Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিজেপি’র অনাচার থেকে
বাংলাকে বাঁচাতেই হবে
হিমাংশু সিংহ

জোড়াতাপ্পির প্রার্থী তালিকা থেকেই পরিষ্কার যে গেরুয়া বাহিনীর সোনার বাংলা দখল দূর অস্ত! তবে মোদি-অমিত শাহের চেষ্টার বিরাম নেই। উম-পুনের ঝড়ের ঐতিহাসিক বিপর্যয়ের পর বঙ্গে এসেছিলেন মাত্র একবার, আর এখন ক্ষমতা দখলের নেশায় দু’সপ্তাহে উনিশবার! পিছন পিছন আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ গোটা মন্ত্রিসভাটাই। তাঁদেরই সৌজন্যে রাজ্যটাকে বেইরুট বানানোর সব আয়োজন সারা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। ঝাড়গ্রাম জঙ্গলমহল ঘুরে আসা এক সাংবাদিক বন্ধু বলছিলেন, প্রত্যন্ত গ্রামে তাঁর গাড়ি যত এগচ্ছে ততই উল্টোদিক থেকে আসা জলপাই উর্দি পরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর পরপর ট্রাকের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ঝাঁকে ঝাঁকে বাহিনী আসার বিরাম নেই। পরিস্থিতি আজ এমন যে গ্রামের রাস্তায় ভোটের দিন না সাধারণ মানুষের চেয়ে আধাসেনা বেশি হয়ে যায়। বুটের শব্দের ভয় দেখিয়ে ভোট লুটের ছক হলে মানুষ কিন্তু ছেড়ে কথা বলবে না। ভোটযন্ত্রের সুরক্ষার ব্যবস্থাও করতে হবে প্রতিটি নাগরিককে। কারণ প্রথম দফার ভোটের পাঁচ সপ্তাহ পর গণনা। বিজেপির দাবি মেনে প্রথম দফার ভোটের আগেই রাজ্যে আসছে প্রায় ৯৫ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী। তারপরও বিরাম নেই, আরও আসছে। দেশের মধ্যে সম্ভবত কোনও নির্বাচনে সর্বোচ্চ। রেকর্ড আটদফায় সংখ্যাটা সোয়া এক লক্ষও ছাড়াতে পারে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। শেষপর্যন্ত তা বেড়ে হতে পারে দেড় লক্ষও। এ তো ভোট নয়, যেন হাল্লা চলেছে যুদ্ধে। তবে প্রশ্ন একটাই, যুদ্ধটা শুধু বাংলার মাটিতেই নামিয়ে আনা কেন? ভোট তো পাঁচ রাজ্যে হচ্ছে। সেখানে তো ভারী বুটের এমন শব্দ শোনা যাচ্ছে না। তামিলনাড়ুতে সবমিলিয়ে বাহিনী যাচ্ছে মাত্র ৩৩০ কোম্পানি। অর্থাৎ ৩৩ হাজার। শেষে বেড়ে ৪০ হাজারই হোক। আর কেরলে এখনও পর্যন্ত যা হিসেব তাতে সংখ্যাটা কিছুতেই ১৫০ থেকে ১৭৫ কোম্পানির বেশি হবে না। আর বাংলায়? 
গতবার করোনার জেরে আম বাঙালি পুজোয় একটু সুতোও কিনতে পারেনি। পুরনো জামাকাপড়েই বিবর্ণ উৎসব পালিত হয়েছে। কিন্তু নেতানেত্রীর বেচাকেনার হাট ছিল জমজমাট। কালীপুজো থেকেই শুরু হয়ে যায় যাকে বলে বাম্পার সেল! এ হাটে ক্রেতা বহিরাগত গেরুয়াধারী কিছু রাজনীতির কারবারি। টানা একবছর ধরে নেতা কিনেও এখন বহু কেন্দ্রে প্রার্থীই মিলছে না। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে বুথে বসবে কে? জেলায় একটার পর একটা গেরুয়া অফিসে ভাঙচুর আগুন। সব দেখেশুনে ক্ষুব্ধ অমিত শাহদের ভাবটা এমন যে নেতাদের দিয়ে কিস্যুটি হবে না। পরিত্রাতা তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী। মুঠোফোনে বার্তা যাচ্ছে, ‘অউর দো শো কোম্পানি ভেজ দো’। পুলিসকে দূরে সরিয়ে শেষে কি বাহিনী দিয়েই রাজ্য দখল করতে হবে! বিরোধীদের অভিযোগ, সেই জন্যই ভোটের সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত করা হয়েছে। কমিশনে নালিশও হয়েছে তা নিয়ে। কাশ্মীরে অনেক ঢাক ঢোল পিঠিয়ে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার সময়ও দু’দফায় বাহিনী পাঠানো হয়েছিল পঞ্চাশ হাজারের আশপাশে। ২০১৯’র আগস্টের সেই হিসেবটাই দেখছিলাম। দেশে সব মিলিয়ে কত কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে জানেন, দশ লক্ষের কিছু বেশি। তার মধ্যে সোয়া এক লক্ষই যদি বাংলায় আসে, তাহলে বাকি ভারতে নিশ্চয়ই রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা হয়ে গিয়েছে। অপরাধ, খুন, জখম, রাহাজানি, ধর্ষণ বলে কিছু নেই! বাহ, মোদিজি বাহ, লকডাউনের বর্ষপূর্তিতে আর বাসন নয় দু’হাতে তালি বাজান! 
আমার এক উঠতি লেখক বন্ধু বলছিল, বিজেপির প্রার্থী তালিকা দেখে মনে হচ্ছে, কোনও জাল পাইরেটেড বইয়ের মেলা বসছে বুঝি! যেখানে শতকরা আশি শতাংশ বইই অন্য প্রকাশনার হুবহু নকল। কিংবা নানা প্রলোভন দেখিয়ে ভাঙিয়ে আনা। স্রেফ কপি করা। এমন কোনও গাড়ির মেলায় কি কেউ কোনওদিন গিয়েছেন যেখানে অধিকাংশ বাহনের নকশাই প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে চুরি করা! অথচ গেরুয়া প্রার্থী তালিকাটাই লোভ দেখিয়ে ফুসলিয়ে আনা বাতিল তৃণমূলীতে ভরা। চীনের প্রযুক্তি কপি করার খ্যাতি-অখ্যাতি আজ বিশ্বজোড়া। মুখে যতই আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলে বেজিংকে ব্রাত্য করার চেষ্টা হোক, সবাই জানে নরেন্দ্র মোদির নজরও কিন্তু সেই দিকেই। রামকৃষ্ণ কথামৃতে একটা সার কথা বলা আছে, শকুন যতই মাটির উপর দিয়ে উড়ুক, নজর আসলে তার ভাগাড়ের দিকেই নিবদ্ধ। বিজেপিরও যেন ঠিক সেই দশা। তারই প্রতিফলন দেখছে এবারের বাংলার নির্বাচন। এখনও পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তা তো বিক্ষুব্ধ দমবন্ধ তৃণমূলে ভরা। ওই তালিকা দেখিয়ে কোন বাংলার স্বপ্ন ফেরি করতে চান গুটখা খাওয়া অবাঙালি নেতারা? এও তো বাংলার অগ্নিকন্যারই সাফল্য। নেত্রীর হাতে গড়া সংগ্রামী দলটাকে ভাঙাতে সমগ্র কেন্দ্রীয় সরকার আজ মরিয়া। আর তিনি ভাঙা জখম পা নিয়েই জেলায় জেলায় শত্রুর মোকাবিলা করে চলেছেন, ব্যথাকে হার মানিয়ে হাসি মুখে কখনও গড়বেতা, কখনও লালগড়, কখনও পটাশপুর আবার কখনও নন্দীগ্রামে আওয়াজ তুলছেন, খেলা হবে। তবে খেলাটা তাঁর একার নয়, সমগ্র বাঙালি জাতির অস্তিত্ব রক্ষার সঙ্গে যুক্ত।
দেখে শুনে মনে হয়, শিক্ষা, বিকাশ, স্বাস্থ্য আর মানুষের উন্নয়নকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্যটাকে বেইমান দলবদলু আর ফুরিয়ে যাওয়া অভিনেতা, অভিনেত্রীর আস্তাকুঁড়ে পরিণত করতেই মরিয়া অমিত শাহরা। সীমাহীন অনাচারের শুরু সেখানেই। সিন্ডিকেটের মাথাদের দলে এনে কোন মন্ত্রে মেদিনীপুর হলদিয়ায় তোলাবাজি খতম হবে তাঁর ব্যাখ্যা দিলীপ ঘোষদের হাতে নেই। এই বাংলায় বারে বারে ভোট এসেছে গিয়েছে। নীতির লড়াইয়ে কেউ জিতেছেন কেউ হেরেছেন। কিন্তু কোনও স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের এমন প্রার্থী তালিকা দেখেছেন যার সিংহভাগই অন্যদল থেকে ভাঙিয়ে আনা কিংবা ভাড়া করা। কারও অনেক পাওয়ার লোভ, আবার কারও জেল থেকে বাঁচার তাগিদ। ভোট মিটলে টিকিও দেখা যাবে না অনেকেরই। এতকিছুর পরও তালিকায় নাম থাকা অনেকে আবার বলছেন, আমি তো ও দলে নেই, কীভাবে আমার নাম তালিকায় ঢুকল জানি না তো! এসব দেখে আসল বিজেপি করা লোকজন তো মুখ লুকিয়ে ঘরে বসে কাঁদছেন আর গাইছেন, ‘কখন যে বসন্ত গেল এবার হল না গান!’ সোনার পার্টিতে বোধহয় এমনটাই ভবিতব্য। বলতেই হয়, এমন রং বদলানো পরজীবীদের হাতে রাজ্যের ভবিষ্যৎ মোটেই সুরক্ষিত থাকতে পারে না। এ তো প্রার্থী তালিকা নয়, বাছাই করা একঝাঁক মীরজাফর আর হাতে কাজ না থাকা ফিল্মি তারকার হট্টমেলা। এঁরা করবে দেশোদ্ধার? এমন প্রার্থী বাছলে সোনার বাংলা দূরে থাক, ঘুঁটের বাংলাও অধরা থেকে যাবে যে! তার চেয়ে বাংলা মায়ের স্নেহমাখা কষ্টের মোটা কাপড়ই তো ভালো!
ওই যে বলছিলাম, এই সর্বনাশের খেলাটা শুরুটা হয়েছে গতবছর কালীপুজোর পরপরই। বিজেপির বাংলা দখলের অভিযান, অপারেশন বেঙ্গল। টাকা ফেল আর দমবন্ধ হওয়া বিক্ষুব্ধ নেতা ঘরে তোলো। যেন মোহন বাগান ইস্ট বেঙ্গলের খেলোয়াড় কেনাবেচা চলছে। হাফলাইনের কিংবা ফরওয়ার্ডের একটা প্লেয়ার কিনে টিম বানানো এক জিনিস। আর ব্যাক, হাফলাইন, ফরওয়ার্ড লাইন, গোলকিপার কিছুই নেই, প্রতিপক্ষের থেকে ভাঙিয়ে এনে পুরো দলটা তৈরি করা তো সম্পূর্ণ নির্লজ্জ ব্যাপার। চূড়ান্ত বেহায়াপনা। দেশে যেন আর কোনও সমস্যাই নেই। সবাই চাকরি পেয়ে গিয়েছে। সবার থালায় ভাত। মাটির উপর ছাদ। ঘরে ঘরে পরিস্রুত পানীয় জল। আর সেই সাফল্যের জোরেই বাংলার দু’বিঘা জমি দখলে সমগ্র গেরুয়া শিবির নেশায় বুঁদ। সঙ্গে ত্রিতালে তবলা বাজাচ্ছে সিবিআই, আর কত্তাল বাজাচ্ছে ইডি। এই লড়াইতেও বাংলার নিজের মেয়ের সঙ্গে আর সকলের সম্মিলিত লড়াই।  ২ মে বাংলার সেই অন্তরাত্মারই জয় দেখতে সমগ্র জাতি উদগ্রীব।
দেশভাগ, মন্বন্তর, মহামারীর আঘাতে এমনিতেই বাংলা ও বাঙালির অবস্থা কাহিল। তার উপর একটা সামান্য তালিকা প্রকাশকে কেন্দ্র করে গেরুয়া শিবিরেই যেভাবে ব্যাপক গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে, তাতে আর ভরসা রাখা যাচ্ছে না। অর্থ আর ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে দল ভাঙানোর সীমাহীন অন্যায় এবার ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে বহিরাগত বর্গী, মেনন, দেওধরদের দিকেই। আকাশে বাতাসে একটাই আওয়াজ, একটাই সুরের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ আর যাই হোক ত্রিপুরা নয়। শোনা যায় এই পরিস্থিতিতে বাংলা দখলের স্বপ্নে মশগুল অমিত শাহও নাকি ভীষণ ক্ষুব্ধ। জলপাইগুড়ি, মালদহ, সিঙ্গুর, দমদম, চুচুঁড়া দুই চব্বিশ পরগনার বিস্তীর্ণ অঞ্চল থেকে শুরু করে গোটা রাজ্যে এখন যেন গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি। যে দল দাঙ্গা লাগায়, মানুষে মানুষে বিভেদ আর বিভাজনের নোংরা রাজনীতি নিয়ে অশান্তি তৈরি করে তারাই এবার অজান্তে নিজেদের দলের ভিতরই ক্ষোভের বিষ বপন করেছে। যাকে বলে অতি লোভে তাঁতি নষ্ট! হিন্দু মুসলমানের বিভাজনের রাজনীতি করতে করতে আজ এ রাজ্যের গেরুয়া শিবিরও আদি আর নব্য এই দুভাগে আড়াআড়ি বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। একটার পর একটা কেন্দ্র আর এলাকায় দলের পুরনো মার খাওয়া কর্মী আর সুযোগসন্ধানী উড়ে এসে জুড়ে বসা দলবদলুরা আজ  সম্মুখসমরে। এই বিদ্বেষ আর ঘৃণার রাজনীতি থেকে বাংলাকে বাঁচাতে হলে এই বিষাক্ত শক্তিকে পরাজিত করতেই হবে। অনাচার রুখতে হবে। নাহলে বিষ মাথায় চড়ে যাবে। একদিকে  দলবদলু আর বেইমানদের নৃত্য চলছে আর অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী, সিবিআই ও ইডি একযোগে অমিত শাহের অঙ্গুলি হেলনে রাজ্যটাকে অশান্ত করার যাবতীয় চেষ্টা চালাচ্ছে। 
কিন্তু ভোট একদিন মিটে যাবে। বহিরাগতরাও কল্কে না পেয়ে পালিয়ে যাবে। সকাল বিকেল মিথ্যে সোনার বাংলা গড়ার ডাক আর শোনা যাবে না। কিন্তু মেনন, শর্মা, শাহ, বর্গীরা কেটে পড়লেও আমরা বাঙালিরা কিন্তু তখনও থাকব। একটা কথা সবার মনে রাখা উচিত যে এমন অবিশ্বাস আর শত্রুতার সম্পর্ক তৈরি না হয় যাতে চিরতরে হেসে কথা বলাই বন্ধ হয়ে যায়। ইতিহাসে বাইরের শক্তি যখনই বাংলাকে দখলের খোয়াব দেখেছে তখনই প্রথমে সমাজটাকে বহু ভাগে ভাঙার চেষ্টা হয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও সফল হয়নি। এবারও হবে না। বাংলাকে এবারও ঐক্যবদ্ধভাবে বাইরের গুন্ডাদের হাত থেকে রক্ষা করতেই হবে। শেষ কথা বলবে ২ মে।
21st  March, 2021
ভোটের হাওয়া বনাম বাস্তব
তন্ময় মল্লিক
 

চক্ষু ও কর্ণের অবস্থান পাশাপাশি হলেও তাদের বোঝাপড়ার বড় অভাব। তাই উভয়ের মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকে। পারস্পরিক বিদ্বেষ যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আর ভোটের সময় সেই বিবাদ ওঠে চরমে। বিবাদ যত বাড়ে, মানুষের মন ততই অস্থির হয়।   বিশদ

সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য ও
মহামান্য আদালতের সাম্প্রতিক রায় 
কান্তি গাঙ্গুলী

গত ১৬ মার্চ ম্যানগ্রোভ অরণ্য ধ্বংস নিয়ে এক নজিরবিহীন রায় দিয়েছে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে এক ডিভিশন বেঞ্চ। ঘোষিত রায় অনুযায়ী—সংরক্ষিত অরণ্য অঞ্চলের কোনও প্রকার ক্ষতিসাধন হয়, এমন কোনও ধরনের কাজ করা যাবে না এবং পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ, ব্যাঘ্র প্রকল্পের সংরক্ষিত অরণ্য অঞ্চল ও সংরক্ষিত বিশেষ ম্যানগ্রোভ অঞ্চল রক্ষার ক্ষেত্রে সামগ্রিক নীতি গ্রহণ করতে হবে।  
বিশদ

জঙ্গলমহলের হাসি যেন না মোছে!
মৃণালকান্তি দাস

দু’টাকা কেজি চাল পাচ্ছেন? পরিবারের স্কুল পড়ুয়ারা সবুজসাথীর সাইকেল পেয়েছে? আর সরকারি প্রকল্পে বাড়ি? জঙ্গলমহলের দোরে দোরে এসব প্রশ্ন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। খুঁটিনাটি তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। রাজ্য সরকারের খাদ্য প্রকল্পের কতটা পৌঁছেছে সাধারণ মানুষের কাছে? বিশদ

26th  March, 2021
বাংলার মানুষকে এবার
সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে
জহর সরকার

বাংলার ইতিহাসে কোনওদিন এরকম পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি যেখানে একটি দলের সম্পূর্ণ নির্বাচনী প্রচার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র  মন্ত্রী পরিচালনা করছেন এবং সিবিআই আর ইডি যাঁদের বিশেষ অস্ত্র। বাংলার বিজেপির এত নেতা থাকতেও কাউকে তাঁরা অধিনায়কত্বের উপযুক্ত খুঁজে পাচ্ছেন না। বিশদ

25th  March, 2021
মরণঝাঁপের জন্য তৈরি
তো? যে প্রশ্নটি গোপন
হারাধন চৌধুরী

বাংলায় স্বচ্ছতার পাঠ চালু করার আগে পিএম কেয়ার্স ঘিরে ওঠা গুরুতর প্রশ্নগুলিরও জবাব দিন মোদি।  জবাব যতদিন না মিলবে ততদিন রাজনৈতিক প্রতারণায় নবতম সংযোজন হিসেবেই গণ্য হবে ৬৮ পাতার এই গাঁজাখুরি সংকল্পপত্রটি। বিশদ

24th  March, 2021
দায় শুধু নেত্রীর নয়, কর্মীদেরও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কে সেই ‘আসল’ উপরতলা? এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। আধাসেনায় ছেয়ে যাচ্ছে ভোট-জেলাগুলি। প্রথম দফায় ৩০টা আসনে ভোট, তাতে কি লাখ খানেক জওয়ান থাকবে? কেন্দ্রীয় সরকার কী প্রমাণ করতে চাইছে, বাংলা যুদ্ধক্ষেত্র? বিশদ

23rd  March, 2021
জোট হল সহযোগিতার রাজনীতি
পি চিদম্বরম

একসময় একটা বলিষ্ঠ আইডিয়া বা মতাদর্শ বিভিন্ন রাজ্য, ভাষা, ধর্মবিশ্বাস ও বর্ণের মানুষকে এবং আর্থিকভাবে বিভক্ত নানা শ্রেণিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। এরকম এক একটা বেসিক আইডিয়া বা মতাদর্শের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলো তৈরি হয়েছিল। বিশদ

22nd  March, 2021
শেষ পর্যন্ত কি খুলে গেল
ডাস্টবিনের ঢাকনা
তন্ময় মল্লিক

প্রার্থী নিয়েই যদি অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়, তাহলে জিতলে কী হবে? সেটা বুঝেই ‘বিজেপির চাণক্য’ গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক করেছেন। তাতেও সূত্র না মেলায় বাংলার নেতাদের দিল্লিতে তলব করেছেন। যে কোনও মূল্যে বিক্ষোভ সামাল দিতে চাইছেন। কিন্তু এ তো জয়নগরের মোয়া নয়, যে চাইলেই পাবে। প্রার্থী নিয়ে বিজেপির এখন শাঁখের করাতের অবস্থা। বিশদ

20th  March, 2021
স্বাস্থ্যসাথী, ২ টাকার চাল, কন্যাশ্রী 
কি বিজেপি বন্ধ করে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

সোনার বাংলা ব্যাপারটা ঠিক কী? আমরা তো ‘সোনার উত্তরপ্রদেশ’, ‘সোনার ত্রিপুরা’, ‘সোনার অসম’, ‘সোনার হরিয়ানা’, ‘সোনার মধ্যপ্রদেশ’ বলিও না। শুনিও না।  বিজেপি ক্ষমতায় এলে একটি রাজ্য যদি সোনার হয়ে যায়, তাহলে ২০১৮ সালে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও কেন মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের মানুষ বিজেপিকে হারিয়ে দিয়েছিল? বিশদ

19th  March, 2021
ব্যাঙ্ক, বিমা বেসরকারি হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে
সাধারণ মানুষ, বিপুল মুনাফা লুটবে কর্পোরেট
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ হলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে কোটি কোটি ছোট কৃষক, ছোট ব্যবসাদার, অল্প পুঁজির কারখানার মালিক, যাদের জন্য প্রত্যন্ত এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক শাখা চালু রয়েছে, ঋণ দিচ্ছে গ্রামে ছোট শহরে। এই শ্রেণি হারিয়ে যাবে আর্থিক উন্নয়নের মানচিত্র থেকে। বিশদ

18th  March, 2021
টিকিট-কোন্দলে গেরুয়া
শিবিরে নরক গুলজার
সন্দীপন বিশ্বাস

সবকিছু দেখে মোদি-শাহ জুটি এখন বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন, যে জুমলার জোরে অন্য রাজ্যে সরকার গড়া যায়, সেই একই জুমলায় পশ্চিমবঙ্গে কাজ হবে না। তাঁদের সব জুমলাবাজি রাজ্যের মানুষের কাছে ধরা পড়ে গিয়েছে। বিশদ

17th  March, 2021
বিশ্বাসযোগ্যতার দাঁড়িপাল্লায় ভোট রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কিছু মনে কোরো না বাবা, ভোটটা এবার তোমাদের দিতে পারব না। এখানে যে মমতা দাঁড়িয়েছে! অনেক করেছে মেয়েটা আমাদের জন্য। যদি ও না দাঁড়াত... অন্যরকম ছিল। বিশদ

16th  March, 2021
একনজরে
বড় জয় দিয়ে বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বের অভিযান শুরু করল ইংল্যান্ড। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ২১০তম স্থানে থাকা সান মারিনোকে পাঁচ গোলের মালা পরাল গ্যারেথ সাউথগেটের দল। ...

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। শুক্রবার সকালেই ৭৫ বছরের কোবিন্দ বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তারপরই দিল্লির সেনা হাসপাতালে নিয়মমাফিক চেকআপে যান।  ...

একদিকে স্লোগান উঠল, চোর চোর চোরটা, শিশিরবাবুর ছেলেটা। অন্যদিকে উঠল, বিজেমুল ভোগে যাবে, লালে লাল বাংলা হবে। ব্যারিকেডের একপাশে সবুজ, অন্যপাশে লাল। শুক্রবার স্লোগানে মুখরিত ...

বছর ঘুরে ফের বিশ্বের দুয়ারে করোনা-কম্পন শুরু। যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ব্রাজিলে। চড়চড় করে বাড়ছে সংক্রমণ। একদিনে লক্ষ পেরিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। আর করোনার ঠেলায় ফের কাঠগড়ায় প্রেসিডেন্ট জে বলসোনারো। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব থিয়েটার দিবস
১৮৪৫- এক্স-রশ্মির আবিষ্কারক ইউলিয়াম রন্টজেনের জন্ম
১৮৯৮- লেখক ও দার্শনিক সৈয়দ আহমেদ খানের মৃত্যু
১৯৬৬ - বিশিষ্ট শ্যামাসঙ্গীত শিল্পী পান্নালাল ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৬৮- বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু রুশ মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিনের  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.৭২ টাকা ৭৩.৪৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.১৫ টাকা ১০১.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৩.৯৫ টাকা ৮৭.০৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৫,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৩,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৩,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ চৈত্র ১৪২৭, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১। ত্রয়োদশী ১/২৫ প্রাতঃ ৬/১২ পরে চতুর্দ্দশী ৫৪/৩৩ রাত্রি ৩/২৭। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৩৫/৩৪ রাত্রি ৭/৫২। সূর্যোদয় ৫/৩৮/৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪০ গতে ১২/৫৫ মধ্যে, রাত্রি ৮/৮ গতে ১০/৩১ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩৯ মধ্যে পুনঃ ২/২৬ গতে ৪/১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/১৪ মধ্যে পুনঃ ৪/৮ গতে উদয়াবধি।  
১৩ চৈত্র ১৪২৭, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১। চতুর্দ্দশী রাত্রি ২/৪৫। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৫৮। সূর্যোদয় ৫/৪০, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩৫ গতে ১২/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১০ গতে ১০/২৯ মধ্যে ও ১২/২ গতে ১/৩৫ মধ্যে ও ২/২১ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/১১ মধ্যে ও ১/১৪ গতে ২/৪৫ মধ্যে ও ৪/১৬ গতে ৫/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৬ মধ্যে ও ৪/১১ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। 
১২ শাবান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাংলার কোথায় কত ভোট
আজ প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাঁকুড়ায় ৮০.০৩ ...বিশদ

05:48:16 PM

বিকাল ৫টা পর্যন্ত কত ভোট পড়ল
আজ প্রথম দফার নির্বাচনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ৩০টি আসনে ...বিশদ

05:42:11 PM

প্রার্থীপদ থেকে সরে দাঁড়াতে বলায় আত্মহত্যার হুমকি বিজেপি নেতার 
বিজেপি প্রার্থী হওয়ার পর সরে দাঁড়াতে বলায় আত্মহত্যার হুমকি। ঘটনাটি ...বিশদ

04:40:00 PM

নির্বাচন কমিশনে ২০৬টি অভিযোগ জমা পড়ল 
নির্বাচন কমিশনে ২০৬টি অভিযোগ জমা পড়ল। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে বেশি ...বিশদ

04:28:23 PM

পুরুলিয়ায় বেলা ৩ টে পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৯.৩১ শতাংশ

03:57:13 PM

বেলা ৩টে পর্যন্ত ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট পড়ল ৭০.১৭ শতাংশ 

03:57:09 PM