সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা শস্যবিমা যোজনা প্রকল্প চালু করে চাষিদের ক্ষতিপূরণের বিকল্প পদ্ধতি শুরু করেছেন। সেইমতো বীরভূম সহ অন্যান্য জেলাতেও এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে। একটি বিমা সংস্থার মাধ্যমে ঋণ না নেওয়া চাষিদের ফর্ম বিলি করা হচ্ছে। ঋণ নেওয়া চাষিরা স্বাভাবিক নিয়মে বিমার আওতায় আসছেন। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে ফর্ম পূরণ করে তা জমা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। চাষে ক্ষতি হলে রাজ্য সরকার চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্যই এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এক্ষেত্রে চাষিদের কোনও খরচ না দিয়েই এই বিমা প্রকল্পের আওতায় আসতে পারেন।
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০ আগস্ট পর্যন্ত পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী কৃষি দপ্তর জেলায় শস্যবিমা যোজনা প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থা চাষিদের এখনও পর্যন্ত ফর্ম বিলি করেছে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৫৫টি। চাষিদের কাছ থেকে তা সংগৃহীত হয়েছে ৪৮ হাজার ৫১৮টি। জেলায় কৃষি দপ্তরের ১ লক্ষ ৮২ হাজার চাষির কাছে ফর্ম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আগামী আটদিনের মধ্যে বাকি কাজ সম্পূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
গত ২০ আগস্ট পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী বীরভূমের রাজনগর ব্লকে ৮০১০টি ফর্ম চাষিদের বিলি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সেখানে জমা পড়েছে মাত্র ৮৫০টি। মহম্মদবাজারের ক্ষেত্রে ১৩ হাজার ২৩০টি ফর্ম বিলি হয়েছে। সেখানে আপাতত ৩০১০টি ফর্ম সংগৃহীত হয়েছে। বোলপুর ব্লকে ৫৩১০টি ফর্ম বিলি হয়েছে। জমা পড়েছে ৯০৪টি। মুরারই-২ ব্লকের ক্ষেত্রে ৬৭০০টি ফর্ম চাষিদের বিলি করা হয়েছে। কিন্তু, সেখানে ৮৭৫টি ফর্ম সংগ্রহ করা হয়েছে। জেলার অন্যান্য ব্লকগুলিতেও বহু বিলি করা ফর্ম এখনও জমা পড়েনি।
প্রসঙ্গত, কয়েক সপ্তাহ আগে কৃষিমন্ত্রী দপ্তরের একটি কর্মশালায় অংশ নিয়ে শস্যবিমা যোজনার কাজে গতি আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেইমতো জেলা প্রশাসনের তরফে ১৬৭টি পঞ্চায়েতে প্রত্যেক শনিবার বিশেষ শিবির করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রশাসনের দাবি, শনিবার বিশেষ শিবিরের পাশাপাশি অন্যান্য দিনেও সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থা পঞ্চায়েতগুলির মাধ্যমে এই কাজ করছে। তা সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে আদৌও এই কাজ সম্পূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে।
কৃষি দপ্তরের আধিকারিকদের দাবি, প্রথম দিকে এই কাজ শুরু করতেই কার্যত দেরি হয়েছে। তার ফলে কাজের গতি এগয়নি। এমনকী, চাষিদের কাছে প্রকল্পের প্রচারেও খামতি রয়েছে।
যদিও কৃষি দপ্তরের দাবি, তৃণমূলস্তরে যথেষ্ট প্রচার করা হয়েছে। চাষিদের ফর্ম পূরণ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা জমা দেওয়ার জন্য আহ্বান করা হয়েছে।
বীরভূমের কৃষি দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর একেএম মিনাজুর আহাশান বলেন, আগামী দু’-তিনদিনের মধ্যে ফর্ম জমা দেওয়ার সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। গতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমরা সব সময় নজরদারি করছি। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, ফর্ম সংগ্রহের কাজ স্বাভাবিকভাবেই হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।