সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
করোনা শুধু মানুষের প্রাণ কাড়েনি, ভাতও মেরেছে। ভুয়ো ভাষণ আর সবকা বিকাশের প্রচার দিয়ে প্রকৃত পরিস্থিতিকে আড়াল করা যায় না। তথ্য বলছে, কর্মহীনতার কারণে ভারতে প্রায় ৩ কোটি ২০ লক্ষ মধ্যবিত্ত অনটনের মুখে পড়েছেন। বহু মধ্যবিত্ত তকমা হারিয়ে এখন দরিদ্র। ঘটেছে অর্থনীতির বিপর্যয়। দেশে বেকারত্ব বাড়লেও দখলের রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত দেশের শাসক। ক্ষুধাপীড়িত মানুষের জন্য দেশের সরকারের মানবিক মুখও দেখা যাচ্ছে না। অথচ এই পরিস্থিতিতে রোজগারের নিরাপত্তা ও খাদ্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করাটা জরুরি ছিল। সেই দায়িত্ব পালনকে অগ্রাধিকার না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী সহ গেরুয়া বাহিনী বঙ্গজয়ের স্বপ্নে বিভোর। দেশের সব মানুষকে প্রতিষেধক দেওয়ার যে কোনওরকম পরিকল্পনাই নেই সরকারের তা একরকম নিশ্চিত করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। সকলের জন্য ভ্যাকসিনের নিশ্চয়তা দিতে যেখানে মোদি সরকার অপারগ সেখানে কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব রাজ্যবাসীকেই বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলেছেন অনেক আগেই। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভ্যাকসিনের জন্য দরবারও করেছেন। দেশে এখন টিকাকরণের আওতায় ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা এবং ৪৫ থেকে ৫৯ বয়সসীমার কো-মরবিড মানুষজন। কিন্তু রোগব্যাধি তো বয়স দেখে হয় না। তাই দাবি উঠেছে কো-মরবিড সব মানুষকেই টিকাকরণের আওতায় আনায়। সঙ্গত দাবি। মানবিক দিক থেকে বিষয়টি দেখা উচিত। ঢিলেঢালা মনোভাব ত্যাগ করে করোনা টেস্টের উপর আরও জোর দেওয়া জরুরি।
করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি। কারণ লক্ষ লক্ষ মানুষ মিটিং মিছিল সমাবেশে শামিল হচ্ছেন। রোগ রাজনৈতিক দল প্রার্থী বুঝে হয় না। তাই কোভিড সুরক্ষা বিধির উপর জোর দিতেই হবে। বিপদ এড়াতে মাস্ক মাস্ট। সুরক্ষাবিধি মেনে চলার আর্জিও জানিয়েছে রাজ্যের পুর প্রশাসন। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলি কোভিড সুরক্ষার কোনও নিয়মই মানছে না। দূরত্ববিধি শিকেয়। ডোন্ট কেয়ার মনোভাব পুরোদমে। ভোটের জন্য কমিশন নির্ধারিত আদর্শ আচরণবিধি মানতে পারলে কোভিড সুরক্ষা বিধি মানা হবে না কেন? কোভিড সুরক্ষা বিধি মেনে ভোট পর্ব সাঙ্গ করাটা নির্বাচন কমিশনের কাছেও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আটকানোর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুক দেশ ও রাজ্যের সরকার। এ চ্যালেঞ্জ প্রতিটি রাজনৈতিক দল, প্রতিটি মানুষেরও। কারণ অতি আত্মবিশ্বাস বিপদ বাড়াতে পারে।