Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলার মানুষকে এবার
সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে
জহর সরকার

নির্বাচনের ঘণ্টা বাজার অনেক আগে থেকেই প্রচুর অভিযোগ, আশ্বাস, বিবৃতি আর বক্তব্যে আবহাওয়া গরম হয়ে উঠেছে। এইসবের মাঝে যে প্রস্তাবটি নকশালপন্থী নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বিহারের নির্বাচনের পরেই দিয়েছিলেন অনেকের কাছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে। তিনি বিজেপি-বিরোধী দলগুলিকে একসঙ্গে লড়ার জন্যে আবেদন করেছেন। তা না করলে  ওই বৃহৎ শক্তিশালী, সমৃদ্ধ ও অপ্রতিরোধ্য দলের আক্রমণের হাত থেকে কেউই বাঁচবেন না। যে যাই বলুক, আমাদের মানতেই হবে যে গত সাতদশক ধরে যে তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলায় রাজ করেছে তারা সকলেই মূলত ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস রাখে। দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য হল, তাঁদের শীর্ষস্থানীয় নেতারা সব এরাজ্যেরই, প্রতি সপ্তাহে দিল্লি বা অন্য রাজ্য থেকে আমদানি করতে হয়নি। তৃতীয়ত, তাঁরা জন্ম থেকে বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত এবং জানেন যে বাংলার সব মনীষীই বহুত্ববাদে আর সহিষ্ণুতায় একেবারে অনড় ছিলেন। যাঁরা এই মহাপুরুষদের শুধু রাজনৈতিক প্রচারে ব্যবহার করেন তাঁরা এইসব জানেনই না, তাই অনর্গল অসত্য বক্তব্য রাখেন।  এর মানে এই নয় যে বাংলার তিন দল তাদের নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে কোনও অংশে কম নির্মম বা হিংস্র ছিল, কিন্তু ধর্ম নিয়ে কোনও প্রকার বিদ্বেষ তারা ছড়ায়নি। এই নির্বাচনেই প্রথম এর ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে এবং ধর্ম ও সম্প্রদায়ের নামে ভোট চাওয়া হচ্ছে।
এটাও সত্য যে তিনটি দলেরই একে অন্যের বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ আছে  আর ক্ষোভও পোষণ করে। কিন্তু সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এক দর্শক হিসেবে শুধু এটাই বলা যায় যে প্রতিটি দলের লোকই কোনও না কোনও সময় অন্য দলের সমর্থকদের হাতে গুরুতরভাবে আক্রান্ত হয়েছেন এবং খুনও হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে এটাও সত্যি যে নিজেদের জমানায় তাঁরাই আবার অন্য বিরোধী দলের সদস্যদের অত্যাচার ও মারধর করেছেন, এমনকী হত্যাও করেছেন। গত কয়েক বছর ধরে বিরোধী দলের উপর তৃণমূল কংগ্রেসের লাগাতার আক্রমণের জন্যেই সেইসব দলের অনেক সদস্যই কেন্দ্রীয় সরকারের সমর্থিত বিজেপিতে আশ্রয় নিয়েছেন, হালের দলবদলের খেলার আর বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের অনেক আগেই। তার ফলেই বাংলায় বিজেপি বিশাল একটি প্রতিমূর্তিতে পরিণত হয়েছে। বিজেপি-বিরোধী আঁতাতের প্রধান দায়িত্ব  ছিল এরাজ্যের শাসক দলের ওপর। আর বাম দলেরা এবং কংগ্রেস যদি তাদের রক্তমাখা ইতিহাস ভুলে হাত মেলাতে পারে, তবে রাজনীতিতে সবই সম্ভব।
সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলাফল স্পষ্ট বলছে যে এবার সংযুক্ত মোর্চা বা তৃতীয় ফ্রন্টের ভূমিকা খুবই সীমাবদ্ধ। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সংখ্যা অনুযায়ী ২৯৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে তৃণমূল এগিয়ে আছে ১৬৪টিতে, আর বিজেপি ১২১টিতে। মার্কসবাদী কমিউনিস্ট দল বা বামফ্রন্ট একেবারে শূন্য, যা সত্যিই অভাবনীয়। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে জাতীয় কংগ্রেস ৪৪টি আসন পেয়েছিল, কিন্তু ২০১৯-এ এই দল এগিয়ে ছিল মাত্র ৯টি আসনে। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় বিজেপি তাদের ভোটের হার একলাফে ২২.৭ শতাংশ বাড়িয়ে, পৌঁছে গেছে  ৪০.১-এ। এটা একটা সর্বকালীন রেকর্ড। তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট ৪৩.৩ শতাংশ যা ২০১৪-র তুলনায় ৩.৫ শতাংশ বেশি। তাই ২২টি কেন্দ্রে তারা জয়লাভ করল, নাহলে পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল। অতএব, বিজেপির বর্তমান উৎসাহ ও উদ্দীপনার যথেষ্ট কারণ আছে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেল সিপিএম, যার প্রাপ্ত ভোটের হার ১৬.৭ শতাংশ কমে ঠেকল গিয়ে এক লজ্জাদায়ক ৬.৩-তে। তাই এবার নির্বাচনে অনেক নতুন ও উদ্যমী তরুণ প্রার্থী এনেছে। কংগ্রেসের দুর্দশা সবচেয়ে বেশি, তাঁদের ভোটার অংশ হ্রাস পেতে পেতে শেষে এখন ৫.৭-এ।
এবার তৃতীয় ফ্রন্টে যোগ দিয়েছে আব্বাস সিদ্দিকির নব গঠিত ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ। তিনি একটি ধর্মের শীর্ষস্থানে থেকে আর সম্পূর্ণভাবে সেই ধর্মকে ব্যবহার করার পরেও ধর্মনিরপেক্ষ কী করে হয় বোঝা মুশকিল। অনেকেই খুব বিস্মিত হল যখন বাম দলেরা তাঁর সঙ্গে জোট বাঁধল। তাঁর বেশ কয়েকটি উক্তি বিতর্ক সৃষ্টি করেছে আর তিনি  মুসলমান ভোট বিভাজন নিশ্চিতরূপে করবেন। তাতে বাম বা কংগ্রেসের কতখানি লাভ হবে বলা যায় না, কিন্তু বিজেপির নিঃসন্দেহে সুবিধা হবে। এরাজ্যে মুসলমানদের সংখ্যা ২৭ শতাংশের কিছু বেশি আর গত কয়েকটি নির্বাচনে তার বৃহৎ অংশ তৃণমূল কংগ্রেস পাচ্ছে।  বলা বাহুল্য যে, বিজেপির রাজনীতিই বিশেষভাবে এই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে। তাঁদের প্রধান অভিযোগ হল, এদের  বেশি তোয়াজ করা হয়েছে, আর এই তর্কে যুক্তির বা তথ্যের খুব একটা স্থান অবশ্য নেই। অজস্র টাকা ঢেলে লাগাতার প্রচার চলছে যে তাঁদের জনসংখ্যা বাড়ছে ভয়ঙ্কর হারে, আর রাজ্য সরকারের প্রশ্রয়ে তাঁরা কোনও আইন মানেন না, এমনকী মহামারীর বিধিনিষেধও নয়। এই নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে কত ছবিই না ছড়ানো হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাথায় হিজাব পরে দোয়া চাইছেন, অতএব হিন্দুধর্ম বিপন্ন। সুপরিকল্পিতভাবে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে যে মোদি এবং বাজপেয়িও ইসলামীয় উৎসবে ফেজ টুপি মাথায় দিয়ে ছবি তুলেছেন। উদ্বেগের কারণ হচ্ছে যে এই অবিরাম এবং সম্পূর্ণ সুদক্ষ প্রচারের ফলে খুব উচ্চশিক্ষিত মহলেও মুসলমান  বিদ্বেষ বেড়েছে। শুধু উচ্চ বর্ণ আর শ্রেণির অহংকার দিয়ে একে বোঝানো যায় না। প্রচুর ভোটার যারা মনেপ্রাণে সাম্প্রদায়িক নয় তারাও প্রভাবিত হয়েছে। তোলাবাজদের উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য খাল কেটে যে কাদের আনছে তা বোঝার সময় নেই।
আর যাঁর একের পর এক সাংঘাতিক ভুল সিদ্ধান্তের  জন্যে ভারতের অর্থনীতি আজ এই ঐতিহাসিক সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে তাঁর মুখে অন্তত বিকাশের বাণী শোভা পায় না। সব পরিকল্পনার সামনে ‘প্রধানমন্ত্রী’ নাম জুড়ে চলেছেন কিন্তু ঘাড় ঘুরিয়ে তিনি দেখছেন না যে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন যে তাঁর অতি প্রচারিত উজ্জ্বলা যোজনার গরিবেরা গ্যাস নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। কর্মসংস্থান আর অর্থনীতি ছেড়ে সমাজের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে যে জাতপাতের রাজনীতি যা এরাজ্যে নগণ্য ছিল এখন মাথাচাড়া  দিচ্ছে।  এতে তাঁদেরই সুবিধে যাঁরা সারা উত্তর ভারতে জাত নিয়ে ভোট টানেন।  মতুয়াদের ভোটব্যাঙ্কের অবশ্য তোয়াজ শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই, কিন্তু এখন তার পুরোপুরি ফায়দা নিচ্ছেন মোদি। শুধু এরাজ্যে নয়, বাংলাদেশেও। রাজবংশী-মাহাত তো আছেই, এখন তার সঙ্গে জুড়েছে মাহিষ্যদের নিয়ে খেলা। আমরা এগচ্ছি না পিছিয়ে  যাচ্ছি বোঝা মুশকিল। দু’শো বছর আগে বাংলায় নবজাগরণ ঘটায় সংস্কারমুক্ত ও উদারমুখী বাঙালিরা যারা ভারতবর্ষের অনেক প্রদেশের রক্ষণশীল মানুষকে পিছনে ফেলে দ্রুত গতিতে এগিয়ে গিয়েছিল। এখন তাঁদেরই  উত্তরসূরিদের এক অংশ ব্যস্ত হচ্ছে সেই ধর্মান্ধতা গ্রহণ করার জন্য। শুধু উত্তরপ্রদেশে মুসলিম, দলিত ও মহিলাদের ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখলেই বোঝা যায় ধর্মোন্মত্তরা আমাদের কোথায় নিয়ে যেতে পারে। বিশ্বভারতী আর কফি হাউসের অশান্তি তো শুধুমাত্র ম্যাচের আগেকার ‘নেট প্র্যাকটিস’ মাত্র। 
ভারতের অনেক রাজ্যে যত সহজে সংখ্যাগরিষ্ঠ আধিপত্য ও অসহিষ্ণুতাকে গ্রহণ ও সমর্থন করেছে, কেরল, তামিলনাড়ু পাঞ্জাব ও বাংলা  কিন্তু  এখনও মেনে নিতে পারেনি। এদের ইতিহাস, সংস্কৃতি আর বিশ্বদৃষ্টি অনেকখানি আলাদা। বাংলার ইতিহাসে কোনওদিন এরকম পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি যেখানে একটি দলের সম্পূর্ণ নির্বাচনী প্রচার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরিচালনা করছেন এবং সিবিআই আর ইডি যাঁদের বিশেষ অস্ত্র। ইভিএম নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তা আছে আর এই সংশয়গুলি সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি লোকুরও তুলে ধরেছেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা সকলেই হিন্দি ভাষাতেই নির্বাচনী সভাতে তাঁদের বক্তব্য রাখছেন। বাংলার বিজেপির এত নেতা থাকতেও কাউকে তাঁরা অধিনায়কত্বের উপযুক্ত খুঁজে পাচ্ছেন না। তাঁরা এবার ধরেই নিয়েছেন যে মমতার সরকারের বিরুদ্ধে সব ক্ষোভ পরিণত হবে তাঁদেরই হিন্দি হিন্দু হিন্দুত্ব ভোটে। এর ফলে এখানকার প্রচুর হিন্দিভাষী লোককে বোঝানো হচ্ছে, রাম ও হনুমান এবার এখানে রাজ করবে। এইসব নিয়ে প্রশ্ন তুললেই সর্বভারতীয় মিডিয়ারা প্রচার করে বাংলায় নাকি সংকীর্ণ উপজাতীয়তাবাদ শুরু হয়েছে। আমাদের সৌভাগ্য যে এখনও অব্দি সাম্প্রদায়িক বা ভাষা-ভিত্তিক কোনও দ্বন্দ্ব লাগাতে পারেনি।
বেশিরভাগ লোকের মনে সন্দেহ নেই যে এবারকার নির্বাচন দ্বিপাক্ষিকই হবে। বেশিরভাগ কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলত তৃণমূল আর ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যে। নির্বাচকেরা কোনও ভোট নষ্ট করবেন না। তাঁরা যেখান মনে করবেন বাম বা কংগ্রেসের 
প্রার্থী বিভেদপন্থী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারবেন, সেখানে তাঁদেরই ভোট দিতে পারেন। আর এবার তো খেলা হবে নির্বাচনের পরেও, কেননা বিধায়ক কেনার ব্যাপারে একটি দল অলিম্পিক স্বর্ণ পদকও পেতে পারেন।
লেখক প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও। মতামত ব্যক্তিগত
25th  March, 2021
ভোটের হাওয়া বনাম বাস্তব
তন্ময় মল্লিক
 

চক্ষু ও কর্ণের অবস্থান পাশাপাশি হলেও তাদের বোঝাপড়ার বড় অভাব। তাই উভয়ের মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকে। পারস্পরিক বিদ্বেষ যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আর ভোটের সময় সেই বিবাদ ওঠে চরমে। বিবাদ যত বাড়ে, মানুষের মন ততই অস্থির হয়।   বিশদ

সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য ও
মহামান্য আদালতের সাম্প্রতিক রায় 
কান্তি গাঙ্গুলী

গত ১৬ মার্চ ম্যানগ্রোভ অরণ্য ধ্বংস নিয়ে এক নজিরবিহীন রায় দিয়েছে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে এক ডিভিশন বেঞ্চ। ঘোষিত রায় অনুযায়ী—সংরক্ষিত অরণ্য অঞ্চলের কোনও প্রকার ক্ষতিসাধন হয়, এমন কোনও ধরনের কাজ করা যাবে না এবং পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ, ব্যাঘ্র প্রকল্পের সংরক্ষিত অরণ্য অঞ্চল ও সংরক্ষিত বিশেষ ম্যানগ্রোভ অঞ্চল রক্ষার ক্ষেত্রে সামগ্রিক নীতি গ্রহণ করতে হবে।  
বিশদ

জঙ্গলমহলের হাসি যেন না মোছে!
মৃণালকান্তি দাস

দু’টাকা কেজি চাল পাচ্ছেন? পরিবারের স্কুল পড়ুয়ারা সবুজসাথীর সাইকেল পেয়েছে? আর সরকারি প্রকল্পে বাড়ি? জঙ্গলমহলের দোরে দোরে এসব প্রশ্ন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। খুঁটিনাটি তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। রাজ্য সরকারের খাদ্য প্রকল্পের কতটা পৌঁছেছে সাধারণ মানুষের কাছে? বিশদ

26th  March, 2021
মরণঝাঁপের জন্য তৈরি
তো? যে প্রশ্নটি গোপন
হারাধন চৌধুরী

বাংলায় স্বচ্ছতার পাঠ চালু করার আগে পিএম কেয়ার্স ঘিরে ওঠা গুরুতর প্রশ্নগুলিরও জবাব দিন মোদি।  জবাব যতদিন না মিলবে ততদিন রাজনৈতিক প্রতারণায় নবতম সংযোজন হিসেবেই গণ্য হবে ৬৮ পাতার এই গাঁজাখুরি সংকল্পপত্রটি। বিশদ

24th  March, 2021
দায় শুধু নেত্রীর নয়, কর্মীদেরও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কে সেই ‘আসল’ উপরতলা? এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। আধাসেনায় ছেয়ে যাচ্ছে ভোট-জেলাগুলি। প্রথম দফায় ৩০টা আসনে ভোট, তাতে কি লাখ খানেক জওয়ান থাকবে? কেন্দ্রীয় সরকার কী প্রমাণ করতে চাইছে, বাংলা যুদ্ধক্ষেত্র? বিশদ

23rd  March, 2021
জোট হল সহযোগিতার রাজনীতি
পি চিদম্বরম

একসময় একটা বলিষ্ঠ আইডিয়া বা মতাদর্শ বিভিন্ন রাজ্য, ভাষা, ধর্মবিশ্বাস ও বর্ণের মানুষকে এবং আর্থিকভাবে বিভক্ত নানা শ্রেণিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। এরকম এক একটা বেসিক আইডিয়া বা মতাদর্শের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলো তৈরি হয়েছিল। বিশদ

22nd  March, 2021
বিজেপি’র অনাচার থেকে
বাংলাকে বাঁচাতেই হবে
হিমাংশু সিংহ

একটা সামান্য তালিকা প্রকাশকে কেন্দ্র করে গেরুয়া শিবিরেই যেভাবে ব্যাপক গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে, তাতে আর ভরসা রাখা যাচ্ছে না। অর্থ আর ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে দল ভাঙানোর সীমাহীন অন্যায় এবার ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে বহিরাগত বর্গী, মেনন, দেওধরদের দিকেই। বিশদ

21st  March, 2021
শেষ পর্যন্ত কি খুলে গেল
ডাস্টবিনের ঢাকনা
তন্ময় মল্লিক

প্রার্থী নিয়েই যদি অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়, তাহলে জিতলে কী হবে? সেটা বুঝেই ‘বিজেপির চাণক্য’ গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক করেছেন। তাতেও সূত্র না মেলায় বাংলার নেতাদের দিল্লিতে তলব করেছেন। যে কোনও মূল্যে বিক্ষোভ সামাল দিতে চাইছেন। কিন্তু এ তো জয়নগরের মোয়া নয়, যে চাইলেই পাবে। প্রার্থী নিয়ে বিজেপির এখন শাঁখের করাতের অবস্থা। বিশদ

20th  March, 2021
স্বাস্থ্যসাথী, ২ টাকার চাল, কন্যাশ্রী 
কি বিজেপি বন্ধ করে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

সোনার বাংলা ব্যাপারটা ঠিক কী? আমরা তো ‘সোনার উত্তরপ্রদেশ’, ‘সোনার ত্রিপুরা’, ‘সোনার অসম’, ‘সোনার হরিয়ানা’, ‘সোনার মধ্যপ্রদেশ’ বলিও না। শুনিও না।  বিজেপি ক্ষমতায় এলে একটি রাজ্য যদি সোনার হয়ে যায়, তাহলে ২০১৮ সালে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও কেন মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের মানুষ বিজেপিকে হারিয়ে দিয়েছিল? বিশদ

19th  March, 2021
ব্যাঙ্ক, বিমা বেসরকারি হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে
সাধারণ মানুষ, বিপুল মুনাফা লুটবে কর্পোরেট
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ হলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে কোটি কোটি ছোট কৃষক, ছোট ব্যবসাদার, অল্প পুঁজির কারখানার মালিক, যাদের জন্য প্রত্যন্ত এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক শাখা চালু রয়েছে, ঋণ দিচ্ছে গ্রামে ছোট শহরে। এই শ্রেণি হারিয়ে যাবে আর্থিক উন্নয়নের মানচিত্র থেকে। বিশদ

18th  March, 2021
টিকিট-কোন্দলে গেরুয়া
শিবিরে নরক গুলজার
সন্দীপন বিশ্বাস

সবকিছু দেখে মোদি-শাহ জুটি এখন বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন, যে জুমলার জোরে অন্য রাজ্যে সরকার গড়া যায়, সেই একই জুমলায় পশ্চিমবঙ্গে কাজ হবে না। তাঁদের সব জুমলাবাজি রাজ্যের মানুষের কাছে ধরা পড়ে গিয়েছে। বিশদ

17th  March, 2021
বিশ্বাসযোগ্যতার দাঁড়িপাল্লায় ভোট রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কিছু মনে কোরো না বাবা, ভোটটা এবার তোমাদের দিতে পারব না। এখানে যে মমতা দাঁড়িয়েছে! অনেক করেছে মেয়েটা আমাদের জন্য। যদি ও না দাঁড়াত... অন্যরকম ছিল। বিশদ

16th  March, 2021
একনজরে
একদিকে স্লোগান উঠল, চোর চোর চোরটা, শিশিরবাবুর ছেলেটা। অন্যদিকে উঠল, বিজেমুল ভোগে যাবে, লালে লাল বাংলা হবে। ব্যারিকেডের একপাশে সবুজ, অন্যপাশে লাল। শুক্রবার স্লোগানে মুখরিত ...

একটা সময় জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের মধ্যে মহুয়া খাওয়ার প্রবণতা দেখা যেত। তবে কোনও সময়েই ওই নেশা এখানকার মানুষের উপর চেপে বসতে পারেনি। কিন্তু, এখন শুধু মহুয়া ...

বছর ঘুরে ফের বিশ্বের দুয়ারে করোনা-কম্পন শুরু। যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ব্রাজিলে। চড়চড় করে বাড়ছে সংক্রমণ। একদিনে লক্ষ পেরিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। আর করোনার ঠেলায় ফের কাঠগড়ায় প্রেসিডেন্ট জে বলসোনারো। ...

নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার দেওয়াল লিখন, পতাকা, ফেস্টুন, ব্যানার। নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই দলের কর্মীরা কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েন। ছড়া, ছবি, দলীয় প্রতীকের পাশাপাশি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব থিয়েটার দিবস
১৮৪৫- এক্স-রশ্মির আবিষ্কারক ইউলিয়াম রন্টজেনের জন্ম
১৮৯৮- লেখক ও দার্শনিক সৈয়দ আহমেদ খানের মৃত্যু
১৯৬৬ - বিশিষ্ট শ্যামাসঙ্গীত শিল্পী পান্নালাল ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৬৮- বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু রুশ মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিনের  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.৭২ টাকা ৭৩.৪৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.১৫ টাকা ১০১.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৩.৯৫ টাকা ৮৭.০৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৫,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৩,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৩,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ চৈত্র ১৪২৭, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১। ত্রয়োদশী ১/২৫ প্রাতঃ ৬/১২ পরে চতুর্দ্দশী ৫৪/৩৩ রাত্রি ৩/২৭। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৩৫/৩৪ রাত্রি ৭/৫২। সূর্যোদয় ৫/৩৮/৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪০ গতে ১২/৫৫ মধ্যে, রাত্রি ৮/৮ গতে ১০/৩১ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩৯ মধ্যে পুনঃ ২/২৬ গতে ৪/১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/১৪ মধ্যে পুনঃ ৪/৮ গতে উদয়াবধি।  
১৩ চৈত্র ১৪২৭, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১। চতুর্দ্দশী রাত্রি ২/৪৫। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৫৮। সূর্যোদয় ৫/৪০, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩৫ গতে ১২/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১০ গতে ১০/২৯ মধ্যে ও ১২/২ গতে ১/৩৫ মধ্যে ও ২/২১ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/১১ মধ্যে ও ১/১৪ গতে ২/৪৫ মধ্যে ও ৪/১৬ গতে ৫/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৬ মধ্যে ও ৪/১১ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। 
১২ শাবান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাংলার কোথায় কত ভোট
আজ প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাঁকুড়ায় ৮০.০৩ ...বিশদ

05:48:16 PM

বিকাল ৫টা পর্যন্ত কত ভোট পড়ল
আজ প্রথম দফার নির্বাচনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ৩০টি আসনে ...বিশদ

05:42:11 PM

প্রার্থীপদ থেকে সরে দাঁড়াতে বলায় আত্মহত্যার হুমকি বিজেপি নেতার 
বিজেপি প্রার্থী হওয়ার পর সরে দাঁড়াতে বলায় আত্মহত্যার হুমকি। ঘটনাটি ...বিশদ

04:40:00 PM

নির্বাচন কমিশনে ২০৬টি অভিযোগ জমা পড়ল 
নির্বাচন কমিশনে ২০৬টি অভিযোগ জমা পড়ল। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে বেশি ...বিশদ

04:28:23 PM

পুরুলিয়ায় বেলা ৩ টে পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৯.৩১ শতাংশ

03:57:13 PM

বেলা ৩টে পর্যন্ত ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট পড়ল ৭০.১৭ শতাংশ 

03:57:09 PM