সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
ভাকরি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের মহম্মদ নুর হোসেন বলেন, গ্রামবাসীদের আন্দোলন ন্যায়সঙ্গত। তাঁরা যে নরকযন্ত্রণা নিয়ে যাতায়াত করছেন সেটি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এই রাস্তার সংস্কার কাজ করার সামর্থ্য পঞ্চায়েতের নেই। এটি তৈরি বা সংস্কার করতে হলে মোটা টাকার দরকার। এলাকাবাসীদের সুবিধার্থে আমরা আবার সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।
চাঁচল-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের মৌসুমী মণ্ডল বলেন, আমরা প্রচুর রাস্তাঘাটের কাজ করেছি। কয়েকটি রাস্তার কাজ এখনও করা সম্ভব হয়নি। তবে এনিয়ে আমাদের চেষ্টার অন্ত নেই। বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্যোগ নেব। মালদহ জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের সামসুল শেখ বলেন, জেলা পরিষদ থেকে স্থানীয় সদস্যদের কাছে স্কিম চাওয়া হয়েছে। কোথায় কী প্রয়োজন, সেটা তাঁরাই বলতে পারবেন। স্কিম এলে আমরা রাস্তার কাজ করে দেব। চাঁচল-২ ব্লকের বিডিও অমিত কুমার সাউ বলেন, গ্রামবাসীদের দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গ্রামবাসীরা জানান, এক দশকের বেশি সময় ধরে রাস্তার সংস্কার হয়নি । যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালেও রাস্তা সংস্কারে কোনও হেলদোল নেই। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ সাদিকুল বলেন, নেহালপুর থেকে মানিকপুর পর্যন্ত রাস্তা একেবারে বেহাল। আমরা দুর্বিষহ যন্ত্রণা নিয়ে যাতায়াত করি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বারবার বলা হলেও তাঁরা কর্ণপাত করছেন না। তাই প্রায় ১০টি গ্রামের মানুষ এদিন সংঘবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন।
চাঁচল-২ ব্লকের ভাকরি গ্রাম পঞ্চায়েতের নেহালপুর থেকে মানিকনগর পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার রাস্তা প্রায় এক দশক আগে তৈরি হয়েছিল। বর্তমানে তা খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। তাতে বৃষ্টির জল জমে সমস্যা বাড়ছে। ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতই করা যাচ্ছে না। গ্রামবাসীরা বিপাকে পড়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উপর একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাই স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। প্রতিদিন গ্রামবাসীরা স্বাস্থ্য পরিষেবা নিতে গিয়েও সমস্যার সম্মুখীন হন। এছাড়াও সুতি, সদরপুর, নেহালপুর, মানিকনগর, ভাকরি, গৌড়হন্ডা সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা ওই রাস্তা দিয়ে চাঁচল ব্লক সদরে যান। বেহাল সড়কের জন্য তাঁদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এদিন আন্দোলনের জেরে ব্লক সদরের যাওয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে আসার দাবি তুলে অবরোধ চালিয়ে যান। প্রশাসনের আধিকারিকরা দেরিতে আসায় দীর্ঘক্ষণ অবরোধ চলে। তাতে দুর্ভোগ বাড়ে। পরে অবশ্য আধিকারিকরা রাস্তা দ্রুত মেরামতের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।