Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

শেষ পর্যন্ত কি খুলে গেল
ডাস্টবিনের ঢাকনা
তন্ময় মল্লিক

ডাস্টবিনের ঢাকনা কি শেষ পর্যন্ত খুলেই গেল? খুব নাকি দুর্গন্ধ বেরচ্ছে! তাহলে ‘ওয়াশিং মেশিন’ সত্যিই কি ‘ডাস্টবিন’ হয়ে গিয়েছে? না হলে প্রার্থীর নাম ঘোষণা 
হতেই বিজেপি কর্মীদের ক্ষোভ এভাবে আছড়ে পড়ল কেন? ভাঙচুর, আগুন, আত্মহত্যার চেষ্টা, কিছুই বাদ নেই। নেতৃত্বের বিরুদ্ধে উঠছে মারাত্মক অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয়েছে দলবদলুদের নির্বাচনের টিকিট। এসব দেখে লোকজন বলছেন, ‘রামচন্দ্র ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই লঙ্কাকাণ্ড শুরু।’ নজিরবিহীন। এ সব দেখে কেউ কেউ টিপ্পনি কেটে বলছেন, দেখ কেমন লাগে?
‘যোগদান মেলায়’ বিজেপির অনেক নেতা মুচকি হেসে বলেছিলেন, ‘এই তো সবে শুরু, ছবি অনেক বাকি।’ কেউ কেউ সদর্পে ঘোষণা করেছিলেন, নির্বাচন ঘোষণা হলে সব বিজেপিতে চলে আসবে। তৃণমূল দলটাই থাকবে না।’ তৃণমূলের তালিকা প্রকাশের পর গেরুয়া শিবিরে যোগদানের হিড়িক কিঞ্চিৎ বেড়েছিল। আর তাতে বিজেপি নেতাদের মুখের হাসি চওড়াও হয়েছিল। কিন্তু নেতারা তখন বাংলার বহুল প্রচলিত প্রবাদটা ভুলে গিয়েছিলেন, ‘ঘুঁটে পোড়ে, গোবর হাসে।’
বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের একটাই লক্ষ্য, বাংলা দখল। সেই নেশায় বুঁদ হয়ে তাঁরা তৃণমূলের ঝড়তি পড়তিদের জন্যও দরজা হাট করে খুলে রেখেছিলেন। নিচুতলার কর্মীরা বুঝেছিলেন, খাল কেটে কুমির আনা হচ্ছে। ঠেকাতে না পারলে একদিন এই কুমিরের পেটেই তাঁদের যেতে হবে। সেই কারণে দিকে দিকে শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ। তাঁদের আশঙ্কা যে অমূলক ছিল না, সেটা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই টের পাচ্ছেন। তাই যাঁরা তৃণমূলের অত্যাচার সহ্য করে বিজেপির ঝান্ডা আঁকড়ে ধরেছিলেন, তাঁরা দলকে ‘সংশোধনে’র জন্য রাস্তায় নেমেছেন। তাঁরাও বুঝতে পারছেন, দলবদলুদের ভিড়ে বিজেপি দিন দিন তৃণমূলের ‘বি’ টিম হয়ে যাচ্ছে।
বিজেপির আদি কর্মীদের ক্ষোভটা ঠিক এখানেই। মহাত্মা গান্ধীর চশমার ছবি ছাপিয়ে ‘স্বচ্ছ ভারতে’র স্বপ্ন দেখিয়েছিল বিজেপি। গান্ধীজি এখনও প্রতিটি ভারতবাসীর চোখে ত্যাগের প্রতীক। নরেন্দ্র মোদির দল সর্বক্ষেত্রে সেই স্বচ্ছতার কথা বলে নোট বাতিল থেকে জিএসটির মতো একের পর এক ‘ভয়ঙ্কর’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সমস্যায় জর্জরিত দেশবাসী একটা ভালো কিছুর প্রত্যাশায় সব সিদ্ধান্ত মুখ বুজে মেনে নিয়েছেন। কিন্তু, প্রতিটি ক্ষেত্রেই ফল হয়েছে উল্টো। সুরাহার বদলে দেশের মানুষের ঘাড়ে চেপেছে বোঝা। যত দিন যাচ্ছে বিজেপির কথা আর কাজের ফারাকটা মানুষ বুঝতে পারছেন। নির্বাচনের মুখে দলের কর্মীরাও উপলব্ধি করছেন, নেতারা মুখে যা বলেন, করেন ঠিক তার উল্টোটা। তাই এবার দলের ভিতর থেকে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ।
বিজেপির এই অবস্থা দেখে সবচেয়ে বেশি ঘাবড়ে যাচ্ছেন দলবদলুরা। তাঁরা ‘সোনার বাংলা’র কারিগর হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। প্রায় সকলের মুখেই শোনা গিয়েছিল তৃণমূলে তাঁদের দমবন্ধ হওয়ার কথা। তাঁরা নাকি সম্মান পাচ্ছিলেন না। তাই বুকভরে প্রশ্বাস নেওয়ার ও সম্মানিত হওয়ার আশায় বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। কিন্তু, মাস দু’য়েক যেতে না যেতেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা।
বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই তিনি দফায় দফায় ‘সম্মানিত’ হয়েছেন। তবে, সবচেয়ে বেশি ‘সম্মানিত’ হয়েছিলেন বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার সময়। বিজেপি কর্মীরা তাঁকে জঙ্গলের মধ্যেই রথ থেকে নামিয়ে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর এই ‘পরিবর্তন’ তাঁদের নাপসন্দ। তাও শ্যামাপ্রসাদবাবু সব হজম করেছিলেন। কিন্তু বিষ্ণুপুরের টিকিট হাতছাড়া হতেই ফের তাঁর ‘শ্বাসকষ্ট’ উপসর্গ দেখা দিয়েছে। শুরু হয়েছে ছটফটানি। তাই ‘অক্সিজেনে’র আশায় দুর্গাপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ছুটেছিলেন। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী ফিরেও তাকাননি। শ্যামাপ্রসাদবাবুর এই অবস্থা দেখে অনেকে বলছেন, ‘শ্যামাপ্রসাদের এখন শ্যামও গেল, কূলও গেল।’ বেচারা!
২৯৪টি আসনের জন্য আট দফায় ভোট। নির্বিঘ্নে ভোট সুসম্পন্ন করার জন্য ইতিমধ্যেই ৪৯৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসে গিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে বলে খবর। একি ভোটের প্রস্তুতি, নাকি যুদ্ধ? বলা বেশ কঠিন। 
তবে যাঁদের জন্য এই এলাহি আয়োজন, সেই ভোটারদের দিন দিন কেমন যেন ‘বেসুরো’ ঠেকছে। এতদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় তবুও লোকজন হচ্ছিল। কিন্তু ঝাড়গ্রামের সভায় তাল কেটে গেল। উপস্থিতির যা বহর, তাতে জনসভা করলে শোরগোল পড়ে যেত। তাই সভার রূপান্তর ঘটল। হল ভার্চুয়াল সভা। আর মানুষেরই বা কী দোষ? রোজ যদি কেন্দ্রের, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা মিটিং, পদযাত্রা করেন, তাঁদের সভা ভরানোর দায় জনগণ নেবে কেন? নেতা, মন্ত্রীদের কাজ না থাকতেই পারে। খেটে খাওয়া মানুষজনের কাজ আছে তো নাকি?
দিন কয়েক হল রাজ্যবাসী একটা ঘটনা খুব মিস করছেন। বাউল শিল্পী, দলিত, খেতমজুরদের বাড়িতে নেতাদের মধ্যাহ্নভোজ পর্বটা আর দেখা যাচ্ছে না। উঠে গেল নাকি! ব্যাপারটার মধ্যে বেশ অভিনবত্ব ছিল। দিল্লি, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ থেকে হাওয়াই জাহাজে চেপে এসে দলিতের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ। হাতে সময় থাকলে বাউল শিল্পীর গান শোনা, আর ভাষা না বুঝলেও বোদ্ধার স্টাইলে তাল ঠোকা। চিত্রনাট্য মাফিক সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু ঘেঁটে দিল এই প্রার্থী তালিকা। ‘কঠোর অনুশাসনে’ বাঁধা পার্টির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যে এমন কাদা ছোড়াছুড়ি হবে, তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। এটাও বঙ্গে অভিনব বটে।
এত কাণ্ডকারখানার পরেও শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চলছে। বিজেপি নেতাদের কথায়, ‘ছোট পরিবার সুখী পরিবার। দল বড় হচ্ছে। প্রার্থী হওয়ার দাবিদার অনেক। তাই একটু ক্ষোভ বিক্ষোভ হতেই পারে।’ 
বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেড এই বিক্ষোভকে হালকা করে দেখানোর চেষ্টা করলেও দিল্লির কর্তারা বুঝতে পারছেন, গলদ রয়েছে গোড়াতেই। লোকে তো বলবেই, প্রার্থী নিয়েই যদি অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়, তাহলে জিতলে কী হবে? সেটা বুঝেই ‘বিজেপির চাণক্য’ গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক করেছেন। তাতেও সূত্র না মেলায় বাংলার নেতাদের দিল্লিতে তলব করেছেন। যে কোনও মূল্যে বিক্ষোভ সামাল দিতে চাইছেন। কিন্তু এ তো জয়নগরের মোয়া নয়, যে চাইলেই পাবে।
প্রার্থী নিয়ে বিজেপির এখন শাঁখের করাতের অবস্থা। যেতেও কাটছে, আসতেও কাটছে। দলবদলুদের প্রার্থী করলে আদিদের বিদ্রোহ।  আবার আদিদের গুরুত্ব দিলে দলবদলুরা চটবেন। বিজেপি নেতারা যতই দাবি করুন, প্রার্থী করার শর্ত মেনে কাউকে যোগদান করানো হয়নি, বাস্তব কিন্তু অন্য কথা বলছে। বিজেপিতে যোগদান করেই টিকিট পাওয়ার নজির নেহাত কম নয়। বিজেপির আদিরা বুঝেছেন, দলবদলুদের ভোট দিয়ে জেতালে ক্ষমতা বদলানো যাবে, কিন্তু তাঁদের ভাগ্য বদলাবে না।
দলের কর্মীদের ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখে বিজেপির চাণক্য এমন ভাব দেখাচ্ছেন, যেন তিনি কিছুই জানতেন না। অথচ সবাই জানে এবং মানে, তাঁর দাপটে বঙ্গ বিজেপিতে বাঘে-গোরুতে একসঙ্গে জল খায়। হাজার হাজার মানুষকে সাক্ষী রেখে তিনিই হাসি মুখে তৃণমূলের একের পর এক নেতার হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দিয়েছেন। তিনিই ২০০ আসনের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। কিন্তু অঙ্ক কষতে গিয়ে দেখছেন, দলের ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা। তাই তৃণমূলের ‘রিজার্ভ বেঞ্চে’র প্লেয়ার তুলে এনে টিম তৈরি করতে নেমেছেন। আর এ সব যে তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত, সেটা একটা শিশুও বোঝে। তাই বিক্ষোভের সমস্ত দায় রাজ্য নেতৃত্বের ঘাড়ে চাপিয়ে দিলেও মানুষ তা কিছুতেই বিশ্বাস করতে চাইছে না। 
কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বহু বছর আগে লিখেছিলেন, ‘সবাই দেখছে যে রাজা উলঙ্গ, তবুও/ সবাই হাততালি দিচ্ছে/ সবাই চেঁচিয়ে বলছে, শাবাশ, শাবাশ/ কারও মনে সংস্কার, কারও ভয়’। বিজেপির অবস্থা দেখে বারবার কবির ‘উলঙ্গ রাজা’র সেই শিশুটির কথা মনে পড়ছে, ‘সে এসে একবার এই উলঙ্গ রাজার সামনে নির্ভয়ে দাঁড়াক/ সে এসে একবার এই হাততালির ঊর্ধ্বে গলা তুলে জিজ্ঞাসা করুক: রাজা, তোর কাপড় কোথায়?’ বিজেপির বিক্ষোভকারী আদি নেতা কর্মীরা হলেন সেই ‘শিশুর দল’।
20th  March, 2021
ভোটের হাওয়া বনাম বাস্তব
তন্ময় মল্লিক
 

চক্ষু ও কর্ণের অবস্থান পাশাপাশি হলেও তাদের বোঝাপড়ার বড় অভাব। তাই উভয়ের মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকে। পারস্পরিক বিদ্বেষ যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আর ভোটের সময় সেই বিবাদ ওঠে চরমে। বিবাদ যত বাড়ে, মানুষের মন ততই অস্থির হয়।   বিশদ

সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য ও
মহামান্য আদালতের সাম্প্রতিক রায় 
কান্তি গাঙ্গুলী

গত ১৬ মার্চ ম্যানগ্রোভ অরণ্য ধ্বংস নিয়ে এক নজিরবিহীন রায় দিয়েছে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে এক ডিভিশন বেঞ্চ। ঘোষিত রায় অনুযায়ী—সংরক্ষিত অরণ্য অঞ্চলের কোনও প্রকার ক্ষতিসাধন হয়, এমন কোনও ধরনের কাজ করা যাবে না এবং পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ, ব্যাঘ্র প্রকল্পের সংরক্ষিত অরণ্য অঞ্চল ও সংরক্ষিত বিশেষ ম্যানগ্রোভ অঞ্চল রক্ষার ক্ষেত্রে সামগ্রিক নীতি গ্রহণ করতে হবে।  
বিশদ

জঙ্গলমহলের হাসি যেন না মোছে!
মৃণালকান্তি দাস

দু’টাকা কেজি চাল পাচ্ছেন? পরিবারের স্কুল পড়ুয়ারা সবুজসাথীর সাইকেল পেয়েছে? আর সরকারি প্রকল্পে বাড়ি? জঙ্গলমহলের দোরে দোরে এসব প্রশ্ন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। খুঁটিনাটি তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। রাজ্য সরকারের খাদ্য প্রকল্পের কতটা পৌঁছেছে সাধারণ মানুষের কাছে? বিশদ

26th  March, 2021
বাংলার মানুষকে এবার
সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে
জহর সরকার

বাংলার ইতিহাসে কোনওদিন এরকম পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি যেখানে একটি দলের সম্পূর্ণ নির্বাচনী প্রচার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র  মন্ত্রী পরিচালনা করছেন এবং সিবিআই আর ইডি যাঁদের বিশেষ অস্ত্র। বাংলার বিজেপির এত নেতা থাকতেও কাউকে তাঁরা অধিনায়কত্বের উপযুক্ত খুঁজে পাচ্ছেন না। বিশদ

25th  March, 2021
মরণঝাঁপের জন্য তৈরি
তো? যে প্রশ্নটি গোপন
হারাধন চৌধুরী

বাংলায় স্বচ্ছতার পাঠ চালু করার আগে পিএম কেয়ার্স ঘিরে ওঠা গুরুতর প্রশ্নগুলিরও জবাব দিন মোদি।  জবাব যতদিন না মিলবে ততদিন রাজনৈতিক প্রতারণায় নবতম সংযোজন হিসেবেই গণ্য হবে ৬৮ পাতার এই গাঁজাখুরি সংকল্পপত্রটি। বিশদ

24th  March, 2021
দায় শুধু নেত্রীর নয়, কর্মীদেরও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কে সেই ‘আসল’ উপরতলা? এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। আধাসেনায় ছেয়ে যাচ্ছে ভোট-জেলাগুলি। প্রথম দফায় ৩০টা আসনে ভোট, তাতে কি লাখ খানেক জওয়ান থাকবে? কেন্দ্রীয় সরকার কী প্রমাণ করতে চাইছে, বাংলা যুদ্ধক্ষেত্র? বিশদ

23rd  March, 2021
জোট হল সহযোগিতার রাজনীতি
পি চিদম্বরম

একসময় একটা বলিষ্ঠ আইডিয়া বা মতাদর্শ বিভিন্ন রাজ্য, ভাষা, ধর্মবিশ্বাস ও বর্ণের মানুষকে এবং আর্থিকভাবে বিভক্ত নানা শ্রেণিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। এরকম এক একটা বেসিক আইডিয়া বা মতাদর্শের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলো তৈরি হয়েছিল। বিশদ

22nd  March, 2021
বিজেপি’র অনাচার থেকে
বাংলাকে বাঁচাতেই হবে
হিমাংশু সিংহ

একটা সামান্য তালিকা প্রকাশকে কেন্দ্র করে গেরুয়া শিবিরেই যেভাবে ব্যাপক গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে, তাতে আর ভরসা রাখা যাচ্ছে না। অর্থ আর ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে দল ভাঙানোর সীমাহীন অন্যায় এবার ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে বহিরাগত বর্গী, মেনন, দেওধরদের দিকেই। বিশদ

21st  March, 2021
স্বাস্থ্যসাথী, ২ টাকার চাল, কন্যাশ্রী 
কি বিজেপি বন্ধ করে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

সোনার বাংলা ব্যাপারটা ঠিক কী? আমরা তো ‘সোনার উত্তরপ্রদেশ’, ‘সোনার ত্রিপুরা’, ‘সোনার অসম’, ‘সোনার হরিয়ানা’, ‘সোনার মধ্যপ্রদেশ’ বলিও না। শুনিও না।  বিজেপি ক্ষমতায় এলে একটি রাজ্য যদি সোনার হয়ে যায়, তাহলে ২০১৮ সালে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও কেন মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের মানুষ বিজেপিকে হারিয়ে দিয়েছিল? বিশদ

19th  March, 2021
ব্যাঙ্ক, বিমা বেসরকারি হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে
সাধারণ মানুষ, বিপুল মুনাফা লুটবে কর্পোরেট
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ হলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে কোটি কোটি ছোট কৃষক, ছোট ব্যবসাদার, অল্প পুঁজির কারখানার মালিক, যাদের জন্য প্রত্যন্ত এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক শাখা চালু রয়েছে, ঋণ দিচ্ছে গ্রামে ছোট শহরে। এই শ্রেণি হারিয়ে যাবে আর্থিক উন্নয়নের মানচিত্র থেকে। বিশদ

18th  March, 2021
টিকিট-কোন্দলে গেরুয়া
শিবিরে নরক গুলজার
সন্দীপন বিশ্বাস

সবকিছু দেখে মোদি-শাহ জুটি এখন বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন, যে জুমলার জোরে অন্য রাজ্যে সরকার গড়া যায়, সেই একই জুমলায় পশ্চিমবঙ্গে কাজ হবে না। তাঁদের সব জুমলাবাজি রাজ্যের মানুষের কাছে ধরা পড়ে গিয়েছে। বিশদ

17th  March, 2021
বিশ্বাসযোগ্যতার দাঁড়িপাল্লায় ভোট রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কিছু মনে কোরো না বাবা, ভোটটা এবার তোমাদের দিতে পারব না। এখানে যে মমতা দাঁড়িয়েছে! অনেক করেছে মেয়েটা আমাদের জন্য। যদি ও না দাঁড়াত... অন্যরকম ছিল। বিশদ

16th  March, 2021
একনজরে
বছর ঘুরে ফের বিশ্বের দুয়ারে করোনা-কম্পন শুরু। যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ব্রাজিলে। চড়চড় করে বাড়ছে সংক্রমণ। একদিনে লক্ষ পেরিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। আর করোনার ঠেলায় ফের কাঠগড়ায় প্রেসিডেন্ট জে বলসোনারো। ...

বড় জয় দিয়ে বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বের অভিযান শুরু করল ইংল্যান্ড। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ২১০তম স্থানে থাকা সান মারিনোকে পাঁচ গোলের মালা পরাল গ্যারেথ সাউথগেটের দল। ...

একদিকে স্লোগান উঠল, চোর চোর চোরটা, শিশিরবাবুর ছেলেটা। অন্যদিকে উঠল, বিজেমুল ভোগে যাবে, লালে লাল বাংলা হবে। ব্যারিকেডের একপাশে সবুজ, অন্যপাশে লাল। শুক্রবার স্লোগানে মুখরিত ...

একটা সময় জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের মধ্যে মহুয়া খাওয়ার প্রবণতা দেখা যেত। তবে কোনও সময়েই ওই নেশা এখানকার মানুষের উপর চেপে বসতে পারেনি। কিন্তু, এখন শুধু মহুয়া ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব থিয়েটার দিবস
১৮৪৫- এক্স-রশ্মির আবিষ্কারক ইউলিয়াম রন্টজেনের জন্ম
১৮৯৮- লেখক ও দার্শনিক সৈয়দ আহমেদ খানের মৃত্যু
১৯৬৬ - বিশিষ্ট শ্যামাসঙ্গীত শিল্পী পান্নালাল ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৬৮- বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু রুশ মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিনের  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.৭২ টাকা ৭৩.৪৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.১৫ টাকা ১০১.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৩.৯৫ টাকা ৮৭.০৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৫,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৩,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৩,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ চৈত্র ১৪২৭, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১। ত্রয়োদশী ১/২৫ প্রাতঃ ৬/১২ পরে চতুর্দ্দশী ৫৪/৩৩ রাত্রি ৩/২৭। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৩৫/৩৪ রাত্রি ৭/৫২। সূর্যোদয় ৫/৩৮/৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪০ গতে ১২/৫৫ মধ্যে, রাত্রি ৮/৮ গতে ১০/৩১ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩৯ মধ্যে পুনঃ ২/২৬ গতে ৪/১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/১৪ মধ্যে পুনঃ ৪/৮ গতে উদয়াবধি।  
১৩ চৈত্র ১৪২৭, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১। চতুর্দ্দশী রাত্রি ২/৪৫। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৫৮। সূর্যোদয় ৫/৪০, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩৫ গতে ১২/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১০ গতে ১০/২৯ মধ্যে ও ১২/২ গতে ১/৩৫ মধ্যে ও ২/২১ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/১১ মধ্যে ও ১/১৪ গতে ২/৪৫ মধ্যে ও ৪/১৬ গতে ৫/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৬ মধ্যে ও ৪/১১ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। 
১২ শাবান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাংলার কোথায় কত ভোট
আজ প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাঁকুড়ায় ৮০.০৩ ...বিশদ

05:48:16 PM

বিকাল ৫টা পর্যন্ত কত ভোট পড়ল
আজ প্রথম দফার নির্বাচনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ৩০টি আসনে ...বিশদ

05:42:11 PM

প্রার্থীপদ থেকে সরে দাঁড়াতে বলায় আত্মহত্যার হুমকি বিজেপি নেতার 
বিজেপি প্রার্থী হওয়ার পর সরে দাঁড়াতে বলায় আত্মহত্যার হুমকি। ঘটনাটি ...বিশদ

04:40:00 PM

নির্বাচন কমিশনে ২০৬টি অভিযোগ জমা পড়ল 
নির্বাচন কমিশনে ২০৬টি অভিযোগ জমা পড়ল। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে বেশি ...বিশদ

04:28:23 PM

পুরুলিয়ায় বেলা ৩ টে পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৯.৩১ শতাংশ

03:57:13 PM

বেলা ৩টে পর্যন্ত ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট পড়ল ৭০.১৭ শতাংশ 

03:57:09 PM