সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
উল্টো দিকে? পায়ে মারাত্মক চোট নিয়েও নেত্রী বলেছেন, আমি অনুরোধ করব সকলের কাছে—শান্ত থাকুন, সংযত থাকুন, ভালো থাকুন। এমন কিছু করবেন না যাতে মানুষের অসুবিধা হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে একজন দায়িত্বশীল মানুষের যে ভূমিকা থাকা উচিত, সেটাই শোনা গিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্যে। বাংলার ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই ব্যক্তি আক্রমণ ও কুকথার রাজনীতি প্রকট হচ্ছে। এটা কখনও কখনও শালীনতার মাত্রাও ছাড়াচ্ছে। একজন আহত মহিলাকে উদ্দেশ্য করে কটু ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতেও বাধছে না! বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে যেভাবে কটাক্ষ করেছেন তা শুধু অসৌজন্যের বহিঃপ্রকাশ নয়, নিম্নরুচিরও পরিচয়। সবক্ষেত্রেই ব্যতিক্রম থাকে। এক্ষেত্রেও আছে। এই পদ্ম শিবিরেরই কয়েকজন অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে সৌজন্যের বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু এই সৌজন্যটুকুও দেখাননি দেশের প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রীর প্রধান প্রতিপক্ষ প্রার্থীও, যিনি একদা মমতা মন্ত্রিসভারই হেভিওয়েট মন্ত্রী ছিলেন। দেশের ঐতিহ্য পরম্পরার কথা যাঁর মুখে মুখে ফেরে সেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও আশ্চর্যজনক নীরব। বাংলার মানুষের মন পেতে তাঁর মুখে শোনা যায় বাংলার শিক্ষা-সংস্কৃতির কথা। অথচ বাংলায় দু’দফায় মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানো নেত্রীর আঘাত পাওয়ার ঘটনার পর তাঁর আরোগ্য কামনা করে শুভেচ্ছা পাঠানোর সৌজন্যটুকুও দেখাননি প্রধানমন্ত্রী! রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও এমন অসৌজন্য প্রদর্শন কি ভালোভাবে মেনে নেবে রাজ্যবাসী, নাকি মেনে নেবে বিরোধী নেতাদের তির্যক ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, যা বাঙালির শিক্ষা-দীক্ষার সঙ্গে মেলে না?
বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে। একজন নেতা কতটা মানবিক তার প্রকাশ পাওয়া যায় তাঁর আচার-আচরণে। সবার আগে মানুষ। তারপর রাজনীতি। ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে সেই বোধটুকুও খুইয়ে মানবিকতাটা হারিয়ে বসছেন বিরোধী শিবিরের কতিপয় হেভিওয়েট নেতা। প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতে গিয়ে এমন বেফাঁস মন্তব্য করছেন যা বাংলার শিক্ষা-সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না। এই বাংলায় মহিলাদের যে বিশেষ সম্মানের চোখে দেখা হয় তাও সম্ভবত তাঁদের অজানা। তাই প্রতিপক্ষকে নিশানা করে তাঁরা এমন কটূক্তি করে বসছেন যা নিচু মনেরই পরিচয়। এমন নেতাদের আগে সবক শেখা দরকার। তারপর না-হয় বাংলা দখলের দিবাস্বপ্ন দেখুন তাঁরা।