সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
বেআইনি অস্ত্র কারখানার জন্য বিহারের মুঙ্গেরের নাম সর্বজনবিদিত। এটি দক্ষিণ বিহারের অষ্টাদশ শতকের ট্র্যাডিশন। এই আমলে নকশাল, মাওবাদী, উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং কাশ্মীর, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের জেহাদিদের সৌজন্যে মুঙ্গেরি অস্ত্রাগারগুলি চাঙ্গা থাকে। বস্তুত বিহার পুলিস তাদের শায়েস্তা করতে হিমশিম খায়। মুঙ্গেরি অস্ত্রে পুষ্ট রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও বিহারের ‘রেড করিডর’। নকশাল, মাওবাদী, বাংলাদেশের জেহাদি গ্রুপ জেএমবি প্রভৃতি নানা সময়ে পশ্চিমবঙ্গের নানা অঞ্চলে ‘ডিসটার্ব’ করার চেষ্টা করেছে, অতর্কিতে হামলা কিংবা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে। বিশেষ করে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জমানা রীতিমতো কেঁপে উঠেছিল তাদের দৌরাত্ম্যে।
একদিকে পুলিস ও প্রশাসনের কঠোর অবস্থান, অন্যদিকে শাসকের রাজনৈতিক সদিচ্ছা, রাজ্য সরকারের জনসংযোগ বৃদ্ধির নীতি ও মানবিক মুখ—এই অভূতপূর্ব কৌশলী অবস্থান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যার ফলে গত দশ বছরে বাংলায় সব ধরনের উগ্রপন্থী অ্যাডভেঞ্চার ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক দশকগুলির মধ্যে এই সাফল্য এককথায় বেনজির। তাই প্রশাসক ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরাট কুর্নিশ প্রাপ্য। গত কয়েক বছরে রাজ্যে নানা ধরনের বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির নেপথ্য শক্তি হিসেবে কাজ করেছে এই শান্তির পরিবেশ। ভয়াবহ মহামারীর মধ্যেও অব্যাহত আর্থিক বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির ঊর্ধ্বগতি—বাংলায় উন্নত আইনশৃঙ্খলারই সাক্ষ্য দিচ্ছে। সব জেনেও প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভোটের বাজারে নেমে রাজ্য প্রশাসনের নামে যা বলছেন, তাকে নিম্নমানের মেঠো ভাষণ এবং নগ্ন কুৎসার অধিক গণ্য করা যায় না। ১৭ অক্টোবর এক টিভি সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ অভিযোগ করেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় বোমা তৈরির কারখানা আছে।’ এসব কোথায়? পরদিনই সরকারিভাবে জানতে চেয়েছিলেন এক নাগরিক। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তা জানাতে পারেনি। তথ্য জানার অধিকার আইনে গৃহীত প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে পাঁচমাস পর মন্ত্রক জানিয়ে দিল, ‘এই ব্যাপারে তাদের কাছে কোনও তথ্যই নেই।’ তাহলে মন্ত্রক এবং মন্ত্রীর মধ্যে কে সত্যবাদী আর কে মিথ্যাবাদী—এই প্রশ্ন উঠবেই। মন্ত্রকের তথ্যকে মান্যতা দিলে মন্ত্রী কেন ‘ফেক নিউজ’ ছড়ানোর দায় নেবেন না? একই অভিযোগে শুধু নাগরিককেই বিচারের কাঠগড়ায় টেনে আনা হবে কোন যুক্তিতে?