সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
বীরনগরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে এবং পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের অধীনে মৃৎশিল্প উন্নয়ন গুচ্ছ বা ক্লাস্টার প্রকল্পের কাজ ২০১৭ সাল থেকে শুরু হয়েছে। এখানে প্রশিক্ষণ এর সঙ্গে যুক্ত বীরনগর পুরসভার ৩টি ওয়ার্ড এবং কালীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের রাধানগর, কামগাছি ও জয়পুরের মোট ৫৬৩টি পরিবার। পরিবারগুলির মৃৎশিল্পীরা বেশিরভাগই আর্থিকভাবে সচ্ছল নয়। এই পরিবারগুলিকে সার্ভের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয়েছিল। এদের প্রশিক্ষণ ও তার সঙ্গে ভাতা দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এখানকার মৃৎশিল্পীদের কাজের গুণগত মান বাড়ানোর জন্য সঠিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে, নতুন ভবনের এখনও উদ্বোধন না হলেও পুরসভার একটি কমিউনিটি সেন্টারে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতির মধ্যে দিয়ে প্রশিক্ষণ শিবিরে নিয়মিত প্রশিক্ষণ চলছে। গত ৭ মার্চ থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। মোট দেড় বছরের এই প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় মৃৎশিল্পীদের ১৫০ টাকা প্রতিদিন হিসেবে ২৬ দিনে ৩৯০০ টাকা ভাতা হিসেবে প্রদান করা হচ্ছে। এখানে মূলত শিল্পীদের আধুনিক মাটির কাজগুলি শেখানো হচ্ছে। সেখানে বিশেষ করে সিরামিকের কাপ-প্লেট, টি-পট, থালা, ঘটি প্রভৃতি তৈরির প্রশিক্ষণের জোর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন ভবনে তৈরি করা হচ্ছে ইলেক্ট্রিক ও এলপিজি গ্যাসের চুল্লি। যেখানে মৃৎশিল্পীরা তাঁদের তৈরি করা জিনিস অনায়াসেই পোড়াতে পারবেন। পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের জেলা কার্যালয় মসলিন তীর্থতে প্রথম এই সেন্টার নির্মাণের জন্য আবেদন করা হয়। সেখান থেকে জেলা আধিকারিকের মাধ্যমে সেই আবেদন কলকাতার প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে লোকসভা নির্বাচনের আগে বীরনগরে এই সেন্টারের নতুন ভবনের শিলান্যাস করা হয়।
ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি কৌশিক পাল বলেন, এখানকার মৃৎশিল্পীরা অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই পিছিয়ে। কাজের সঠিক মূল্য না পাওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভিন্ন পেশা নিয়ে তাঁরা চলে যাচ্ছেন। তবে এবার কমন প্রোডাকশন সেন্টার হওয়ায় অনেকের সুবিধা হবে। পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত ও বীরনগর পুরসভার চেয়ারম্যান পার্থকুমার চট্টোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় এই কাজ করা দ্রুত সম্ভব হয়েছে। বীরনগর পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, ট্রেনিং সেন্টারের নির্মাণ প্রায় সম্পূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে সেটাকে উদ্বোধন করার চেষ্টা করছি আমরা। যে সমস্ত পাল সম্প্রদায়ের পুরুষ-মহিলা ট্রেনিং নিচ্ছেন, তাঁদের হাতে তৈরি মাটির জিনিসগুলি দেখার মতো হচ্ছে। তাঁদের হাতে তৈরি জিনিসের ভালো বাজার রয়েছে। অন্যদিকে, এই এলাকার রুইদাস সম্প্রদায়ের মানুষেরা ভালো বেতের কাজ করেন। তাঁদেরও আধুনিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য এই ধরনের সেন্টার তৈরি করার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে।