও তাদের প্রার্থী শঙ্কর ঘোষকে নিয়ে মনোনয়ন জমা করতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে আসে। সেখানেও ঢাক ছিল। কিন্তু বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে রাস্তার দু’ধারে মানুষের মধ্যে তেমন উৎসাহ বা উন্মাদনা চোখে পড়েনি।
মনোনয়নপত্র জমা পর্বে সাধারণ মানুষের এই শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা যে তাঁর আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে তা বুঝিয়ে দেন অশোকবাবু। তিনি আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে বলেন, আমিই জিতছি। বিজেপির প্রচার, প্রতিশ্রুতি সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করছে না। এখানকার মানুষ গত দেড়বছরে উত্তরবঙ্গে বিজেপির সাতজন এমপি’র ভূমিকা দেখেছে। এত এমপি পেয়েও বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার উত্তরবঙ্গের জন্য কিছু করেনি। তাই বিজেপি নেতাদের মুখে শিলিগুড়ির উন্নয়নের কথা মানুষ বিশ্বাস করছে না। সকলেই বুঝে গিয়েছে বিজেপি ভোট পাওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
অশোকবাবুর দাবি, শিলিগুড়ির মানুষ এখনও উন্নয়ন ও শান্তির জন্য তাঁকে অর্থাৎ সংযুক্ত মোর্চাকেই ভরসা করছে।