সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
যে তিনজন সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা হলেন পঙ্কজ মণ্ডল, মহম্মদ ওবাইদুর শেখ ও এবানুল শেখ ওরফে রাজা। মৃতদের সকলেরই বয়স ৩০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। এছাড়াও ওই একই গাড়িতে ছিলেন চালক সহ আরও সাতজন সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁদের মধ্যে দু’জন মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারও ছিলেন। প্রত্যেকেই কমবেশি জখম হয়েছেন বলে পুলিস জানিয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছেন আলম শেখ। তাঁর মাথায় ও মুখে মারাত্মক চোট লেগেছে। বাঁদিকের কাঁধের হাড় সরে গিয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে দ্রুত কলকাতায় পাঠানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এরপরই পুলিসের তৎপরতায় তাঁকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কালিয়াচক থানা থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে বের হয় পুলিসের একটি বড় দল। সুজাপুর থেকে দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে কালিয়াচক থানায় ফিরছিল পুলিসের ওই দলটি। ওই অভিযানে পুলিসের তিনটি গাড়ি ছিল। প্রথম গাড়িটিতে ছিল গ্রেপ্তার হওয়া দুই অভিযুক্ত সহ পুলিসের একটি দল। দ্বিতীয় গাড়িতে ছিল সিভিক ভলান্টিয়ারদের দলটি। তৃতীয় গাড়িতে ছিলেন আরও কয়েকজন পুলিস আধিকারিক ও কর্মী। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, ঘটনাটি ঘটে রাত ১টা নাগাদ। প্রবল গতিতে থানার দিকে ফিরছিল গাড়িটি। আচমকা গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক জসিম শেখ। এসইউভি গাড়িটি উঠে যায় জাতীয় সড়কের ডিভাইডারে। এরপরেই ঘটে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। বেশ কয়েকবার পাল্টি খায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি। গাড়িতে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ারদের আর্তনাদে ছুটে আসেন স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা। অল্প আহতদের কাছ থেকে ফোনে বিষয়টি জানতে পেরে ছুটে আসেন অন্যান্য পুলিস কর্মীরাও। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকায় অপর এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে দ্রুত কলকাতার উদ্দেশে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়। বাকিদের স্থানান্তরিত করা হয় ইংলিশবাজারের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতদের চিকিৎসা চলছে। তাঁদের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।
পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। এছাড়া পুলিসের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত এক লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। অন্যান্য খরচের জন্য ৫০ হাজার টাকা পাবেন মৃতের পরিজনরা। একইসঙ্গে মৃতদের পরিবার পিছু একজনের চাকরির ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিস সুপার। আহতদের চিকিৎসার সবরকম বন্দোবস্ত করার বিষয়েও আশ্বস্ত করেন তিনি।
এদিনের দুর্ঘটনায় বরাত জোরে রক্ষা পেয়েছেন কালিয়াচক থানার সাব ইনসপেক্টর অভিষেক তালুকদার। তিনি বলেন, যে গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, সাধারণত সেটিই আমি ব্যবহার করি। কিন্তু ফেরার পথে কালিয়াচক থানার আইসি আমাকে তাঁর গাড়িতে বসতে বলেন। ফলে আমি ওই গাড়িতে ছিলাম না। বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছি। ফাইল চিত্র