সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
সে কারণেই সংসদে বিল পাশ আটকাতে না পারলেও এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো লঙ্ঘন ইস্যুতে সরব হবে তৃণমূল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে নির্দেশ, সংসদে যে ক’টি বিলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে, তা নিয়ে সরব হতে হবে। তাঁর মতে, রাজ্যের অধিকারে কোনওভাবেই কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া যাবে না। যদিও সংসদে অহেতুক কোনও বিরোধিতার পক্ষে না গিয়ে গঠনমূলক যে বিরোধী ভূমিকা থেকে যায়, আগামীদিনে তৃণমূল তাও করবে। সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, সংসদের বাইরেও প্রশ্ন তোলা হবে, কেন কোনওরকম স্ক্রুটিনি না করে একের পর এক বিল পাশ করানো হল? ১৭ জুন থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত সংসদের অধিবেশন চললেও কেন সংসদীয় কমিটি গঠন করে তার কোনও বৈঠক হল না? কেনই বা এখনও নির্বাচন হল না লোকসভার ডেপুটি স্পিকারের? বিল পেশের ক্ষেত্রে সংসদীয় নিয়মকে কেন বুড়ো আঙুল দেখানো হল? তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ব্যাপারে সংসদীয় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভায় দলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনকে বলেছেন, উল্লেখিত বিষয়গুলি নিয়ে সুযোগ মতো যে কোনও রাজনৈতিক ফোরামে সরব হতে হবে।
তৃণমূল নেতৃত্বও জানিয়েছে, সংখ্যার জোরে মোদি সরকার সংসদে বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় হস্তক্ষেপ মোটেই মেনে নেওয়া হবে না। ইউএপিএ, এনআইএ, আরটিআই, মোটর ভেহিকেলস, ন্যাশনাল মেডিকেল কাউন্সিল, কনজিউমার প্রোটেকশন, কোড অব ওয়েজেস, ড্যাম সেফটি, ইন্টারস্টেট রিভার ওয়াটার ডিসপিউটের মতো একগুচ্ছ বিলে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। তৃণমূল বলছে, সাহস থাকলে বলুক কীভাবে বুলডোজ করে কোনওরকম সংসদীয় কমিটিতে বিল না পাঠিয়ে তা পাশ করা হয়েছে। সংবাদে প্রকাশ, লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো সংসদে তাঁরা গঠনমূলক বিরোধী হিসেবে সবচেয়ে ভালো কাজ করেছেন। কোনওভাবেই সংসদে চুপ করে সব মেনে নিয়েছি, এই অভিযোগ কেউ করতে পারবে না। তবে বেশ কয়েকটি বিলে সংশোধন বা বিরোধিতা করেও আটকানো যায়নি। কারণ বিজেপির সংখ্যার জোর। তবে বিষয়গুলি নিয়ে সংসদের বাইরে সরকারের সমালোচনা জারি থাকবে।
ফলে, দেখা যাচ্ছে বিজেপি যে যে পদক্ষেপ করেছে, তাতে হয়তো অনেক আঞ্চলিক দলেরই স্বার্থে ঘা পড়েছে, তা সত্ত্বেও সংখ্যাতত্ত্বের ক্ষমতার কাছে তাদের রাজনৈতিক সত্তা বিকিয়ে দিতে হয়েছে। ইন্দিরা গান্ধীও যেমন সরকারে টিকে থাকার জন্য বিরোধীদের জন্য গোটা দেশটাকে ‘আইনমাফিক’ কয়েদখানায় পরিণত করেছিলেন। তখনও অনেকেই ইন্দিরার ‘কালা কানুন’-এর বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তখনকার সমালোচকরা, আন্দোলনকারীরাই আজ ক্ষমতার অলিন্দে পায়চারি করছেন। তাই যাই করছেন, সেটাই দেশের হিতে করছেন বলে রাষ্ট্রীয় প্রচারও চলছে জোর কদমে। এই অবস্থায় অজানা ‘দায়বদ্ধতা’র জন্য বাকিরা চুপ করে হাত গুটিয়ে বসে থাকলেও দমে যাওয়ার পাত্রী নন মমতা। তাই তিনি তাঁর দলকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় যাতে আঘাত না আসে, সেজন্য দলকে সতর্ক করে দিয়েছেন। লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকার কথা বলেছেন।