সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
তৃণমূলের অভিযোগ, রাতে বাজার থেকে ফেরার সময়ে তাদের সমর্থকদের উপর বিজেপি অতর্কিতে হামলা চালায়। তাদের চারজন আহত হন। যদিও বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা জানিয়েছে, রাতে গ্রামের দখল নিতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের কর্মীদের উপর চড়াও হয়, বোমাও ছোঁড়ে। গ্রামবাসীরা প্রতিরোধ করলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।
তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, চকিয়ার ছড়ায় আমাদের কয়েক জন সমর্থককে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাতে মারধর করে। এতে মমিদুল হক এবং জমিরউদ্দিন মিঁয়া জখম হন। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে দেলোয়ার হোসেন ও সুলতানা বেগম জখম হয়েছেন। বিজেপি মহকুমাজুড়ে ধারাবাহিক সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। শিকারপুরে বিজেপি তাদের নিজেদের পার্টি অফিস ভেঙে দিয়ে আমাদের বদনাম করছে। মঙ্গলবার রাতে মাথাভাঙা-২ ব্লকের প্রেমেরডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩ জন সদস্য আবার বিজেপি ছেড়ে পুরনো দল তৃণমূলে ফিরে আসেন। আমরা তাঁদের বরণ করে নিয়েছি।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বর্মন বলেন, চকিয়ার ছড়ায় রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের লোকজন গ্রাম দখলের চেষ্টা করে। গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে প্রতিরোধ করে। এতে ওরা পালিয়ে যায়। আমাদের দু’জন সমর্থক আহত হন। আহতরা কোচবিহার মেডিক্যালে ভর্তি আছেন। শিকারপুরে এদিন গ্রামীণ হাটগুলির ইজারা নিয়ে একটি সভা ছিল। আমাদের কর্মীরা সভায় গেলে তাঁদের বের করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বাজারের পার্টি অফিসটিও ওরা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। লোকসভা ভোটের পর তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই ওরা হারানো মাটি আঁকড়ে রাখতে এসব করছে। সাধারণ মানুষই এর জবাব দিচ্ছে।
মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিস সুপার ইন্দ্রজিৎ সরকার বলেন, বেশ কয়েক জায়গায় গত ২৪ ঘণ্টায় ঝামেলা হয়েছে। বোমাবাজিরও অভিযোগ রয়েছে। আমরা সব জায়গায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে গোটা জেলার মতোই নিশিগঞ্জ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চকিয়ার ছড়াতেও তৃণমূল কর্মীরা বাজারে যেতে পারছে না বলে অভিযোগ। আহত তৃণমূল সমর্থকদের দাবি, মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় বাজার থেকে ফেরার সময়ে অতর্কিতে তাদের উপর হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এদিন ভোররাত পর্যন্ত দফায় দফায় হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। বিজেপির দাবি, বাজার এলাকায় তৃণমূল মিছিল করে তাদের অফিসে ভাঙচুর চালায়। লোকসভা ভোটের পর প্রেমেরডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩ জন সদস্য বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতে বিধায়ক বিনয়কৃষ্ণ বর্মনের বাড়িতে গিয়ে তাঁরা পুরনো দলে ফেরেন।