সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
জাতিগত শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে অযথা ঘোরানো হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে সরব হন। তিনি বলেন, এসসি, এসটিরা জন্মগত। তাই নথি জমার নামে অযথা হয়রানি কেন? ব্লকে ব্লকে ক্যাম্প করে জাতিগত শংসাপত্রের জন্য আবেদনপত্র নিতে হবে। খেজুরির বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডলকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তোমার এলাকায় ক্যাম্প কর। এগরা এবং ভগবানপুরের বিডিওকে দাঁড় করিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, কত আবেদনপত্র বকেয়া রয়েছে?
নন্দকুমার থেকে দীঘা পর্যন্ত ১১৬বি জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ কী অবস্থায় রয়েছে, সেব্যাপারেও এদিন এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্নের উত্তরে এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার তরুণ চক্রবর্তী বলেন, রাস্তার কাজ প্রায় শেষের মুখে। চণ্ডীপুরের কাছে মংরাজপুরে একটি রেলওয়ে ওভারব্রিজ হচ্ছে। এছাড়াও চণ্ডীপুর এবং বাজকুলে দু’টি আন্ডারপাস হচ্ছে। রেলের কাছ থেকে আরওবির অনুমোদন পেতে কিছুটা দেরি হয়েছিল। তাই খানিকটা দেরিতে ওই কাজ শুরু হয়েছে।
হুগলির চুঁচুড়ায় মিডডে মিল কাণ্ডে অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী এদিন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের(মাধ্যমিক ও প্রাথমিক) দাঁড় করিয়ে মিডডে মিল নিয়ে খোঁজখবর নেন। বিডিওদের নিয়ম করে মিডডে মিল পরিদর্শন করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। থানার ওসি, সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদেরও আইসিডিএস সেন্টার ভিজিট করার পরামর্শ দেন তিনি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ৮লক্ষ ৪৮হাজার মানুষ আওতায় এসেছেন। এখনও ৫লক্ষ ৯০হাজার মানুষ কার্ড পেয়েছেন। বাকি কার্ড তৈরির কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কাজু, পান ও ফুল অর্থকরী ফসলের মধ্যে অন্যতম। এই তিনটি অর্থকরী ফসল থেকে কীভাবে আয়ের সুযোগ আরও বাড়ানো যায়, তা নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পানমান্ডি তৈরি থেকে কাজু উৎপাদন বৃদ্ধি সব বিষয়েই আলোচনা হয়। পাশাপাশি কোলাঘাটে দেউলিয়ায় ৬নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ফুলের বাজার বসে। রাস্তার ধার থেকে বাজার সরানোর জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের একটি ফাঁকা জায়গাকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে বৈঠকে জেলাশাসক জানান। জেলাপরিষদ থেকে এনিয়ে এস্টিমেট করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। যদিও কোলাঘাটে পিডিসিএলের ফাঁকা জমি আছে। সেই জমি ব্যবহার করা যায় কি না সেব্যাপারেও খোঁজখবর নিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
জেলায় কৃষি, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী এবং ঐক্যশ্রী প্রকল্পে কাজকর্মে মুখ্যমন্ত্রী সন্তুষ্ট। জেলায় ৬লক্ষ ৫৬হাজার চাষির মধ্যে ৫লক্ষ ৮৫হাজার চাষিকে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে ১লক্ষ ৭৩হাজার পরিবারকে কাজ দেওয়া হয়েছে। মোট কর্মদিবসের সংখ্যা ৫৩লক্ষ। গড় কাজ হয়েছে ৩১দিন। জেলায় রূপশ্রী প্রকল্পে মোট ১৭হাজার আবেদন পড়েছিল। তার মধ্যে ১৪হাজার উপভোক্তাকে মাথাপিছু ২৫হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। জেলায় নন্দীগ্রাম-১ ও সুতাহাটা ব্লকে কর্মতীর্থ যাতে পুরোদমে চালু করা যায়, সেব্যাপারেও এদিন নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি খেজুরি-১ ব্লকের ইরিঞ্চিতে ইকো-ট্যুরিজম এবং মহিষাদলে রঙ্গিবসান প্যালেস স্কিম নিয়ে খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। খেজুরিতে ইকো-ট্যুরিজম উদ্যানের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন মিলেছে। ৩কোটি ৬৭লক্ষ টাকার এস্টিমেট তৈরি হয়েছে। পিডব্লুডি এবং সেচ দপ্তরের জমিতে ওই প্রকল্প গড়া হবে।