সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, কম বিদ্যুৎ খরচে দ্রুতগতিতে চলবে এই কোচ। ২০২১-’২২ আর্থিক বর্ষে এই ট্রেন চলবে পুনে শহরে। ৩৪টি ট্রেনের কোচের জন্য বরাত পেয়েছে এই সংস্থা। এর জন্য খরচ হবে মোট ১১০০ কোটি টাকা। টিটাগড় ওয়াগনস এই বরাত পাওয়ায় খুশির হাওয়া সব মহলে। সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রযুক্তিগতভাবে অন্যান্য কোচের তুলনায় এগুলি হবে উন্নত ও হালকা। বিদ্যুৎ খরচও কম। ট্রেনের গতি তোলা যাবে ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার। শীততাপ ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা হবে। প্রতি কামরায় থাকবে সিসি টিভি, ডিজিটাল রুট-স্টেশন ডিসপ্লে। যাত্রীদের সুরক্ষায় প্যানিক বোতাম থাকবে। প্রয়োজনে যাত্রীরা ট্রেনের চালকদের সঙ্গেও কথা বলতে পারবেন। প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য থাকবে বিশেষ চেয়ারের ব্যবস্থা। হুইল চেয়ারও থাকবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে থাকবে মোবাইল ও ল্যাপটপ চার্জার পয়েন্ট। পুনে মেট্রো রেলের জন্য কোচের প্রতিটি কামরার ভিতরের সাজসজ্জা থাকবে সেই রাজ্যের লোক সংস্কৃতি ও ইতিহাস নিয়ে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্র মেট্রো রেল কর্পোরেশন।
কলকাতা সংলগ্ন টিটাগড় ওয়াগনস লিমিটেড একটি বহুজাতিক সংস্থা। নতুন অত্যাধুনিক এই অ্যালুমিনিয়াম কোচের জন্য ১১০০ কোটি টাকার বরাত পেয়ে এখন খুশির হাওয়া কারখানায়। সে কারণে কম সময়ে এই বিরাট কাজের দায়িত্ব পেয়ে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু হয়েছে কারখানায়। শ্রমিক নেতারা বলেন, টিটাগড় ওয়াগনস অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। এখান থেকে বহু নতুন নতুন কোচ নির্মাণ হয়েছে। একটা সময় এই ওয়াগন কারখানা রুগ্ন হতে বসেছিল। এখন নতুন উদ্যমে চলছে। বিশেষ করে দেশের মধ্যে এই প্রথম এ ধরনের কোচ তৈরি করে ইতিহাসের পাতায় নাম তুলতে চাইছেন কারখানার শ্রমিকরা।
টিটাগড় ওয়াগনস লিমিটেডের (প্যাসেঞ্জার ট্রান্সপোর্ট ও ইলেকট্রিক্যাল) ভাইস প্রেসিডেন্ট ললিত তেজওয়ানি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, পুনে মেট্রোর কোচের নকশা করা, কোচ তৈরি, সরবরাহ, পরীক্ষার দায়িত্ব আমরা পেয়েছি। কারখানার সেল বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার ময়ূখ সাহা বলেন, ২০২০ সালের প্রথম দিকেই আমরা একটা ট্রেন দিতে পারব। ’২২ সালের মধ্যে সব কটি ট্রেন সাপ্লাই করা যাবে বলে তিনি আশাবাদী। এ বিষয়ে টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন এই টিটাগড় ওয়াগনস বেশ কিছু বরাত পেয়েছিল।