সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
সম্প্রতি, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করেছে ভারত সরকার। সেই সঙ্গে, জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ারও সিদ্ধান্ত নেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকার। নয়াদিল্লির এই সিদ্ধান্তের পর তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে ইসলামাবাদ। ভারতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে নালিশ জানায় তারা। কিন্তু, ‘বন্ধু’ চীন ছাড়া অন্য কোনও দেশকে পাশে না পেয়ে মুখ কালো করে ফেরত আসে পাকিস্তান। কিন্তু, বরাবরের মতো এরপরও শিক্ষা নেয়নি ইমরান খানের দেশ। নিরাপত্তা পরিষদে ধাক্কা খেয়ে এবার তারা কাশ্মীর ইস্যু আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা শুরু করে ইসলামাবাদ।
যদিও, আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়া নিয়ে পাকিস্তানের মন্ত্রিসভার মধ্যেই গৃহযুদ্ধ বেঁধে গিয়েছে। মঙ্গলবার সেদেশের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেছিলেন, পাকিস্তান সরকার ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের আইনমন্ত্রী এই সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য সকলকে জানাবেন। যদিও, বুধবার এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আইনমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফলে, নিজের দেশেই মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুই মন্ত্রীর দু’রকম বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে ইমরান খান সরকার। ইসলামাবাদ জানায়, আইনি জটিলতার কারণেই দু’জন আলাদা মন্তব্য করেছেন। অবশ্য বুধবারই পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জল জানান, কাশ্মীর ইস্যুটি নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিক কুলভূষণ যাদব মামলাতেও নয়াদিল্লিতে টেক্কা দিতে চেয়েছিল ইসলামাবাদ। কিন্তু, আন্তর্জাতিক আদালতে এই মামলায় পরোক্ষে জয় পায় ভারতই। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এখনই কুলভূষণকে ফাঁসি দিতে পারবে না পাকিস্তান।
অপরদিকে, পরবর্তী ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নয়াদিল্লি পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে সরব হবে। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জীতেন্দ্র সিং। এই নিয়েও রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি আকবরউদ্দিনকে প্রশ্ন করা হয়। তিনি বলেন, আমরা সিমলা চুক্তি মেনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমাদের এই অনুরোধের কোনও জবাব এখনও পাইনি। পাকিস্তান কি আদৌ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আগ্রহী? এই নিয়ে আগ বাড়িয়ে কিছু না বলাই ভালো।’ পাশাপাশি,মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ফোনালাপকেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাননি এই দুঁদে কূটনীতিক।