Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সভাপতি পদে সোনিয়াজির প্রত্যাবর্তনে কংগ্রেস কি ছন্দ ফিরে পাবে
শুভা দত্ত

ছন্দ তো হারিয়েছে বহুদিন। ছন্দে ফেরার চেষ্টা—সেও শুরু হয়েছে বহুদিন। কিন্তু কিছুতেই যেন সেই পুরনো দমদার ছন্দে ফিরতে পারছে না জাতীয় কংগ্রেস! নেহরু-ইন্দিরার আমল থেকে গান্ধী পরিবারের ছত্রচ্ছায়ায় এবং নেতৃত্বে দলের যে অপ্রতিরোধ্য ছন্দ গোটা দেশকে কংগ্রেসি তেরঙ্গায় বেঁধে রেখেছিল, যে ছন্দ কংগ্রেস প্রতীক ইন্দিরার পাঞ্জার উপর বছরের পর বছর দেশের মানুষের আস্থা বিশ্বাস ও আবেগ ধরে রেখেছিল, জরুরি অবস্থা, নাসবন্দির মতো কাণ্ডের পরও যে ছন্দ ক্ষমতার কেন্দ্রে ফিরিয়ে এনেছিল কংগ্রেসকে, ইন্দিরা এবং ইন্ডিয়া হয়ে উঠেছিলেন সমার্থক—জাতীয় কংগ্রেসের সেই অমিত শক্তি রাজনৈতিক ছন্দ অনেক কাল আগেই ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নিয়েছে। একথা বোধকরি কংগ্রেসের অতি বড় সমর্থকও আজ অস্বীকার করতে পারবেন না। তাঁরা একথাও নিশ্চয়ই মানবেন যে, কয়েক বছরের ব্যবধানে ইন্দিরা গান্ধী এবং তাঁর পুত্র রাজীবের মর্মান্তিক প্রয়াণের পর থেকেই কংগ্রেসের সেই আঁটোসাঁটো ছন্দে শিথিলতা দেখা দিতে শুরু করেছিল এবং আজ যে শিথিলতা একরকম দুর্বলতা হয়েই জেঁকে বসেছে দলের সর্বস্তরে, সব চিন্তা ও কার্যক্রমে। বিশেষ করে গত আড়াই মাসের অধিক সভাপতিহীন কংগ্রেসের চলনে-বলনে সেই দুর্বলতার লক্ষণগুলিই যে আরও প্রকটভাবে দেখা গেল তাতেই বা সন্দেহ কি?
১৯৯১ সালে রাজীব গান্ধীর আকস্মিক অকাল মৃত্যুর পর দলের নিয়ন্ত্রণভার কয়েক বছর নরসীমা রাও সীতারাম কেশরীর মতো পোড়খাওয়া প্রবীণদের হাতে ছিল ঠিকই, কিন্তু সেসময়ের বড় বড় স্পর্শকাতর ঘটনায় কী ভিতরে কী বাইরে কংগ্রেস দলের আচরণ অভিব্যক্তি অনেকের কাছেই অনেক ক্ষেত্রে অচেনা ঠেকেছে! ঘটনাগুলির পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেসের রাজনৈতিক তৎপরতা ও প্রতিক্রিয়াও দেশের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার সঙ্গেও নানা সময় সামঞ্জস্য বজায় রাখতে পারেনি। আমজনতা কংগ্রেস দলের আচরণে খুঁজে পাননি তাঁদের চিরচেনা রাজনৈতিক ছন্দ। অযোধ্যার কথাই ধরা যাক। ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে অযোধ্যার বিতর্কিত সৌধ যেদিন ভাঙা হল সেদিন কেন্দ্রে নরসিমা রাওয়ের নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকার, কংগ্রেস দলের প্রধান পরিচালক সভাপতিও তিনি! অথচ, কী প্রধানমন্ত্রী কী জাতীয় দলের সর্বপ্রধান কর্তা হিসেবে কী করলেন তিনি!? অযোধ্যার বিতর্কিত সৌধ ধূলিসাৎ হল প্রায় নির্বিঘ্নে—ইউপির কল্যাণ সিং সরকারের প্রশাসন-পুলিসের সঙ্গে কেন্দ্রীয়-বাহিনী নির্বিকারভাবে করসেবকদের সৌধনিধন দেখে গেল! এই চূড়ান্ত অপ্রীতিকর ঘটনার অনিবার্য ফলশ্রুতিতে দেশজুড়ে আগুন জ্বলল—ঘর-বাড়ি পুড়ল, মানুষ মরল, কলকাতার মতো শান্ত নগরীতে পর্যন্ত দাঙ্গা পরিস্থিতির সৃষ্টি হল, নামল সেনা—বাংলার সাম্প্রদায়িক প্রীতি ও সংহতির শত শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য কিছুটা হলেও ম্লান হল! দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা অখণ্ডতা সংহতি ইত্যাদি নিয়ে নানা মহলে নানান অবাঞ্ছিত প্রশ্ন উঠে গেল!
এমন এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে নরসিমা সরকারের ভূমিকা খুব বলিষ্ঠ ছিল তা বোধকরি কেউই বলবেন না। বলবেন কীভাবে? অযোধ্যার বিতর্কিত সৌধ বিনাশের ঘটনায় ইনট্যালিজেন্সের ওই নজিরবিহীন ব্যর্থতার পরও নরসিমা সরকার তেমন কোনও কঠিন পদক্ষেপ করেছিলেন কি? কল্যাণ সিং সরকারের বিরুদ্ধেই বা তেমন কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল? দেশের ঐক্য ও সংহতি রক্ষায় ভূরিভূরি প্রস্তাব পাঠের অন্ত ছিল না ঠিকই, কিন্তু পরবর্তীতে তার কটা যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয়েছিল? কিছু প্রতিবাদ ছাড়া দেশের শাসক দল হিসেবে কংগ্রেসই বা আর কী করেছিল! এমন আরও ডজন ডজন প্রশ্ন বিস্ময় সেদিনের কংগ্রেস সরকার ও কংগ্রেস দল সম্পর্কে আজও হয়তো দেশের মনের কোণে কাঁটা হয়ে বিঁধে আছে। এইসব প্রশ্নের সামনে দাঁড়ালে কে আর বলতে পারবেন—সেদিন সরকারের ভূমিকা বলিষ্ঠ ছিল। বলতে পারবেন, তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি সৌধ বিনাশকারীদের বিরুদ্ধে দলকে জাগিয়ে তুলে দেশব্যাপী একটা তোলপাড় সাড়া ফেলে দিতে পেরেছিলেন?!
তথ্যভিজ্ঞরা অনেকে অবশ্য বলেন, ঘটনার আকস্মিকতায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিল কংগ্রেসের সরকার ও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই, ঘটনার প্রতিক্রিয়া ঠেকাতে তড়িঘড়ি কোনও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি তাঁরা। সেইসঙ্গে অযোধ্যা নিয়ে সরকারে এবং দলে কিছু ভিন্নমতের উদ্‌গম ব্যাপারটাকে আরও গুলিয়ে দিয়েছিল। সব মিলিয়ে নিজেদের স্বাভাবিক রাজনৈতিক ছন্দ হারিয়ে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছিল নরসিমা নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস। পরবর্তীতে দলের সভাপতি বদলে নরসিমার জায়গায় সীতারাম কেশরীর মতো দুঁদে কংগ্রেসিকে এনেও যে বিশেষ সুরাহা হয়নি ১৯৯৮ সালের মার্চে সোনিয়া গান্ধী স্বয়ং মঞ্চে প্রবেশ করে সভাপতির আসনে আসীন হয়ে সেটা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন!
কিন্তু শুরুতে সোনিয়াজিকেও একটা ধাক্কা খেতে হয়েছে। অটলবিহারী আদবানি যোশীর ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। প্রথমবার কদিনের জন্য, তারপর ফুলটার্ম রাজত্ব চালিয়েছেন অটলবিহারী বাজপেয়ি। কার্গিল যুদ্ধ থেকে পোখরান পরমাণু বিস্ফোরণ—কত কিছুই না ঘটেছে তাঁর সময়কালে। পোখরানের পর ভারত পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে আত্মপ্রকাশ করেছে। তা সত্ত্বেও অবশ্য ২০০৪ সালে পতন ঠেকাতে পারেননি অটলজি আদবানিজির বিজেপি। দেশের মানুষ ফের একবার গান্ধী ফ্যামিলির প্রতি আস্থা বিশ্বাস দেখিয়ে ফিরিয়ে এনেছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন প্রথম ইউপিএ সরকার। জনতার আশীর্বাদে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের ক্ষমতায় আসতেও অসুবিধে হয়নি। আর ক্ষমতায় থাকার মাহাত্ম্য এই যে, তখন সব কিছুকেই মনে হয় ‘শুভ্‌ শুভ্‌’ সব ঠিক হ্যায়—ফার্স্ট কেলাস। ফলে কংগ্রেস হাইকমান্ড তথা সভাপতি হিসেবে সোনিয়াজিকে অন্তত ২০১৪ অবধি দলের সর্বস্তরে কর্তৃত্ব বজায় রাখতে বেগ পেতে হয়নি। এমনকী কংগ্রেসি মন্ত্রী নেতাদের দুর্নীতি বা লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির মতো ইস্যুতে দেশ যখন উত্তাল তখনও সভাপতি হাইকমান্ড সোনিয়াজির উপর ভরসা রাখতে কসুর করেনি দল। তখন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কারও কারও মন্তব্য শুনে মনে হতো, সোনিয়া গান্ধীর সভাপতিত্বে কংগ্রেস খানিকটা হলেও তাঁদের হারানো ছন্দ ফিরে পেয়েছে। এবং এতদ্বারা সোনিয়াজি এটাও প্রমাণ করে দিতে পেরেছেন, জাতীয় কংগ্রেসের হাল ধরতে গান্ধী ফ্যামিলির বিকল্প নেই।
কিন্তু, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ২০১৪ সালে নবরূপে বিজেপির প্রবল উত্থানের ধাক্কায় কংগ্রেসের আসন যখন সংসদে বিরোধী দলের মর্যাদা আদায়ের ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হল, এই মহাবিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে দিশেহারা দল, তখন যেন সবকিছু ওলটপালট হতে শুরু করল। তার উপর কিছুদিনের মধ্যেই এসে পড়ল সোনিয়াজির অসুস্থতা! কংগ্রেসের সর্বস্তরে যেন একটা বিপর্যস্ত আবহ তৈরি হয়ে গেল। শীর্ষ নেতৃত্ব বুঝতেই পারছিলেন—সোনিয়াজি অব্যাহতি চাইবেন, আর তাই নতুন নেতা চাই অবিলম্বে।
বলা বাহুল্য, অনিবার্য এবং অবধারিত পছন্দ সোনিয়া-পুত্র গান্ধী রাহুল। হলও তাই। প্রাথমিকভাবে গুজরাত সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের নজরকাড়া ফল কিছু সময়ের জন্য হলেও রাহুলের সুযোগ্যতার নির্ণায়ক হিসেবে দেশজনতার মনে জায়গাও পেল। কিন্তু, ২০১৯ সালের লোকসভা ফলে নরেন্দ্র মোদিজির রেকর্ড সাফল্য এবং কংগ্রেসের অবস্থার তেমন কোনও পরিবর্তন না হওয়ায় (৪৪ থেকে ৫২ আসন) রাহুলে মোহভঙ্গ হল অনেকেরই। সেটা আন্দাজ করেই সরে দাঁড়ালেন রাহুল—সাফ জানালেন, আপাতত সভাপতি থাকবেন না তিনি। ব্যাস, ছত্রখান কংগ্রেস। দেখা গেল, তালাক থেকে ৩৭০ রদ—কোনও ইস্যুতেই আর ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না কংগ্রেস! বরং, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে তো কংগ্রেসের অন্দরে-বাহিরে রীতিমতো মতপার্থক্য জনসমক্ষেই চলে এল! উত্তাল মাঝ সমুদ্রে ক্যাপটেনহীন জাহাজের মতো দেশ রাজনীতির গেরুয়া জোয়ারের মুখে রীতিমতো বিপর্যস্ত বিভ্রান্ত দেখাল কংগ্রেসকে! শক্ত হাল ধরার লোক খুঁজতে মুকুল ওয়াসনিক কুমারী শৈলজা থেকে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া—কত নামই না এল! টিকল না একটাও! ওয়াসনিকের নামটা চূড়ান্ত হয়েও হল না, নিন্দুকেরা বলছেন—স্বয়ং রাহুল নাকি তাঁর নামে সহমত হতে পারেননি। আর প্রিয়াঙ্কাও আপাতত গররাজি।
অগত্যা সেই সোনিয়াজি! শেষপর্যন্ত গান্ধী ফ্যামিলিতেই আস্থা রাখতে হল কংগ্রেসকে! এবং দলের স্বার্থে অসুস্থতা উপেক্ষা করে সোনিয়াজিকেই অন্তর্বর্তী হিসেবে সভাপতির দায়িত্ব নিতে হল! যুক্তি, বাইরের কেউ হলে দল ভেঙে যাবে। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠছে, সাময়িক হলেও সভাপতি পদে সোনিয়া গান্ধীর এই প্রত্যাবর্তনে কংগ্রেস কি হারানো ছন্দ ফিরে পাবে? কিছুটা তো পাবেই। তার কারণ, যত না সোনিয়াজির ব্যক্তিত্ব ও রাজনৈতিক কলাকৌশল, তার চেয়ে বেশি দলের সর্বস্তরে তাঁর অবিসংবাদী মান্যতা। গান্ধী পরিবারতন্ত্র নিয়ে যাঁরা খোঁচা দেন কংগ্রেসকে, তাঁরা হয়তো এটাকে নতুন সুযোগ ভেবে মজা পাচ্ছেন। কিন্তু, বাস্তবটা হচ্ছে—কংগ্রেস দল এখনও গান্ধী পরিবার নির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি—কী প্রবীণ কী নবীন কোনও পক্ষই না! কংগ্রেসে গান্ধী পরিবারের প্রতি শর্তহীন আনুগত্যের ট্র্যাডিশন এখনও অব্যাহত।
সেই সুবাদেই হয়তো পরবর্তী স্থায়ী সভাপতি হিসেবে কংগ্রেসি রাজনীতিতে নবাগতা প্রিয়াঙ্কার নাম উঠে আসছে। অদূর ভবিষ্যতে তাঁকে সভাপতির আসনে দেখা যাবে কি যাবে না সেটা সময় বলবে। তবে, এটা নিশ্চিত—চট করে গান্ধী ফ্যামিলির বাইরের লোকের সভাপতির আসন লাভ মুশকিল। আর এক্ষেত্রে কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় প্রতিকূলতা কংগ্রেসই। এই প্রতিকূলতা দূর করতে না পারলে কংগ্রেসের সর্বময় কর্তৃত্বে গান্ধীদের একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় থাকবে ঠিকই, তবে তাতে দলের পুরনো ছন্দ পুরোপুরি ফিরবে কি না তা নিয়ে দেশরাজ্যের রাজনৈতিক মহলের একাংশে যথেষ্ট সংশয় আছে। তাঁদের বক্তব্য, আজকের রাজনীতিতে গতি এবং ভেদশক্তির তীব্রতা ছাড়া সফল হওয়া মুশকিল। বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদি অমিত শাহের মতো জবরদস্ত জুটির সঙ্গে সমানে সমানে লড়তে ওই দুইয়ের বিকল্প নেই। এবং এক্ষেত্রে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এর সার্থক দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরছেন। তাঁরা বলছেন, আনুগত্য দিয়ে নিষ্কণ্টক কর্তৃত্ব ভোগ করা চলতে পারে কিন্তু তার সঙ্গে গতি ও ভেদশক্তির সমন্বয় ঘটাতে না পারলে কংগ্রেসের পুরনো ছন্দে ফেরা বা আগামী দিনে সফল হওয়া খুব সহজ হবে না। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা কি খুব ভুল বলছেন?
18th  August, 2019
চক্রব্যূহে জাতীয় কংগ্রেস:
সোনিয়ার প্রত্যাবর্তন
প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়

 আগস্ট মাস জাতীয় কংগ্রেস ও ভারতীয় রাজনীতিতে স্মরণীয় মাস। ১৯৪২ সালের ৮ আগস্ট ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সূচনা হয়, আবার ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীনতা অর্জন করে। মজার কথা, বিগত ১০ আগস্ট মধ্যরাত্রে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি নতুন কংগ্রেস সভাপতির নাম স্থির করার জন্য পাঁচটি কমিটি শলা-পরামর্শে বসে।
বিশদ

ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন বিল: কিছু আশঙ্কা 
বিষাণ বসু

চারদিকে বড় হইচই। বিষয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন বিল। স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের মেডিক্যাল শিক্ষার ব্যাপারটা দেখছিলেন এমসিআই, অর্থাৎ মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া। এমসিআই নিয়ে অভিযোগ ছিল বিস্তর—বিশেষত, তাঁদের কিছু কর্তাব্যক্তিকে নিয়ে। 
বিশদ

20th  August, 2019
জম্মু-কাশ্মীর: উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তির নতুন প্রভাত
রবিশঙ্কর প্রসাদ
 

জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের কল্যাণে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে, ৭০ বছরের পুরনো একটা সমস্যার নতুন সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের ৭০ দিনেরও কম সময়ে সমাধান হল। এই কারণে আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাহস ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইচ্ছাশক্তিকে প্রশংসা করা উচিত।
 
বিশদ

20th  August, 2019
নিস্তেজ অর্থনীতির সত্যটা সরকার ভুলে যাচ্ছে 
পি চিদম্বরম

রাষ্ট্রপতি ভবন হল সরকারের ক্ষমতার আসনের প্রতীক। এক কিলো মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর অফিস (পিএমও), নর্থ ব্লক ও সাউথ ব্লক—মানে স্বরাষ্ট্র, অর্থ, প্রতিরক্ষা ও বিদেশ-এর মতো উচ্চ মন্ত্রকগুলি রয়েছে।   বিশদ

19th  August, 2019
ওয়াল স্ট্রিটের ‘নেকড়ে’-র গল্প!
মৃণালকান্তি দাস

ওয়াশিংটনের অপরিচিত কোনও এক পথে হাঁটতে হাঁটতে গল্পটা শুনিয়েছিলেন এমিলি ব্রাউন। গল্প বলতে, এক অপরাধীর ঘুরে দাঁড়ানোর কাহিনী। জর্ডন বেলফোর্টের গল্প। যিনি জীবনে অপরাধের নেশায় পড়ে সবকিছু হারিয়েছিলেন। কে এই জর্ডন বেলফোর্ট, জানেন? যাঁর জীবন কাহিনী শুনলে মনে হবে, এ এই মার্কিন মুলুকেই সম্ভব! বিশদ

17th  August, 2019
স্বাধীনতা ৭৩ এবং ভূস্বর্গের মুক্তি
মেরুনীল দাশগুপ্ত

গরিবি যতদিন না যাবে ততদিন এই উপত্যকায় শান্তি আসবে না। কারণ, কাশ্মীরি মানুষের গরিবিই ওদের একটা বড় হাতিয়ার। গরিব মানুষজনের অনেকেই ক’টা টাকার লোভে পড়ে সীমান্তর ওপার থেকে আসা লোকজনকে আশ্রয় দিয়ে, লুকিয়ে রেখে, খাবারদাবারের ব্যবস্থা করে ভ্যালির বিপদ বাড়িয়ে তুলছে।
বিশদ

15th  August, 2019
বনে থাকে বাঘ 
অতনু বিশ্বাস

ছেলেবেলায় ‘সহজ পাঠ’-এ পড়েছিলাম ‘বনে থাকে বাঘ’। যদিও এই পাঠটা যে খুব সহজ আর স্বাভাবিক নাও হতে পারে, অর্থাৎ বনে বাঘ নাও থাকতে পারে, সেটা বুঝতে বেশ বড় হতে হল। ছোটবেলায় অবশ্য মনে বদ্ধমূল ধারণা ছিল, বন-জঙ্গল গিজগিজ করে বাঘে। 
বিশদ

13th  August, 2019
রক্ষক আইন যেন ভক্ষক না হয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

ভিক্টরি ম্যানসনে ঢুকলেন উইনস্টন স্মিথ। বহুতলে ঢুকেই নজরে আসবে দো’তলা সমান আখাম্বা ছবিটা। শুধু একটা মুখ। নীচে ক্যাপশন করা, বিগ ব্রাদার কিন্তু তোমাকে দেখছে। জর্জ অরওয়েলের কালজয়ী উপন্যাস ১৯৮৪-এর শুরুতেই উল্লেখ এই ছবির। আর এই নভেলের সারমর্মও লুকিয়ে এই ছবিতে—বিগ ব্রাদার দেখছে, তাই সাবধান। সাবধান হও সবাই... সরকারি কর্মচারী, ব্যবসায়ী, সাফাইকর্মী, বেসরকারি চাকুরে... মোদ্দা কথা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে। সবসময় নজরদারি।  
বিশদ

13th  August, 2019
পুতিন কি পারবেন নতুন বিশ্বের নেতৃত্ব দিতে?
গৌরীশঙ্কর নাগ

 ১৯১৭ খ্রিস্টব্দে বা তার কিছু আগে থেকে লেনিন, ট্রটস্কি প্রমুখ নিবেদিত প্রাণ কমরেডের হাত ধরে সোভিয়েত সমাজতন্ত্র নামক যে মহীরুহটি ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছিল তা গর্বাচেভ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর কীভাবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে—বিস্ময়ের সঙ্গে আমরা সেটা দেখেছি।
বিশদ

12th  August, 2019
স্টেট নয়, শুধুই রিয়াল এস্টেট
পি চিদম্বরম

 জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে প্রায়ই লিখি কিন্তু আজকেরটা অন্যরকম। জম্মু ও কাশ্মীর আর আগের জম্মু ও কাশ্মীর নেই। এটা আর রাজ্য নয়। এটাকে বিভক্ত করা হয়েছে। এখন দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল—লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীর। ভারতের সংবিধানে কোনও রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্তরে নামিয়ে আনার ঘটনা এর আগে ঘটেনি।
বিশদ

12th  August, 2019
রাহুল সরে দাঁড়াতেই কংগ্রেস এমন নেতৃত্বহীনতায় ভুগছে কেন?
শুভা দত্ত

 প্রশ্নটা আজ দেশের সর্বস্তরে। পথে-ঘাটে অফিসে আড্ডায় যেখানেই চলতি রাজনীতি নিয়ে তর্ক-বিতর্কের উদয় হচ্ছে সেখানেই প্রশ্নটা যেন অনিবার্যভাবে এসে পড়ছে! কংগ্রেসের হলটা কী! রাহুল গান্ধী না বলে দিতেই আর সভাপতি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কংগ্রেসে! গান্ধী ফ্যামিলি ছাড়া কংগ্রেস সভাপতি খুঁজে পাচ্ছে না— এ তো বড় অদ্ভুত ব্যাপার! কংগ্রেসের জন্মের পর থেকে গান্ধী ফ্যামিলির বাইরের দেশ রাজনীতির কত দিকপালই তো জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতির আসন অলঙ্কৃত করেছেন—উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, দাদাভাই নৌরজি, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুভাষচন্দ্র, অ্যানি বেসান্ত, চিত্তরঞ্জন, সরোজিনী নাইডু, বল্লভভাই প্যাটেল, কামরাজ, জগজীবন রাম—কত নাম বলব। নিশ্চয়ই এই তালিকায় নেহরু থেকে ইন্দিরা, রাজীব, সোনিয়া হয়ে রাহুল—গান্ধী পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন।
বিশদ

11th  August, 2019
শুধু উন্নয়ন নয়, ভোটের জন্য চাই ভালো মাস্টার
তন্ময় মল্লিক

মোটা বেতন দিয়ে মাস্টার রাখলেই ছেলেমেয়ে মানুষ হয় না। তেমনটা হলে সব বড়লোকের ছেলেমেয়েই উচ্চশিক্ষিত হতো। কিন্তু, তা তো হয় না। ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনায় আগ্রহ, মেধা যেমন থাকা দরকার, তেমনই নজরদারিটাও জরুরি। ফাঁকিবাজি থাকলেই ছাত্র হয় গাড্ডু খাবে, অথবা ‘বিবেচনায়’ পাশ।
বিশদ

10th  August, 2019
একনজরে
 দেরাদুন, ২১ আগস্ট (পিটিআই): উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায় উদ্ধারকাজে নেমে ভেঙে পড়ল একটি হেলিকপ্টার। ঘটনায় তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ম্যাচের নায়ক গোকুলাম গোলরক্ষক উবেইদকে এবার ছেড়ে দেওয়াটা একেবারেই মানতে পারছেন না ইস্ট বেঙ্গল কোচ আলেজান্দ্রো। বুধবার ডুরান্ড কাপের সেমি-ফাইনালে ইস্ট বেঙ্গলের ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাড়ি ফিরে গেলেন প্রবীণ অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বুধবার দুপুর পৌনে দু’টো নাগাদ সৌমিত্রবাবু ছুটি পান হাসপাতাল থেকে। মেয়ে পৌলোমীর সঙ্গে বাড়ি ফেরার ...

 সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: উইপ্রো নিউটাউনে তথ্যপ্রযুক্তির দ্বিতীয় ক্যাম্পাস করতে চায় বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। তাদের ৫০ একর জমি দেওয়া হবে বলে নবান্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ইনফোসিস যে ধরনের সুবিধা পেয়েছে, তা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে উইপ্রো। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৩৯: মাদ্রাজ (বর্তমান চেন্নাই) শহরের প্রতিষ্ঠা করে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি
১৮১৮: ভারতে ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস-এর মৃত্যু
১৯১১: গায়ক দেবব্রত বিশ্বাসের জন্ম
১৯১৫: অভিনেতা শম্ভু মিত্রের জন্ম
১৯৫৫: রাজনীতিক ও প্রখ্যাত চিত্রতারকা চিরঞ্জীবীর জন্ম
১৯৮৯: নেপচুন গ্রহে প্রথম বলয় দেখা গেল



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৬৯ টাকা ৭২.৩৯ টাকা
পাউন্ড ৮৫.৪৬ টাকা ৮৮.৬১ টাকা
ইউরো ৭৭.৯০ টাকা ৮০.৯০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,১৩৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,১৮০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৭২৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ ভাদ্র ১৪২৬, ২২ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ষষ্ঠী ৪/২৮ দিবা ৭/৬। ভরণী ৫৩/১১ রাত্রি ২/৩৬। সূ উ ৫/১৯/২১, অ ৬/০/৩, অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৭ গতে ৩/৩ মধ্যে, বারবেলা ২/৪৯ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/৩৯ গতে ১/৪ মধ্যে।
৪ ভাদ্র ১৪২৬, ২২ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার, সপ্তমী ৫৫/২৪/৯ রাত্রি ৩/২৮/৭। ভরণীনক্ষত্র ৪৫/২৬/১৪ রাত্রি ১১/২৮/৫৭, সূ উ ৫/১৮/২৭, অ ৬/২/৫৯, অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/৪ মধ্যে, বারবেলা ৪/২৭/২৫ গতে ৬/২/৫৯ মধ্যে, কালবেলা ২/৫১/৫১ গতে ৪/২৭/২৫ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/৪০/৪৩ গতে ১/৫/৯ মধ্যে।
২০ জেলহজ্জ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
 আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বৃষ: বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ থাকবে। মিথুন: উপার্জন বাড়বে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৬৩৯: মাদ্রাজ (বর্তমান চেন্নাই) শহরের প্রতিষ্ঠা করে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া ...বিশদ

07:03:20 PM

চন্দ্রযান ২-এর তোলা চাঁদের প্রথম ছবি 
চন্দ্রযান ২-এর তোলা চাঁদের প্রথম ছবি প্রকাশ করল ইসরো ...বিশদ

08:25:16 PM

২৬ আগস্ট পর্যন্ত চিদম্বরমের সিবিআই হেফাজত 
পি চিদম্বরমের ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আজ সিবিআই঩য়ের ...বিশদ

06:50:00 PM

ফের আক্রান্ত পুলিস, এবার আমতায়
ফের একবার পুলিসকে মারধর করে উদি ছিঁড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। ...বিশদ

04:49:07 PM

রায়গঞ্জে বিজেপি সমর্থকের কান কাটার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে 
রায়গঞ্জের পূর্বপাড়া এলাকায় হাঁসুয়া দিয়ে এক মহিলার কান কেটে নেওয়ার ...বিশদ

04:21:05 PM