সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
পাটনার প্রেক্ষাপটে এবার নিমকির সামনে বিধায়ক হওয়ার লড়াই। পুরুষশাসিত রাজনীতির ময়দানে নিমকি কীভাবে নিজের জায়গা তৈরি করে নেবে তার উত্তর দেবে ধারাবাহিক। নারী ক্ষমতায়নের কথা মাথায় রেখেই এই ধারাবাহিক লিখতে শুরু করেছিলেন প্রযোজক-চিত্রনাট্যকার জামা হাবিব। তিনি বললেন, ‘ইদানীং ছোট পর্দায় সিজন মানেই বেশকিছু বছর গল্প এগিয়ে যায় এবং তারসঙ্গে চরিত্ররাও পাল্টে যায়। এই ধারাবাহিক কিন্তু আক্ষরিক অর্থে সিক্যুয়েল। বেশিরভাগ চরিত্র একই থাকবে। শুধু বিধায়ক হওয়ার জন্য লড়াই শুরু করবে নিমকি।’
নিজে বাস্তবের রাজনীতি থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন এই ধারাবাহিকের নাম চরিত্রে অভিনয় করা ভূমিকা গুরুং। প্রথম সিজনে রীতিমতো পড়াশোনা করে শ্যুটিং শুরু করেছিলেন। এবারে নিমকির মধ্যে দর্শক কতটা পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন? ‘আসলে মুখিয়া হওয়ার কোনও ইচ্ছা নিমকির ছিল না। তবে এখন কিন্তু নিমকি ক্ষমতার মর্ম বুঝতে শিখেছে। তাই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে সে আরও বেশি ক্ষমতার অধিকারী হতে চাইছে। চরিত্র একই থাকবে। কিন্তু ওর উদ্দেশ্যগুলো আরও বড় আকার নেবে’, বক্তব্য ভূমিকার। দীর্ঘ সময় একই চরিত্রে অভিনয় করতে করতে অনেক সময়েই শিল্পীরাএকঘেয়েমির শিকার হন। কিন্তু ভূমিকার ক্ষেত্রে কিন্তু এরকম কিছু হয়নি বলে জানা গেল। বরং এই চরিত্রের মধ্যে দিয়ে একাধিক স্বপ্নকে বাস্তবায়িত হতে দেখেছেন ভূমিকা। তাঁর কথায়, ‘পর্দায় অভিনয় ছাড়াও গান গাওয়া, নাচার স্বপ্ন দেখতাম। আর এই ধারাবাহিকে নিমকির দৌলতে সেটা করে ফেলেছি। তাই একঘেয়েমির কোনও জায়গাই নেই।’
প্রথম সিজনে অভিমন্যুর চরিত্রে কলকাতার ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে দেখা গিয়েছিল। তবে জানা গেল নতুন সিজনে আর তিনি থাকছেন না। চিত্রনাট্যকারের কথায়, ‘উনি না থাকলেও চরিত্রটা থাকবে।’ যদিও ইতিমধ্যেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ইন্দ্রনীল সংবাদমাধ্যমের কাছে নতুন সিজনে না থাকার কারণ ব্যখ্যা করেছেন। এদিকে ওই চরিত্রে জায়গা দখল করেছেন হিন্দি ছোট পর্দার পরিচিত মুখ মণীশ গোয়েল। এখন নতুন মোড়কে ধারাবাহিক তার পুরনো ম্যাজিক ধরে রাখতে পারে কিনা সেটাই দেখার। ‘নিমকি বিধায়ক’ দেখা যাচ্ছে স্টার ভারত চ্যানেলে।