সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সরাইটিকর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে মিদ্দেডাঙা, বিদ্যাসাগর পল্লি, ছোট বুনিয়াদি এলাকার মানুষের জন সজলধারা প্রকল্প তৈরি হয়েছিল। সেই প্রকল্প থেকেই এলাকার কয়েকশো মানুষ জল পেতেন। সজলধারা প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৫০ টাকা করে নেওয়া হয়। গ্রাহকেরা প্রতিমাসে সেই টাকা দিয়েছেন। কিন্তু, যাকে দিয়েছেন তিনি নাকি জমা করেননি। তার জেরেই বিদ্যুতের বিল বকেয়া বাড়তে থাকে। লক্ষাধিক টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হওয়ায় মাস খানেক আগে বিদ্যুৎদপ্তরের পক্ষ থেকে সজলধারা প্রকল্পের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। তার জেরে চরম বিপাকে পড়েন এলাকার মানুষ। অন্য জায়গা থেকে কোনওরকমে পানীয় জলের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু, ব্যবহারের কোনও জল পাননি। এমনকী, এলাকায় দু’টি স্কুল রয়েছে। অভিযোগ, স্কুলের বাচ্চারা মিড ডে মিলের খাবার খেয়ে পুকুরের নোংরা জলে থালা বাসন ধুচ্ছে।
এতদিনেও সজলধারা প্রকল্প চালু না হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। দিন দুপুরে এলাকার পুরুষ ও মহিলারা সকলে বেরিয়ে এসে বর্ধমান-কাটোয়া রাস্তা অবরোধ করেন। দেড় থেকে দু’ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলে। অবরোধকারীরা জানিয়ে দেন, পানীয় জল চালু না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে। জয়েন্ট বিডিও’র আশ্বাসে এদিনের মতো অবরোধ উঠলেও অবরোধকারীরা জানিয়েছে, সমস্যার সমাধান না হলে তাঁরা ফের আন্দোলনে নামবেন। তাই বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের আধিকারিকেরাও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে শুরু করেছেন। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে বর্ধমান-১ ব্লকের জয়েন্ট বিডিও সৌমাল্য ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, অতিরিক্ত জেলশাসক, মহকুমা শাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিদ্যুৎদপ্তরের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। আশা করছি, তাড়াতাড়ি এই সমস্যা মিটে যাবে।