সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
এই ধরনের পরিস্থিতিতে লোকসভা বা বিধানসভা পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারে না। অন্তর্বর্তী নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। অন্তর্বর্তী নির্বাচন দু’-তিন বছর কিংবা কয়েক মাসের মধ্যেই অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে। ভোটার তালিকা সংশোধন থেকে রাজনৈতিক প্রচার, ভোটগ্রহণ, ফল ঘোষণা, নতুন বিধানসভা বা লোকসভা এবং মন্ত্রিসভা গঠন—সবটাই করতে হয় নতুন করে। এরপর আছে কিছু লোভী ও অসৎ সদস্যের দলবদলের বাঁদরামি। তাদের সৌজন্যে রাজ্যে রাজ্যে উপনির্বাচনও গণতন্ত্রের গায়ে কলঙ্কের মতো সেঁটে থাকে। সব মিলিয়ে ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থা প্রাচীন যুগের রাজসূয় যজ্ঞের থেকে অনেক ভারী একটা ব্যাপার। কিন্তু এর জন্য যে বিপুল টাকার প্রয়োজন! কোন গৌরী সেন তা জোগাবেন? উত্তরে একটা পাল্টা প্রশ্নই উঠে আসবে—কেন দেশবাসী? হ্যাঁ, দেশবাসীকেই এই টাকা জোগাতে হবে।
তাই সবার আগে জরুরি নির্বাচনী সংস্কার। দলত্যাগ রোধ এবং নির্বাচিত আইনসভার পবিত্রতা রক্ষাই হবে যার লক্ষ্য। গঠনমূলক এই সংস্কারই ভারতীয় গণতন্ত্রকে প্রকৃত গণতন্ত্রে উন্নীত এবং মজবুত করতে পারে। শুধু শক্তিশালী গণতন্ত্রই পারে জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে। স্বাধীনতালাভের ৭৫ বছর উদযাপনের জন্য দেশ উদগ্রীব। কিন্তু ভারত আজও ‘উন্নত বিশ্ব’-এর অংশ হতে পারেনি। ‘উন্নয়নশীল’ দেশের তকমা নিয়েই কাটাচ্ছে দশকের পর দশক। কিন্তু সাধারণ মানুষের হালহকিকত দেখে ভারতকে ‘গরিব’ দেশের ঊর্ধ্বে রাখা যায় না। তবু ভোট-বিলাসিতা আমরা ছাড়তে পারিনি। বরং দিন কে দিন ভোটের জন্য খরচের বহর বেড়েই চলেছে। এর পিছনে নির্বাচন কমিশনের নির্বুদ্ধিতা অনেকাংশে দায়ী। যেমন এবার পশ্চিমবঙ্গের ভোট নেওয়া হচ্ছে মোট আট দফায়! সর্বকালীন রেকর্ড। কমিশনের কর্তাদের অনুমান, পশ্চিমবঙ্গের ৭ কোটি ৩৩ লক্ষ ভোটারের ভোটগ্রহণের খরচ এক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। নির্বাচনী সংস্কারের কোনও লক্ষণ আপাতত নেই। তাই কমিশনের উচিত ছিল, যতটা সম্ভব কম খরচে ভোট বৈতরণী পেরনোর ব্যবস্থা করা। পরিবর্তে, ‘ভয়ংকর খারাপ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি’ নামক এক কাল্পনিক দৈত্যের মোকাবিলার আয়োজন করেছে তারা। কমিশনের এই ভূমিকা নিন্দনীয়। গণতন্ত্রের ইতিহাসের কাছে জবাবদিহি করতে হবে ভারতের নির্বাচন কমিশনকে।