সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনার পরেই জেলাজুড়ে বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র ও উচ্চ বিদ্যালয়গুলিতে মিড ডে মিলের পরিকাঠামো ও রান্না করা খাবারের নমুনা পরীক্ষা করার নির্দেশিকা জারি করা হয়। জেলা স্তরের নির্দেশ মেনেই এদিন আরামবাগ পুরসভার অধীনে থাকা একাধিক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও স্কুলে আচমকাই হানা দেন আরামবাগ মহকুমা শাসকের দপ্তরের আধিকারিকরা। পাশাপাশি স্কুলগুলিতে পরিদর্শনে যান আরামবাগের এসডিও লক্ষ্মী বি তান্নিরু।
এবিষয়ে আরামবাগের এসডিও বলেন, জেলাশাসকের নির্দেশ মতো এদিন পুরসভার অধীনে থাকা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে চারজন ম্যাজিস্ট্রেটের পৃথক প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে যায়। মিড ডে মিলের পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের পরিষেবা উপভোক্তারা ঠিক ভাবে পাচ্ছে কি না সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখার কাজ চলে।
বুধবার দুপুরে ঘড়ির কাঁটা তখন ২টো ছুঁই ছুঁই। হঠাৎই আরামবাগের ঘিয়াতে নীলকণ্ঠ শিক্ষা নিকেতনে হাজির হন প্রশাসনের এক কর্তা। এরপর তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুশীল কুমার কুণ্ডুকে সঙ্গে নিয়ে সোজা চলে যান মিড ডে মিলের রান্নাঘরে। তারপর সেখানেই শিক্ষার্থীদের খাবার জায়গা, স্টোররুম, পানীয় জলের ব্যবস্থা ও রান্নার সার্বিক পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। পাশাপাশি ওই বিদ্যালয়ে এদিন মিড ডে মিলের খাবারের মেনুর তালিকার সঙ্গে রান্না হওয়া খাবার মিলিয়ে দেখেন। এরপর ওই আধিকারিক নিজেই মিড ডে মিলের ভাত, ডাল ও তরকারি খেয়ে পরীক্ষা করেন। এমনকী কোন তেল, লবণ ওই রান্নায় ব্যবহৃত হয়েছে সেটিও খোঁজ নেন। পাশাপাশি স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের প্রতিদিনই শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি হওয়া খাবার শিক্ষকদের নিজেদের খেয়ে দেখার পরামর্শ দেন।
অন্যদিকে, মহাকুমার পুরশুড়া ব্লকের এদিন ৩৩টি মিড ডে মিল কেন্দ্রে ১১ জন প্রশাসনিক আধিকারিকের আলাদা আলাদা দল মিড ডে মিলের মান খতিয়ে দেখে। এপ্রসঙ্গে পুড়শুড়ার বিডিও অচিন্ত্য ঘোষ বলেন, ব্লকের অধীনস্থ মিড ডে মিল সেন্টারগুলিতে আচমকাই পরিদর্শনে যাওয়া হয়। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে কোথাও কোনও অনিয়মের বিষয় নজরে আসেনি।
পুরশুড়ার পাশাপাশি এদিন আরামবাগ ব্লকেরও বিভিন্ন বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের মান খতিয়ে দেখেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। আরামবাগের বিডিও বিশাখ ভট্টাচার্য বলেন, ব্লকের অধীনে থাকা ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ৪৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মিড ডে মিল কেন্দ্র পরিদর্শন করা হয়েছে।
এবিষয়ে আরামবাগ ঘিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীহাররঞ্জন পাল বলেন, বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় স্কুল পড়ুয়াদের মিড ডে মিলে ফ্যানভাত খাওয়ানো হচ্ছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। সব সময় মিড ডে মিলের চাল-ডালের সরবরাহ ঠিকঠাক না থাকলেও ফ্যানভাত কখনওই কাম্য নয়।
সুশীলকুমার কুণ্ডু নামে নীলকণ্ঠ শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক বলেন, এদিন দুপুরে মিড ডে মিল রান্নার সময় আচমকাই প্রশাসনের এক আধিকারিক হাজির হন। তিনি নিজেও রান্না হওয়া খাবার পরীক্ষা করেন। শিক্ষক হিসেবে আমরা চাই, পড়ুয়াদের কখনই যাতে নিম্নমানের খাবার বা মেনুতে ফ্যানভাতের মতো ঘটনা না ঘটে।