সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
আহা, কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়! ভাড়াটে সৈন্য দিয়ে কি যুদ্ধজয় সম্ভব? দলবদলুদের চরিত্র অনেকটা তেমনই। আজ আছে কাল নেই। এই দলবদলুদের উপরই অনেকটা ভরসা গেরুয়া বাহিনীর। তাদের নিয়ে রণসজ্জা সাজিয়ে ‘খেলতে’ নেমেছে কঠিনতম প্রতিপক্ষ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাংলার এক বাঘিনীর সঙ্গে লড়তে ময়দানে হাজির প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে দিল্লির তাবড় নেতারা। ঘুঁটি সাজানোয় ত্রুটি থাকায় যোগ্য মর্যাদা পাওয়া না-পাওয়ার দ্বন্দ্ব জমে উঠেছে নব্য ও পুরনো বিজেপি কর্মীদের মধ্যে। গোষ্ঠীকোঁদল রাজপথে, জ্বলছে টায়ার। খেলার শুরুতেই যদি এই হয়, পরে কী হবে? হবে নাই-বা কেন? মিসড কলে বিজেপি সদস্য হয়েই কেউ পেয়েছেন প্রার্থী হওয়ার টিকিট। আর দলের বিপদে আপদে যাঁরা সর্বক্ষণের সঙ্গী হয়ে দায়িত্ব সামলেছেন তাঁরাই এখন অপাংক্তেয়! দিন যত গড়াচ্ছে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তির দুর্বলতা ততই প্রকাশ পাচ্ছে। দল ক্ষমতায় এলে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী তা নিয়ে গুঞ্জনের অন্ত নেই। নাকি অনেক দাবিদার! মুখ নেই, তাই মোদি মুখোশেই ভরসা! প্রার্থী হতে না পেরে বা পছন্দের কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ না পেয়ে যেভাবে অনেকেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন তা যেন বিজেপিতে মুষল পর্বের সূচনা। কোথাও আবার প্রার্থী নিয়ে দ্বন্দ্ব এড়াতে বিজেপি ভরসা রেখেছে তারকাদের উপর। ক্ষমতা দখলের জন্য দৌড় শুরু করার আগেই মনোনয়নকে ঘিরে যেভাবে ক্ষোভ-বিক্ষোভ কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে তাতে মনে হয় ফিনিশিং লাইন পর্যন্ত পৌঁছতে বেগ পেতে হবে অনেককে। গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই বিক্ষুদ্ধদের কারসাজিতে হোঁচট খেতে না হয়! মিডিয়ার দৌলতে এসবই দেখছে বঙ্গবাসী। যে দল ‘উপযুক্ত’ প্রার্থী ঠিক করতেই নাজেহাল, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কে তাই-ই এখনও প্রজেক্ট করতে পারল না, তাদের উপর কতটা ভরসা রাখবে বাংলার মানুষ? সর্বোপরি প্রার্থী ও কেন্দ্রের নাম উচ্চারণে যে জড়তা রাজ্যবাসী দেখল তাতে মনে হতেই পারে বহিরাগত ‘তত্ত্বটি’ বোধহয় অমূলক নয়। এমন হাস্যকর বাংলা উচ্চারণ অতীতে দেখেনি বাঙালি।
দফায় দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ থেকে স্পষ্ট একসঙ্গে সব কেন্দ্রের জন্য প্রার্থীর নাম ঘোষণায় অপারগ বিজেপি। এক্ষেত্রেও তৃণমূল সুপ্রিমো প্রথম রাউন্ডে এগিয়ে রয়েছেন। ভিত মজবুত না হলে বাড়ি ভেঙে পড়ে। রাজ্য বিজেপির অবস্থা সেরকমই। নব্য ও পুরনোর দ্বন্দ্বে জেরবার, জনতা জনার্দনের সামনে তাদের বেহাল দশাটাও প্রকট। তাই প্রশ্ন দলবদলুদের নিয়ে সত্যিই কি তারা বঙ্গভোটে শেষরক্ষা করতে পারবে? জানতে অপেক্ষা করতে হবে ২ মে পর্যন্ত।